Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 46

সাজিদ ম্যানশনে বেশ হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে।সকাল থেকেই সাজিদ রায়হান চৌধুরী চিৎকার করে করে বাড়ি মাথায় তুলে রেখেছে।কোন ভাবেই ওনাকে থামানো সম্ভব হচ্ছেনা।যেই সামনে যাচ্ছে তাকে শুট করছে।এনিয়ে ৬জন লোককে মেরে ফেলেছেন ওনি।
আর কেউ সামনে যাচ্ছেনা ভয়ে।রোজি লোপেজ নামের ব্রিটিশ মেয়েটা ঘরে ঢুকেই সাজিদ রায়হানের রুমের সামনে যেতেই ভিতরে ভাংচুরের শব্দ পেলো।
ইজ এনিথিং রং সাজিদ বেইব?
রোজ প্লিজ গেট আউট।আই ডোন্ট ওয়ান্টু মিট ইউ রাইট নাও।রুম থেকে চেঁচিয়ে উঠলেন সাজিদ রায়হান।
বেইব আর ইউ আপসেট?বাহির থেকে চিৎকার করে বলল রোজি নামের মেয়েটা।রোজি সাজিদের গার্লফ্রেন্ড। তারা বর্তমানে লিভ ইন করছে।
হঠাৎ জোরে শব্দ করে দরজা খুললেন সাজিদ রায়হান।রোজি কিছু বলার আগেই সাজিদ রোজির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে রুমে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো।
স্যার রাগের সময়ে ও এসব করতে পারে।বুইড়ার গায়ে যা জোর।বয়স যতো বাড়ে তার জোর আরো বেশি বাড়ে।রসিয়ে রসিয়ে কথা গুলো বলছিলো কলিম।
কলিম স্যারের কি হইলো সেইডাই বুঝলাম না।সকাল থেকেই চিল্লাচিল্লি ভাংচুর কারন কিরে?বাজারের ব্যাগটা ফ্লোরে রেখে বলল আমিন।
সকালে বাহির থেকে আসার সময় রোবট গুলা চেক করতে গেছে।সেখানে এক রোবটের কপালে কোব্রার সাইন দেখে এমন করতাছে।
কোব্রার কথায় ঢোক গিলল আমিন।কিছু না বলে বাজারের ব্যাগ নিয়ে পাকঘরে চলে গেলো।
অর্ধনগ্ন অবস্থায় সাজিদ রায়হান আর রোজি শুয়ে আছে।পাতলা চাদরে নিজেদের ঢেকে রেখেছে তারা।বেইবি কি হয়েছিলো তখন?ভাঙ্গা বাংলায় বলল রোজি।
কেউ আমার তথ্য নেয়ার ট্রাই করছে বেইব।কিন্তু সে কে বুঝতে পারছিনা।রোয়েন চৌধুরীর কাজ হলে সে বড় ভুল করবে।বলে উঠলেন সাজিদ রায়হান চৌধুরী।
বেইবি রোয়েন চৌধুরীর কথা বলছিলেনা?হি ইজ ড্যাম হট ইয়াং ম্যান।হিজ বডি হিজ এ্যাটিটিউড ও মাই গড।কথাটা বলে শেষ করতে পারলোনা রোজি।সাজিদ রায়হান ওর গলা চেপে ধরলো।
রুহীকে নিয়ে বাসায় চলে এলো রোয়েন।কিছু গুছানো বাকি আছে সেগুলো কমপ্লিট করতে হবে।রুহীকে রুমে এনে কিছু প্যাকেট ধরিয়ে দিলো রোয়েন।
রুহী খাটের ওপর বসে প্যাকেট গুলো থেকে কিছু শাড়ী আর অর্নামেন্টস বের করলো।সেগুলোর থেকে চোখ সরিয়ে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে রইলো রুহী।
ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।কি হলো?
না মানে শাড়ী গুলো খুব পছন্দ হয়েছে। মুচকি হেসে বলল রুহী।
যাও এগুলো ব্যাগে ঢুকিয়ে নাও।একটু পরে বের হবো আমরা।কথাটা বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলে রোয়েন।
রুহী শাড়ী গুলো ওর লাগেজে ঢুকিয়ে নিলো।রাত আটটায় বেরিয়ে পড়লো ওরা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে।
রোয়েনকে রুহী এই প্রথম কালো থেকে অন্য কালার শার্টে দেখলো তাও আবার চকোলেট কালার একটি শার্ট পরে আছে।ইমিগ্রেশন শেষ করে ভিতরে ঢুকে পড়লো ওরা।ওদের প্লেন হলো ইউএস বাংলা ৩২১।
রাত নয়টায় প্লেনে উঠে পড়লো ওরা।এরপর কয়েকঘন্টা জার্নি শেষে রুহীকে নিয়ে সাজেক ভ্যালির পাশ্ববর্তি একটা রিসোর্ট চলে এলো রোয়েন।ভিতরে ঢুকে রিসিপশনে চলে এলো ওরা।
গুড মর্নিং স্যার(রিসিপশনিস্ট)
গুড মর্নিং।আমাদের একটা রুম লাগবে।বলে উঠলো রোয়েন।
ওকে,স্যার।আপনাদের নাম?
মিঃ রোয়েন চৌধুরী এবং মিসেস রুহী চৌধুরী।
ওকে স্যার।আপনাদের চাবি নিন।৩২৬নম্বর রুম স্যার।(রিসিপশনিস্ট)
হুম।পিছনে ফিরলো রোয়েন।রুহী চলো!!!
রুহী রোয়েনের হাত।ধরে লিফ্টের দিকে এগোয়।
৩২৬ নম্বর রুমে এসে গেছে ওরা।রোয়েন চাবি দিয়ে তালা খুলল রুমটির।বেশ সুন্দর সাজানো গুছানো রুমটি।রুহী দৌড়ে গিয়ে খাটের ওপর বসতেই খাটের ফোম বেশ ডেবে গিয়ে উপরে উঠে এলো।
আহ কি নরম?হাসতে হাসতে বলল রুহী।
পাশাপাশি দুটো খাট রয়েছে।রোয়েন লাগেজ দুটো একপাশে রেখে রুহীর পাশে এসে বসলো।পছন্দ হয়েছে?রুহীর কানের কাছে মুখ এনে বলল রোয়েন।
রুহীর কাঁধে রোয়েনের নিশ্বাস পড়তেই পুরো শরীরে শিহরন বয়ে গেলো রুহীর।আস্তে করে কাঁপা কাঁপা গলায় রুহী বলল খুব সুন্দর।
রোয়েন এবার রুহীর কাঁধে মুখ ডুবালো।
রুহী টাল সামলাতে না পেরে খাটে শুয়ে পড়লো।রোয়েন ওর গলায় কাঁধে অজস্র চুমু দিয়ে রুহীর রসালো ঠোঁটের স্বাদ নিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।
রুহীর নিশ্বাস ভারি হতে থাকে রোয়েনের একেকটা ছোয়ায়।
বেশকিছুক্ষন পর উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয় ওরা।রুমে খাবার পাঠানো হলো।
রুহী আর রোয়েন দুজনেই খাবার সেড়ে নিলো।
তারপর কিছুক্ষন রেস্ট করে রুহীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো সাজেক ভ্যালির উদ্দেশ্যে। পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ওরা।মনে হচ্ছে মেঘের ওপর চলে এসেছে দুজনে।মেঘ হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করে রুহী।রোয়েন ততক্ষনে বেশ কিছু ছবি তুলে নেয় রুহীর।
কিছুক্ষন পর রুহীর পাশে দাঁড়িয়ে ওর কোমড় ধরে কাছে টেনে নিলো রোয়েন।
তারপর রুহীর গালের সাথে গাল লাগিয়ে ছবি তুলল বেশ কয়েকটা।
(বেশি দিতে পারলামনা।সমস্যাটা বুঝার চেষ্টা করবেন আশা করি)
চলবে