বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ১৬

ফোনে ইরা –
তারা happy birthday dsto.
চল আজ আমি তোকে খাওয়াব
তারা – নারে আজ বের হতে পারবনা।
ইরা – কেন ।
তারা ; উনার বারোন আছে।
ইরা – অহ আচ্ছা।
best of luck.
তারা – কিসের জন্য

ইরা – হেহেহে who knows.
bye.
.
মেঘ – তারা! ! তারা! !

তারা – জি।
মেঘ – এটা নেও রেডি হয়ে আসো।
আমরা বের হব।

তারা – এই সন্ধায়।

মেঘ – হুম।

তারা – রেডি হয়ে নিলাম

খুব সুন্দর একটা শাড়ি দিয়েছেন।
কিন্তু উনি কি আমার জন্মদিন উপলক্ষ দিলেন
নাকি অন্য কিছু।

মেঘ – তারা! তারার দিকে তাকালাম মনে
হচ্ছে পরি নেমে এসেছে মাটিতে।
অর কাছে এগিয়ে গেলাম।
বিছানায় বসিয়ে দিলাম।

অর সামনে বসলাম।
পা একটু উচু করে আমার পায়ের উপর রেখে
১টা পায়েল পরিয়ে দিলাম।

হুম এখন চল।

তারা – কোথায়।

মেঘ – it’s a surprise.

তারা – রেস্টুরেন্ট এর সামনে গাড়ি থামল।
রেস্টুরেন্ট এর সামনে বিশাল বড় খোলা
জায়গা।
একটা টেবিল খুব সুন্দর করে সাজানো।
উনি আমাকে অখানে বসতে বলে এক জায়গায়
গেলেন।

আমি টেবিল এর সামনে যেতেই দেখলাম ১টা
birthday cake উপরে happy birthday tara লিখা।

আমার এত খুশি লাগছিল।

কাধে হাতের স্পর্শ পেলাম।
আমি মেঘ বলে রাকে জরিয়ে ধরলাম।
মাথা উঠিয়ে দেখি
আরে সিয়াম তুই? !!!?!

মেঘ – কিরে তারা সিয়াম কে জরিয়ে ধরে
আছে কেন?
নাহ এখন সামনে যাব না।
দেখি কি করে।
এতক্ষন ধরে কি কথা বলছে ওরা??

হঠাত দেখলাম সিয়াম তারার সামনে হাটু
গেড়ে বসল।
তারার রিং ফিংগার এ রিং পরিয়ে দিল।

প্রচন্ড কস্ট হল এটা দেখে।
আমার হাত থেকে রিং টা পরে গেল যেটা
দিয়ে তারাকে প্রপস করব ভেবে ছিলাম।
চলে আসলাম অইখান থেকে।

সিয়াম- tnx tara.
im just too happy.
.
তারা – এখন যা। পরে কথা হবে।

আরে উনিএখনো আসেন নি কেন ?

খোজ নিয়ে দেখি।

ওয়েটার এই টেবিল যে বুক করেছিল….

ওয়েটার – জি মেঘ স্যার।
উনি তো দেখলাম চলে গেলেন।

তারা – কিহ। আমাকে রেখে??
কি হল।
আজব ব্যপার।

বাসায় চলে আসলাম।

আরে আপনি আজব তো।
আমাকে রেখে চলে আসলেন। এটা কি হল।
আরে শুনছেন কি বলছি।

মেঘ – হঠাত উঠে তারার মুখ শক্ত করে চেপে
ধরলাম।
চুপ একদম চুপ।
কি ভেবেছ আমি কিছু বুঝিনা।
টাকার জন্য তাইনা এটা আমার টাকার জন্য
করলে? ?
( চিতকার করে)

তারা- কি কি বলছেন ??
কিছু বুঝতে পারছিনা।

মেঘ : বাহ বাহ ন্যকা কিছুই বুঝতে পারছ না।
কিন্তু আমি বুঝে গেছি।
কত টাকা চাই তোমার! ?

তারা – আপনি শান্ত হন। প্লিজ।

মেঘ – ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম।
মাথা কেড়ে গেল অর কিন্ত আমার কস্ট
হলনা।
তারা আমাকে ধোকা দিয়েছে।
ও আমাকে না সিয়াম কে ভালবাসে।

তারা – শুনুন আমার কথাটা শুনুন।
মেঘ – সব মেয়েরাই এক শুধু টাকা চাই ওদের।

তারা – অনেক হয়েছে।
কি টাকা টাকা করছেন।
দেখুন আপনি আমাকে অপমান করছেন।

মেঘ – অপমানের দেখেছ কি।
টাকার জন্য তো রাতে নিজেকে আমার
কাছে সপে দিয়েছিলে….

তারা – ঠাস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলাম।
আপনি এমন ভাবেন আমার সম্পর্কএ আমি সপ্ন
তেও ভাবিনি।
ছি।
আপ…. আপ…. আপনি আমার ভাল……

মেঘ – চুলের মুঠি ধরে চুপ একদম চুপ।
চলে যাও আমার চোখের সামনে থেকে
তোমাকে দেখতে চাই না আমি।
বের হও।
বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম।

ভাংচুর করলাম সারারাত।

সকালে –
মেঘ – তারার ঘরের দরজা খোলা দেখলাম।
এত সকালে কই গেছে।
আল্লাহ জানে।
আমার কি?

রুমি কফি দিয়ে যাও।

রুমি – স্যার ম্যাম কে দেখেছেন।

মেঘ – না কি হইছে।

রুমি – না মানে সকাল থেকে দেখছিনা তাই।

রনি – স্যার এটা বাগানে পেলাম।
এটা তো মেয়েদের পায়েল। কার হতে পারে।
রুমি তোমার ??

মেঘ- কিরে এটা কাল্কে তারাকে
দিয়েছিলাম।
তারার ঘরে গেলাম।
বিছানায় দেখলাম একটা কাগজ।

কাগজে লিখা -‘ সামনে আসব না আর।
চলে যাচ্ছি।
কিন্তু আফসোস আপনি আমার ভালবাসা
বুঝলেন না। বিনা অপরাধে কিসের শাস্তি
দিলেন তাও জানতে পারলাম না’ ।

মেঘ – খুব কস্ট হল। কিন্তু নিজেকে সামলে
নিলাম।
আমি জানি তুমি সিয়ামের কাছেই গেছ।
ভাল থাকো তারা।

দেখতে দেখতে ১ বছর কেটে গেল।
এখন শুধু home to office ar office to home.
তারার ও খোজ নেই নি।
সারাদিন অফিস এ পরে থাকি।
রাতে শুধু ঘুমাতে বাড়ি আসি।
ঘুম আর হয় কই।
সারারাত নির্ঘুম কাটে।
মাঝে মাঝে তারার চিঠি টা পরি।
আবার চোখে মুখে রাগ ফুটে উঠে। ভাংচুর
করি।
এই করেই দিন কাটছিল।

একদিন রাস্তায় চলার সময় দেখলাম সিয়াম
অন্য একটা মেয়ের সাথে।
কিরে ও কি তারাকে ছেড়ে দিল নাকি? ?
সিয়াম আমাকে দেখেও না দেখার মত পাশ
দিয়ে চলে যাচ্ছিল।

মেঘ – বাহ বাহ আর কত মেয়ে আছে তোমার
জিবনে। তারাকে ছেড়ে দিয়েছ নাকি??
অহহ বেচারি কোন টাকা দিতে পারেনি
তাইনা।

সিয়াম – তোমার মুখে তারার নাম টা শোভা
পায়না।
আর টাকা কি আমার কম আছে নাকি? ?
হয়ত তোমার মত বেশি না।
কিন্তু আমি তোমার মত ছোট লোক না।

মেঘ – মুখ সামলে কথা বল সিয়াম।
তোমাদের মত 3rd class মানুস দের আমার
চিনা আছে।
এই মেয়ে জানে তারার কথা আর তারা
জানে এই মেয়ের কথা।

:
সিয়াম চলতো।

মেঘ – হ্যা যাও যাও।
সবাইকে চিনা আছে।
ঠকবাজ।
: সিয়াম – শুনলে
লিলি কি বলল।

লিলি : বাদ দেও।
পাগল কিনা বলে আর ছাগলে কিমা খায়।

মেঘ – হা হা। তাই নাকি।
রিং পরাবে এক জন কে, ভালবাসবে একজন
কে আর বিয়ে করবে একজন কে। এটাই তো
পারো তোমরা।

লিলি :shut up. just shut up.
who the hell are you think of urself .
ha? ?
আর তখন থেকে দেখছি অকে অপমান করে
যাচ্ছেন।
অ আমার husband. don’t u dare talk to him like
that.
i won’t tolerate that.
do u understand that.
.
মেঘ – তা তোমার so called husband এর পাস্ট
জানো তো।

লিলি : আরে আপনি আমাকে অর পাস্ট কি
শুনাবেন।
পাস্ট তো শুনাব আমি আপনাকে।
তারার কথা বলছেন তাইনা।
আরে আপনি তো অর যোগ্য ঈ ছিলেন না।
অকে কখন বুঝেছেন।
আসছে আবার অদের নিয়ে কথা বলতে।
আরে ভালবাসা কি সেটাই তো জানেন না।

আসছে অকে ঠক বাজ বলতে।

সিয়াম : চল তো বাদ দেও।

লিলি : না সিয়াম উনাকে সব জানতে হবে।
তাহলে না উনি বুঝবে কি হারিয়েছে
জিবনে।

মেঘ – কি বলতে চাইছ।

লিলি – তো শুনুন কান খুলে অই দিন রাতে
আসলে কি হয়েছিল।
অইদিন রাতের ঘটনা (( তারা – আরে তুই
সিয়াম।
এইখানে কি করিস।
সরি আমি মেঘ কে ভাবছিলাম।

সিয়াম – আরে তুই এইখানে? ?happy birthday
dsto.

তারা – tnx yr. দেখ উনি কি সুন্দর করে আমার
জন্য surprise plan করেছে।

সিয়াম – ব্যপার কি? ?

তারা : উনি মনে হয় আজ উনার মনের কথা
আমাকে বলে দিবে। উফফ সেটার অপেক্ষা
করছি।

সিয়াম – আর তোর মনের কথা।

তারা – আমি রাজি এক পায়ে হাহাহা।
।তুই কি করিস এইখানে।

চলবে
.
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *