বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ১৫
সকালে –
।
তারা- আজ অফিস নেই কি শান্তি।
।
উনার ঘরে গেলাম।
উনি ঘুমাচ্ছেন।
মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসল।
লিপ্সটিক দিয়ে তার মুখ টা জোকার বানিয়ে
দিলাম।
হেহেহে।
।
মেঘ – উঠে ফ্রেশ না হয়ে নিচে রাখলাম।
কফির জন্য।
কিরে রুমি মুখ ধরে হাসছে কেন? ?
রনিও তো তাই করছে।
।
তারা – হাসি আর আটকাতে পারলাম না
জোরে হেসে উঠলাম।
।
মেঘ – কিরে সবার হল কি? ?
প্যান্ট এর চেইন এর দিকে তাকালাম।
নাহ লাগানই তো তাহলে হাসে কেন।
রুমে গেলাম আয়নার সামনে।
তারারারারা ( চিতকার দিলাম)
।
নিচে নেমে তারার ঘরে গিয়ে দরজা আগে
লাগালাম।
নাহলে ভাগবে জানি।
।
তারা : হেহেহে সরি সরি।
আর করবনা।
মেঘ – তুমি আবার আগের মত শুরু করছ??
।
আজ আর রেহাই নেই তোমার।
।
তারা : রেহাই কে চায়।
।
মেঘ ; কিহ?
।
তারা – কিছুনা।
।
মেঘ : এই এই দৌড় দিচ্ছ কেন।
দাড়াও দাড়াও
এই তো পাইছি।
এখন কি হবে??
।
তারা : কি আর হবে আপনি শাস্তি দিবেন।
আমি ভোগ করব।
।
মেঘ – তোমার ভয় নাই না?
।
তারা – আগে হত এখন আর হয় না।
।
কি শাস্তি দিবেন বলেন না।
।
মেঘ – তারার গালের সাথে আমার গাল
লাগিয়ে লিপ্সটিক অর গালে লাগিয়ে
দিচ্ছিলাম।
।
তারা : চোখ বন্ধ করে ছিলাম।
।
তার ছোয়াতে হারিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম।
।
মেঘ – চেয়ে দেখলাম অ চোখ বন্ধ করে আছে।
তাকিয়ে থাকলাম অর দিকে।
ছেড়ে দিলাম তারাকে।
।
তারা ; আরে কই যাচ্ছেন।
।
মেঘ : ফ্রেশ হতে।
।
তারা : আচ্ছা।
।
সন্ধায় –
তারা : পার্টিতে যাওয়ার জন্য রেডি
হচ্ছিলাম।
আমি আজকে সেই শাড়ি টা পরেছি যেটা
উনি আমাকে দমিয়েছিলেন আমি ফেলে
দিয়েছিলাম।
উনার রুম পরিস্কার করতে যেয়ে অইদিন এটা
নিয়ে এসেছি আমার কাছে।
।
রেডি হয়ে চুল আঁচড়াচ্ছিলাম আয়নার সামনে
দাড়িয়ে- । হঠাত উনাকে দেখলাম পিছনে।
।
মেঘ – আরে এটা অ পেল কই? ?
আমি মুগ্ধ অকে দেখে।
চোখ যেন পলক ফেলতে চায়না।
।
তারা : আয়নার দিকেই তাকিয়ে – আপনি? ?
।
মেঘ – হাতে রাখা গলার চেইন টা অকে
দেখালাম।
।
তারা – আপনিই পড়িয়ে দিন।
।
মেঘ : চেইন পড়িয়ে দিলাম।
ঘাড়ে একটা চুমু দিয়ে বেরিয়ে আসলাম।
।
আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি তারার।
।
তারা – সরি লেট হয়ে গেল।
রনিরা পরের গাড়িতে আছে।
আপনি চলুন।
।
শফিক সাহেবের বাসার সামনে গাড়ি থামল।
।
সবাই ঢুকলাম।
।
ইরা – কিরে এত দেরি কেন।
আরে তোরে ত সেই লাগছে।
আমি তো মেয়ে হয়েই চোখ সরাতে
পারছিনা।
তাহলে বল ছেলেদের কি হবে।
।
তারা – বেশি বেশি করিস না।
।
ইরা – জানি জানি তুই উল্টা ই বুঝবি।
অই দেখ তোমার উনি তাকায় আছে।
।
তারা – দুর ছাড় তো।
।
মেঘ – আমিতো অর থেকে চোখ ই সরাতে
পারছিনা।
।
শফিক সাহেব- মেঘ তারা কই.
।
মেঘ – অইখানে।
।
শ,সা- অহ আচ্ছা।
।মেঘ আমি ভাবছিলাম মেয়েটা কে তো
এবার বিয়ে দেওয়া দরকার।
যেহেতু বড় কেউ নেই তোমাদের তাই কথাটা
তোমাকেই বলছি।
তারা খুব ভাল।
আমি ছোট থেকেই অকে চিনি।
তোমার বাবার খুব ভাল বন্ধু ছিলাম আমি।
তুমি যদি চাও আমার ছেলে আছে যাকে তুমি
চিনো।
আমি তারাকে আমার ছেলের বউ করতে চাই।
।
মেঘ -( কি বলে কি এইসব। আমি ভাবছি আমার
বউ করব আর উনি)
আংকেল আমি ভেবে দেখব।
আপনি থাকুন।
আমি অই দিক থেকে একটু” আসি।
।
: হাই।
।
তারা – পিছে ঘুরে তাকালাম।
।
জি আমাকে বলছেন?
।
: জি হাই আমি আবির।
।
তারা – আমি তারা আর অ ইরা।
।
মেঘ – আরে আবির তারার সাথে!!!!!
।
আবির – আমার বাবার নাম শফিক রহমান।
তারা – আরে তাই।
।
মেঘের দিকে চোখ গেল।
ওমা ওইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন।
।
আচ্ছা তোমরা কথা বল আমি আসছি।
।
।
মেঘ – তারা এখন একা অর কাছে গেলাম
।
কি ব্যপার?
।
তারা – অন্য দিকে তাকিয়ে কি আর।
।
মেঘ – অই ছেলে কে চিনো তুমি?
।
তারা – নাহ।
কিন্তু বলল আংকেল এর ছেলে।
।
মেঘ – হুম।
কি বলছিল তোমাকে?
।
তারা- কিছুনা।
।
হঠাত লাইট ডিম হয়ে গেল।
soft music শুরু হল।
সবাই গানের তালে slow dance দিচ্ছে।
সামনের মানুষ টার মুখ”টা ও ভাল ভাবে দেখা
যাচ্ছেনা।
।
মেঘ – আংকেল কি বলেছে জানো?
।
তারা – কি?
।
মেঘ : আবিরের সাথে তোমার বিয়ের কথা।
তারা – অবাক হলাম কিন্তু তাকে বুঝতে
দেইনি।
।বাহ ভাল।
ছেলে দেখতে কিন্তু সেই।
।
মেঘ – অর কমোড়ে হাত দিয়ে নিজের সাথে
জরিয়ে ধরে – তাই নাকি? ?
।
তারা : কি হচ্ছে কি??
।
মেঘ – অন্ধকারে কেউ দেখবেনা।
তুমি আমার কথার উত্তর দেও।
।
তারা : মাথা নিচু করে মিটমিট করে
হাসছিলাম।
।
মেঘ : মাথা উচু করে – হাসছ কেন? ?
।
তারা : তার গলা জরিয়ে ধরলাম।
উত্তর পরে দিব।
।
মেঘ – না এখনি দেও।
।
তারা – মুড নাই।
মেঘ – কিহ মুড নাই।
আরো শক্ত করে ধরলাম।
তাড়াতাড়ি বল।”
।
তারা – উহু।
।
মেঘ – বলবে মা তো।
দাড়াও দেখাচ্ছি কোলে তুলে নিলাম।
তারা – আরে কি করছেন।?
কই নিয়ে যাচ্ছেন।
।
মেঘ – বাসায়।
।
তারা- আর আংকেল কে ….
।
মেঘ – চুপ।
এইখানের কাজ শেষ আমাদের।
।
তারা – ঠিক আছে।
চলুন।
।
গাড়িতে বসিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
।
বাসায় প্রবেশ করলাম।
।
মেঘ – এখন বল।
।
তারা – কি বলব।
।
মেঘ – আরে এর মধ্যেই ভুলে গেলে।
।
তারা – good night.
বলেই চলে যাচ্ছিলাম।
।
হাত টেনে ধরল।
আমার পিঠ লেগে আছে তার বুকের সাথে।
।
মেঘ – আমি জানি তুমি অন্য কাউকে বিয়ে
করতে পারবে না।
( কানের কাছে মুখ নিয়ে)।
ওর পেটে আমার হাত রেখে আরো কাছে
নিয়ে আসলাম।
কোথাও বাজ পরার শব্দ হল।
তারা আমার বুকে মাথা গুজল।
।
মেঘ – ভয় পেয়েছ?
।
তারা – হুম।
।
মেঘ : তারাকে কোলে তুলে নিজের ঘরের
দিকে যাচ্ছিলাম।
মেয়েটা চোখ বন্ধ করে আমাকে জরিয়ে ধরে
আছে
।
রুমে গেলাম সারাঘর অন্ধকারে ঢাকা।
হঠাত হঠাত বিদ্যুৎ চমকানোর আলো তে ঘর
আলোকিত হচ্ছে।
তারাকে বিছানায় শুইয়ে দিলাম।
তাকিয়ে আছি অর দিকে।
অন্ধকারেও অর মুখটা জল জল করছে।
লজ্জাতে
মায়াবী হয়ে উঠছে অর মুখটা।
চোখ বন্ধ করে আছে ও।
বাইরে বৃষ্টিহচ্ছে।
আর আমাদের মনে ঝড়।
।
তারার গালে চুমু দিতেই আমাকে শক্ত করে
আকড়ে ধরল।
।
তারা – আমি তার হাতের স্পর্শ পাচ্ছি
শরিরে।
মাঝে আংগুল গুলা খেলা করছে আমার চুলের
সাথে।
।
তার স্পর্শ তে শিউরে উঠছি মাঝে মাঝে।
তার ঠোট খেলা করছে আমার ঠোটের সাথে।
।
শক্ত করে ধরে আছি তাকে।
আজ নাহয় সব দুরত্ব শেষ হয়ে যাক।
।
তারার দিকে তাকালাম।
বিদ্যুৎ চমকানোর আলো তে স্পস্ট দেখতে
পেলাম তারার চোখের কোন দিয়ে পানি
বেয়ে পরছে।
তারাকে ছেড়ে উঠে বসলাম। ভুল হচ্ছে না
তো।
।
তারা – চোখ খুলে দেখি উনি নেই।
উঠে বসলাম।
উনি খাটের পাশে বসে আছেন।
।
আমি এগিয়ে গিয়ে তার হাত জরিয়ে ধরে ঘাড়ে
মাথা রাখলাম- বললাম- কি হল?
।
মেঘ –
কিছুনা।
বলে বারান্দা তে চলে গেলাম।
।
তারা – আমিও পিছু পিছু গেলাম।
তাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলাম।
কিছু হয়েছে আপনার?
।
মেঘ ( মেয়েটা এতো ভাল কেন?? এত
ভালবাসে আমাকে।
)
তারা তুমি এখন ঘরে যেয়ে ঘুমাও।
সকালে কথা হবে।
।
তারা – জি।
চলে আসতেই হাতে টান অনুভব হল।
।
মেঘ – তারার কপালে একটা চুমু দিলাম।
যাও।
।
তারা – সারারাত ২চোখের পাতা ১করতে
পারিনি।
।
মেঘ – কাল কে তারার জন্ম দিন আমি
কাল্কেই তারাকে সব বলে দিব।
আমি বলব আমি অকে বিয়ে করতে চাই।
এটাই হবে or birthday gift.
.
সকালে –
।
মেঘ – তারা শুন আজ আর তুমি অফিস যেওনা।
আমার কিছু কাজ আছে আমি ওটা করে চলে
আসব।
।
তারা – হুম।
উনি চলে গেলেন।
আমার শুধু কাল রাতের কথা মনে পরছে কি
লজ্জা।
কি লজ্জা।
।
চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!