Love Right

Love Right ! Part- 13

সৌভাগ্যবশত পাওয়ার অন করার পর অফিসের ইলেকট্রিক লাইনে কোন মেজর প্রবলেম হয় নি।সবাই নিশ্চিন্ত হলেও নিশুকে নিয়ে নীল চিন্তায় পড়ে গেছে।
ও রুমে ঢুকেই নিশুকে সোফার ওপর শুইয়ে দিলো।সবাইকে ওর পেছন পেছিন রুমে ঢুকতে দেখে ও ইশারায় সবাইকে বেরিয়ে যেতে বললো।সবাই বেরিয়ে যেতেই ও নিশুর গা থেকে ওড়ানাটা খুলে দিয়ে ফ্যানটা চালু করে দিলো।তারপর এক এক করে রুমের দরজা জানালা সব খুলে দিলো।মাথার ওপর ফ্যান ঘুরছে,রুমে এসি অন করা তাও নিশু ঘামে ভিজে গেছে।
নীল দরজা জানালা সব খুলে দিয়ে নিশুর কাছে গিয়ে বসলো।একটু কিছু হলেই ভয় পেয়ে যায় কিন্তু এমন ভাব ধরবে যেন কোন কিছুর পরোয়াই করে না।নীল আস্তে করে দুয়েকবার ওকে ডাক দিলো…নিশু?নিশু?কোন সাড়া না পেয়ে ও পাশে রাখা পানির জগ থেকে সামান্য একটু পানি নিয়ে নিশুর চোখে মুখে হালকা পানির ছিটা দিলো।কিন্তু তাতে কোন লাভ হলো না।নীল কি করবে বুঝতে পারছে না।অফিসের প্রথম দিনেই নিশুর ওপর এতবড় ঝড় গেলো।ও ফোনটা হাতে নিয়ে অফিসের মেডিকেল সেন্টারে ফোন করে ডাক্তারকে আসতে বললো।

লারা এসে একবার তাড়া দিয়ে গেলো যে ক্লায়েন্টরা সবাই অপেক্ষা করছে ওর জন্য।কিন্তু নীল মিটিং ক্যান্সেল করে দিলো।লারা মোটামুটি আন্দাজ করে নিয়েছে নীল আর নিশুর মাঝে নিশ্চই অন্য কোন রিলেশন আছে নইলে নীলই বা ওকে নিয়ে এত ব্যস্ত হবে কেন?লারা বেরিয়ে গেলে ডাক্তার এসে ঢুকলো।
একটুপরই নিশুর জ্ঞান ফিরেছে।পাশে তাকাতেই দেখলো নীল ওর পাশে বসে আছে।তার পাশে ডাক্তার।
নীল:কেমন লাগছে এখন?
নিশু:ভালো না।মাথাটা ঘুরছে।
ডাক্তার:সাময়িক উত্তেজনা থেকে হয়েছে।
নীল:হুম!..ওর Claustrophobia আছে!
ডাক্তার:হুম!…আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম।যাই হোক আপাতত উনি সুস্থ!
নিশু ভাবছে নীল জানলো কেমন করে যে ওর Claustrophobia আছে??

ডাক্তার চলে গেলে নীল এসে নিশুর সামনে এসে দাঁড়ালো।
নীল:তোমাকে কি বাসায় পৌঁছে দিতে হবে নাকি আয়াত আসবে?
নিশু:মানে?
নীল ওর ডানহাতটা কপালে চেপে ধরে বললো…উফফফ!
নিশু:কি হলো?
নীল:কিছু না।
দুজনের মাঝেই জড়তা কাজ করছে।কেউ কারো সাথে কথা বলছে না।নিশু কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো…আমার যে ক্লসট্রোফবিয়া আছে তুমি জানলে কি করে?
নীল:ইশু বলেছিলো।
নিশু:ওহহ!
নীল:আমি কিন্তু তোমাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম?
নিশু:??
নীল:তোমার এখন রেস্ট নেওয়া প্রয়োজন।তাই বাসায় যাওয়াটাই বেটার হবে।…..তো তুমি নিশ্চই একা যাবে না।
নিশু:আমি কোথাও যাচ্ছি না!
নীল:মানে?
নিশু:তোমার সাথে আমার কথা আছে।
নীল একটা বিদ্রুপের হাসি দিয়ে বললো…তাই নাকি?
নিশু:হ্যাঁ!…এবং তোমাকে সেগুলো শুনতে হবে।(জোর গলায়)
নীল:কিসের অধিকারে আমার ওপর এত জোর করছো বলতো?
নিশু:Because it’s #Love_Right❤💕❤
নীল এবার অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।
নীল:কেন শুধু শুধু আমার ইমোশন নিয়ে খেলো নিশু?
নিশু:তারমানে তো এই যে তুমি এখনো আমাকে ভালোবাসো?
নীল:কেন আয়াতের ভালোবাসায় হচ্ছে না?
নিশু:দেখো তুমি না জেনে…..
নীল:তুমি নিজেই তো বলেছিলে?
নিশু:মিথ্যে কথা বলেছিলাম।
নীল:Will you just shut up your mouth?(জোরে ধমক দিয়ে)
নিশু দ্বিগুণ জোরে চিৎকার দিয়ে বললো…না রাখবো …না জেনে আমার ওপর মেজাজ দেখাবে না বলে দিলাম!
নীল অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে😮।সত্যি বলতে নিশুর এমন চিৎকারে ও সত্যিই ভয় পেয়েছে।
নীল:তুমি কি আমাকে ধমকাচ্ছো নাকি?
নিশু:(উফফফ!…নিশু কুল বেবি!…কুল)….ইচ্ছে তো করছে ধমকাই…কিন্তু তুমি তো জানো তোমার চেহারাটা কত কিউট?…কি করে ধমকাই বলতো?
নীলের মেজাজ ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে।ও অনেক কষ্টে মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে।
নীল:দেখো এটা অফিস।….আমার একমাত্র ভালোবাসার জায়গা!…আমি চাইনা তোমার কারনে আমার কাজের কোন ক্ষতি হোক।….তুমি আমার সময় নষ্ট করছো।
নিশু এবার নীলকে নকল করে শুরু করলো…দেখো তুমি আমার ভালোবাসার জায়গা…আমি চাইনা কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারনে আমার ভালোবাসাটা দূরে সরে যাক…..সো তোমাকে আমার কথা শুনতে হবে!
নীল দাঁতেদাতঁ চেপে বললো…তুমি অসুস্থ না হলে এই মুহূর্তে আমি তোমাকে বুঝিতে দিতাম নীলাস হাসান কি জিনিস!…আর কিসের ভুলের কথা বলছো তুমি?…তোমার কোন কথাটা বিশ্বাস করবো সেদিনের টা নাকি আজকের।আগামীকাল যে আবার আজকের কথাটা ভুল বলবে না সেটার কি গ্যারান্টি?….সো প্লিজ!…আমাকে আমার মত থাকতে দাও!…তোমার পার্সনাল লাইফ নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই।
নিশু:কিন্তু আমার আছে।কারন তোমাকে বাদ দিয়ে আমার কোন পার্সনাল কিছু থাকতে পারে না।
নীল:দোহাই তোমার এসব বন্ধ করো।আমি আর নিতে পারছি না।
নিশু:(কতদিন তুমি সত্যিটা থেকে দূরে থাকবে?…আজ কিংবা কাল তোমাকে আমি সবই বললো!)ঠিক আছে বাদ দিলাম!

নীল নিশুর পাশ থেকে উঠে গিয়ে ওর চেয়ারে বসে ফাইলে মনোযোগ দিলো।নীলকে ফাইল নিয়ে বসতে দেখে নিশু বিরক্ত হয়ে বললো…আমি কি করবো?
নীল:কি করতে চাও??
নিশু মুচকি একটা হাসি দিয়ে বললো..তোমাকে ভালবাসতে!যদিও সেটা আমি সবসময়ই বাসি।
নীল:বাজে কথা বলবে না!….আমার হাতের কাজটা শেষ করেই তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেবো।
নিশু একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বললো..সাথে আমার বাসার ঠিকানাটাও যেনে আসবে তাই তো??….বুঝি! বুঝি! আমি সবই বুঝি!
নীল:😐
নিশু অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বললো..সত্যি বললে সবারই গায়ে লাগে।
নীল:উফফফ!
নীল বিরক্ত হয়ে ফাইলটা রেখে দিলো।
নিশু:কি হলো কাজ শেষ?
নীল:না….করবো না আমি কোন কাজ!…তোমার কোন সমস্যা?
নিশু:কেন আমার পারমিশন নিয়ে করবে নাকি??
নীল ঠোঁট চেপে দাঁড়িয়ে আছে।নিশু বেশ মজা পাচ্ছে ওকে রাগিয়ে।বেচারা না পারছে সইতে পা পারছে কিছু করতে।
নিশু:কি হলো?
নীল একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে শুরু করলো…তোমার কি মনে হয় না নিশু তুমি অনেক বেশি বেশি করছো?
নিশু বাচ্চাদের মত মাথা নাড়িয়ে বললো..মোটেও না।….তুমি আমাকে যে পরিমান ভালোবাসো তাতে তো মনে হচ্ছে আমার আরো বেশি কিছু করার অধিকার আছে।
নীল:বারবার এক কথা বলো কেন?…কে তোমাকে বলেছে আমি তোমাকে ভালোবাসি??
নিশু অবাক হওয়ার ভান করে বললো..কেন তুমিই তো বলেছো!
নীল:আমার মাথা গরম করাবে না নিশু।….অনেক্ষন ধরে তোমার এসব অত্যাচার সহ্য করছি!
নিশু:কেন করছো বলতো?
নীল থতমত খেয়ে গেলো নিশুর এমন প্রশ্নে!…ও আমতা আমতা করে বললো….কারন আমি কারো মত নিষ্ঠুর নই!
নিশু এবার একটা মুচকি হাসি দিল।যাক লাইনে আসছে তাহলে।

নীল ফাইল দিয়ে মুখ ঢেকে হেলান দিয়ে চেয়ারে বসে আছে।নিশু এখনো সোফায় বসে বকবক করছে।কি বলছে তা নীলের কানে যাচ্ছে না।সম্ভবত নীলকে বকছে।
নীল:আর কতক্ষণ লাগবে তোমার শেষ হতে?
নিশু:কেন জান?
নীল:😐
নিশু সুর করে শুরু করলো….এভাবে আর ডেকো না বাঁকা চোখে চেয়ো না,মান অভিমান ভুলে আমায় কাছে ডাকো না।
ও গাইছে না চিল্লাচ্ছে না নীলের মাথায় ঢুকছে না।এই মেয়ে একদিনেই ওর মান সম্মান সব শেষ করে দেবে।
নীল চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়ে নিশুকে সোফা থেকে টেনে তুললো।
নীল:উঠো বলছি….উঠো!(ধমক দিয়ে)
নিশু:(উঠতে যখন বলছো তখন তোমার কোলেই উঠবো)….আমার মাথা ঘুরছে নীল!…আমি দাঁড়াতে পারছি না।
নীল:একদম নাটক করবে না বলে দিলাম!…এতক্ষন ধরে তোমার অনেক নাটক সহ্য করেছি।
নিশু:😐
নীল:কি হলো?….চলো?
নিশু বাধ্য হয়ে হাঁটা শুরু করলো।
অনেক্ষনপর ওদের দুজনকে বেরোতে দেখে স্টাফরা সব দাঁড়িয়ে গেলো।
নিশু সবাইকে উদ্দেশ্য করে শুরু করলো…আমাকে দেখে দাঁড়ানোর কিছু নেই!
সবাই:😮
নীল ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসিফিসিয়ে বললো…😐ব্যালেন্সের সাথে সাথে কি মাথাটাও গেছে নাকি?…ওরা তোমাকে নয় আমাকে দেখে দাঁড়িয়েছে।
নিশু:(ছি!ছি!ছিহ নিশু নিজেকে আর কত ট্রল বানাবি মানুষের সামনে)
নীল:কি হলো চলো?
নিশু:হুম।

নীল ওকে গাড়িতে বসিয়ে সীটবেল্ট বেধে দিলো।নিশু চুপ করে হেলান দিয়ে আছে।নীল কয়েকবার আড়চোখে ওকে দেখে নিলো।মুখে যাই বলুক নিশুর নিরবতা ওর ভালো লাগছে না।এই মেয়েটা ওকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে।এত কিছুর পরও ওর মন শুধু ওকেই চায়।
নীল:তোমার কি খারাপ লাগছে?
নিশু:হুম!
নীল:পানি খাবে?
নিশু:না।

কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে শেষে আমতা আমতা করে নিশুকে বললো….তোমার বেশি খারাপ লাগলে তুমি আমার কাধে মাথা রাখতে পারো।
নিশু:সেটার জন্য আমি তোমার অনুমতির প্রয়োজন মনে করি না।
নীল:(😐এখনো তেজ দেখায়!..অসভ্য মেয়ে)
নিশু:কিন্তু আমি এখনো তোমার কাধে মাথা রাখবো।
নীল:(ড্রামাকুইন একটা!)

নীল গাড়ি চালাচ্ছে নিশু ওর কাধে মাথা রেখে হেলান দিয়ে আছে।
নীল:আমার মনে হচ্ছে তুমি উঠে বসলেই ভালো হবে।এভাবে বাঁকা হয়ে বসলে ঘাড় ব্যথা করবে তো?
নিশুকে নড়তে চড়তে না দেখে নীল আবার বললো…কি হলো?
নিশু ওর কাধ থেকে মাথাটা উঠিয়ে ওর দিকে তাকালো।চোখে মুখে কি নিস্পাপ সারল্য।
নীল:কি দেখছো?
নিশু মাথা নাড়িয়ে বললো…উহুঁ!
নীল:কি?
নিশু:ভাবছি!
নীল:কি ভাবছো?
নিশু:তোমাকে কিভাবে আবার বশে আনা যায়!
নীল:(দিলো তো আমার মেজাজ টা খারাপ করে)…এসে গেছি।….নামো!

নিশুকে নামিয়ে দিয়েই ও আবার গাড়ির দিকে হাঁটা ধরলো।
নিশু:নীল??
নীল:?
নিশু:না কিছু না।
নীল চলে গেলেই নিশু বাসায় ঢুকে লম্বা একটা শাওয়ার নিলো।শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েই আয়াতের নাম্বারে ডায়াল করলো।সাথেই সাথেই আয়াত রিসিভ করলো।
আয়াত:হ্যাঁ নিশু বলো কি খবর?
নিশু আজকের সব ঘটনা ওকে খুলে বললো।সব শুনে আয়াত বেশ স্বস্তি পেলো।
আয়াত:তুমি তো দেখছি একদিনেই বেশ সামলে উঠেছো!
নিশু ঠাট্টার সুরে বললো….তবে যাই বলো না কেন ক্লসট্রোফবিয়া কিন্তু আজকে আমার ভীষণ উপকার করেছে নইলে নীলের যা মেজাজ আমি সত্যিই সামলে উঠতে পারতাম না।
আয়াত:হুম!…তবে ওর জায়গায় আমি হলে তোমার দিকে মুখ ফিরিয়েও তাকাতাম না।
নিশু:ইসশস….বন্ধুর সাফাই গাইছো না?
আয়াত:তাতে যদি সুন্দরিকে খুশি করা যায় তাহলে সেটাই তো ভালো তাই না?
ওর কথা শুনে নিশুর হাসি চলে এলো।ও হাসতে হাসতে বললো…ফাজিল!
আয়াত:মন ভরেছে?
নিশু:কি?
আয়াত:নাকি তোমার পাতিলকে নিয়ে আরো কিছু বলবো!
নিশু হাসতে হাসতে বললো….রাখছি আমি!

নীল আর অফিসে গেলো না।সোজা বাসায়ই গেলো।আজকে আর অফিসে যাওয়ার মুড নেই।বাসায় বেল বাজাতেই ইশু এসে দরজা খুলে দিলো।
ইশু:ভাইয়া??(অবাক হয়ে)
নীল:কি?
ইশু:তুই এই সময়ে সব ঠিক আছে?
নীল:আমি ফ্রেশ হতে যাচ্ছি তুই আমার ঘরে আয় তোর সাথে আমার জরুরি কথা আছে।
নীল উপরে চলে গেলে ইশু ভাবছি কি হলো হঠাৎ?

নীল শাওয়ার নিয়ে বেরোতেই দেখলো ইশু কফি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।নীল ওর হাত থেকে কফিটা নিতেই ইশু ওকে প্রশ্ন করা শুরু করে দিলো।
ইশু:ভাইয়া?…ইজ এভ্রিথিং ওকে?…অফিসে কোন ঝামেলা হয় নি তো?
নীল:না!
ইশু:তাহলে?
নীল:নিশু আমার অফিসে ইশু।
ইশু:মানে??…ও কি করে জানলো তুই এসেছিস?
নীল:জানতো না।ও আমাদের চিটাগাং ব্রাঞ্চ থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় এসেছে।
ইশু:তাই নাকি?…ও এতদিন আমাদের কম্পানিতে জব করতো?
নীল:হুম!
ইশু আমতা আমতা করে বললো…ও কি বিয়ে করেছে ভাইয়া?
নীল:কেন?…এত কিছু থাকতে তুই এই প্রশ্ন করলি কেন?
ইশু নীলের গলা জড়িয়ে ধরে বললো…কারন আমি জানি আমার ভাই এখনো নিশুকে ভালোবাসে।
নীল:হ্যাঁ তুই তো সব জানিস!
ইশু:বল না ও বিয়ে করেছে?
নীল:আমি জানি না জিজ্ঞেস করি নি।
ইশু:ওহ!
নীল:শুনেছি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছে।
ইশু:তাই নাকি?
নীল:হুম!…শোন তুই কিন্তু মাকে কিছু বলবি না।
ইশু:কেন?(অবাক হয়ে)
নীল:মা শুনলেই ওকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেবে।
ইশু:তার মানে ও বিয়ে করে নি?.. তাহলে তো মাকে বলতেই হবে।
নীল:না!..একদম না ইশু!
ইশু নীলকে একটা ভেংচি কেটে বেরিয়ে গেলো।
নীল বিড়বিড় করে বললো..এই বিবিসি রেডিও এবার পুরো বাড়ি শোর করে দিবে।উফফফ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *