বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১৫
ওমা গো
।
মেঘ – তারা আমার বুকে মাথা গুজল। তারা
আমি আছি সাথে ভয় পেয় না। তারার মুখটা
উচু করলাম চোখ বন্ধ করে আছে। তারা- চোখ
বন্ধ করেই বললাম আমি ঘরে যাব। পক্ষনেই
আবার কোলে তুলে নিয়ে রুমে এলেন।
।বিছানা তে শুইয়ে দিলেন। পায়ে চুমু দিয়ে
চলে গেলেন।
আমি প্রায় লাফিয়েই উঠলাম।
।
সন্ধা তে-
বিছানায় বসে আছি।
বাইরে ঝড় হচ্ছে।
খুব ভাল লাগছে।
জানালা দিয়ে বাইরে হায় দিলাম।
কি ঠান্ডা।
হঠাত গিটার এর আওয়াজ শুনতে পেলাম।
স্যার এখন গিটার বাজাচ্ছে।
ওই দিন উনাকে জব্দ করতে গিয়ে উনার গান
শুনতে পারিনি ভাল মত।
গান এর গলা ভেসে এল-
”
আকাশ এতো মেঘলা যেও নাকো একলা
এখনি
নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে
পথ হারাবার ।
আঁধারো ছায়াতে চেয়েছি হারাতে
দু’বাহু
বাড়াতে তোমারি কাছে ।।
যাক না এমন
এইতো বেশ
হয় যদি হোক গল্প শেষ ।।
পূর্ন হৃদয় ভুলবে
সেদিন সময় শূন্যতার ।
আকাশ এতো মেঘলা
যেও নাকো একলা
.এখনি নামবে অন্ধকার
ঝড়ের জল-তরঙ্গে নাচবে নটি রঙ্গে
ভয় আছে পথ হারাবার।”
।
বাহ খুব সুন্দর গেয়েছেন।
একদম এই সময়ের জন্য পারফেক্ট।
মন হারিয়ে গেল গানে।
।
কিছুদিন পর পা ঠিক হল। মামনি – মেঘ আজ
কিন্তু মুহুল এর এংগেজমেন্ট আছে।
তুই আর তারা আজ তাড়াতাড়ি চলে আসবি। ।
মেঘ – তারার আজ যাওয়ার দরকার নেই
অফিস।
আমি সন্ধায় এসে তোমাদের নিয়ে যাব। ।
তারা- অবাক হলাম অনেক।
উনার ব্যবহার এত চেঞ্জ?
.
মামনি – কিরে এখানেই দাড়িয়ে থাকবি? ।
তারা- মামনি আমি যাব না।
।
মামনি – কেন?
।
তারা- আমি যেয়ে কি করব বলতো? আমি কি
কাওকে চিনি বলো? ?? কি করব ওইখানে
যেয়ে।
।
মামনি – চিনিস না গেলেই চিনবি। এত কথার
কি আছে।
চল আমার সাথে।
।
মামনি – কিছু কিনার আছে।চল
।
তারা- ওওকে
।
মামনি শপিং করছিল আর আমি ঘুড়ে ঘুড়ে সব
দেখছিলাম।
হঠাত চোখ আটকালো ১ টা চেইনে। লকেট টা
ছিল ” তারার”
খুব সুন্দর।
আমার নামের সাথে মিল আছে। কিনে তখনি
গলায় দিলাম।
এটা গলাতেই থাকবে এখন থেকে। ।
মামনি কিনা হল।
।
মামনি – হ্যা চল।
।
বাসায় –
।
মামনি – নে এটা ধর।
।
তারা – কি এটা।
।
মামনি – উপরে যেয়ে পরে দেখ। আজ এটা
পরিস।
।
তারা- মামনি কি দরকার ছিল?
।
মামনি – তোকে এত দরকার বুঝতে হবেনা।
তারা- সুন্দর ১ টা কালো রং এর লং ৩ পিছ
কিনেছে আমার জন্য।
ওড়না টা লাল।
পরে দেখলাম খুব সুন্দর লাগছে। ।
সন্ধায় –
মেঘ – মা তুমি রেডি?
।
মামনি – হ্যা
।
মেঘ – আমি চেঞ্জ করে আসছি। আমার
আলমারিতে কালো আর সাদা রং ছাড়া অন্য
রং এর জিনিস পাওয়া যাবেনা। কালো টি
শার্ট আর কালো জ্যাকেট, কালো জিন্স
পরলাম।
সব কালো।
চুল তো এমনি খাড়া খাড়া। জেল মেরে আরও
খাড়া করলাম।
।
নিচে গেলাম।
কি বয়পার তারা নামে নি?
।
মামনি – চুপ থাক তো মেয়েদের ১টু সময়
লাগেই।
।
মেঘ – আচ্ছা আমি গাড়ি র কাছে গেলাম। ।
গাড়ি তে হেলাম দিয়ে দাড়িয়ে- ছিলাম।
হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছিলাম আর ফোন
দেখছিলাম।
।
তারা- স্যার! স্যার! কোনো সারা শব্দ নেই। ১
কানের হেডফোন সরিয়ে” স্যারর র র র ” ।
মেঘ – উফফফফ কি হইছে?
বলে তারার দিকে তাকালাম। তারাকে
দেখেই আমি ক্রাশ খেলাম। কালো জামাতে
এত সুন্দর লাগছে। আল্লাহ! চোখ গুলাতে গাঢ়
করে কাজল দেওয়া। ঠোটে হালকা গোলাপি
লিপ্সটিক। চুল গুলা বেণী করে ১ পাশে এনে
রেখেছে। এটা খারাপ লাগছিল।
।
মামনি – কিরে হা করে কি দেখিস? ।
মেঘ – পরি।
।
মামনি – কিহ?
।
মেঘ – না মানে চল তাড়াতাড়ি দেরি হয়ে
যাচ্ছে।
।
মামনি ( ডাল মে কুছ কালা হে)। ।
মেঘ – মা তুমি বসো আমি আসছি। তারার হাত
ধরে নিয়ে গেলাম। তারা চুল খোলো।
।
তারা- না।
।
মেঘ- খোলো বলছি।
।
তারা- না না না।
চলে আসছিলাম।
।
মেঘ – হাত ধরে নিজের সাথে জরালাম। চুল
নিজেই খুলে দিলাম।চুল হাতে নিয়ে কিস
করলাম।
যাও এখন।
তারা- পিছনে মামনির সাথে বসতে যেতেই ।
মেঘ – আমি কি ড্রাইভার যে ২ জন ই পিছে
বসছ?
।
মামনি – তারা তুই সামনে যা। তারা-হুম।
।
খালার বাসায় –
মেঘ – কিরে আবির তোর খবর কি?
।
তারা- স্যার আবির নামের ছেলের সাথে
কথা বলতে বলতে চলে গেলেন ভিতরে। ।
আমি আর মামনি ১টু সামনে যেতেই।
অজানা১- এই মেয়েটা কে আপনার সাথে? ।
অজানা২- মাশা আল্লাহ খুব মিস্টি মেয়ে
তো।
।
অজানা৩- তোমার ছেলের বউ নাকি? ।
তারা- এই কথা শুনে লজ্জা তে মনে হচ্ছিল
মাটিতে মিশে যাই।
।
মামনি – না আমার ছেলের বউ না। তবে হতেও
পারে।
তারা- এই কথা শুনে বাশ ঝাড় টা পুরাই
আমার উপর পড়ল।
।
অজানা৪- না হলে আমাকে বল আমার ছেলে
আছে।
।
মেঘ – এমন কথা শুনে আমার মাথা গরম হয়ে
গেল।
মেয়ে দেখলেই হইছে এদের। আর কাজ কাম
পায় না তখন।
।
তারার হাত ধরে মুহুল এর কাছে নিয়ে
গেলাম।
।
মুহুল – আমাদের হবু ভাবি নাকি? ।
তারা- (আল্লাহ জমি ফাক করো আমি ঢুকে
পরি।) না না
।
মেঘ – না না তেমন কিছু না।ও আমার অফিসে
কাজ করে।
ওর নাম তারা।
।
আর ও মুহুল।
আমার খালার মেয়ে।
।
মুহুল – তেমন কিছু না তা শুধু অফিস থেকে
ওকেই কেন এনেছ?
।
মেঘ – ও আমার বাসায় আছে কিছু দিনের
জন্য।
মুহুল – তাই নাকি।
।
মেঘ – জি।
তারা- hi.
মুহুল- hi
।
মুহুল – মেঘ ভাইয়ের কানে ফিস্ফিসিয়ে
বললাম ” ভাই মেয়ে কিন্ত হেব্বি সুন্দর।
সময়ের সদ্ব্যবহার করো। নাহলে আশে পাশে
চেয়ে দেখ সব ছেলে তারার দিকে তাকিয়ে
আছে।
মেঘ – মুহুলের মাথায় টোকা দিলাম। অনেক
পেকে গেছ না?
।
মুহুল – হিহি।
তারা u r so cute.
.
tara- no u r so sweet.
.
মেঘ – আশে পাশে তাকালাম। দেখলাম সব
ছেলে তারাকে দেখছে।আর আমি জ্বলে
যাচ্ছি।
এত ওওকে দেখার কি আছে।
মেঘ – তুমি দারাও আমি আসছি।
।
আবির- hi. I’m ….. ?
তারা-আবির। i know. I’m tara.
।
আবির – তারা! wow খুব সুন্দর নাম তো। ।
bt তুমি কি করে জানলে আমার নাম আবির? ।
তারা- মেঘ স্যার তো তোমাকে সেই নামেই
ডাকলো।
।
আবির – মেঘ ভাই তোমার স্যার। ?
।
তারা- আমি তার অফিসে কাজ করি। ।
মেঘ – ওরা কি এত কথা বলছে। আর তারা তো
আবির কে চিনেও না এত কথার কি আছে? ।
তোমরা কি এত কথা বলছ?আবিরের কাধে
হাত রাখলাম।
।
আবির – ভাই পরিচিত হচ্ছি আর কি। ।
তারা- আমি মামনির কাছে গেলাম। ।
আবির – মামনি? ?
।
মেঘ – হুম। আমার মা।
মানে তোর খালা।
।
আবির – ( তারা ভাই কে বলল স্যার খালা কে
বলল মামনি মাজরা কি? ?)
।
মেঘ – কি ভাবছিস?
।
আবির – না কিছুনা।
আমি ওই দিক টাতে যাই।
তারা- মামনি!
।
মামনি – আরে কোথায় ছিলি এতক্ষন।
এইখানে বস।
।
এংগেজমেন্ট হয়ে গেল।
।
অজানা২- ভাবি তারাকে আমার খুব পছন্দ
হয়েছে।
আপনি যদি ওর বাবার সাথে কথা বলে
দেখতেন আরকি ভাল হত।
।
মেঘ – এক্সকিউজ মি।
মা চল।
।
মামনি – কোথায়। এখনও তো খাওয়া হলনা। ।
মেঘ – খাওয়া লাগবেনা চল তো তারা কই? .
।
মামনি – ওই দেখ মুহুলের সাথে। ।
মেঘ – মেঘ তারার হাত ধরে চল এখন। ।
মুহুল – আরে ভাই কি হয়েছে।
।
মেঘ – আমরা এখন বাসায় যাব। চল। ।
তারা- আরে এইভাবে টানছেন কেন। ব্যথা
লাগছে তো।
।মেঘ –
মা চল।
।
তারা- মামনির কানে ফিসফিস করে বললাম
মামনি কি হয়েছে উনার।
।
মামনি – কি জানি।
।
মেঘ -( দুনিয়াতে কি মেয়ের অভাব। যাকেই
দেখ তারার দিকে নজর দিচ্ছে) ।
গাড়ি ১ রেস্টুরেন্ট এর সামনে থামালাম। ।
মামনি – কিরে এইখানে কি হবে? ।
মেঘ – বাসায় যেয়ে ই কি রান্না করবা।
এইখান
থেকে খেয়ে যাই।
।
খেতে বসলাম –
।
মামনি – কিরে এত রেগে আছিস কেন? ।
মেঘ – কিছুনা চুপ করে খাও।
।
রাতে –
তারা- মামনির রুম থেকে নিজের রুমে
যাচ্ছিলাম।
দেখলাম উনি উনার রুমের সামনে দেওয়ালে
হেলান দিয়ে দারিয়ে আছে।
এত রাত এ এইভাবে কি করে কে জানে।
আমার কি? আমি ঘুমাতে যাই। সামনে দিয়ে
যেতেই টেনে একেবারে নিজের কাছে
নিলেন।
কি করছেন?
।
মেঘ – এত কথা কিসের হ্যা??
।
তারার- ( ছাড়ানোর চেস্টা করে) কিসের
কথা?
।
মেঘ – আবিরের সাথে? ওকে তো চিনো না
তো এত কথা কি বলছিলে?
তারা- সেটা আপনাকে কেন বলব। আমি কথা
বললে আপনার কি?
মেঘ – আমার কি তাই না। ওকে ঘুরিয়ে
দেওয়ালে লাগালাম।
আমার ১ হাত ওর কোমড়ে আরেক হাত
দেওয়ালে।
।
তারা- ঝড় এর বেগে আমাকে দেওয়ালে
লাগালেন।
ভয়ে উনার গেঞ্জি ধরে রেখেছি ২ হাত
দিয়ে।
চোখ বন্ধ করে।
আস্তে আস্তে চোখ খুললাম। দেখলাম চেয়ে
আছে আমার দিকে। কিন্তু চোখে কোনো
রাগ নেই। এইভাবে চেয়ে আছেন কেন?
কি হয়েছে বলুন তো।
।
মেঘ – হয়েছে কিছু ১ টা।
বলে গালে ১ টা কিস দিয়ে রুমে চলে
গেলাম।
।
তারা- গাল মুছতে মুছতে এই পোলা আসলেই
পাগল।
।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!