Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 45

স্যার এক্চুয়ালি কি করতে চাচ্ছেন?শামীম প্রশ্ন করে উঠলো।
ডোন্ট কোয়েশ্চেন মি।জাস্ট হোয়াট হ্যাপেন্ড কথাটি বলেই আবার ও সেই বাঁকা হাসে রোয়েন।
জি স্যার বলে উঠলো শামীম।
রাত বারোটা
গুলসান একের আট তলা বিল্ডিংটার সামনে গাড়িতে বসে আছে রোয়েন।বন্দুক ধারী বেশ কয়েকজন গার্ড দাঁড়িয়ে আছে।গাড়ি ছেড়ে বের হলো রোয়েন।আশেপাশে হাঁটতে লাগলো ও।কেন এতো কঠিন তার ঘরে ঢুকা?বিল্ডিংটার ছাদে অনেক গুলো ক্যামেরা রাখা।সেগুলো ঘুরছে চারদিকে।
হাহ কি মনে করে নিজেকে?মরার এতো ভয় সাজিদ রায়হান চৌধুরী?কথাটি বলার সময়ে রোয়েনের মুখ শক্ত হয়ে এলো।
রোয়েন একজন গার্ডের কাছে এগিয়ে এলো।গার্ড সান গ্লাস পরে আছে।রাত বারোটায় সানগ্লাস পরে পাহাড়া দেয়া হচ্ছে?লোকটার চোখের সামনে হাত নাড়লো রোয়েন।নাহ কোন খবর নেই।রোয়েন সানগ্লাসটা খুলে থমকে গেলো।আসলে সেগুলো ছিলো মুর্তি ঠিক মুর্তি নয় রোবট।এটার নিশ্চয়ই ব্যাটারী শেষ নয়তো রোয়েন বেঁচে থাকতে পারতোনা।
রোয়েন কালো হুডি পরে এসেছে যেন ওকে ক্যামেরায় না দেখা যায়।
রোয়েন এবার নিজের হাতের কোব্রা সিলটা রোবটটার কপালে লাগিয়ে দিলো।অন্তত সাজিদ রায়হানের জানা উচিৎ তার ধ্বংস সন্নিকটে।আর বেশি সময় খরচ না করে গাড়িতে বসে পড়লো রোয়েন।
বিল্ডিংটাকে আরো কিছুক্ষন পর্যবেক্ষন করে বেরিয়ে পড়ে রোয়েন।
আজ এতো দেরি হলো কল করতে?মন খারাপ করে বলল রুহী।
একটা কাজে ছিলাম।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী চুপচাপ রোয়েনকে দেখছে।রোয়েন ও তার মায়াবতীকে দেখছে।
নিরবতা ভালো লাগছেনা রুহীর।কথা বলে উঠলো ও।
চলো কোথা ও ঘুরতে যাই।
কই যাবে?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
উমমমম কই যাবো কই যাবো?ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে ভাবছে রুহী।
রাঙ্গামাটি সাজেক।বলে উঠলো রোয়েন।
নট ব্যাড।বলে উঠলো রুহী।
ইটস ভেরি গুড আইডিয়া।প্যাকিং কমপ্লিট করো।কাল রাতেই রওনা দিবো।গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।
আরে আরে কি বলো এসব?বাবাকে কে কি বলবো?(রুহী)
বলবা হানিমুনে যাচ্ছি আমরা।ভেরি সিম্পল ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
আবার ও ক্যাম্পিং এর বাহানা অসহায় কন্ঠে বলল রুহী।
আর কোন মিথ্যা না।সত্যি বলেই বের হবে ঘর থেকে।বলে উঠলো রোয়েন।
বাবা কি মনে করবে?(রুহী)
ওনি কি মনে করবে আই ডোন্ট কেয়ার।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী অসহায় ভাবে রোয়েনকে দেখছে।
যাও প্যাকিং করো।সব কমপ্লিট দেখতে চাই।ধমক দিলো রোয়েন।
কিন্তু বাবাকে?অসহায় ভাবে বলল রুহী।
জাস্ট গো।প্যাকিং করো রুহী।শক্ত মুখে বলল রোয়েন।
ওকে।মাথা নিচু করে বলল রুহী।রোয়েন কল কেঁটে দিলো।
রুহী আরো কিছুক্ষন ভেবে প্যাকিং করে নিলো।
রিংটোনে আজিজ রায়হান চায়ের কাপ রেখে ফোন হাতে নিলেন।রোয়েন কল করছেন কেন?ভাবতে থাকে আজিজ রায়হান।
হ্যালো।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
ইয়েস মিঃ আজিজ।
জি স্যার বলেন।বলে উঠলেন আজিজ।
আমি আর রুহী সাজেক যাবো।বলে উঠলো রোয়েন।
স্যার আপনি আর রুহী?বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
ইয়েস।আমি আর রুহী(রোয়েন)।
বিয়ের আগে এটা ভালো দেখা যায়না।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করছিনা বলছি।আর হলো সমাজ কে কি ভাববে আই ডোন্ট কেয়ার।আমার বৌকে নিয়ে যেখানে মন চায় যাবো।প্রায় রাগী কন্ঠেই
বলল রোয়েন।
জ জ জ জি স্যার।ভয়ার্ত কন্ঠে বললেন আজিজ রায়হান।
রেহান রুপন্তীকে জিজ্ঞেস করুন ওরা যাবে কিনা?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
আচ্ছা স্যার।বলল আজিজ রায়হান।
রোয়েন ফোন কেঁটে দিলো।
আজিজ রায়হান রুপন্তী আর রেহানকে জিজ্ঞেস করলো সাজেক যাওয়ার ব্যাপারে।ওরা আসল কাহিনী বুঝতে পেরে না করে দিলো।
আজিজ রায়হান রোয়েন কে কল দিলেন।
হ্যালো।অপর পাশ থেকে বলল রোয়েন।
স্যার ওরা যাবেনা।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
তাহলে আমি আর রুহীই যাচ্ছি।ওকে বিকেলে নিতে আসবো আমি।
ম মা মানে স স্যার???আজিজ রায়হান কথা বলার আগেই ফোন কেঁটে গেলো।
দুপুর ২টো
রোয়েন আনিলা বেগমের সামনে বসে আছে।কি চান আপনি?বলে উঠলো রোয়েন।
আমি চাই তুমি রুহীকে বিয়ে না করো।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
কেন?চেয়ারে হেলান দিয়ে বলল রোয়েন।
আমাকে তোমার পছন্দ না।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
হাহ বিয়ে আওনার মেয়েকে করছি।এখানে আপনার পছন্দ অপছন্দের প্রশ্নই আসেনা।মোট কথা আপনি রুহীকে স্করপিয়নদের কাছে দিয়ে দিতে চান।আমার সাথে বিয়ে হলে তো সেটা আর হবেনা।তাইনা?উঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল রোয়েন।
কিছুটা অবাক হলেন আনিলা বেগম।তারপর মুখ খুললেন।বাহ তুমি তো জেনেই গেছো।তাহলে তো আর এতো কষ্ট করতে হলোনা আমার। তাহলে এক কাজ করো আমাকে ৫০কোটি দাও আর রুহীকে নিয়ে নাও।
কান্ট বিলিভ!!!!!দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।
রুহীকে আমি কিনে না সসম্মানে স্ত্রী করে ঘরে নিতে চাই।একটা পয়সা ও দেবোনা আপনাকে।
টপৃ
বলে উঠে সামনে চলে আসতেই আনিলা বেগম পিছন থেকে চিৎকার করে বললেন রুহীকে কোনভাবেই তোমার হতে দিবোনা।
রোয়েন বন্দুক তাক আনিলা বেগমের দিকে ফিরলো।আমার আর রুহীর মাঝে যে আসবে তাকে ছিন্নভিন্ন করে দিবো।আনিলা বেগমের কাছে আসলো রোয়েন।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রুহী আমার শুধু আমার।ওকে আমার হতেই হবে।
আনিলা বেগমকে আর কথা বলার সুযোগ দিয়ে হেঁটে সামনে চলে গেলো রোয়েন।
আনিলা বেগম রাগী চোখে রোয়েনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
বিকেলে যথাসময় রুহীকে নিতে চলে এলো রোয়েন।
নীল ফতুয়া আর কালো জিন্সপ্যান্ট পরে নিয়েছে রুহী।কোঁকড়া চুলগুলো স্কার্ফ দিয়ে বেঁধে রেখেছে।চোখে হালকা কাজল আর ঠোঁটে হালকা গোলাপী লিপগ্লস।
গাড়ি চালানোর ফাঁকে রুহীর স্কার্ফ খুলে দিলো রোয়েন।যার কারনে চুল গুলো ফুঁলে উঠলো।
কি করলে এটা?দাও স্কার্ফ। রোয়েনের হাত থেকে স্কার্ফ নেয়ার চেষ্টা করলো রুহী।
চুপচাপ বসে থাকো।রাগী গলায় বলল রোয়েন।
রুহী মন খারাপ করে বসে রইলো।
লুকিং গ্লাস দিয়ে রুহীকে দেখছে রোয়েন।পুতুলের মতো লাগছে ওর মায়াবতীকে।
রুহী মুচকি হেসে রোয়েনের গালে চুমু দিলো আচমকা।
রোয়েন খানিকটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে রুহীকে দেখে ড্রাইভিংয়ে মন দিলো।
চলবে