Love !! Part- 02
হঠাৎ কারো ডাকার আওয়াজে দুজনেই দুজনের থেকে দূরে সরে দাঁড়ালাম। দিয়া আসছে আল্লাহ কি মেয়ের এটা কেবল লাফাতে লাফাতে গেল আবার আসছে।
রেগে একবার মেহেদীর দিকে তাকালাম। মেহেদী আমার দিকে অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছে।
রেগে রুম থেকে বের হয়ে গেলাম। রাতে ডিনার সময় আমি আর আমার শাশুড়ি মা মিলে সব খাবার সার্ভ করে দিচ্ছি দিয়া একটু পরে আসে। আমি মেহেদীর পাশে বসতে যাব তার আগেই দৌড়ে এসে দিয়া বসে পরে। আমার এতো রাগ হচ্ছিলো বলে বুঝাতে পারবোনা। কিন্তু শশুর শাশুড়ি আছে বলে কিছু না বলে অন্য চেয়ার এ বসে পরি।
কিন্তু একটু পরই মেহেদী আমার পাশে মলিকে তার চেয়ারে বসতে বলে আমার পাশে এসে বসে পরে। মেহেদীর এই কাজে ওর প্রতি ভালোবাসা টা আর ও বেড়ে যায়।
সবাই আগেই খেয়ে উঠে যায় আমি শাশুড়ি মার সাথ মিলে সব কিছু গুছিয়ে রেখে রুমে যাই ভিতরে ঢুকে দেখি দিয়া রুমে বসে আছে। মেহেদী বলছে ঘুমিয়ে পরবে আর গল্প করবে না সে তবু ও শুনছে না।
আমি আমার রাগ আর ধরে রাখতে পারলাম না। মেয়েটা বেশি জালাতন করতে পারে।
আমি – আপু তুমি এখন যাও তো। দেখছো না ওর ঘুম আসছে। ও সময় মতো না ঘুমাতে পারলে কাল আর উঠতে পারবে না। কি গো ঠিক বলছি না।(ইশারা শিকার করতে বলে)
মেহেদী – কি হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই তো দিয়া তুই যা এখন কাল গল্প করবো। নিলা ঠিকই বলেছে।
দিয়া মুখটা বাংলার পাচেঁর মতো করে চলে যায়।
পরদিন আজ শুক্রবার তাই মেহেদীর অফিস যায় নি। আমার মাথাটা সকাল থেকেই বিষ করতেছিল তাই শাশুড়ি মা মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছি লো।
আমার শাশুড়ি মা টা অনেক একদম আমার নিজের মায়ের মতো ভালোবাসে আমাকে।
হঠাৎ দেখি দিয়া সেজে গুজে নামছে। মনে হচ্ছে কোথাও যাবে পিছনে মেহেদী ও নামছে। আমার সামনে এসে শাশুড়ি মাকে বলতে লাগে।
দিয়া- খালামনি আমি আর মেহেদী একটু শপিং এ যাবো।
শাশুড়ি মা- আচ্ছা যা মেহেদী নিরা কেউ নিয়ে যা ঘুরে আসা হবে।
দিয়া- না না নিরার যাওয়ার কি ধরকার কিছু লাগলে বলুক আমি নিয়ে আসবো নি। আর শপিং মলে কি বেরাবে সেখানে তো( দিয়া আর কিছু বলতে না দিয়ে আমি বললাম )
আমি – হ্যাঁ মা আমার ও কিছু কিনতে হবে আমি তাহলে যাই রেডি হয়ে আসি
বলে রুমে চলে আসলাম। লালের সাথে কালো মিক্স করা শাড়ি পরলাম চুল খোলা রাখলাম ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিয়ে তৈরি হয়ে নিচে আসলাম।
দিয়া তো রেগে ফায়ার হয়ে আছে এতোক্ষন কতই না খুশি ছিল আর এখন মুখের হাসি নেই আমার খুব হাসি পাচ্ছে। মেহেদীর দিকে তাকিয়ে দেখলাম এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আর ইশারায় বলছে অনেক সুন্দর লাগছে আমি লজ্জা পেয়ে অন্য দিকে তাকালাম।
সারাটা সময় দিয়া মুখ বেজার করে রেখেছে।
চলবে,,,