I AM YOUR VILLAIN LOVER !! Part- 19 ( Last-Part )
আজকে বর্ষার শশুড় মশাই দেশে ফিরবেন। সকাল থেকেই বর্ষা কাজে লেগে পড়েছে শশুড়কে আপ্যায়নের জন্যে। কিন্তু বর্ষা ঠিক মতো কাজই করতে পারছে না। কারন মেঘ ওকে বিরক্ত করে করে জ্বালিয়ে মারছে।
বর্ষা ওর শশুড় মশাইয়ের জন্যে নিজে হাতে সব রান্না করছে। বর্ষা এখন প্রায় সব রান্না রপ্ত করে ফেলেছে। তাই শশুড়কে খাওয়াবে বলে নিজে হাতে রান্না করছে সে। আর এদিকে মেঘ এসে বর্ষাকে বিরক্ত করেই চলেছে। একবার বর্ষার পেটে শুরশুরি দিচ্ছে তো একবার কানে শুরশুরি দিচ্ছে। আবার পিছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘারে নাক ঘষছে। বর্ষার প্রচুর অস্বস্তি হচ্ছে কাজ করতে।
বর্ষা বার বার মেঘকে মানা করার পরেও যখন মেঘ শুনছে না তখন বর্ষা ময়দা রাখার কন্টিউনার নিয়ে সুজোগ বুঝে মেঘের মাথার ওপর ঢেলে দিলো। মাথায় ময়দা পড়ার কারনে মেঘের সারাশরীর ময়দা দিয়ে একাকার অবস্থা। মেঘকে দেখতে এখন পুরো একটা জোঁকার লাগছে। যাকে বলে একদম সাদা জোঁকার। মেঘের দিকে তাকিয়ে বর্ষা হাসতে হাসতে শেষ। আর মেঘ বেচারা হা করে তাকিয়ে বাচ্চাদের মতো ঠোট উল্টে বর্ষার হাসি দেখছে।
বেশ কিছুক্ষণ হাসার পর হাসি থামিয়ে বর্ষা বললো
— এবার কেমন লাগলো রে কুম্ভভুত। তোকে এখন সত্যিই একটা ভুতের মতোই লাগছে যাকে বলে ময়দা মাখা ভুত। আমার কথা না শুনলে এমনই হবে।
কথাটা বলেই আবারো হা হা করে হাসতে লাগলো বর্ষা। বর্ষাকে হাসতে দেখে মেঘ রাগ করে কিছু বলবে তখনি ডোরবেল বেজে উঠলো। বর্ষা মেঘের দিকে তাকিয়ে বললো
— একটু দরজাটা খুলে দিয়ে আয়না মেঘ প্লিজ। আমি গেলে চাচ্চুর জন্যে রান্নাটা পুড়ে যাবে।
— আমি এই অবস্থায় যাবো দরজা খুলতে? কে না কে এসেছে, আমায় দেখলে কি ভাববে?
— ভাববে তুই পানি না পেয়ে ময়দা দিয়ে গোসল করেছিস। হিহিহি। এবার যা তো,,
কথাটা বলেই মেঘকে জোর করে ঠেলতে ঠেলতে পাঠিয়ে দিলো বর্ষা। মেঘ মুখটাকে বাংলার পাঁচ বানিয়ে গিয়ে দরজা খুলতেই, দরজার ঐ পাশে মেঘের বাবা আহসান চৌধুরী মেঘকে দেখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হা হা করে হেসে দিয়ে বললো
— ওয়াট এ প্রেজেন্স সার্প্রাইজ মেঘ। তোমায় কি দারুন দেখতে লাগছে। নিশ্চই এটা বর্ষা মা মনির কাজ তাইনা? হা হা হা
আহসান চৌধুরীর কথা শুনে মেঘ ঠোট উল্টে অসহায় গলায় বললো
— আব্বু তুমিও আমায় নিয়ে মজা করছো? এটা কিন্তু একদমই ঠিক হচ্ছে না। আর তোমার না বিকেলে আসার কথা। আমি তো তোমায় এয়ারপোর্টে রিসিভ করতে যেতাম। তাহলে এখন যে?
মেঘের কথার উত্তরে আহসান চৌধুরী কিছু বলবে তার আগেই বর্ষা এসে বলে উঠলো
— আরে চাচ্চু তুমি এসে গেছো? আসো আসো ভিতরে আসো। এখনো বাইরে দাড়িয়ে আছো কেনো তুমি?
— বর্ষা মা কেমন আছিস তুই, আর এত তারাহুরা করে হাটা চলা করছিস কেনো হুমম।
কথাটা বলতে বলতে বাসার ভিতরে ঢুকে সোফায় গিয়ে বসলো মেঘের বাবা। আর মেঘ ওপরে চলে গেলো ফ্রেশ হয়ে আসতে।
মেঘের বাবা আহসান চৌধুরী বর্ষাকে পাশে বসিয়ে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বললো
— মামনি তুই ভাল আছিস তো? মেঘ তোর সাথে খারাপ ব্যাবহার করে না তো? আমাকে সত্যি করে বল মা।
মেঘের বাবার কথা শুনে বর্ষা মুচকি হেসে বললো
— না চাচ্চু মেঘ আমায় অনেক ভালবাসে একটুও কষ্ট দেয়না। আমার অনেক যত্ন করে ও। তুমি এসব কেনো জিগ্যেস করছো বলো তো?
— কারন আমি জানিরে মা তোর বিয়ের দিন তোকে আর কেউ নয়। মেঘ কিডন্যাপ করেছিলো। আর মেঘই সেদিন তোকে আরাল থেকে বিয়ে করেছিলো। বিদেশ যাওয়ার আগে আমার ভয় ছিলো তোকে নিয়ে যে মেঘ যদি তোকে কষ্ট দেয়। তাই প্রতিদিন মেঘকে কল দিতাম আমি তোর খবর নিতে। কিন্তু সব সময় মেঘ বলতো ও তোর পাশে নেই বা তুই ঘুমোচ্ছিস তাই আর কথা বলা হতো না।
— তুমি একদম চিন্তা করোনা চাচ্চু, মেঘ আমায় একটুও কষ্ট দেয়নি। বরং সব সময় আমার খেয়াল রেখেছে। ও শুধু আমার স্বামীই নয় ও আমার বন্ধুও। এমন ভাগ্য কয় জনের হয় বলো চাচ্চু যে স্বামী নিজের বন্ধুর মতো হয়।
বর্ষার কথা শুনে আহসান চৌধুরী বর্ষার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন
— দেখেনিস মা তুই অনেক সুখি হবি। আমার দোয়া সব সময় তোর সাথে থাকবে। তবে আমি কিন্তু তোর ওপর একটু রেগে আছি হুমম।(অভিমনি ভাব করে)
— এমা, তুমি আবার রেগে আছো কেনো চাচ্চু আমি আবার কি করলাম আমার অপরাধ কি?
— এই যে তুই আমায় এখনো চাচ্চু বলে ডাকিস। আরে আমি চাচ্চুর পর এখন তোর শশুড় মশাই। তাই আমায় তুই আব্বু বলে ডাকবি বুঝলি মামনি?
আহসান চৌধুরীর কথা শুনে মুচকি হাসলো বর্ষা। তারপর বললো
— ওকে আমার আব্বুজান তাই হবে।
তারপর দুজনেই হেসে দিলো। বিদেশ থেকে আসার সময় আহসান চৌধুরী অনেক গুলো খেলনা আর ছোট ছোট জামা কাপড় নিয়ে এসেছেন তার হবু নাতি বা নাতনির জন্যে। আহসান চৌধুরীকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি কতটা খুশি।
,
,
,
বিকেলে ছাদে দাড়িয়ে আছে বর্ষা। বর্ষা একটা কলাপাতা রঙের শাড়ি পড়েছে, সাথে হাতে ম্যাচিং চুরি, কানে ছোট ছোট দুটো ঝুমকা, গলায় সোনার লকেটওয়ালা চিকন চেইন, চোখে গাড়ো কাজল, ঠোটে হালকা লিপস্টিক, চুলগুলো আর শাড়ির আঁচালটা বাতাসে উড়ছে আপন মনে। সেদিকে বর্ষার কোনো নজর নেই, বর্ষা আনমনে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে।
হঠাৎ মেঘের ছোঁয়ায় ধ্যান ভাঙলো বর্ষার। মেঘ পিছন থেকে বর্ষাকে জরিয়ে ধরে বর্ষার চুলের মাঝে মুখ গুঁজে বললো
— সরি জান,,,
মেঘের কথা শুনে অবাক হয়ে মেঘের দিকে ফিরে তাকালো বর্ষা। তারপর ভ্রু কুঁচকে জিগ্যেস করলো
— সরি কেনো বলছিস মেঘ?
— আব্বুর সাথে যে তুই কথাগুলো বলছিলি আমি আড়াল থেকে সব শুনেছি বর্ষা। আমি তোকে এতটা কষ্ট দেওয়ার পরেও তুই আমার বিষয়ে আব্বুকে কিছুই বলিসনি। বরং সব সময় আমার সম্পর্কে ভালো বলে গেলি। সত্যিই আমি অনেক বেশি অনুতপ্ত নিজের ভুলের জন্যে। নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছে আজ।
মেঘের কথা শুনে মুচকি হেসে মেঘের গলা জরিয়ে ধরলো বর্ষা। তারপর মেঘের নাকের সাথে নাক ঘষে মেঘের গালে ছোট্ট করে একটা চুমু একে দিয়ে বললো
— তুই আমার স্বামী মেঘ, তোকে অন্যের সামনে ছোট করা মানে নিজেকে ছোট করা। তোকে কারো সামনে খারাপ প্রমান করা মানে নিজের সম্মান নষ্ট করা। আর তাছাড়া তুই নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়েছিস। আমার আর তোর ওপর কোনো রাগ নেই, কোনো অভিযোগও নেই। আমি শুধু তোর এই জীবনের সাথী নই। আমি তোর অর্ধাঙ্গিনী তোর স্ত্রী। মৃত্যুর পরেও আমি তোকে চাই। ভালবাসি তোকে আমি। অনেক বেশি ভালবাসি। তুই আমার ছোট সোনামনির বাবা তোকে অন্যের সামনে নিচু করলে যে আমার সন্তানের সামনে আমি দাড়াতে পারবো না। আমাদের একটা অনেক সুখি পরিবার হবে দেখেনিস মেঘ। তাই অতিতের কথা ভেবে আর কষ্ট না পেয়ে বর্তমানকে নিয়ে ভাব।
বর্ষার কথা শুনে হাটু গেরে নিচে বসে পরলো মেঘ। তারপর বর্ষার কোমড় জরিয়ে ধরে দুফোটা চোখের জল ফেলে বললো
— আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান রে বর্ষা তাই তোর মতো একজন জীবন সাথী পেয়েছি। আমি তোকে আর কোনো দিন কষ্ট পেতে দিবো না। সারাজীবন আমার বুকের সব ভালবাসা দিয়ে আমি আগলে রাখবো তোকে। আমার ভালবাসায় রাঙিয়ে দিবো আমি তোর জীবন। কষ্টের ছায়াও কখনো আমি পরতে দিবো না তোর জীবনে। সব চাইতে সেরা স্বামী হয়ে আমি দেখিয়ে দিবো তোকে। এটা আমার প্রমিজ বর্ষা। আমার প্রমিজ এটা।
মেঘের কথা শুনে বর্ষা হেসে দিয়ে মেঘকে দাড়াতে বলে বললো
— ছি ছি ছি মেঘ তুই তো দেখছি আমার আর আমার ছেলের মাথা একদম নিচু করে দিলি। এত বড় একটা ঢিঙ্গি ছেলে হয়ে এমন ছাগলের মতো ভ্যা ভ্যা করে কাদছিস। আমার ছেলেতো পেটের ভিতর থেকে বলছে ওর বাবা একটা ছাগল। তাই ছাগলের মতো কাঁদছে।
বর্ষার কথা শুনে মুচকি হেসে বর্ষাকে শক্ত করে বুকের মাঝে জরিয়ে ধরলো মেঘ। তারপর বললো
— I LOVE YOU JAAN I LOVE YOU SO MUCH.
,
,
,
অপারেশন থিয়েটারের বাইরে বসে আছে মেঘ আহসান চৌধুরী আর বর্ষার বাবা মা। সবার চোখে পানি। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করে চলেছে বর্ষা আর ওর বাচ্চার সুস্থতার জন্যে। কারন একটু আগে বর্ষাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্ষার বেবি হওয়ার পেইন হয়নি, কিন্তু হঠাৎ করেই খিঁচুনি উঠেছিলো বর্ষার। ডাক্তার জানিয়েছেন বর্ষার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।
মেঘ প্রায় পাগল হয়ে গেছে বর্ষার জন্যে। পাগলের মতো বসে বসে কান্না করছে ও। আর দেওয়ালে বার বার হাত দিয়ে আঘাত করছে। হাতের বেশ কিছু জায়গায় ছিলে গেছে মেঘের।
,
,
প্রায় দুই ঘন্টা অপারেশনের পর বাচ্চার কান্না ভেসে এলো অপারেশন থিয়েটার থেকে। সকলের মুখে হাসি ফুটে উঠলেও মেঘ এখনো শান্ত হতে পারেনি। মেঘের চিন্তা বর্ষা ঠিক আছে কিনা।
একটু পর কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছোট্ট রাজকন্যাকে কোলে নিয়ে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে এলো একজন নার্স। তারপর বললো
— বর্ষা চৌধুরীর স্বামী কে এখানে?
সবাই মেঘকে দেখিয়ে দিলো। নার্সটা বাচ্চাটাকে নিয়ে মেঘের কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো
— স্যার এই নিন আপনার মেয়ে, দেখুন কি মিষ্টি দেখতে হয়েছে ওকে।
নার্সের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে বাচ্চাকে কোলে না নিয়ে মেঘ উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলো
— বর্ষা কেমন আছে সিস্টার, আমার ওয়াইফ আমার স্ত্রী বর্ষা ও সুস্থ আছে তো?
মেঘের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো নার্স। কেননা মেঘ এখনো একবারের জন্যেও নিজের মেয়ের দিকে তাকায় নি। বরং ওর নজর এখনো অপারেশন থিয়েটারের দিকে। আর ও মেয়ের বদলে স্ত্রীকে নিয়ে ভাবছে। নার্সটা কিছুক্ষণ অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে মুচকি হেসে বললো
— স্যার আপনার ওয়াইফও একদম সুস্থ আছেন। ওনাকে একটু পরেই বেডে দেওয়া হবে তখন দেখা করতে পারবেন। এবার তো অন্তত নিজের রাজকন্যার কথা ভাবুন। দেখুন আপনার মেয়ে কি মিষ্টি দেখতে হয়েছে।
নার্সের কথা শুনে যেনো দেহে প্রান ফিরে পেলো মেঘ। নার্সের কোল থেকে মেয়েকে কোলে নিয়ে মন ভরে দেখে কপালে চুমু একে দিলো। সবাই মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগলো। একটুপর বর্ষাকে বেডে দেওয়া হলে মেঘ মেয়েকে শাশুড়ির কোলে দিয়ে বর্ষার কাছে চলে গেলো।
বর্ষা চোখ বন্ধ করে বেডে শুয়ে আছে। মেঘ গিয়ে বর্ষার কপালে চুমো দিয়ে বর্ষার হাত নিজের দুই হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে হাতে চুমো দিয়ে বললো
— কতটা ভয় পেয়েছিলাম জানিস তুই বর্ষা। কেনো এমন করিস হুমম। কেনো বুঝিসনা তোর কিছু হলে আমার নিশ্বাস থেমে যাবে শেষ হয়ে যাবো আমি। তোকে ছারা নিজেকে চিন্তা করতেও কষ্ট হয় আমার।
মেঘের কথা শুনে বর্ষা চোখ খুলে মুচকি হেসে জোর করে বললো
— আরে পাগল আমার কিছু হয়নি তো এই দেখ আমি একদম সুস্থ। আমার মেয়ে কোথায় ওকে নিয়ে আয়। ওকে কোলে নিবো আমি।
তারপর বর্ষার মা বর্ষার মেয়েকে কোলে নিয়ে কেবিনে ঢুকলো। বর্ষা মেয়েকে দেখে মন ভরালো। এ যেনো এক দারুন অনুভুতি প্রথম বার মা হওয়ার অনুভুতি। যে অনুভুতিটা শুধু একজন মাই বুঝতে পারে।
,
,
,
৩ বছর পর
— বৃষ্টি মামনি খাবারটা খেয়ে নে মা প্লিজ। মামনিকে এত জ্বালাতন করতে হয়না।
— না না না আমি কাবো না তুমি পতা মামুনি আমায় তুদু বকো কেনো। আমি কিতু কাবো না।
— আমি কি তোকে এমনি এমনি বকি নাকি। দাদুনকে ঘোরা বানিয়ে পিঠে বসে থাকার জন্যেই তো বকেছি। খাবারটা খেয়ে নে না মা প্লিজ, আমার কত কাজ পরে আছে।
— কি হয়েছে কি আমার বৃষ্টি মামনির? তুই ওকে বকছিস কেনো বর্ষা হুমম।
— বাবাই বাবাই দেকো মামুনি তুদু আমায় বকে এত্তুও বালো বাতে না।
মেঘ আর বর্ষার একমাত্র রাজকন্যা বৃষ্টি মনি। সকলের চোখের মনি সে। যেমন মিষ্টি দেখতে তেমনই দুষ্ট আর জেদি। তবে খুব বেশি আদুরে মেয়ে বৃষ্টি।
বর্ষার পরিবারটা আজ সুখে পরিপুর্ন। মেঘের বাবা আহসান চৌধুরী নিজের বিজনেস থেকে অবসর নিয়েছেন। আর বিজনেসের সকল দ্বায়ীত্ব এখন মেঘের ঘারে। মেঘ খুব দ্বায়ীত্ব ও নিষ্ঠার সাথে বিজনেস সামাল দিচ্ছে। ওদের জীবনটা আজ ভালবাসা আর সুখে পরিপুর্নতা পেয়েছে।
এভাবেই ভাল থাক সকল পবিত্র ভালবাসার মানুষের জীবন। সন্দেহ নয় বিশ্বাসে ভরে থাক চারিদিক। রাগ বা অভিমান দিয়ে নয় ভালবাসা দিয়ে জয় করুক সবাই ভালবাসার মানুষের ভালবাসা।
🍁🍁🍁🍁🍁🍁সমাপ্ত 🍁🍁🍁🍁🍁🍁
ধৈর্য ধরে পুরো গল্পটা পড়ার জন্যে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। গল্পে লেখার সময় কিছু ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই। আর যারা যারা গল্পটা এতদিন পড়েছেন কিন্তু কমেন্ট করেননি। তারা অবশ্যই আজকের শেষ পর্বে কমেন্ট করে জানাবেন গল্পটা কেমন লেগেছে। আবারও ধন্যবাদ সবাইকে,,💙💙
কাল বা পরশু থেকে নতুন একটি গল্প শুরু করবো ইনশাআল্লাহ। গল্পটা হবে রহশ্যময়, রোমান্টিক, ফানি, ইমোশনাল ও কিছুটা ভৌতিক। সবাইকে গল্পের পাশে থাকার আমন্ত্রণ রইলো।❤❤