ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 2 !! Part- 07

নীড় ছুটে বেরিয়ে গেলো। নীড় যেতে যেতে জনকে ফোন করলো।
জন : hello sir…
নীড়: তোমার ম্যাম কোথায় জানো?
জন: ম্যাম তো এই অমানুষটাকে আমার হাতে দিয়েই যেন কোথায় বেরিয়ে গেলো?
নীড় : আচ্ছা রাখছি….
জন: জী স্যার।
নীড় : আমার সন্দেহ যদি ঠিক হয় , এইকদিনে ওকে যতোটুকু বুঝেছি তখন মনে হচ্ছে আমার ধারনাই ঠিক…
.
দুপুর গরিয়ে রাত হলো। মেরিন এখনো এলোনা।
নীড় : না জানি কি করেছে? কখন আসবে?
তখন মেরিনের গাড়ির আওয়াজ পেলো। মেরিন বাড়িতে ঢুকলো। মেরিনকে দেখে স্বাভাবিক মনে হলেও এর পেছনে গভীর কিছু আছে যা কেবল নীড় বুঝতে পারলো।
নীলিমা : একি তোর হাত কাটলো কি করে?
মেরিন : একটু কেটে গেছে।
নীলিমা: ব্যান্ডেজ দেখে মনে হচ্ছেনা একটু কেটেছে।
নিহাল: আবার কার সাথে ঝামেলা করেছে দেখো।
মেরিন ওপরে গেলো। নীড়ও পিছে পিছে গেলো।
নীড় : যখন office এ ছিলে তখনতো short হাতার dress পরেছিলে। তো এখন full হাতা কেন?
মেরিন : আমার ইচ্ছা।
নীড় আর কিছু না বলে first aid box নিয়ে মেরিনকে ১টানে বেডে বসালো। এরপর মেরিনের জামার হাতা ১টা ছিরে ফেলল। যা ভেবেছিলো তাই। মেরিনের হাত ক্ষতবিক্ষত। আঘাতের চিহ্ন। নীড় আন্দাজ করেছিলো যে মেরিন নিজেকে আঘাত করতেই গেছে। কারন তখন নীড় ওকে বলেছিলো যে তোমার জন্য আমি ব্যাথা পেয়েছি। নীড় মেরিনের হাতে ঔষধ দিয়ে দিচ্ছে। আর মেরিন নীড়কে দিয়ে দেখছে। হাতে ঔষধ দেয়ার পর
নীড় : সারা শরীরেরও কি এই একই অবস্থা?
মেরিন:….
নীড় মেরিনের স্যালোয়ার হাটু পর্যন্ত পটপট করে ছিরে দিলো। এরপর সেখানেও ঔষধ দিয়ে দিলো। then মেরিনকে ঘুরিয়ে ওর পিঠে হাত দিতে গেলে মেরিন হাত ধরে ফেলল।
মেরিন : আমি লাগিয়ে নেবো।
নীড় থেমে গেলো।
রাতে নীড় নিজের হাতে মেরিনকে খাইয়ে দিলো।
.
২দিনপর….
আজকে শুক্রবার। তাই সবাই বাসায়।
নিহাল: এই মেয়ে এই তুমি আমার মায়ের শাড়ি পরেছে কেন?
মেরিন : কারন আমি তোমার মা লাগি।
নিহাল : আমার মা? আমার মা হওয়ার তোমার কোনো যোগ্যতা নেই।
মেরিন : আছে আছে। ১ডজন যোগ্যতা আছে।
নিহাল: মোটেও না। আমার মা অতো খারাপ ছিলোনা তোমার মতো। বুঝেছো?
মেরিন: ইশ, যে না ১টা কালোকুলো মা….
নিহাল: ওই তোমাকে না বলেছি আমার সাথে কথা বলবেনা… বেয়াদব মেয়ে….
মেরিন : এখানে সবাই সাক্ষী যে তুমি আগে কথা বলেছো?
নিহাল : huh….
নীড় মনে মনে হাসছে। সুন্দর ১টা সময় কাটছে। ঠিক তখনই নীড় ৫-৬টা বন্ধু এসে হাজির হলো। তাদের মধ্যে ২জন মেয়েও আছে। ১জন এসে নীড়কে জরিয়ে ধরে গালে কিস করলো। যার নাম লিমা।
লিমা : missed you ইয়ার….
নীড় এমনিতেই এগুলো পছন্দ করেনা। তারওপর মেরিন। নীড় তারাতারি নিজেকে ছারিয়ে মেরিনের দিকে তাকালো। দেখলো মেরিন শান্ত চোখে তাকিয়ে আছে। যা দেখে নীড় বেশি ভয় লাগলো।
কারন এই কয় মাসে নীড় মেরিনকে দেখে যা বুঝেছে তা হলো এই যে মেরিন শান্ত থাকা মানেই ১০ নম্বর বিপদ সংকেত। তাই বন্ধুরা যাওয়ার আগে নীড় লিমাকে বলল সাবধানে থাকতে। আর এখান থেকে সরাসরি বাসায় যেতে। আর মিনিমাম ১সপ্তাহের মধ্যে যেন বাড়ি থেকে বের না হয়। লিমা এটাকে মজা মনে করলো।
.
রাতে….
নীড় : মেরিন….
মেরিন : হামম।
নীড় : লিমা একটু free minded….
মেরিন : হামম।
নীড় : তাই বলছিলাম কি….
মেরিন : no worry ওকে জানে মারবো না। বাচিয়ে রাখবো।
নীড় : দেখো ….
মেরিন : দেখছিই তো…. আপনাকে।
বলেই মেরিন নীড়ের ঠোট জোরা দখল করে নিলো। পরদিন মেরিন নিজে লিমা কে গাড়ি দিয়ে accident করালো। এরপর নিজেই হসপিটালে নিয়ে গেলো। লিমার জ্ঞান ফেরার পর।
মেরিন : আর যেন কোনোদিন এই চোখ তুলে নীড়ের দিকে না তাকাতে দেখি। আর যেন কোনো দিন এই হাত দিয়ে নীড়কে ছুতে না দেখি….

কিছুদিনপর…
নীড়-মেরিন office এ কাজ করছে। নীড় ফাইল ঘাটছে আর মেরিন ল্যাপটপে কাজ করছে। তখন কেবিনে নিলয় এলো। নিলয়কে ১পলক দেখেই মেরিন চোখ নামিয়ে নিলো। ভয়ে আজও মেরিনের হাত পা ঘামতে লাগলো।
নীড় ১বার মেরিনের দিকে তাকালো ১বার নিলয়ের দিকে।
নীড় : hello নিলয় ভাইয়া…
নিলয় : hello…
নীড় : বসুন….
নিলয় বসলো।
নীড় : ভাইয়া বসুন আমি একটু আসছি।
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো।
নিলয় : বাহ তোর জামাই তো দেখি বেশ বুদ্ধিমান… আমাদের সময় দিয়ে গেলো….
বলেই নিলয় চেয়ার থেকে উঠতে নিলো।
মেরিন : যেখানে আছিস ওখান থেকে আমার দিকে ১পাও বারালে…
নিলয় : তুই আমার কিছুই করতে পারবিনা। কারন তোর উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়া পর্যন্ত তুই আমার কিছুই করবিনা। আর আমিও আমার উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়া পর্যন্ত তোকে তার খবর দিবোনা। তোকে নিজের করবো…. এরপর…. তোকে ১বার ছুতে পারলে তোর হাতে মরলেও আফসোস থাকবেনা।
মেরিন : সাবধানে থাকিসরে…. এমন না হয় যে তোর পাপের ঘরা ভরে যায়। আর তোকে আমি আগেই মেরে ফেলি।
নিলয় :পারবি না রে। চিনি তোকে।
মেরিন : যদি তুই আগে ভাগেই বলে দিসে তবে তোকে একটু কম যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু দিবো। কথা দিলাম। কিন্তু তুই যদি আরো নিচে নামিস তোর মৃত্যু যে কতোটা ভয়ংকর হবে তুই কল্পনাও করতে পারবিনা।
নিলয় মেরিনের কাছে গিয়ে ওর ঘাড়ে আঙ্গুল বুলিয়ে
বলল : তাই বুঝি?
মেরিন আর দেরি না করে হাত থাকা কলম টা দিয়ে নিলয়ের হাতে পার দিলো।
নিলয় : আহ।
মেরিন : আমাকে ছোয়ার অধিকার কেবল আমার নীড়ের আছে। আরেকবার যদি আমার দিকে হাত বারাস তাহলে আমি সব ভুলে যাবো। আর তোর হাত আমি কেটে দিবো।
নিলয় : তোর নীড় তো তো ছুতেও ঘৃণা করে। তোকে তো আমিই কেবল ছোবো।
বলেই নিলয় চলে গেলো।

রাতে…
মেরিন ছাদের রেলিং এ বাইরের দিকে পা ঝুলিয়ে বসে drinks করছে। নীড় মেরিনকে খুজতে খুজতে ছাদে গেলো।
নীড় : একি ? তুমি এখানে?
মেরিন ১বার নীড়ের দিকে তাকিয়ে চোখ ঘুরিয়ে নিলো।
নীড়: কিছু বলছি তো….
মেরিন : শুনছি… বলুন…
নীড় : এখানে কি করছো…
মেরিন: দেখছেন না বুঝি…. oh আপনি তো আবার আমাকে চোখেই দেখেন না।
নীড় : চোখে দেখার মতো কি তুমি কেউ?
মেরিন সেই চির রহস্যময়ী হাসি দিলো।
নীড় : মাতলামো বন্ধ করো।
মেরিন এবার হাহা করে হেসে উঠলো। এরপর উঠে এলো।
নীড়ের ২কাধে হাত রেখে
বলল: আমি মাতাল…. কিন্তু আপনি তো সেই জুয়ারিহ…. যে কখনো নিজের বউকেও বন্ধক রাখতে, বাজী ধরতে দ্বিধা বোধ করবেন না…
নীড় মেরিনের হাত সরিয়ে দিলো।
বলল : কি যা তা বলছো?
মেরিন : আচ্ছা আমাকে নিজের বউ নাই ভাবেন… কিন্তু আমি তো ১টা মেয়ে তাইনা…. তাহলে কককিভাবে ওই নিলয়ের সাথে একা রেখে বেরিয়ে এলেন…
নীড় : ….
মেরিন : কি হলো বলুন….
নীড় : নিলয় ভাইয়া তোমার কাজিন … আর তাছারাও….
মেরিন : তাছারাও ???
নীড় :ওর সাথে তোমার একসময় সম্পর্ক ছিলো। হয়তো এখনো আছে…
মেরিন : আপনার কি সত্যি ওই বাজে লোকটার কথা বিঃশ্বাস করেছেন?
নীড় : না করার কি কোনো কারন আছে? আর ওই নিলয় ভাইয়াকে বাজে বলার আগে নিজের কথা বিচার করে নাও। তোমারও তেমন কোনো ভালো record নেই।
মেরিন : আমার কি খারাপ
নীড় : সবটাই…
কাজ,, স্বভাব background … origin …..
মেরিন: আমার origin , background খারাপ? আর নীরার বুঝি ভালো?
নীড় : ও তোমার মতো না। তুমি তো জেদের বসে আমার সাথে এমন করেছো। কিন্তু ও তো আমাকে ভালোবাসে।
মেরিন : হ্যা ভীষন ভালোবাসে আপনাকে তাই অন্যের বাচ্চার মা হয়…
কথাটা বলতে না বলতেই নীড় মেরিনকে থাপ্পর মারলো।
নীড় : একদম আমার নীরার নামে বাজে কথা বলবেনা তোমার ওই মুখ দিয়ে?
মেরিন : আমি নোংরা?
নীড় : হ্যা অবশ্যই। বাজে মেয়ে। তাইতো নিলয় ভাইয়ার সাথে এতোদিনের relation থাকা সত্তেও কেবল নীরাকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমাকে বিয়ে করেছো।
মেরিন : 😂😂😂।
নীড় : আসলে যার origin এমন, গোরাই এমন তখন তাকে তো অমন হতেই হবে?
মেরিন: মানে?
নীড় : মানে ভীষন সহজ। মা যেমন তার মেয়েও অমন।
মেরিন : নীড়….
নীড় : আমাকে ঝারি মারলেই কি সত্যটা পাল্টো যাবে না। সারা শহর জানে তোমার চরিত্রহীনা মায়ের কথা….
মেরিন : নীড়…
বলেই মেরিন নীড়কে থাপ্পর মারার জন্য হাত ওঠায়। কিন্তু নীড়ের গালের সামনে নিয়ে বহুকষ্টে হাতটা থামিয়ে নিলো।
.
মেরিন : i hope যদি আপনাকে ভালোনাবাসতাম…. আমি খারাপ আমার origin খারাপ,,, কিন্তু আপনি তো ভালো। বউ হিসেবে নাই বা respect করুন। মেয়ে হিসেবে তো করুন। লজ্জা করেনা এই কথা বলতে। কি এমন দেখেছেন যে এতো বড় কথাটা বললেন? হ্যা বলুন? ওই পশুটার কথা শুনে আমাকে এগুলো বললেন তো? আরে আপনার বাবা যে আমাকে dislike করে তাকে গিয়ে বলুন আজকে যে কাজটা সকালে করেছেন , আর যে কাজটা এখন করলেন সেটা ঠিক করেছেন কিনা? এর থেকে যদি আমাকে কোনো পতিতালয়ে বিক্রি করে দিতেন কসম আল্লাহর কম কষ্ট লাগতো। এতো ঘৃণা আমার জন্য?
বলেই মেরিন নিচে চলে গেলো। গিয়ে blanket মুরি দিয়ে শুয়ে পরলো। কিছুক্ষন পর নীড়ও রুমে গেলো। blanket টা নরতে দেখে বুঝতে পারলো যে মেরিন কান্না করছে।
নীড় মনে মনে : আসলেই আজকে বেশি করে ফেলেছি… ঠিক হয়নি।

পরদিন…
নীড় : দেখুন নিলয় ভাইয়া অতীতে মেরিনের সাথে যা যা হয়েছে তা হয়েছে। এখন আর অতীত ঘাটার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। আপনি এখন মেরিনের অতীত। তাই আপনি আপনার মতো থাকুন আর মেরিনকে মেরিনের মতো থাকতে দিন।
নিলয়: হঠাৎ মেরিনের জন্য এতো কথা? তুমি না নীরাকে ভালোবাসো?
নীড় : হ্যা বাসি। কিন্তু মেরিন এখন চৌধুরী বাড়ির সম্মান। যাই হোক যেভাবেই হোক ও আমার বিয়ে করা বউ….
নিলয় : আর আমার বিয়ে না করা বউ।
নীড় : মানে?
নিলয়: তুমি অতোটাও অবুঝ নও যে তুমি বুঝবে না। ও কতোটা খারাপ তুমি ভাবতেও পারবেনা। তুমি তো ওর স্বামী তুমি নিশ্চয়ই জানো ওর শরীরের ঠিক কোথায় কোথায় তীল আছে? আমিও জানি। পিঠের বাম দিকে, কাধে, ব…
নীড় : stop ভাইয়া।
নিলয় : ok… stop…. but আমি চুপ করলেই তো আর সত্য পাল্টে যাবেনা। তাইনা।
নীড় আর কিছু না বলে চলে গেলো।
নিলয় : যাও নীড় বাবু যাও… আজকে গিয়ে মেরিনকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনো।
.
নীড়ের মাথায় আগুন লেগে গেলো। জানেনা কেন এতো রাগ লাগছে। মেরিনকে নিয়ে এমন feeling হওয়ার কোনো কারনই নীড় খুজে পাচ্ছেনা। কিন্তু রাগের চোটে নীড়ের মাথা ফেটে যাচ্ছে। রাত ১১টায় নীড় বাসায় ফিরলো। এখনও রাগ কমেনি। বরং বেরেছে। তারমধ্যে এসে দেখে মেরিন শাড়ি পরে আছে। সুন্দর লাগছে। নিজের চোখ ঘুরিয়ে নিয়ে গলার টাই খুলতে লাগলো।
মেরিন নীড়কে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন: i am sorry…. জান….. কালকে অমন করার জন্য…
নীড় মেরিনকে সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মেরিন আরো জোর করে ধরে রেখেছে।
মেরিন : বললাম তো sorry ….

নীড় নিজেকে ছারিয়ে ঠাস করে মেরিনকে থাপ্পর মারলো।
নীড় : ফালতু মেয়ে কোথাকার….
মেরিন : মানে?
নীড় : মানে….
বলেই নীড় ১টানে মেরিনের শাড়িটা খুলে ফেলল। মেরিন উল্টা দিকে ঘুরে গেলো। নীড় মেরিনের পিঠের তীলটা দেখলো। যা দেখে নীড়ের মাথা আরো গরম হয়ে গেলো। ও মেরিনকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিলো।
নীড় : এই কারনে তোমাকে ফালতু বলেছি এই তীল গুলোর জন্য। লজ্জা করেনা ১জনের মন ভেঙে আমার কাছে আসতে….
মেরিন : নিলয় বলেছে….
নীড় : সত্যিই বলেছে….
মেরিন : আপনার কাছে সবাই সত্যবাদী আমি ছারা। ওই নিলয়ের কথা আপনি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন আর আমার না…
নীড় : তোমার মধ্যে সত্যের কি আছে? তুমি পুরোটাই মিথ্যা। কারন যদি নিলয় মিথ্যা হতো তবে এই তীল গুলো গুলো সত্যি হতোনা… আর তোমাকে যতোদূর চিনি,,, নিলয় তোমার সাথে এমব behave করে তবুও তুমি ওকে জীবীত রেখেছো…. কারন নিলয় সত্যি বলছে।
মেরিন : আমি যদি বলি নিলয় মিথ্যা বলছে…
নীড় : বিশ্বাস করবো না। তাহলে নিলয় ওগুলো জানলো কি করে? আর নিলয়কে কিছু বলোনি কেন?
মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।
মেরিন : আমার তীল নিলয় কিভাবে দেখলো? নিলয় কেন বেচে আছে জানতে চান?
নীড় : ….
মেরিন : জানাবো না। যেদিন ভালোবেসে জানতে চাইবেন সেদিন জানাবো….
ভালো তো আপনি আমাকে বাসবেনই। কিন্তু হয়তো সেই ভালোবাসা আমি দেখতে পারবোনা।
বলেই মেরিন ১টা জামা নিয়ে washroom এ গেলো। এরপর বেরিয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
.
পরদিন…
নিলয়: করছো কি নীড়? ছারো আমাকে…
কে শোনে কার কথা…. নীড় দে দানা দান পিটাতেই লাগলো নিলয়কে। ইচ্ছা মতো মারলো নীড় নিলয়কে।
নীড় : আর কখনো যেন তোর ওই নোংরা মুখে আমার বউর নাম শুনি…. আর কখনো যেন ওই নোংরা চোখ দিয়ে আমার বউর দিকে তাকাতে না দেখি…. জানে মেরে দিবো।
বলেই নীড় চলে গেলো।

রাতে….
নীড় বাসায় গেলো। রুমে ঢুকে দেখে মেরিন বারান্দায়। একটু এগিয়ে যেতেই নীড় শুনতে পেলো…
🎶🎵🎶
মা….
আমার সাধ না মিটিলো
আশা না পুরিলো
সকলে ফুরায়ে যায় মা… (2)
জনমের শোধ ডাকি গো মা তোরে
কোলে তুলে নিতে আয় মা…
আমার সাধ না মিটিলো
আশা না পুরিলো
সকলি ফুরায়ে যায় মা….
🎶🎵🎶..
নীড় উপস্থিতি টের পেয়ে মেরিন থেমে গেলো। চোখের পানি গুলো মুছে নিলো। নীড় চুপচাপ মেরিনের পিছে গিয়ে দারালো।
নীড় : sorry….
বলে নীড় washroom এ চলে গেলো। বেরিয়ে দেখে ছোট টেবিলটাতে খাবার সাজানো। আর সোফায় মেরিন শুয়ে আছে।
নীড় কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস
করলো: খেয়েছো….
অন্য ১টা সময় হলে মেরিন অনেক খুশি হতো…. কিন্তু এখন চাইলেও খুশি হতে পারবেনা মেরিন। তাই চুপ রইলো। নীড়ও কিছু না খেয়ে আধশোয়া হয়ে হেলান দিয়ে বসে রইলো। লাইট নিভিয়ে দিলো।
.
নীড় কপালে হাত দিয়ে বসে আছে। তখন বুঝতে পারলো কেউ ওর কেটে যাওয়া বাম হাতটার ব্যান্ডেজটা খুলে নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে। আসলে নিলয়ের সাথে মারামারি করতে গিয়ে হাত কেটে গিয়েছিলো। মেরিন নীড়ের হাতে ব্যান্ডেজ করে প্লেটে খাবার এনে চুপচাপ নীড়ের মুখে ঢোকাতে লাগলো। নীড়ের চোখের দিকে তাকাচ্ছেনা।
নীড় : তুমি খেয়েছো?
মেরিন : ….
নীড়কে খাইয়ে মেরিন চুপচাপ অল্প একটু খেয়ে নিয়ে বাকি গুলো নিচে রেখে আসলো। এরপর এসে নীড়কে জরিয়ে ধরে ওর বুকে মাথা রেখে শুয়ে পরলো। কেন যেন নীড়ের ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো।

পরদিন…
নীড় রেডি হয়ে নিচে গেলো। গাড়ির ওখানে যেতেই দেখলো মেরিন driving sitএ বসে আছে। যার মানে নীড়কে কাটা হাত নিয়ে drive করতে দিবেনা। নীড় গিয়ে গাড়িতে বসলো। মেরিন গাড়ির start দিলো। একটুপর মেরিনের ফোন এলো। মেরিনের কানে bluetooth লাগানো।
মেরিন : hello..
জন: ম্যাম… নীড় স্যারের গাড়িতে টাইম বোম্ব লাগানো আর সেই সাথে ব্রেক ফেইল।
কথাটা শুনে মেরিনের মাথায় আগুন জ্বলে গেলো।
মেরিন: find out…
বলেই মেরিন কেটে দিলো।
মেরিন দরজা খুলে দিলো।
মেরিন : sit belt খুলুন।
নীড় : কেন?
মেরিন: বলেছি খুলতে খুলুন….
বাধ্য হয়ে নীড় খুলল।
মেরিন: কোনো কথা না বলে গাড়ি থেকে লাফান…..
নীড় : what? why?
মেরিন : অতো কথার সময় নেই যা বলছি করুন…
নীড় : চলন্ত গাড়ি থেকে ?
মেরিন নীড়কে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ওকে ধাক্কা মারলো। নীড় ছিটকে বাইরে পরলো। খানিকটা ব্যাথাও পেলো…. নিজের balance ঠিক করতে করতেই কিছু blust হওয়ার শব্দ পেলো। সামনে তাকিয়ে দেখে গাড়ি blust…
নীড়: মেরিন…
নীড় দৌড়ে গেলো। দেখলো গাড়ি থেকে খানিকটা দূরে মেরিন পরে আছে। মেরিন গাড়ি থেকে ঝাপ দিয়েছিলো। নীড় দৌড়ে গিয়ে মেরিনের কাছে গেলো।
নীড় : তুমি ঠিক আছো?
বিনিময়ে মেরিন রহস্যঘেরা হাসি দিলো। নীড় মেরিনকে হসপিটালে নিয়ে গেলো।

২দিনপর…
নীড় ফোনে কথা বলতে গেলো। কথা বলে এসে দেখে মেরিন নেই। পাগলের মতো খুজতে লাগলো।
ওদিকে…
নিলয়কে বেধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ওর সামনে দারিয়ে আছে ওর কাল। মেরিনের হিংস্র রূপটা দেখে নিলয় আতকে উঠলো।
নিলয়: তুই এবারও আমার কিছু করবি নারে…. আমি জানি…. কা….
আর বলতে পারলোনা….
মেরিন ওর জিহ্বা বরাবর ছুরি মারলো।
এরপর হাতে আরেকটু বড় ধরনের ছুরি নিয়ে নিলয়ের সামনে গেলো।
মেরিন : আজকে তোকে বাচাতে পারে এমন কোনো শক্তি নেই আল্লাহ ছারা…. & trust me… আল্লাহ মনে হয় না তোকে বাচাবেন। হয়তো তোর মৃত্যুর উছিলা আমি….
বলেই নিলয়ের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করলো।
মেরিন : যখন ১৩ বছরের বাচ্চা ছিলাম তখন তুই তোর এই হাত দিয়ে আমার ইজ্জত লুটতে গিয়েছিলি….
বলেই নিলয়ের ১হাত কেটে ফেলল।
নিলয় ব্যাথায় আহ করে উঠলো । কথা তো আর বলতে পারবেনা।
ছটফট করতে লাগলো।
মেরিন : চেচা নিলয় চেচা… রোজ চেচাবি…. কারন আজকে তো তোকে মারবো না….
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো….
.
চলবে….