Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 4

মা বাবাকে একা ঘরে ফিরতে দেখে কিছুটা অবাক হয়ে যায় রুপন্তী।মা তো যাওয়ার সময় বলছিলো আপু কে পাওয়া গেছে। তাহলে আপু কই?ভাবতে থাকে ও।মা তুমি না বলেছিলে আপু কে পাওয়া গেছে।কিছুটা চিন্তিত কন্ঠে বলল রুপন্তী।আনিলা বেগম জুতোজোড়া কে গুছিয়ে রাখছিলেন।হুম ওকে পাওয়া গেছে।বলে উঠলেন আনিলা।
তাহলে কই আপু?আশেপাশে খুঁজতে লাগলো রুপন্তী।
খাবার শেষ করে রুহীর মুখ ধুইয়ে দিলো রোয়েন।রুহী থম ধরে বসে আছে।ওর মা বাবা এ খুনির কাছে ওকে ফেলে চলে গেলো কেন?ভেবে পায়না রুহী।রুহীকে এভাবে বসে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।চলো ঘুমাবে।ধমক দিয়ে উঠলো রোয়েন।
ধমকে খানিকটা কেঁপে উঠলো রুহী।ভীত দৃষ্টিতে রোয়েনের দিকে তাকাতেই এক ঝটকায় ওকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।এতক্ষনে ঘোর কাঁটলো রুহীর।আরে নামান আমাকে।এমন করছেন কেন?হাঁটতে পারি আমি।
রোয়েন রাগী চোখে রুহীর দিকে তাকাতেই চোখ নামিয়ে নিলো রুহী।মা ঐ লোকটার কাছে কেন রেখে আসছো আপুকে?প্রশ্ন করতে থাকলো রুপন্তী।
খাবার শেষ করে সবেমাত্র বিছানায় এসে পিঠ লাগালেন আনিলা বেগম।তার চোখে মুখে ক্লান্তির ছায়া ফুঁটে উঠেছে।তবে মেয়েকে পাওয়ার পর বুক অনেক পাতলা লাগছে।যেন অনেক বড় কোন পাথর সরে গেছে।
মায়ের কোন উত্তর না পেয়ে খানিকটা বিডক্ত হলো রুপন্তী।মা কিছু বলছি!!!উত্তর দাও।বলে উঠলো রুপন্তী।তোর আপু ঐখানেই সেফ থাকবে।বলেই চোখ বুজে নিলেন আনিলা বেগম।
মায়ের কথায় বেশ অবাক হলো রুপন্তী।আপু কি করে ঐ অচেনা লোকের কাছে সেফ থাকতে পারে?ভাবতে থাকে রুপন্তী।
রুহীকে পাশের রুমটিতে এনে খাটে শুইয়ে দিয়ে ওর চুলে হাত বুলাতে থাকলো রোয়েন।রুহী ভয়ে ভয়ে রোয়েনের দিকে এক নজর তাকিয়ে মাথা নিচু করে নিলো।
ঘুমাও।গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী মাথা নিচু করে আছে।ওর পুরো শরীর কাঁপছে।লোকটি পাশ থেকে সরে গেলেই যেন ও বাঁচে।তবে লোকটির গায়ে মনোমুগ্ধকর একটা ঘ্রান আছে যেটা রুহীকে নেশায় মাতাল করছে।ঘ্রানটি খুব কড়া ভাবে পেয়েছিলো যখন রোয়েনের বাহুডোরে বন্দী ছিলো।কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই রোয়েনের দিকে তাকায় রুহী।
মেয়েটার চোখে ঘুমের ঘ ও দেখা যাচ্ছেনা।কি হলো ঘুমাচ্ছোনা কেন?ধমক দিয়ে উঠলো রোয়েন।রুহী জলদি অন্যদিকে ফিরতে গেলে ওকে টেনে নিজের দিকে ফিরিয়ে দিলো রোয়েন।ঘুমাও!!!!! আবার ও ধমকের সুরে বলল রোয়েন।
রুহী এবার চোখ বুজে নিলো। আবার ধমক খাওয়ার থেকে ঘুমিয়ে যাওয়া ভালো।চোখ বুজে রোয়েনের গুষ্টিউদ্ধয়ার করতে থাকলো রুহী।
হঠাৎ গালে কপালে থুতনিতে উষ্ণ ঠোঁটের ছোঁয়া পেতে থাকে রুহী।স্পর্শগুলো কেমন এক আলাদা প্রশান্তি এনে দিচ্ছে রুহীর সারা শরীর জুড়ে। চোখ খুলতে ইচ্ছে করছিলোনা ওর।কিছুক্ষন পর চোখ জোড়ায় ঘুমের জোয়ার নেমে আসে রুহীর।
রুহীকে ঘুমিয়ে যেতে দেখে সরে আসে রোয়েন।ওর কপালে ঠোঁট বুলিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে লাইট অফ করে দিলো রোয়েন।
নিজের রুমে চলে এসেছে রোয়েন।মেয়েটা এখন ওর পাশে থাকলে ভালো হতো।বুকে নিয়ে ঘুমানো যেত।কিন্তু এ এমুহূর্তে সেটা করা যাবেনা।কারন রোয়েন সম্পূ্র্ন নতুন রুহীর কাছে।রুহী আগে ওকে জানুক তারপর না হয় ওকে বুকে নিয়ে ঘুমাবে রোয়েন।
ওয়াইনের বোতল থেকে একটা গ্লাসে কিছুটা ওয়াইন ঢেলে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় রোয়েন।নিজোর অতীত টাকে ভাবতে থাকে ও।
পরদিন সকালে
রুহীকে নিজ হাতে নাস্তা করাচ্ছে রোয়েন।মেয়েটিকে ধমকানো ছাড়া খেতে চায়না।বিরক্ত লাগে রোয়েনের অন্য কেউ হলে গালে চড় বসাতো দুইটা।নাস্তা সেড়ে মায়ের সাথে কথা বলার বায়না ধরলো রুহী।রোয়েন নিজের ফোন থেকে আনিলা বেগমের নম্বরে কল দিয়ে রুহীকে ধরিয়ে দিলো লাউডস্পিকার দিয়ে।মা মেয়ে কথা বলছে আর রোয়েন ল্যাপটপে কাজ করছে।রোয়েনের দিকে এক ঝলক তাকালো রুহী।আমি কি একটু অন্য রুমে গিয়ে কথা বলতে পারি?মানে একটু ব্যাক্তিগত কথা আছে মায়ের সাথে।
হুম রোয়েন আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলো যাওয়ার জন্য।রুহী ফোন নিয়ে পাশের রুমে এলো।লাউডস্পিকার বন্ধ করে দিলো।মা আমি এখানে থাকতে পারবোনা।বলে উঠলো রুহী।রুহী দেখ মা তুই এখানে সেফ থাকবি।বলে উঠালো ন আনিলা বেগম।না মা প্লিজ আমাকে নিয়ে চলো।ওনাকে ভালো লাগেনা আমার।
রুহী তুই পালিয়ে যা।মেট্রো মলটা এখান থেকে কাছে আছে।তুই সেখানে গিয়ে দাঁড়া আমি এসে তোকে নিয়ে যাবো।এক নাগাড়ে কথা গুলো বললেন আনিলা বেগম।
কিন্তু ওনি যদি একা বের হতে না দেয়।আতংকিত হয়ে বলল রুহী।ওনার কাছে গিয়ে ফোন দে।আমি কথা বলি।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
আচ্ছা ঠিক আছে।বলে রোয়েনের কাছে ফোন দিলো রুহী।মা আপনার সাথে কথা বলতে চায়।বলে উঠলো রুহী।রুহীর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে ফোন কানে রাখলো রোয়েন।
আধাঘন্টা পর
রুহী বেরিয়ে এলো রোয়েনের ঘর থেকে।বড় একটি নিশ্বাস টেনে নিলো। যেন আজ মুক্ত ও।রাস্তা হাঁটতে লাগলো রুহী।সামনেই মেট্রো শপিংমল দেখা যাচ্ছে।সে দিকে পা বাড়াতেই একটি গাড়ি এসে থামলো রুহীর পাশে।বিচ্ছু আঁকা গাড়িটিতে।রুহীর বুঝতে দেরি হলোনা।কাল ওকে যারা কিডন্যাপ করিয়ে ছিলো এটা তাদের গাড়ি।ভীষন ভয় পেয়ে যায় রুহী।
খুব সাবধানে হেঁটে গিয়ে রাস্তায় একটা পিলারের পিছনে লুকায় ও।লোকগুলো চলে গেছে কিনা দেখার জন্য মুখবের করতেই রায়ান রুহীকে দেখে নিলো।ভয়ে রুহী অন্য দিকে যেতে নিলে ওর হাত ধরে ফেললো কেউ।প্লিজ ছেড়ে দিন আমাকে প্লিজ চিৎকার করতে থাকে রুহী।ঠিক তখনই ওকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের দিকে তাকাতেই ওর মুখ শুকিয়ে গেলো।রোয়েন রাগে ফুঁসছে।চোখজোড়া রক্তবর্ন হয়ে আছে ওর।
রুহীকে গাড়িতে বসিয়ে দরজা লক করলো রোয়েন।
তারপর রুহীর চোখের সামনে ওদের সবাইকে মেরে দিলো রোয়েন।এতো রক্তের বন্যা দেখে রুহী ভীষন ভয় পেয়ে গেলো।রোয়েন এসে রুহীর পাশে ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলো। রুহী ভয়ে রোয়েনের দিকে তাকাতে পারছেনা।
ঘরের সামনে গাড়ি থামালো রোয়েন।রুহীর হাত টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিলো। রুহীর সাথে কোন কথা বলেনি রোয়েন সারা রাস্তায়। রুহীর হাত জোরে ধরে টানতে টানতে রুমে এনে ওকে দাঁড় করায় রোয়েন।রুহী তাকাতে পারছেনা রোয়েনের দিকে।মাথা নিচু করে কিছু বলতে যাবে তখনই রোয়েন খুব জোরে থাপড় লাগায় রুহীর গালে।
গাল ধরে রোয়েনের দিকে তাকায় রুহী।রোয়েন রাগী চোখে ওর দিকে চেয়ে আছে।রুহীর চোখ জোড়া ভিজে আসে।তারপর ও নিজেকে সামলে নিলো রুহী।এবার মুখ খুলল ও।আপনি একটা খুনি।এতো গুলো লোককে আমার সামনে খুন করলেন কেন?চিৎকার করে বলল রুহী।
No more a single word চিৎকার করে বলল রোয়েন।নাহলে আমি তোমাকে এখন কি করবো আমি নিজে ও জানিনা।রুহীকে খাটে ধাক্কা মেরে বসিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে রোয়েন দরজা লক করে বাহিরে চলে যায় রোয়েন। রুহী কাঁদতে কাঁদতে দরজায় নক করতে থাকে কিন্তু কেউ দরজা খুলল না।কাঁদতে কাঁদতে একসময় বেহুশ হয়ে যায় রুহী।
কাজ সেরে ঘরে ফিরে আসে রোয়েন।রুহীর রুমের দরজা খুলে দেখে সেন্সলেস অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে রুহী।রোয়েন কোলে তুলে নিয়ে খাটে শুইয়ে দিলো রুহীকে।জগের পানি রুহীর মুখে ছিটাতে লাগলো রোয়েন।রুহী একটু নড়ে উঠলো।চোখ জোড়া যেন খুলতে চাইছেনা।রোয়েন রুহীর হাতে গালে কপালে থুতনি তে ঠোঁট বুলিয়ে রুহীর ঠোঁটের কাছে এলো।রুহী পিটপিট করে তাকিয়ে আছে।
রোয়েনের ঠোঁট জোড়া রুহীর ঠোঁটের সাথে ছুঁইছুঁই।রোয়েনের গরম নিশ্বাস রুহীর ঠোঁটে বাড়ি খাচ্ছে।রুহী একটু মাথা উঠাতেই রোয়েন উঠে দাঁড়িয়ে গেলো।
চলবে