রঙধনু-সিজন

রিসেপশনে সবাই উপস্থিত থাকলেও ফারিশের ফুফু আসেন নি,এই নিয়ে যদিও তাদের মধ্যে কোন মাথাব্যাথা নেয় কিন্তু তাদের মধ্যে যে আত্নীয়

মোহকে মাদুর পেতে গার্ডেনে বসিয়ে রেখেছে এভ্রিল,তার পাশে ফারিহা বসে আছে,সে বিভিন্ন আঙ্গিকে ছবি তুলতে ব্যস্ত..আশেপাশে অনেক মেয়েরাও তাই তুলছে,মোহ

বাড়িতে কেও আসার আগেই ফারিশ বাড়িতে চলে আসে,ঘরে এসে দেখে মোহ বারান্দায় ফুলের গাছগুলোকে নেড়েচেড়ে দেখছে..ফারিশ পা টিপে টিপে কোন

সকালবেলা, সবাই ডাইনিং এ বসে খাচ্ছে,মোহ ও খাচ্ছে…চুল ভিজার কারনে মোহর মাথায় ঘোমটা দিয়ে আছে,চুলের গোড়া দিয়ে টপটপ পানি পরছে..ফারিশ

রাতেরবেলা, মোহ আর ফারিশ বাড়ি ফিরেছে,সেই ভাবে ওয়েলকাম করলো পুরো ফাজ ফ্যামিলি..সবাই অনেক খুশি মোহ আর ফারিশের বিয়ের কথা শুনে..শুধু

ভাইয়া সত্যি বিয়ে করে ফেলেছে মা?” ফারিহা মুখে হাত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে বললো।। এভ্রিল ফারিহার হাতে একটা গাট্টা মারলো।।

ঘরে বসে মোহ নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলছে,ফারিশ থাপ্পড় মেরে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর আসে নি..এদিকে একা একা থাকতেও ভয় লাগছে

মোহ হালকা টিপটিপ করে চোখ খুলছে কিন্তু মাথাটা মনে হচ্ছে প্রচন্ড ভার লাগছে তার কাছে।। চোখ খুলে আশপাশে দেখে মনে

ফারিশ মোহকে নিয়ে বাড়ি পৌছালো,এভ্রিল অপেক্ষা করছিলো তাদের।। ফারিশ মোহকে কোলে তুলে নিয়ে আসলো ভিতরে,এভ্রিল দেখলো তার ছেলের কোলে যে

ফারিশ দেখলো বাড়ির শেষ কর্নারের দিকে একটা খুপড়ি মতো ঘর থেকে হালকা আলো আসছে,ফারিশ ওই ঘরের পিছে হন্তদন্ত হয়ে ছুটলো।।