Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 32

দরজায় নকের শব্দে ঘোর কাঁটলো প্রেমে মগ্ন থাকা দুই নর নারীর।দুজন দুজনায় মেতে ছিলো একে অপরের ঘ্রানে ডুবে ছিলো।ঠিক তখনই দরজায় নক পড়ায় ঘোর কাঁটলো রোয়েন আর রুহীর।রুহীর ওপর থেকে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলো ও।রুহী ও ততক্ষনে উঠে বসেছে।রুপন্তী দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনে।রুহীকে রুমে দেখে খানিকটা লজ্জা পেয়ে বলল সরি জিজু।ইটস ওকে রুপন্তী।ভিতরে আসো।বলে উঠলো রোয়েন।
থ্যাংকস।রুপন্তী রুমে ঢুকে চেয়ার টেনে রোয়েনের সামনে বসলো।
কি করে বলি?জিজু আসলে কিভাবে ধন্যবাদ দিবো বুঝতে পারছিনা।আপনি আমেজিং।কিভাবে সব সমাধান করে দিলেন।হেসে বলল রুপন্তী।
থ্যংকস বলতে হবেনা। জিজু হিসেবে তো (রুহীর দিকে তাকিয়ে) এতটুৃুকু করতেই পারি।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী খানিকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে মুচকি হাসলো।
রুহীর হাসিটা মন প্রান কেড়ে নেয়ার মতো।যখনই চোখে পড়ে ইচ্ছে হয় সারাক্ষন বসে দেখি সেই মনভোলানো হাসি।রুহীকে দেখে ভাবতে থাকে রোয়েন।
রোয়েনের রুহীর দিকে তাকানো দেখে উঠে দাঁড়ালো রুপন্তী।আমি আসি তাহলে।তোমরা নিচে এসো লাঞ্চ করতে।কথাটা বলে আর অপেক্ষা না করে নিচে চলে গেলো রুপন্তী।
দুপুরে লাঞ্চ সেড়ে রুহী আর রুপন্তী সমুদ্র দেখবে বলে জেদ করে বসলো।
প্রিয় মানুষ গুলোর আবদার পূরন করতেই রোয়েন আর রেহান রুপন্তী আর রুহীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো Simmeringer Bad নামক সি বীচটিতে।এটাই সবচেয়ে কাছের বীচ রেহানের বাসা থেকে।এক্সট্রা জামা ও নিয়ে নিলো ওরা।সি বীচে পৌছে রুহী আর রুপন্তী দৌড়ে পানিতে নেমে গেলো।রেহান নেমে পিছনে তাকিয়ে দেখলো রোয়েন দাঁড়িয়ে আছে।ভাইয়া নামেন!!!বলে উঠলো রেহান।
মাথা নেড়ে হালকা হাসলো রোয়েন।রুহী রোয়েনকে দেখে ভ্রু কুঁচকালো।এমন কেন?একটু নামলে কি হয়?রুপন্তী বেশ আনন্দে আছে।রেহানের দিকে পানি ছিটাতেই রেহান ও রুপন্তীর দিকে পানি ছিটাতে লাগলো।রুহী উঠে চলে এলো।এমনটা আশা করেনি ও।রোয়েনের ওপর রাগ লাগছে।নামলে কি হতো?ভাবছে রুহী।
কি হলো চলে এলে যে?রুহীর কাছে এসে তোয়ালে বাড়িয়ে বলল রোয়েন।তোয়ালে দিয়ে নিজের শরীর ঢেকে নিলো রুহী।এমনিতেই,ভালো লাগছেনা।বলেই ড্রেসিংরুম এর দিকে পা বাড়ালো রুহী।রোয়েন সেখানেই দাঁড়িয়ে রুহীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।
কিছুক্ষন পর রুহী হলুদ আর কালো কম্বিনেশনের একটা স্লিভলেস ফ্রক পরে বেরিয়ে এলো।
রোয়েন রুহীর কোমড়ে হাত রাখতেই খানিকটা সরে দাঁড়ালো রুহী।
বেশ অবাক হলো রোয়েন।রুহী এমন করছে কেন?যে রুহী সবসময় রোয়েনের আশেপাশে থাকতে চায়,ভালোবাসা মাখা ছোঁয়া গুলো পেতে চায় সে রুহী আজ দূরে যাচ্ছে কেন রোয়েন থেকে বুঝতে পারছেনা রোয়েন।রুহী কি হয়েছে তোমার?এমন করছো কেন?দাঁতে দাঁত চেপে ফিসফিসিয়ে বলল রোয়েন।
এসব ভালো লাগছেনা আমার।রোয়েনের দিকে তাকিয়ে রাগী গলায় ফিসফিস করে বলল রুহী।রোয়েন থেকে সরে আসতেই রুহীর কোমড় জড়িয়ে কাছে টেনে নিলো রোয়েন।যদি পানিতে নামতাম তাহলে আজ তোমায় ভেজা শরীরে দেখার সুযোগটা হারিয়ে ফেলতাম।বলেই রুহীর গালে ঠোঁট ছোঁয়ালো রোয়েন।You are drugs to me.I wanna love you every morning, Every night Every day,Every moments of my life.নেশা ধরানো কণ্ঠে কথা গুলো বলে রুহীর গলায় ঠোঁট ছোঁয়ালো রোয়েন।শরীর শিরশিরিয়ে উঠতেই রুহী দূরে যাওয়ার চেষ্টা করতেই রোয়েন ওর হাতের কবজি চেঁপে ধরলো।I Dont like disturbance in romance you know.ফিসফিসিয়ে কথাটি বলে রুহীর ডান কাঁধে চুমু খেলো।রেহান আর রুপন্তীকে ওদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে রোয়েন সরে এলে ও রুহীর হাত ছাড়েনি।রেহান আর রুপন্তী ড্রেস পাল্টে এলো।তারপর সবাই মিলে ছবি তুলল।কাপল ছবিই বেশি তুলেছে ওরা।ডাব ও খেলো চারজনে। রোয়েন আর রুহী অবশ্য একটা ডাব দুজনে মিলেই খেলো।রেহান আর রুপন্তী মিটিমিটি হেসেছে ওদের দেখে তবে কিছু বললনা।
চারদিন পর সবাই ফিরে এলো বাংলাদেশে তবে প্ল্যান হলো দুদিন রোয়েনের ঘরে থাকবে ওরা।ঘরে ফিরে সবাই যার যার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লো।রুহী ঘুমিয়েই পড়েছিলো হঠাৎ খাট নড়ে উঠায় চোখ খুলে তাকায় রুহী।রোয়েন খালি গায়ে ওর পাশে এসে শুয়ে পড়লো।এভাবে এখানে এলে যে?কিছুটা লজ্জামাখা মুখে প্রশ্ন করলো রুহী।
তো কি হয়েছে?আসতে পারিনা?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
আরে না তা কেন হবে?আসবা বাট এভাবে রোয়েনের বুকের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিয়ে বলল রুহী।রোয়েন চুপচাপ রুহীকে জড়িয়ে নিলো।লোভ হচ্ছে বুঝি?বাঁকা হেসে প্রশ্ন করলো রোয়েন।
যাহ কি যে বলোনা।রোয়েনের মাথা রেখে শুয়ে পড়ে রুহী।বেশ কিছুক্ষন পর ঘুম ভাঙ্গে রুহীর পায়ে নরম ঠোঁট জোড়ার স্পর্শ লাগায়।চোখ খুলে তাকাতেই আঁৎকে উঠে রুহী।
আরে কি করছো?(রুহী)
রোয়েন রুহীর পায়ে ঠোঁট বুলাচ্ছে।প্লিজ পায়ে মুখ লাগাবেনা।রোয়েনের হাত টেনে ধরলো রুহী।
রোয়েন উপরে এসে রুহী কপালে ঠোঁট ঠেঁকালো।তোমায় পাওয়ার নেশা যে দিনে দিনে বেড়ে চলছে।আর যে নিজেকে আটকাতে পারছিনা।তোমার ঘ্রানে মাতাল হয়ে যাই প্রত্যেক বার।কি আছে তোমার মাঝে বলোনা।চোখ বুজে বলছিলো রোয়েন।রুহী মাথা উঁচু করে রোয়েনের ঠোঁটে চুমু দেয়।রোয়েন চোখ খুলে রুহীর গলায় আলতো করে দুতিনবার চুমু দিয়ে সরে গেলো।
বিকেলে সবাই মিলে ঘুরতে গেলো।
বেশ মজাই হয়েছে ওদের।রাতে রেস্টুরেন্টে ডিনার সেড়ে ঘরে ফিরে এলো ওরা।বারান্দায় চাদর বিছিয়ে বসে আছে ওরা গরম গরম কফি নিয়ে।
ভাইয়া লাভ স্টোরি বলেন আপনাদের।আচমকা বলে উঠলো রেহান।
রুহী রেহানের কথায় লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করলো।
রুপন্তী বলল জিজু বলেননা।
Love at first sight ছিলো আমার।বলে উঠলো রোয়েন।ওকে প্রথম দেখার পর হারিয়ে গেছিলাম ওর মায়াবী চেহারায়।তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মায়াবতীকে নিজের করবো।বলল রোয়েন।
মায়াবতী!!!!!রেহান রুপন্তী বলল।
হুম রোয়েনের মায়াবতী।মায়াজালে ফেঁসে গেছি রুহীর।
কিরে তুই কি কালো জাদু করিস রুহী।রুহীকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলল রেহান।
যাহ কি বলিস এসব ভাইয়া?মুচকি হেসে বলল রুহী।রুহীকে ঘরে নিয়ে আসা,ওদের কাঁটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত, কুয়াকাটায় যাওয়ার কাহিনী,রুহীর ফিরে আসা পর্যন্ত সব বলল রোয়েন ওদের কাছে।রুপন্তী কেঁদে দিয়েছে কারন ও স্বচক্ষে রোয়েন রুহীর কষ্ট গুলো দেখেছিলো।সেগুলো যেন ওর হৃদয়ে সতেজ হয়ে উঠলো আবার।
ইন্টারেস্টিং ভাইয়া।এতো ইমোশনাল সুইট আপনাদের স্টোরিটা,সিরিয়াসলি আ’ম এ্যামেজড।বলে উঠলো রেহান।
রেহান মাথা নিচু করে হাসলো।
অবশ্য আপনার হাসি, বডি স্ট্রাকচার,লুকিং স্টাইল দেখলে যে কোন মেয়ে প্রেমে পড়তে বাধ্য। তার থেকে বড় কথা আপনার মন।
শক্ত একটা হৃদয়ের পিছে এতো কোমল একটা হৃদয় আছে সেটা আই সয়ার আপনার সাথে মিশা ছাড়া আপনার ভিতরটাকে জানা ছাড়া কেউ বুঝবেনা।একনাগাড়ে বলল রেহান।
এনাফ রেহান।এতোটাও ভালো আমি না।তোমাদের হৃদয়টাই এতো সুন্দর যে খুব খারাপ একটা লোককে এতো ভালো বলছো।
রেহান মাথা নিচু করে কফি মগে চুমুক দিলো।রোয়েনের পাশে বসে ছিলো রুহী। সুযোগ পেয়ে রোয়েনের পাঁচ আঙ্গুলের ভাজে নিজের আঙ্গুল গুলো ঢুকিয়ে শক্ত করে রোয়েনের হাত ধরে রাখলো।
বিয়ে করছেন কবে?জিজ্ঞেস করে উঠলো রেহান।
বিয়ে!!!!রোয়েন রুহী একে অপরের দিকে তাকালো।
চলবে