Love

Love !! Part- 17

আমি মলিকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছি কিন্তু আমার মেন উদ্দেশ্য হলো ডাক্তারের কাছে যাওয়া কারণ এখন অবদি ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয় নাই তাই মলিকে নিয়ে এসেছি ওকে আসল কথা বললে হয়তো বাড়ির সবাই কে বলে দেয় তাই আর বলিনি।

মলি- ভাবি আমরা এইদিকে কোথায় যাচ্ছি

আমি – ডাক্তারের কাছে

মলি- কেন কার কি হয়েছে ভাবি তুমি কি অসুস্থ তাহলে বাড়িতে বললে না কেন

আমি – না অসুস্থ না কিন্তু এখন পযর্ন্ত তো ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয় নাই তাই ভাবসি

মলি- ও তা ঠিক আছে কিন্তু বাড়িতে সবাইকে বলা উচিত ছিল ভাইয়াকে বলেছো

আমি – নাহ

মলি- ভাইয়াকে বলা উচিত ছিল আচ্ছা তারাতারি ফিরে এসে সবাইকে বলবো কিন্তু

আমি আর কিছু বললাম না হঠাৎ ভাবলাম একবার মামুনির র্সথে দেখা করে আসি। সেদিনের পর তো আর দেখাহয় নাই আর রাজের উপর ও অনেক রাগ করে ভালো করে কথা ও বলি নি আমার এমন করা উচিত হয় নি। রাজ তো আমাকে ভালবেসে কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু আমি তো এখন ভালোই আছি।
হ্যাঁ প্রথম প্রথম অনেক খারাপ লাগতো আস্তে আস্তে তা চলে যাচ্ছে এখন সেই মায়াটা মেহেদীর উপর পরছে। সে ও ছেলে হিসেবে অনেক ভালো যা আমি কয়েকদিনে বুঝতে পেরেছি। একদিন বলার পর আর আমাকে টাচ করে নি আলাদা শুয়েছে। অনেক সেবা যত্ন ও করে ছে না খেতে চাই জোর করে খাইয়ে দিছে।
একদিন রাতে প্রতিদিন আমার আগেই ঘুমিয়ে পরে আমি একবার তাকিয়ে নিজের ও শুয়ে পরেছি কিন্তু কেন জানি ঘুম আসছে না তাই জেগে চোখ বন্ধ করে আছি।

হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার হাত ধরলো আমি চোখ খুলবো ওমনি কথার আওয়াজ পেলাম। হুম কন্ঠ টা মেহেদীর ছিলো তাই আর চোখ খুললাম না চোখ বুজে রইলাম সে কান্না করছে আর অনেক কথা বলছে যা বলছে সব আমার আগের কথা।

আমি ও সেদিন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম তারপর থেকে আমি আগেই শুয়ে পরতাম ঘুমের ভান করতাম প্রতিদিন ই নানা কথা বলতো তারপর কপালে একটা কিস করে চলে যেতো। সে যে আমাকে ভালোবাসে বুঝতে অসুবিধা হয় নি। হয়তো আমি ও বাসতাম রাজের শূন্যতা কমে আসছিল তখন বুঝলাম রাজকে আমি ভালোবাসিনি এটা আমার আর্কষণ ছিলো রাজ আমার কাছে ছিলো তাই ওকে আমার মনের মানুষ ভেবেছি এখন এখানে আসার পর মেহেদীর জন্য ভালোবাসা খুজে পাচ্ছি সৃতি না ফিরলেও আমি এটা বুঝেছি রাজকে আমি অনেক ভালো বন্ধ ভাবতেই পারি ভালো তো একজনকেই বাসা।

মলি- ভাবি এটা কার বাসা

আমি – আগে যেখানে ছিলাম তাদের চলো দেখা করে আসি

আমরা দুজন ভিতরে চলে গেলাম মামুনি তো সেই খুশি এটা বলছে ওটা বলছে সে আমাকে মেয়ের মতো ভালবেসেছে তাদের পেয়ে নিজের মা বাবা মনে হয়েছিলো।

আমি – মামুনি রাজ কোথায়

মামুনি- দেখ রুমে হয়তো ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে না খালি চুপ করে থাকে।

আমি জানি কেন এমন হলো আমার জন্য কষ্ট পেয়েছে ও তো চেয়েছি লো আমি চলে যাই রাজকে আমি এজন্য এতো আপন ভেবেছিলাম ও নিজের থেকে অন্য দের খুশি রাখতে চায় সেদিন আমার সাথে খারাপ ব্যবহার না করলে আমি কখনো ওইখানে যেতাম ও না এমন টা হত না।

আমি – রাজ

রাজ অবাক হওয়া র মতো আমার দিকে তাকালো হয়তো ভাবেনি আমি এখানে আসবো। দৌড়ে এসে জরিয়ে কান্না করতে লাগল যে কখনো আমাকে টাচ করে নি সে জরিয়ে ধরায় আমি অনেক অবাক হয়েছি আগে আমি কতো কাছে যেতে চাইতাম সবসময় রাজ আমাকে বলতো। বিয়ে আগেই আমি কাউকে টাচ করবো না আমি খুব ভদ্র ছেলে। কতো ঝগড়ার না করেছি এই নিয়ে আমার ও অনেক কষ্ট হচ্ছে কেন এমন হলো আমি কি করে রাজ কে কষ্ট দিবো কিন্তু কিছু তো করার নেই আমাকে তো আমার পরিবারের কাছে যেতেই হবে।

রাজকে নিজের থেকে ছারিয়ে চোখের পানি মুছে দিলাম।

আমি – রাজ প্লিজ নিজেকে সামলা ও তোমাকে কান্না করলে মানায় না

রাজ- তুমি কি আমার কাছে আবার ফিরে এসেছো রোপা আমি তোমাকে অনেক মিস করে ছি তখন যেয়ে বলেছিলাম কিন্তু এখন আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না প্লিজ আর যেও না আমাকে ছেড়ে।

আমি – এটা হয় না রাজ আমাকে আমার পরিবারই থাকতে হবে তুমি অনেক ভাল কিন্তু আমি আমার স্বামী কে ভালবাসি তা এই কয়দিনে বুঝেছি তোমার কাছে থাকলে হয়তো কখনো বুঝতাম না তুমি সেদিন যাওয়ার কথা না বললে আমি তাকে ফিরে পেতাম না তোমার কাছে আমি অনেক ঋনি। আমাকে তুমি ভুলে অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখে থাকো প্লিজ তুমি কষ্টে থাকলে আমার ও অনেক কষ্ট হয় এখন হয়তো ভালবাসি না কিন্তু বন্ধু ভাবি।

রাজ- না আমি তোমার জায়গা আর কাউকে দিতে পারবো না। তোমাকে ছেড়ে থাকতে ও পারবোনা আমার মরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে।

আমি – প্লিজ এমন কিছু করো না তাহলে আমি কখনো সুখে সংসার করতে পারবো তোমার কোন ক্ষতি হলে নিজের বেচে থাকার ইচ্ছে মরে যাবে।

অনেক কিছু বুঝিয়ে চলে আসলাম জানিনা রাজ মানবে নাকি। ডাক্তার ও দেখিয়েছি মলিকে বলেছি কাউকে যেন ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা না বলে।

রাতে রুমে বসে আছি এখন ও মেহেদী আসে নি। আজ ভেবেই রেখেছি মেহেদীকে মেনে নিবো কিছু মনে না পরলে ও মেনে নিতে হবে।

কথা গুলো ভাবছিলাম ওমনি রুমে মেহেদীর আগমন।
আমি একাই উঠে গিয়ে ড্রেস বের করে হাতে দিলাম।
একটু অবাকই হয়েছে কারণ আজই প্রথম এইবাড়িতে আসার পর কাজটা করলাম।

সেই কিছু বললো না অনেক টায়ার্ড দেখা যাচ্ছে জামা কাপড় নিয়ে বাথরুমে চলে গেল একটু পর আমি খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজ দেরি করে বাড়ির আসছে তাই আমি সবাইকে শুয়ে পরতে বলেছি।

বাথরুমে থেকে বেরিয়ে আরেকদফা অবাক হয়েছে মনে হচ্ছে খাবার নিয়ে দাড়িয়ে থাকে।

মেহেদী – কি ব্যাপার বলো তো আজ এতো সেবা যত্ন করছো।

আমি – কোন ব্যাপার নাই মন চাইলো তাই করছি

মেহেদী – তা এগুলো কেন মন চাইলো একটু জানতে পারি কথায় তো বলো না আজ একদম বউ এর দায়িত্ব পালন করছো তোমার কি সব মনে পরে গেছে।

আমি – না কিন্তু বিশ্বাস হয়েছে সব এখন কথা বাদ দিয়ে খাবার খান

মেহেদী আর কিছু না বলে খেতে বসে গেল এক লোকমা মুখে দিয়ে আমার দিকে তাকালো

মেহেদী – তুমি খেয়েছো

আমি – না

মেহেদী – মানে কি খাওনি কেন তোমাকে বলছি না খাওয়াতে অনিয়ম করবে না ( রেগে )

আমি – হাত দিয়ে খেতে মন চায় না আপনি তো সবসময় খাইয়ে দেন ওই ভাবেই ভালো লাগে।

মেহেদী আর কিছু না বলে আমাকে খাইয়ে দিতে লাগল আর নিজে ও খেয়ে।

শুয়ে আছি রুমে মেহেদী পিলেট নিয়ে গেছে নিচে আমি যেতে চেয়েছিলাম আমাকে যেতে দেয়নি। এসে সোফায় শুচছিলো।

আমি – আপনি খাটেই শুন

মেহেদী – তাহলে তুমি কোথায় শুবে

আমি – কেন এখানেই

মেহেদী – তোমার না আমার সাথে শুতে প্রবলেম

আমি – হুম তখন ছিলো কিন্তু এখন আমি আপনাকে মেনে নিতে চাচ্ছি

মেহেদী – এভাবে মানতে হবে না

আমি – আপনি আসবেন নাকি আমি আসবো

আমি উঠে পরলাম দেখে মেহেদী ও খাটে এসে বসলো।

মেহেদী – মেয়েরা যে কি চায় একবার খাটে আসবেন না আবার না আসলেও জালায়।

বলেই আমার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে অন্য দিকে শুয়ে পরলো। কি অসভ্য এমন করে কেউ শয় আমি রেগে একটু গেষে শুয়ে পরলাম।

চলবে…..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *