ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 02

সকালে…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো ।
মেরিন : আহ…
আসলে কাটাগুলোর আঘাতে মেরিন জর্জরিত… কিন্তু মাথা তুলে নীড়ের মুখ দেখে ওগুলো ভুলে গেলো । নীড়ের চোখে-মুখে-ঠোটে কিস করে উঠে গেলো । এরপর কাটাগুলো সরিয়ে ফেলল । washroom এ গেলো fresh হতে । তখন আয়নায় নিজেকে দেখলো । কাটা গুলো হাতের কয়েকটা জায়গা লম্বা চড়া আচর কেটেছে । যেটা দেখে মেরিন বাকা হাসি দিলো ।
মেরিন : চলো…একটু শাশুড়ি ফুপ্পির মাথাটা নষ্ট করি… 😉।
মেরিন short sleeve এর ব্লাউজ দিয়ে শাড়ি পরলো । এরপর নিচে গেলো ।
.
নীলিমা রান্নাঘরে রান্না করছে । মেরিন ঢুকতে নিলে
নীলিমা বলল : ওখানেই দারা। ভেতরে ঢোকার সাহস করবিনা…
মেরিন বাকা হেসে ভেতরে ঢুকলো ।
মেরিন : খানেদের সাহস যে কতোটা বেশি সেটা তোমার থেকে ভালো অন্য কেউ জানেনা । তাইনা শাশুড়ি ফুপ্পি । আর তার মধ্যে আমি হলাম মেরিন বন্যা…
নীলিমা : খুনী মেরিন বন্যা। আমার ভাইয়ার খুনী…
মেরিন : এখন তোমার ধারনা তো আর পাল্টাতে পারবোনা… so nothing to do… কি রান্না করছো? help করি?
নীলিমা : huh…
নীলিমার চোখ গেলো মেরিনের হাতের দিকে।
নীলিমা : তোর হাতে শরীরে কিসের দাগ?
মেরিন : awwwe শাশুড়ি ফুপ্পি… কি প্রশ্ন করছো ? লজ্জা করবে উত্তর দিতে। আচ্ছা তুমি তো ফুপ্পিই লাগো। বলেই দেই তোমাকে। এগুলো…
নীলিমা : shut up… বেরিয়ে যা । কাজ করতে দে আমাকে।
মেরিন : তুমি তো breakfast রেডি করেই ফেলেছো। আমি তবে সবার জন্য চা আর নীড়ের জন্য কফিটা বানিয়ে ফেলি।
নীলিমা : একদম না। তুই কিছু করবিনা।
মেরিন : ভেবে বলছো?
নীলিমা : ভাবার কি আছে…
মেরিন : ok… এই কিচেনে যদি আমি কাজ না করতে পারি তবে তুমিও পারবেনা।
বলেই মেরিন ঘি এর বয়মটা চুলার চার দিকে আর কিছুটা মেঝেতে ছিটিয়ে দিয়ে দুম করে আগুন লাগিয়ে দিলো।
নীলিমা : এটা কি করলি? নিহাল… আগুন….
নীলিমা রান্নাঘর থেকে ছুটে বের হতে নিলো । মেরিন খপ করে হাত ধরে ফেলল।
মেরিন : কোথায় যাচ্ছো শাশুড়ি ফুপ্পি? দারাও।
নীলিমা : কি করছিস কি? হাত ছার ॥আর চল বাইরে।
মেরিন : না আমি যাবোনা …
নীলিমা : পুরে মর তুই… কিন্তু আমার হাত তো ছার।
মেরিন : না ছারবোনা…
নীলিমা : কেন? এখন এতোটুকুর জন্য আমাকেও মারবি?
তখন নিহাল আর নীড় ছুটে এলো ।
নীড় : একি আগুন… মামনি…
নিহাল : নীলা…মেরিন…
নীলিমা : দেখোনা ও আমাকে পুরিয়ে মারতে চায়…
নীড় দৌড়ে গিয়ে extinguish আনতে গেলো।
নিহাল : ২জনই বেরিয়ে এসো।
মেরিন : বাবা … শাশুড়ি ফুপ্পিকে বলো যেন আমার কিচেনে আসাতে ১৪৪ধারা জারি না করে…
নীলিমা : আচ্ছা আজকের পর থেকে তুই আসবি কিচেনে। আমি আসবোনা।
মেরিন : আহা… ২জন মিলে রান্না করবো… রাজী…
নীলিমা : হ্যা রাজি…
মেরিন : god promise …?
নীলিমা : god promise …
promise করতেই মেরিন নীলিমাকে নিয়ে বেরিয়ে এলো। নীলিমা বেশ বুঝতে পারলো যে মেরিন নীলিমাকে safely বের করেছে আর নীলিমাকে safely বের করতে গিয়ে মেরিনের পিঠে, হাতে খানিকটা আগুনের ভাপ লেগেছে । কিছু বলবে ততোক্ষনে নীড় extinguish নিয়েও এলো । আগুন নেভালো।

নীড় : মামনি তুমি ঠিক আছো? কোথাও লাগেনি তো?
নীলিমা : উহু…
নিহাল : মামনি তোমার লাগেনি তো???
মেরিন : না বাবা…
নীড় : ওর কেন লাগবে? ও তো নিজেই কয়লা। লাভা… যেখানে যায় দাবানল শুরু করে…
নিহাল : নীড়…
নীড় : চুপ করাচ্ছো কেন? আমার তো মনে হয় ও ই আগুনটা লাগিয়েছে…
মেরিন : হামম আমিই তো লাগিয়েছি…
নীড় : what???
মেরিন : হামম।
নীলিমা : আমি বলছি….
নীলিমা সব বলল।
নীড় : তুমি কি মানুষ?
মেরিন : না। আমি মেরিন।
নীড় : তুমি কি ভেবেছো তোমার হাতেরটা আমি বা অন্যকেউ খাবো?
মেরিন : হামম। খাবেন।
নীড় : impossible … বিষ খেতে পারি তাও তোমার হাতের ১ফোটা পানিও না ।
মেরিন রহস্যময়ী সেই বাকা হাসি দিয়ে
বলল : আমি কখনোই কাউেকে 2nd chance দেইনা। একই কথা ২য় বার রিপিট করার জন্য । আর না warning দেই। আমি rapid action এ বিশ্বাস করি। রান্নাঘরে আগুন লেগেছে… সারাবাড়িতে লাগতে কতোক্ষন। 😎।
নীড় : ত…
নীলিমা : নীড়… প্লিজ। চুপ থাকা। আপাদত ওর পাল্লা ভারী…
মেরিন : intelligent শাশুড়িফুপ্পি। যাই সবার জন্য breakfast বানিয়ে ফেলি।
মেরিন যেতে নিলো।
নীলিমা : দারা…
নীলিমা নীড়ের হাত থেকে first aid box নিয়ে burn-cream বের করে মেরিনের পিঠে আর হাতে লাগিয়ে দিলো।
নীলিমা : অবাক বা খুশি হওয়ার কিছু নেই । খান বাড়ির মেয়ে আমি । রাস্তায় পরে থাকা পশু-পাখিকেও আঘাত পাওয়া অবস্থায় দেখতে পারিনা।
নিহাল : নীলা…
মেরিন : বাবা… খান বাড়ির মেয়ে আমরা। রক্তের এবং রক্তের গ্রুপের সম্পর্ক আমাদের। তাই তোমার কাজে মোটেও অবাক হইনি আমি… আর হ্যা নীড় আমি আগুন নয় যে দাবানল করবো। আমি বন্যা… পানি… আগুনে পুরলে তো তবুও ছাই অবশিষ্ট থাকে… কিন্তু পানির কবলে তো পায়ের নিচের মাটিও অবশিষ্ট থাকেনা। পুরো অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।।।
বলেই মেরিন রান্নাঘরে গেলো।
রাতে রিসিশনের program হলো। এরপর শমসের খান নীড়-মেরিনকে খান বাড়িতে নিয়ে গেলো।
.
মেরিন : আরে বাহ… সেতু , মনির , নিলয় , নীরা… কাঙালেরা একসাথেই আছো দেখছি? দাদুভাই কাঙাল ভোজনের সময় এদেরকে খাইয়ে বিদায় করোনি। মনে হয় টাকা কম পরেছিলো। আচ্ছা আরো ৫০০ করে দিয়ে বিদায় করো ওই রাস্তার কুকুরদের…
কনিকা : মেরিন…
কনিকা : ওরে কে আমার নাম ধরে ডাকলোরে বাবা…
দাদুভাই : দিদিভাই… তুমি আর নানাভাই রুমে গিয়ে আরাম করো ।
নীড় : না নানাভাই আমি রুমে না একটু গার্ডেনে বসতে চাই ।
দাদুভাই : ভালো কথা। change করে fresh হয়ে বসো ।
নীড় : হামম।
নীড়-মেরিন ওপরে গেলো ।
কনিকা : বাবা তোমার নাতনির সাহস কি করে হয় ওদেরকে কাঙাল আর রাস্তার কুকুর ডাকার?
দাদুভাই : কুকুর কে কুকুর না তো কি বলবে? সিংহ?
কনিকা : বাবা…
দাদুভাই : হামম। এই খান সম্রাজ্ঞের রানী যখন এদেরকে কাঙাল-কুকুর বলেছে তখন সেটাই।
কনিকা : আর আমি বুঝি কেউ নই…
দাদুভাই : রানীর মা তো রাজমাতাই হয়… কিন্তু তুমি তো মাই হতে পারলেনা রাজমাতা কি করে হবে। anyway … তুমি যদি কিছু না হতে তাহলে ওই এটো চাটা কুুকুর এই বাড়িতে ঠাই পেতোনা ।
বলেই দাদুভাই servantদের কাছে গেলো । নীড়-মেরিনের খাবার দাবারের ব্যাবস্থা করতে।
নিলয় : এই bloody বুড্ঢা…
কনিকা : নিলয়…😠… সাহস কি করে বাবাকে এভাবে বলার?
নিলয় : sorry খালামনি।
মনে মন : ইশ ভাব…

একটুপর…
নীড় বাগানে বসে আছে । বাগানটাতে ছোট বেলার অনেক স্মৃতি মিশে আছে ওর আর মেরিনের। কতো খেলতো ২জন। ও নীলিমার কাছে রোজ নানুবাসায় আসার বায়না ধরতো। উদ্দেশ্য কেবল মেরিনের সাথে খেলা করা। হঠাৎ চোখ গেলো আমগাছটার দিকে। ওই আমগাছটা নীড়-মেরিন ২জন মিলে লাগিয়েছিলো ।
নীড় মনে মনে : কেনরে বনপাখি… কেন তুই মামাকে খুন করতে গেলি? ঘৃণা করি তোকে। আমি নীরাকে অতোটা ভালোবাসিনা যতোটা তোকে ঘৃণা করি। অনেক ঘৃণা করি তোকে বনপাখি… অনেক…
তখন কনিকা এসে নীড়ের কাধে হাত রাখলো।
নীড় : আরে মামিমনি… বসো।
কনিকা বসলো।
কনিকা নীড়ের হাত ধরে
বলল : i am sorry বাবা। আমি তোমাকে বাধ্য করেছি ওই মেয়েটাকে বিয়ে করতে। বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছা করে অমন করিনি। ও নীরা আর নিলয়কে kidnap করিয়েছিলো । নিলয়কে অনেক torture করছিলো। আর জানোই তো আমি ওদের আর ওরা আমার কলিজা। কিন্তু আমি আমার ওই বাচ্চার কথা ভাবতে গিয়ে আমার সবথেকে আদরের বাচ্চার সাথে অন্যায় করেছি । আমি জানতাম ও কখনো তোমার ক্ষতি করবে না। আর ওর কথা না মানলে ও দাবানল করবে তাই …
নীড় : মামিমনি… don’t be guilty … আমি জানি… আমার মামিমনি কখনো কোনো ভুল করতে পারেনা…
বলেই নীড় কনিকার হাতে চুমু দিলো ।
নীড় : একি কাদছো কেন?
কনিকা : আমার সন্তানের জন্য তোমার জীবনটা নষ্ট হয়ে গেলো…
নীড় : মামিমনি…তোমার চোখের পানি আমার সহ্য হয়না। ত…
তখন ২জন তালির শব্দ পেলো… ২জন ঘুরলো। দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে।
মেরিন : আপনাদের heart touching story দেখে তো আমার চোখে পানি চলে এলো… তো মিসেস খান আপনি ভেতরে যান… আমি উনার সাথে ব্যাক্তিগত সময় পার করতে চাই…
নীড় : অসভ্য।
কনিকা চলে গেলো । নীড়ও চলে যেতে নিলো । কিন্তু মেরিন হাত ধরে ফেলল । কাছে টেনে এনে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : ভালোবাসি…
নীড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে
বলল : ঘৃণা করি…
নীড় ভেতরে চলে গেলো । মেরিন হাহা করে হেসে উঠলো ।
.
হাসতে হাসতে মেরিনের চোখের সামনে সেই আমগাছের দিকে চোখ গেলো। চোখে ছোটবেলা ভেসে উঠলো ।
.
.
.
মেরিন : আমাকে ধরতে পারেনা… আমাকে ধরতে পারেনা…
নীড় : বনপাখি দারা… দারা বলছি।।
মেরিন : না না দারাবোনা। দারালেই তুমি মারবে…
নীড় : হ্যা মারবোই তো… তুই শুভর সাথে খেলতে গেলি কেন?
মেরিন : আমার কি দষ ( দোষ ) … শুভ ভাইয়া তো খেলতে ডাক দিলো… শুভ ভাইয়ারই তো দষ…
নীড় : টেনে ১টা থাপ্পর দিবো…
থাপ্পরের কথা শুনেই মেরিন ভ্যা ভ্যা করে কাদতে লাগলো…
নীড় : একি…. তুই কাদছিস কেন বনপাখি… 😢..
মেরিন : তুমিই তো থাপ্পর দিতে চাইলে…
নীড় : আরে… sorry sorry… কান্না করিসনা।
মেরিন : করবো করবো করবো…
নীড় : তোর চোখের পানি যে আমার সহ্য হয়নারে…
মেরিন : কেন কেন!!!
নীড় : সেটানা আমি নিজেও বুঝিনারে… 😔. তুই কান্না করিসনা। আমি তোকে চকোলেট দিবো।
মেরিন : সত্যি?? 😃।
নীড় : হামমম। নে ধর।

এসব ভাবছিলো তখন দাদুভাই মেরিনের কাধে হাত রাখলো ।
দাদুভাই : দিদিভাই… চলো কিছু খাবে ।
মেরিন : ক্ষুধা লাগেনি দাদুভাই। thank you দাদুভাই…
দাদুভাই : কেন?
মেরিন : এমনি… আর তুমি ভেতরে যাও তো। ভীষন ঠান্ডা পরেছে…যাও যাও।
দাদুভাই : তুমিও চলো…
মেরিন : যাও আমি আসছি…
দাদুভাই ভেতরে গেলো । মেরিন আমগাছের কাছে গেলো । হাত দিলো।
নিলয় : গাছটা তোর ভীষন প্রিয় নারে…
মেরিন নিলয়কে ignore করে চলে যেতে নিলো।
নিলয় : ভালোবাসা আর জীবন ২টাই বড় অদ্ভুদ জিনিসরে… দেখ তুই নীড়কে সবটা উজার করে ভালোবাসিস… অথচ নীড় তোকে ঘৃণা করে।
অন্যদিকে আমি… যে তোকে পাগলের মতো ভালোবাসে। কিন্তু তুই… আমাকে ঘৃণা করিস… ১টা বার ভালোবেসে বিশ্বাস করে দেখ । তোর হয়ে যাবো…. তোর থাকবো। তুই যা বলবি তাই করবো… ১টা সুযোগ দে…
মেরিন নিলয়ের দিকে ঘুরলো। এগিয়ে গেলো।
মেরিন : বলা শেষ ? না আরো কিছু বলা বাকি আছে?
নিলয় : বলার তো তোকে কতো কথাই আছে। যা শেষ হবার নয়। তোকে ভীষন ভাল…
আর বলতে পারলোনা। মেরিন নিজের কোমড়ে গুজে রাখা ছোট ছুরিটা দিয়ে ঠিক নিলয়ের স্বরযন্ত্রে আঘাত করলো । গলগল করে রক্ত ঝরতে লাগলো । স্বরযন্ত্র আঘাত লাগার কারনে স্বাভাবিকভাবেই নিলয়ের গলা দিয়ে আর আওয়াজ বের হচ্ছেনা।
মেরিন : অন্যকারো মুখে ভালোবাসির থেকে আমার নীড়ের মুখে ঘৃণা করি শোনা অনেক পছন্দের আর ভালোবাসার…
আপাদত কয়েক মাস তোমার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হওয়া বন্ধ করলাম। আর কখনো তোমার মুখে আমাকে ভালোবাসার কথা শুনলে শরীর থেকে মাথাটা নামিয়ে দিবো….
বলেই মেরিন ভেতরে চলে গেলো ।

.
বাড়ির ভেতরের ঢুকতেই মেজাজ আরো বিগরে গেলো। নীরা-নীড় পাশাপাশি বসে আছে । নীড় নীরার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আসলে নীরার চুল থেকে কিছু ১টা সরাচ্ছিলো। নীড় মেরিনকে দেখে ইচ্ছা করে
বলল : জান… তোমার চুল বরাবরই আমার crush… i just love your long & silky hair… 😍।
কথাটা বলে নীড় মেরিনের দিকে তাকালো । দেখলো বাকা হাসিটা দেয়া।
মেরিন আস্তে করে ১টা কাচি নিয়ে গিয়ে ধপ করে নীড়ের কোলে বসলো।
মেরিন নীরা চুল টেনে আরো কাছে আনলো।
নীরা : আহ…
নীড় : কি করছো কি? ছারো ওর চুল ।
মেরিন ছেরে দিলো ।
মেরিন : এই চুলগুলো আপনার খুব পছন্দের না?
নীড় : হ্যা তো?
মেরিন : হাত বুলাতে ভীষন ভালো লাগে। তাইনা?
নীড় : হ্যা । তো? এখন কি আমার হাত কেটে ফেলবে?
মেরিন : না… অন্যকিছু কাটবো।
বলেই মেরিন ১ঝটকায় নীরার চুল ধরে টান দিয়ে ক্যাচ করে কেটে দিলো।
নীড় : কি করলে এটা?

নীরা : you…
বলেই মেরিনকে থাপ্পর মারার জন্য হাত তুলল । মেরিন হাতটা ঘুরিয়ে মোচর দিলো।
নীরা : আহ… ছার মেরিন…
নীড় : ছারো ওর হাত ছারো…
মেরিন : ওর হাত অনেক লম্বা হয়ে গেছে জান… দেখি খাটো করা যায় কিনা…
নীড় : i said leave …
নীড় এতো জোরে বলল যে খান বাড়ি কেপে উঠলো। মেরিন নীরা হাত মোচর দিয়ে ধরে রেখেই নীড়ের দিকে ঘুরলো । ওর হাসিই দিলো।
মেরিন : বাহ… এই না হলে মেরিন বন্যার বর… amazing ….
.
মেরিন : আর কখনো এই হাত উঠবেনা… কেবল তোর গলায় ঝুলবে নীরা…
নীরা : ছেরে দে মেরিন… আমি আর কখনো অমন করবোনা…
মেরিন : মেরিন বন্যা কখনো কাউকে ২য় সুযোগ দেয়না…
নীড় কোনো উপায় না পেয়ে মেরিনের কোমড় জরিয়ে ধরলো। উদ্দেশ্য মেরিনকে সরানো। এদিকে নীড়ের হাত মেরিনের কোমড়ে তো লেগেছেই সেই সাথে শাড়ির ফাকে হালকা একটু উন্মুক্ত পেটেও নীড়ের হাত লাগলো। মোট কথা নীড়ের হাত লাগতেই মেরিন কেপে উঠলো। হাতের বাধন হালকা হলো । নীড় মেরিনকে টেনে কাছে টেনে নিলো… নীরা ছুটে গেলো ।