Childhood marriage 2 ! Part- 05
(ছয় বছর পর)
পুরো ভার্সিটিতে একেবারে সাজ সাজ রব,হবে নাই বা কেন আজকে যে ভার্সিটির নবীনবরণ প্লাস কালচারাল ফেস্ট।এত বড় একটা প্রোগ্রাম সফল করতে সামনে থেকে কাজ করছে ভার্সিটিরই এক ঝাঁক ছেলে মেয়ে যারা সম্মিলিতভাবে গড়ে তুলেছে সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন।প্রোগ্রাম শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাঁকি,সবার মধ্যে তাই শেষ মুহুর্তের ব্যস্ততা স্পষ্ট ফুটে উঠছে…
তানিঃ What are you guys doing!I just can’t imagine গেস্টরা সবাই আসতে শুরু করেছে অথচ আমাদের কিছুই এখনও রেডি হয়নি!
মারুফঃ ইয়ার তানি,তুই অলওয়েজ এমন হাইপার হয়ে যাস।এখনও তেমন কিছুই হয়নি…
তানিঃ কিছুই হয়নি!তুই এই কথা বলছিস!আরে সায়ন এসে যদি দেখে এই অবস্থা তাহলে…আমি জাস্ট ভাবতে পারছি না…
তন্ময়ঃ তানি তানি তানি তেমন কিছুই হবে না বিলিভ মি,এখনও সময় আছে আমরা সব গুছিয়ে নিতে পারব
তানিঃ কেমনে সম্ভব?It’s just impossible.সায়ন আজকে আমাকে খুন করে ফেলবে,এখন ই কি করি?কোন দুঃখে যে এত বড় একটা প্রোগ্রামের কনভেইনার হতে গিয়েছিলাম!
দীপুঃ Just chill yaar everything is under control…
তানিঃ Under control!Have you lost it Dipu?
রাকিবঃ আরে প্রবলেমটা কি বলবিতো
তানিঃ সবকিছুতেইতো প্রবলেম।আর কয়েক ঘণ্টা পরেই প্রোগ্রাম শুরু হবে বাট স্টেজ ডেকোরেশান এখনও শেষ হয়নি!সাউন্ড সিস্টেম এখনও এসেই পৌঁছায়নি,পারফর্মারদের কস্টিউম,ভলান্টিয়ার ক্রু,হোস্টরা কেউ ই এখনও রেডি হয়নি আর..আর…
তন্ময়ঃ তোর মাথা,প্রোগ্রাম শুরু হতে এখনও ঘণ্টা চারেক বাঁকি।এর মধ্যেই সবকিছু রেডি হয়ে যাবে
তানিঃ এগুলো নাহয় হল কিন্তু সূর্যমুখী আর রজনীগন্ধা?সায়ন এগুলোই আনতে বলেছিল,তোরাতো জানিস ওর সবকিছুই একেবারে পারফেক্ট চাই।ও এসে যদি দেখে আমি রজনীগন্ধার বদলে গ্লাডিওলাস আর সূর্যমুখীর বদলে চন্দ্রমল্লিকা দিয়ে কাজ চালাচ্ছি তাহলে…
I’m finished,he’s gonna kick me out of the Organization.ওহ নো..এখন আমার কি হবে?কি করব..
রাকিবঃ শাট আপ তানি
তানিঃ কিন্তু আ..আমি…
রাকিবঃ তুই একটু চুপ করে বোস,ব্যাপারটা আমি হ্যাণ্ডেল করছি
তানিঃ সত্যি?তুই পারবি?দেখ রজনীগন্ধা মানে কিন্তু রজনীগন্ধাই আর সূর্যমুখী…
রাকিবঃ দীপু…তানিকে এখান থেকে দূরে নিয়ে যা,ভুলেও স্টেজের ত্রিসীমানায় আসতে দিবি না
তানিঃ কিন্তু…
রাকিবঃ দীপু…
দীপুঃ দোস্ত চল…
(কিছুক্ষণ পর)
রিয়াঃ হ্যালো…গাইজ
(সবাই একরকম বিরক্তি নিয়ে হাই জানালো)
রিয়াঃ How am I looking?
তন্ময়ঃ Looking gorgeous…(কত কেজি যে আটা ময়দা মেখেছে আল্লাহই জানে)
রিয়াঃ তানি…My sweetie…wow অনেক সুন্দর লাগছে…তবে আমার মত না…
তানিঃ হ্যাঁ তো উনিতো বিশ্বসুন্দরী আর আমরা শাকচুন্নি হুহ(মনে মনে)
রিয়াঃ By the way,আমাকে কি করতে হবে?
রাকিবঃ কি আর করবে শো-পিস হয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে
রিয়াঃ মানে?ঠিক বুঝলাম না
তানিঃ তোমাকে আর বুঝতেও হবে না
রিয়াঃ তানি বেবি তাড়াতাড়ি বল না কি কি কাজ বাঁকি আছে,প্রোগ্রামের সময় হয়ে গেলতো…
তানিঃ (এমন ভান করছে যেন সব কাজ উনি একাই করে ফেলেছেন)না মানে রিয়া,এদিকের সব কাজতো শেষ
রিয়াঃ ওহ নো তাহলে এখন আমি কি করব?
তানিঃ তুমি এক কাজ কর,এনট্রি ডোরে গিয়ে দাঁড়াও।আজকের গেস্ট রিসিপশনের দ্বায়িত্ব তোমার
রিয়াঃ হোয়াট!এত কাজ থাকতে রিসিপশন!That’s really cheap…
তানিঃ করতে না চাইলে চুপচাপ এক কোণে গিয়ে বসে থাকো।Don’t disturb us…
রিয়াঃ Okey okey I’ll do it just cool down babes.
তানিঃ তাহলে যাও দাঁড়িয়ে আছো কেন?
রিয়াঃ তানি..না মানে বলছিলাম যে সায়ন…
তানিঃ সায়ন এখনও আসেনি তবে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না ও প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার আগেই চলে আসবে।Anything else?
রিয়াঃ No
তানিঃ Then go to your positions
রিয়াঃ Girls follow me
(রিয়ার দুই অনুচর মুমু আর মিমো ওর পিছু পিছু চলে গেল)
মুমুঃ দেখলি ওই তানি মেয়েটা তোকে পাত্তাই দিল না!
রিয়াঃ একবার খালি সায়নকে আমার করে নেই তারপর সব কয়টাকে দেখে নিব
মিমোঃ সেটা হয়তো আজই হয়ে যাবে
রিয়াঃ কিভাবে?
মিমোঃ তোকে আজকে যা লাগিছে না!সায়ন কেন কেউই চোখ ফেরাতে পারবে না
রিয়াঃ আর কাউকে আমার লাগবে না,শুধু সায়ন হলেই চলবে
মুমুঃ মনে কর হয়ে গেছে…
রিয়াঃ একবার খালি সায়নকে পেয়ে নেই তারপর সব কয়টাকে মজা দেখাবো।আমাকে শো-পিস বলা!রিসিপশনে দাঁড় করিয়ে রাখা!সব সুদে আসলে যদি শোধ তুলতে না পারি তাহলে আমার নামও রিয়া না…
প্রোগ্রাম শুরুর ঠিক আধা ঘণ্টা আগে সায়ন অডিটোরিয়ামে ঢুকল।হালকা স্ট্রাইপ করা সাদা শার্ট,কালো প্যান্ট,চোখে চশমা,মুখে হালকা খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি এক কথায় পুরো ফরমাল গেট আপ যা যেকোন মেয়েকে পাগল করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।ওকে ঢুকতে দেখেই সবাই ওর দিকে দৌঁড়ে এলো…
সায়নঃ Is everything okey?
তানিঃ Okey but…
সায়নঃ But?
তানিঃ সূর্যমুখী ফুল পাইনি তাই চন্দ্রমল্লিকা…
সায়নঃ ওকে ফাইন আপাতত ওটা নিয়েই কাজ চালিয়ে নে বাট নেক্সট টাইম বি কেয়ারফুল,গেস্টরা আসতে শুরু করেছে সো গো ব্যাক টু ইয়োর পজিশন।আমি আর কোন ভেজাল চাই না…
(সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।এদিকে রিয়া দূর থেকে সায়নকে দেখেই ওর দিকে ছুটে আসলো)
রিয়াঃ সায়ন…এতক্ষণ কোথায় ছিলে?সেই কখন থেকে তোমার জন্যে ওয়েট করছি…
সায়নঃ কেন?কোন দরকার ছিল?
রিয়াঃ দরকার ছাড়া কি তোমার কাছে আসা যাবে না?
সায়নঃ স্টপ ইট রিয়া আর এমন সঙয়ের মত সেজেছো কেন?
রিয়াঃ হোয়াট ইজ সঙ?
সায়নঃ ফরগেট ইট,প্রোগ্রামে তোমার কাজ কি?
রিয়াঃ তেমন কিছু না ওই আর কি রিসিপশনে…
সায়নঃ এটা তেমন কিছু না!
রিয়াঃ না মানে…
সায়নঃ গো ব্যাক টু ইয়োর ওয়ার্ক
রিয়াঃ কিন্তু…
তন্ময়ঃ সায়ন…এটা একবার দেখতো
সায়নঃ আসছি…রিয়া…গো ব্যাক কুইক…
(সায়ন চলে গেল,রিয়া রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নিজের জায়গায় ফিরে গেল)
And now মঞ্চ মাতাতে আসছে আমাদের সবার প্রিয় মাহবুব সায়ন….
সায়ন…সায়ন…সায়ন…সায়ন…
হাজারো করতালি আর চিৎকারের মধ্যে মঞ্চে উঠল সায়ন।আগের সেই ফরমাল গেট আপ আর নেই,তার বদলে স্কাই কালার টিশার্ট,ব্লু জিন্স,সাদা কেডস আর স্টাইলিশ সানগ্লাস আর কাঁধে প্রিয় গিটার সবমিলিয়ে এক কথায় পুরো অসাধারণ।যারা ওর ফরমাল লুকের উপর ক্রাশ খায়নি তারাও ওর এই লুকে ক্রাশ না খেয়ে পারেনি।
চারপাশটায় একবার চোখ বুলিয়েই গিটারের তারে টান দিল সায়ন,মুহূর্তেই সবাই নিশ্চুপ হয়ে গেল।পিন পতন নিরবতা ভেঙ্গে ভেসে এলো সায়নের দরাজ কণ্ঠস্বর…
মন ভাবে তারে এই মেঘলা দিনে
শীতল কুয়াশাতে তার স্পর্শে।।
তার রুনু ঝুনু নূপুরের সাজে
বাতাসে যেন মৃদু সুবাসে
নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক
পায়েল খানি বাজে
মাদল বাজে সেই সংকেতে
শ্যামা মেয়ে নাচে।।
(প্রোগ্রাম শেষে)
তানিঃ Give a big round of applause for the most successful precident of the organization guys…
সায়নঃ Thanks but এত এক্সাইটেড হওয়ার মত কিছু হয়নি আর তানি
তানিঃ কি?
সায়নঃ প্রোগ্রামে অনেক ল্যাকিংস ছিল,তোর থেকে কিন্তু আমি এমনটা আশা করিনি সো নেক্সট টাইম বি কেয়ারফুল
তানিঃ ওক্কে বস
সায়নঃ শাট আপ
রাকিবঃ ইয়ার সায়ন,প্রোগ্রামতো শেষ সো এখন আর ওসব কথা না বলি?
তন্ময়ঃ ঠিক বলেছিস,এখন ওসব একদম বাদ এখন জাস্ট এনজয় গাইজ
সায়নঃ বাট ফল্টগুলোও তো দেখতে হবে নাহলে পরে আবারো একই ভুল হবে
মারুফঃ ওই তুই থামবি?তোর ওসব ফল্ট তুই বাদে আমার মনে হয় না আর কারো চোখে পড়েছে সো জাস্ট চিল
সায়নঃ বাট…
দীপুঃ শাট আপ…
সায়নঃ ওকে ফাইন সব বাদ
সবাইঃ ইয়ে…লেটস এনজয়…
রিয়াঃ হাই গাইজ,আমাকে ছাড়াই পার্টি হচ্ছে!দ্যাটস নট ফেয়ার…
তানিঃ লিসেন রিয়া,এখানে কাউকেই এক্সট্রাভাবে ইনভাইট করা হয়নি,সবাই নিজ ইচ্ছেতেই এসেছে।সো এজ এ মেম্বার অফ দ্য ক্লাব,তুমিও জয়েন করতে পারো
রিয়াঃ হোয়াটএভার…ওহ সায়ন…
সায়নঃ হোয়াট…
রিয়াঃ You know what today you just rock the crowd.আমিতো এসটনিসড হয়ে গিয়েছিলাম,একটা ছেলে কিভাবে এত ভাল গাইতে পারে!আমিতো ভাবতাম শুধু মেয়েরাই…
সায়নঃ Excuse me…আমি একটু আসছি তোরা এনজয় কর
রিয়াঃ সায়ন…ওয়েট এ মিনিট আমিও আসছি
সায়নঃ কি?
রিয়াঃ বলছিলাম কি আমি ডিজেকে খুব রোমান্টিক একটা গান প্লে করতে বলেছি।Can we perform together?
সায়নঃ লিসেন রিয়া,আমি অনেক টায়ার্ড সো প্লিজ এক্সকিউজ মি
রিয়াঃ জাস্ট ফাইভ মিনিট,কিছু হবে না
সায়নঃ (বিরক্তি নিয়ে) I am not interested.Do you get it?
(সায়ন বেরিয়ে গেল,রিয়া রাগে গজ গজ করতে লাগলো)
রিয়াঃ ও আমাকে এ্যাভয়েড করল!নিজেকে ভাবেটা কি?
তানিঃ কি আবার ভাববে,হি ইজ সায়ন।তোমার পিছে পিছে ঘোরার টাইম ওর নেই
রিয়াঃ ইউ…
দীপুঃ এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে নিজের রাস্তা মাপো
রিয়াঃ একবার খালি সায়নকে আমার করে নেই তারপর তোমাদের সব কয়টাকে ঘাড় ধরে বের করিয়ে ছাড়ব
তানিঃ সেই আশাতেই থাকো
রিয়াঃ মনে রেখো রিয়া যা বলে তাই করে,সায়নকেতো আমি আমার পেছনে ঘোরাবোই
দীপুঃ অল দ্য বেস্ট
(রিয়া চলে গেল)
রাকিবঃ এই মেয়ের প্রবলেম কি রে?সায়ন ওকে পাত্তাই দেয় না তবুও ওর পেছন পেছন ঘুরঘুর করে
তানিঃ নিজেকে বিশ্বসুন্দরী ভাবে কিনা তাই মনে করে সবাইকেই নাকের ডগায় ঘুরাবে
রাকিবঃ তবে যাই বলিস মেয়েটা কিন্তু ভালই আছে
দীপুঃ রাকিব…
রাকিবঃ না মানে দেখতে শুনতে সুন্দর,স্মার্ট…
তানিঃ ওই রকম কেজি কেজি আটা ময়দা মাখলে আর মিনিস্কার্ট পরলে আমাকেও অমনই লাগবে
রাকিবঃ তুই!আর সুন্দরী!আগে মেয়েতো হ তারপর দেখা যাবে সুন্দরী নাকি বান্দরী
(রাকিব হাসতে হাসতে চলে গেল আর তানি মন খারাপ করে বসে পড়ল)
দীপুঃ ওর কথায় কিছু মনে করিস না,ওকেতো চিনিসই…
তানিঃ আচ্ছা দোস্ত আমি সত্যিই অসুন্দর?
তন্ময়ঃ কে বলেছে?তোর মত সুন্দর আর ভাল মেয়ে এই ক্যাম্পাসে আর কয়টা আছে?আরে তুইতো আমাদের ন্যাচারাল বিউটি,বাঁকিরাতো সব ময়দা সুন্দরী
তানিঃ ওখান থেকে উঠে চলে আসলাম,সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে ঢুকলাম।রাকিবকে আমি অনেক পছন্দ করি কিন্তু ও কখনও আমার দিকে ফিরেও তাকায় না।ও কি বোঝে না আমি ওকে কতটা…
তন্ময়ঃ কি হয়েছে রে?
দীপুঃ কি আর হবে,ওই রাকিব গাধাটা আবার…
তন্ময়ঃ ওহ…ওইটা আসলেই গাধা নাহলে…
দীপুঃ বাদ দে,চল দেখি পাগলীটা আবার কই গেল
তন্ময়ঃ হুম চল
মারুফঃ আচ্ছা তুই কি সত্যিই টায়ার্ড!
সায়নঃ হঠাৎ একথা কেন বলছিস বলতো?
মারুফঃ না মানে তোর সাথে না টায়ার্ড কথাটা যায় না তাই…
সায়নঃ ওকে ওকে রিয়াকে এ্যাভয়েড করার জন্যে মিথ্যে বলেছি
মারুফঃ জানতাম…আচ্ছা সায়ন তোর প্রবলেমটা কি বলতো
সায়নঃ কিসের প্রবলেম?
মারুফঃ সব মেয়ে তোর জন্যে পাগল অথচ তুই কাউকেই পাত্তা দিস না!
সায়নঃ দে আর নট মাই টাইপ সো…
মারুফঃ তো আপনার টাইপটা কি জানতে পারি?
সায়নঃ সময় হলেই জানতে পারবি
মারুফঃ আচ্ছা রিয়াকে নিয়ে কি প্রবলেম?
সায়নঃ রিয়া!তোর কি মাথা টাথা খারাপ হয়ে গেছে?
মারুফঃ কেন মাথা কেন খারাপ হবে? মেয়েটা সুন্দরী,স্মার্ট আর সবচেয়ে বড় কথা তোর নামে পাগল
সায়নঃ শোন উপরের সৌন্দর্য দিয়ে কি করব যদি ভেতরটা পলুটেড থাকে?
মারুফঃ মানে?
সায়নঃ সময় হলেই বুঝতে পারবি
মারুফঃ আবার সেই একই ফিলোসফি!
সায়নঃ শোন দোস্ত এখন কিন্তু আমি সত্যিই টায়ার্ড সো নিড সাম স্লিপ
মারুফঃ রিয়ালি!
সায়নঃ হুম আর শোন বাঁকিরা ফিরলে বলিস আস্তে কথা বলতে
মারুফঃ ওক্কে বস তাই হবে…
সায়নঃ ডোন্ট কল মি দ্যট
মারুফঃ ওকে গুড নাইট
সায়নঃ গুড নাইট…মারুফ বাইরে চলে গেল আর আমি ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলাম।আজকে কেন যেন ঘুমটা আসছে না,আসবে কি করে ওই মারুফের বাচ্চাটা যে মাথাটা বিগড়ে দিয়ে গেল।সত্যিইতো এত মেয়ে আমার নামে পাগল,আমার একটা হ্যাঁ শোনার জন্যে সবকিছু করতে রাজি অথচ আমি কাউকেই পাত্তা দেই না।এমন না যে ওদের সবাই ই রিয়ার মত,অনেকেই আছে যাদেরকে নিঃসন্দেহে যে কেউ পছন্দ করবে কিন্তু আমি…
কেন এমন করছি আমি?তবে কি ছোটবেলায় বাবা-মায়ের করা সেই ভুলটার খেসারত দিতে হচ্ছে আমাকে?কক্ষণও না ছয় বছর আগে যেদিন বাড়ি থেকে চলে এসেছি সেদিনই সেই ভুলটাকে পেছনে ফেলে রেখে এসেছি,কখনও পিছু ফিরে দেখার সময় বা ইচ্ছে কোনটাই হয়নি আর কখনও হবে বলে মনেও হয় না।তবে কেন এই পিছুটান?কেন এই দ্বিধা?কোন মোহে আটকা পড়ে আমি আমার বর্তমানকে নষ্ট করছি?
চলবে…