Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 10

রোয়েন খুঁজতে থাকে। কে গোপনে স্করপিয়নদের রুহীর সম্বন্ধে সব তথ্য দিচ্ছে।রুহী ইদানীং রোয়েনকে খুব বেশি পর্যবেক্ষন করছে।কেন জানি তাকে গবেষনা করতে ভালো লাগে।প্রত্যেকটা কাজেই আছে তার মনমাতানো স্টাইল।দাঁড়ানোর স্টাইল,কথা বলার স্টাইল কথার মাঝে ঠোঁটের কোনায় মন হরন করা হাসি,সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে পাঁচ আঙ্গুল দিয়ে সামনের চুল গুলোকে পিছনে নিয়ে যাওয়া।যখন খুব রেগে থাকে তখনো কেন যেন ওনাকে দেখতে অন্যরকম ভালো লাগে আবার যখন রোম্যান্স করতে আসে তখন তার চোখে আলাদা এক নেশা খুঁজে পায় রুহী।চোখ জোড়ায় প্রেম খুঁজে পায় রুহী।যেখানে ডুব দিলে নিজেকে হারিয়ে ফেলবে ও। অবশ্য সে ভালো লাগাটা রুহীর মাঝেই কাজ করে।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে পাশে তাকায় রুহী।ল্যাপটপে মগ্ন রোয়েন।তার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব চিন্তিত কোন বিষয়ে।ইদানীং খুব বেশি চিন্তিত লাগছে লোকটাকে।কি হয়েছে তার?বুঝতে পারছেনা রুহীর।জিজ্ঞেস করবে কিন্তু কিভাবে।ইদানীং কথাও কম বলছে সে।না চাইতেই খারাপ লাগছে রুহীর।ও আশা করেনি এমনটা।ভাবতেই বুকটা খাঁখাঁ করে উঠে রুহীর।নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে রোয়েনের কাছে আসছিলো রুহী।
ওখানেই থেমে যাও।কোন কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছেনা।সময় হলে সব জানবে।কথা গুলো বলে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।
না চাইতে ও খুব খারাপ লাগে বিষয়টা রুহীর।লোকটাকি ওকে ইগনোর করলো?কিন্তু কেন? লোকটা না ওকে ভালোবাসে?রুহীর দুচোখের কোনা জলে ভরে উঠেছে।খুব রাত করে ঘরে ফিরে রোয়েন।আজকের ড্রিংকটা একটু বেশিই হয়ে গেছে।কোনমতে টলতে টলতে সিড়ি বেয়ে রুমে এসে খাটের ওপর নিজেকে ছেড়ে দিলো রোয়েন।চোখ জোড়া বুজে এলো ক্লান্তির আবেশে।সারাদিন নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি রুহী।লোকটা এভাবে কোথায় চলে গেলো না বলে।হঠাৎ কোন শব্দ পেয়ে রোয়েনের রুমে চলে আসে রুহী।উপুড় হয়ে শুয়ে আছে রোয়েন।পায়ের জুতাও খোলেনি।রুহী খুব ধীরে রোয়েনের কাছে এগিয়ে এসে জুতো জোড়া খুলে দিলো।খাটের ওপর উঠে বসে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে রুহী।লোকটাকে যতোটা হিংস্র অমানবিক মনে হয় অতোটা সে নয়।এতো মায়াবী মুখ যেন ছোট্ট একটি বাবু ঘুমিয়ে আছে।নিজেকে সামলাতে না পেরে রোয়েনের গালে চুমো খেলো রুহী।
হঠাৎ রোয়েন নড়ে উঠায় কিছুটা চমকে উঠে সরে গেলো রুহী।
তারপর ধীর পায়ে নিজের রুমে চলে এলো।
পরদিন দুপুর একটায় রুপন্তীর স্কুলের সামনে গাড়ি নিয়ে বসে আছে রোয়েন।রুপন্তী গাড়ি থেকে বের হতেই রোয়েন রুপন্তীর সামনে এসে দাঁড়ালো।তোমাকে আমার সাথে যেতে হবে।ভাইয়া আপনি?কিছুটা অবাক হয় রুপন্তী।খুব ইম্পরট্যান্ট কথা আছে তোমার সাথে।গম্ভীর গলায় বলে উঠলো রোয়েন।রুপন্তী রোয়েনের সাথে গাড়িতে উঠে বসলো।
রুপন্তী তোমার ফোনটা দাও না।একটা মেসেজ করতাম।আমার সেলে চার্জ নেই।কথাটা বলে রুপন্তীর দিকে তাকালো রোয়েন।মেয়েটার চেহারায় অজানায় আতঙ্ক খুঁজে পেলো রোয়েন।দিবেনা?প্রশ্ন করে উঠে রোয়েন।
জ জিজ ধরুন।রোয়েনের দিকে কাঁপা হাতে ফোনটা ধরিয়ে দিলো রুপন্তী।
থ্যাংকস।ফোন টা হাতে নিয়ে ট্রেস করা নম্বরের সাথে মিলাতে থাকে রোয়েন।যে নম্বরটি দিয়ে স্করপিয়নদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করা হতো সেই নম্বরটির সাথে রুপন্তীর নম্বর মিলে গেলো।বুকটা ধক করে উঠে রোয়েনের।কিন্তু রুপন্তী যথেষ্ট বাচ্চা একটি মেয়ে।ও এমন কাজ করবেনা।একটা রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়ি থামালো রোয়েন।রুপন্তীকে নিয়ে একটা টেবিলে এসে বসলো রোয়েন।কি খাবে রুপন্তী।কিছুনা ভাইয়া।কথাটি বলে আশেপাশে চোখ ঘুরাতে থাকে রুপন্তী।
ভয় পেওনা।রুপন্তী কেউ আসবেনা এখানে।বলে উঠে রোয়েন।
রুপন্তী অবাক চোখ রোয়েনের দিকে তাকায়।রোয়েন রুপন্তীর পছন্দের আইসক্রীম অর্ডার দিলো।রুপন্তী আইসক্রীম খাচ্ছে।
রোয়েন কিছু সময় রুপন্তীর দিকে তাকিয়ে মুখ খুলে রোয়েন।তোমার বোনের লাইফ রিস্কে চলে গেছে জাস্ট ফর ইউর ফোন নম্বর।এই নম্বরটি দিয়ে কেউ গোপনে স্করপিয়নদের সাথে যোগাযোগ করে রুহীর অবস্থান সম্পর্কে জানান দিচ্ছে।
রুপন্তী কিছুটা কেঁপে উঠলো।ওর সারা মুখ জুড়ে একরাশ আতঙ্ক ভর করলো।
রুপন্তী আমি জানি তুমি করছোনা।কিন্তু তোমার এই নম্বরটা ইউজ করে কেউ তোমার বোনের ক্ষতি করতে চাইছে।ওকে বিক্রী করতে নেয়া হয়েছিলো।আমার কাছে আসার পর অনেক এটাক হয়েছে ওর ওপর।এমনকি কুয়াকাটায় ও আমাদের ছাড়েনি।রুপন্তী জানো কে করছে এসব?বলো রুপন্তী বলো।তোমার বোনের জন্য বলো।রুহীর সেফ্টির জন্য বলো।প্লিজ রুপন্তী প্লিজ। রুপন্তী আচমকা কেঁদে উঠলো।মা!!!মা করছে এসব।বড় জেঠুকে মা হেল্প করছে এই কাজে।কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো রুপন্তী।
রোয়েন যেন চরম ঝটকা খেল।ক কি বলছো?তোমার মা এসব করছে?রুপন্তী কিছুই বলছেনা। খুব কাঁদছে মেয়েটা।ঐদিন যখন আপনাকে বলতে নিয়েছিলাম কথা গুলো।সেদিন মা আমাকে ঘরে নিয়ে খুব মেরেছে।খুব ভয় দেখিয়েছে।যদি সব কিছু বলে দেই তাহলে আমাকে আর আপুকে মেরে ফেলবে।রোয়েন যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছেনা।একটা মা কি করে এমন হয়?চোখজোড়া ভরে আসে রোয়েনের।রুপন্তী অনবরত কেঁদেই যাচ্ছে।
শুনো রুপন্তী।বাসায় গিয়ে নরমাল থেকো যেন কিছুই হয়নি।বলে উঠলো রোয়েন।মাথা ঝাঁকালো রুপন্তী।
রুপন্তীকে ঘরে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে রোয়েন।তখনই কাজের লোক রোয়েনের পথ আটকালো।
কি হলো পথ আটকালে কেন?ধমকে উঠলো রোয়েন।স্যার কে জানি একটা লাশ রেখে গেছিলো বাসার সামনে।ম্যাম লাশডারে দেইখা ভাবছে আপনি মারছেন।পুরো ঘর ভাঙচুর করতেছে ম্যাম।হোয়াট?আমাকে কল দিলেনা কেন?চিৎকার করে বলল রোয়েন।রুহীর রুমের সামনে আসতেই চোখ কপালে উঠলো রোয়েনের।সবকিছু ভাঙ্গচুর করছে রুহী।রোয়েন দ্রুহ
ত গিয়ে রুহীর হাত ধরে ফেললো।আর ইউ ম্যাড কি করছো এসব?ধমকে উঠলো রোয়েন।
রুহী রোয়েনের বুকে এলোপাথাড়ি মারতে লাগলো।আপনি একটা খুনি জানোয়ার।মানুষ না আপনি কোন।কিভাবে একজনকে এভাবে মারতে পারলেন।রুহী অনর্গল কথা গুলো বলছিলো আর কাঁদছিলো।রোয়েন ওকে সামলাতে পারছিলো না। তাই খুব জোরে চড় বসিয়ে দিলো রুহীর গালে।ঠেলে খাটে বসিয়ে দিলো রুহীকে রোয়েন।সিট ডাউন।আর একটা শব্দ ও সহ্য করবোনা আমি।চিৎকার করে কথা গুলো বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রোয়েন রুহীর লাঞ্চ আনতে।
খাবার বেড়ে রুহীর রুমের সামনে আসতেই হার্টবিট যেন মুহূর্তের মাঝে কাজ করা ছেড়ে দিলো রোয়েনের।এ কি দেখছে ও?আদৌ কি এ সম্ভব?নাকি ও স্বপ্ন দেখছে।স্বপ্ন ও এতো ভয়ানক হয় জানা ছিলোনা রোয়েনের।
চলবে