রাগী বস

রাগী বস – পর্ব- ০৫

সিফাত:কাজ করছি আর সিনহা কে দেখছি,ও মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে।গভির মনোযোগ।কোনো দিকে তাকাচ্ছে না।মাঝে মাঝে কলম মুখে দিচ্ছে, ওর গোলাপি ঠোঁট দিয়ে কলম কামড়ে ধরা অসম্ভব সুন্দর লাগছে।ফ্যানের বাতাসে ওর চুল গুলো উড়ছে।লম্বা ফুর ফুরে সিল্কি চুল।আমি অপলক ভাবে তাকিয়ে দেখছি।আচ্ছা আমি ওকে এতো দেখছি কেন চোখ সড়াতে পারছি না।আমি কি ওর প্রেমে পড়ে যাচ্ছি নাকি।না না এটা কি হচ্ছে আমার সাথে আমি ওর কথা ভাবছি কেন,ধ্যাত সিফাত control yourself.
.
সিনহা:উফ এই চুল গুলো নিয়ে আর পারি না সকালে চুলগুলো ভেজা ছিলো জন্য খোলা রেখেছিলাম,এখন শুকে গেছে, বিরক্ত করছে খুব বলে কাটা দিয়ে চুল গুলো বাধলাম।
.
সিফাত:কাজ করতে করতে হঠাৎ সিনহার দিকে নজর গেলো,আরে আরে এই মেয়ে এমন কেন চুলগুলো বাধছে কেন,বেশ ভালোইতো লাগছিলো চুল গুলো। ধুর কি যে করে না,যা ইচ্ছা করুক।আবার কাজে মন দিলাম।
.
সিনহা:মনে হচ্ছে উনি আমায় দেখছেন,তাৎক্ষনিক তাকালাম উনার দিকে।উনিতো কাজ করছে,এদিকে তাকায়নি তো, কিন্তু আমার যে মনে হলো উনি আমায় দেখছে,ধুর কি সব মনে হয় আমার।আজাইরা সব চিন্তা ভাবনা মাথায় আসে ধ্যাত সিনহা এগুলো বাদ দিয়ে কাজে মন দে ।
.
সারাদিন অফিসে কাজ করে খুব টায়ার্ড। আর পারছি না অফিস টাইম শেষ শান্তি , এবার বাড়ি ফেরা যাক বলে স্যারের কাছে গেলাম।
.
সিনহা:স্যার,,?
.
সিফাত:হুম,,বলো?
.
সিনহা:বলছিলাম আমি আজ আসি?
.
সিফাত:তোমায় যেতে বলেছি আমি?
.
সিনহা:স্যার অফিস টাইম তো শেষ।সবাই যাচ্ছে আমিও যাই।
.
সিফাত:সবার সাথে তোমার সাথ,ওরা আর তুমি, ভুলে যেও না তুমি আমার পি.এ?
.
সিনহা:ইয়েস,,স্যার।
.
সিফাত:সো আমার কথা মতো চলবা,আমি যখন যেতে বলবো তখন যাবে।আর এখন চলো আমার সাথে।
.
সিনহা:কোথায় স্যার?
.
সিফাত:একটা মিটিং এটেন্ড করতে হবে,তুমি যেহেতু আমার পি.এ সো তুমি আমার সাথে যাবে got it?
.
sinha:yes,,sir.
.
sifat:so let’s go,follow
me.
.
sinha:ok sir বলে স্যারের পিছু পিছু গেলাম।আজ সারাদিন অফিসে ছিলাম,বাড়ি তাড়াতাড়ি গেলে ভালো হতো, জানি না মা কি করছে,শরীর কেমন আছে এখন।আমার টেনশন হচ্ছে খুব।আমি ছাড়া তো আর মায়ের কেউ নাই,আমারো মা ছাড়া কেউ নাই।মা না থাকলে আমি একদম একা হয়ে যাবো,মায়ের শরীর খুব খারাপ,ব্রেইন টিউমার।যখন তখন যা কিছু হয়ে যেতে পারে।আমার বাড়ি যেতে হবে কিন্তু যাবো কি করে এখন,বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে,একটু পর রাত হবে এইসব ভাবছি,স্যার ড্রাইভ করছে।আচমকা ব্রেক করলো। আচমকা ব্রেকে সিটের সাথে ধাক্কা লেগে ভাবনার জগত থেকে ফিরলাম হা করে তাকিয়ে আছি।
.
সিফাত:সিট বেল্ট লাগাওনি কেন?বলে সিট বেল্টটা লাগিয়ে দিলাম
.
সিনহা:সরি স্যার খেয়াল করিনি,!
.
সিফাত:তা করবে কেন,তুমি তো কিছুই খেয়াল করো না।যত্তোসব।
.
সিনহা:ধ্যাত সবসময় এমন করে কেন ভালোই লাগে না।এতোই যখন আমি বিরক্তি র কারন তাহলে সাথে রাখে কেন বুঝিনা,আমার জিবনটা তেজপাতা করার জন্য।মনে মনপ বললাম।
.
সিফাত:গাড়ি থামালাম,,নামো এসে গেছি?
.
সিনহা:মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সুচক জবাব দিয়ে নামলাম।
.
সিফাত:follow me.
.
সিনহা:স্যারের পিছন পিছন গেলাম,একটা রেষ্টুরেন্টের ভিতর গিয়ে থামলো,বেশ কয়েকজন ক্লাইন্ড কে বসে থাকতে দেখলাম স্যার গিয়ে ওদের সাথে কথা বলছে,আমি পাশে বসে আছি।আর স্যার কে হেল্প করছি কখনো কখনো।
.
মিটিং শেষ হতে অনেক রাত হলো।স্যারের সাথে বাড়ি আসলাম, এসে গেট পর্যন্ত স্যার আমায় এগিয়ে দিলো আমি ভিতরে গিয়ে মা বলে চিৎকার দিয়ে উঠলাম।এটা কি দেখছি আমি ছুটে মায়ের কাছে গেলাম,মা কেমন জানি করছে।অসুস্থ বেশি।অনেক আগেই থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রতিবেশীরা বললো।তারা একটু সেবা করেছে কিন্তু মা শুধু আমার কথায় বলে যাচ্ছে অনেকক্ষন থেকে।
.
সিফাত:সিনহা কে গেট অবদি পৌছে দিয়ে গাড়ির কাছে যেতেই ভিতর থেকে একটা চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পেলাম।গলা টা সিনহার মনে হলো।আমি ভিতরে গেলাম,গিয়ে দেখি সিনহা কাঁদছে পাশে বেশ কয়েকজন মহিলা।আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।এতো রাতে একটা মেয়ের সাথে তার বাড়িতে হয়তো আশা করেনি।
.
সিনহা:মায়ের পাশে বসে কেঁদে যাচ্ছি আর মা কে ডাকছি,বাট মা কেমন জানি নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছে কথা বলছে না।
.
সিফাত:কি হয়েছে সিনহা উনার,বলে পার্স টা চেক করলাম,এখনো চলছে,সিনহা তুমি বসে বসে কাঁদবে নাকি, এক্ষনি হসপিটালে নিয়ে চলো,,বলে সিনহার দিকে তাকালাম।
.
সিনহা:হুম চলুন,,বলে মা কে নিয়ে হসপিটালে গেলাম।সাথে স্যার ও।
.
To be continue….
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *