ঘৃণার মেরিন

ঘৃণার মেরিন Season 3 !! Part- 03

নীড় মেরিনের কোমড় টেনে সামনে আনলো । আর মেরিনের 4step করা চুল গুলো গিয়ে নীড়ের মুখে বাড়ি খেলে । নীড় চোখ বন্ধ করে সেই চুলের সুবাসগুলো উপভোগ করছে । আর ওর নিশ্বাসগুলো মেরিনের ঘাড়ে পরছে। মেরিন যেন নরতে চরতে পারছে । মেরিন এমন situation এর সাথে অপরিচিত…২জনই অন্য দুনিয়ায় চলে গেছে । ওরা কোথায় আছে সেই খেয়ালই নেই।
সেতু : দেখি মা দেখি… আহারে হাতটা লাল করে ফেলেছে গো আমার মেয়ের… দেখ কনা দেখ…
সেতুর চেচামেচিতে নীড়ের হুস ফিরলো। ও মেরিনকে ছেরে দিলো।
.
সেতু : তুই কি কোনোদিন মানুষ হবিনা?
নীরা : মাম্মি আমার চুল…
কনিকা : আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়…তুই আমার মেয়ে তো? নাকি হসপিটালে exchange হয়ে গিয়েছিলো…
মেরিন : exchange হয়ে গিয়েছিলাম…
নীড় : মেরিন নীরাকে sorry বলো…
মেরিন : sorry…? sorry ভুল করলে বলতে হয়।
নীড় : ভুল করোনি?
মেরিন : not at all… ভুল তখন হতো যখন ওর গলাটা কেটে ফেলতাম। ওটা sorry বলার কারন হতো।
নীড় : you r just impossible …
নীরা : ভাইয়া…
সবাই পিছে ঘুরলো। রক্তাত্ব নিলয়কে দেখলো।
নীরা : ভাইয়া তোর গলায় কি হয়েছে? এমন কি করে হলো?
মেরিন : আমি করেছি। বাগানে আমাকে ভালোবাসি বলেছে তাই।
নীড় : তুমি মানুষই না…
বলেই নীড় ওপরে চলে গেলো ।
.
একটুপর…
নীড় মনে মনে : তুই এমন হয়ে গেলি কেনরে বনপাখি… তুই তো এমন ছিলিনা… অবশ্য যে নিজের বাবাকে খুন করতে পারে সে সবই করতে পারে… তুই তোকে ঘৃণা করার নতুন নতুন কারন দিস…
তখন মেরিন এসে নীড়কে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো। পিঠে কিস করলো।
নীড় : ছার ব… মেরিন ছারো মেরিন…
মেরিন : বনপাখি বললে কি হয়…?
নীড় মেরিনকে ছারিয়ে ওর দিকে ঘুরলো ।
নীড় : you are not my বনপাখি…
মেরিন : & i love you…
নীড় : যদি আমাকে ভালোইবাসতি তাহলে…
মেরিন : তাহলে…?
নীড় : কিছুন…
বলেই নীড় গিয়ে শুয়ে পরলো । পিছে পিছে মেরিনও গেলো । নীড়ের বুকে মাথা রেখে মেরিনও শুয়ে পরলো । নীড়ের heart beat শুনতে লাগলো। ১টা হাতও নীড়ের বুকের ওই বা পাশেই রাখলো ।
নীড় মনে মনে : oh no..
ও যে হাতটা মনে হয়ে ওখানেই রেখেছে। কিছু বুঝে না যায়…
মেরিনেরও মনে হলো যে হাতে কিছু বাজলো।
মেরিন মনে মনে : আরে এখানে কি??
নীড় : দেখি ঘুমাতে দাও । মাথা-হাত এখন পুরো body রাখবে নাকি? হাত সরাও । ।
বলেই নীড় মেরিনের হাত সরিয়ে দিলো।
মেরিন : পাগল। oh no… ভুলেই গিয়েছি…
নীড় : কি???
মেরিন মাথাটা তুলে নীড়ের ঠোট জোরা দখল করে নিলো। মনের মতো কিস করে
বলল : এটা। 😘।
নীড় : shameless….
পরদিন নীড়-মেরিন চৌধুরী বাড়িতে পৌছালো ।

৩দিনপর…
নীড় change করছে । তখন আয়নায় নিজেকে দেখলো। বুকের বা পাশে লেখাটায় চোখ পরলো। যেখানে লেখা “বনপাখি” । লেখার জায়গাটায় হাত বুলালো ।
নীড় : i hate you মেরিন… i just hate you… কিন্তু এই জায়গায় ওর চোখ পরার আগেই কিছু করতে হবে। … hello…
☆: hello নীড় স্যার ।
নীড় : হামম। i need a small duplicate skin… যেটাতে লেখা থাকবে বন… নীরা … আর হ্যা ওটা chest এ লাগানোর জন্য … কালকের মধ্যেই চাই…
☆ : ok sir… sir আপনি বললে রাতেই ডেলিভারি করে দিবো।
নীড় : না। ডেলিভারি করতে হবেনা। আমি নিজে এসে collect করে নিবো । bye… রাখছি…
নীড় : আমি এমন কেন? কেন তোকে ভালোবেসেছিলাম…? কেন তোকে বুকে জায়গা দিয়েছিলাম… কেন বনপাখি… নীরাকে এতো ভালোবাসি তবুও কেন ওকে সেই জায়গা দিতে পারিনা যে জায়গা তোকে দিয়েছিলাম… কেন কেন কেন…
তখন দরজার করা নরলো।
মেরিন : জান ঠিক আছেন আপনি ? আপনার তো কখনো এতো সময় লাগেনা…জান…. ঠিক আছেন তো?
নীড় বেরিয়ে এলো । আর নীড়কে দেখে মেরিন আরেক দফা crush খেলো। সব কালো পরেছে।
মেরিন : 😍😍😍।
নীড় : দেখি সরো…
মেরিন চোখের নিচ থেকে কাজল নিয়ে নীড়ের চুলের নিচে দিয়ে দিলো ।
নীড় : কালো টিকা দিয়ে কি হবে? কালো পরীর নজর তো পরেই গিয়েছে । গ্রহন তো শুরু হয়ে গেছে ।
নীড় অফিসে চলে গেলো।

অফিসে…
conference room…
মিস্টার সেন : আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই মিস্টার চৌধুরী। আপনার company তো লসে যাচ্ছে ।
মিস্টার রায়হান : আপনি তো অন্যের idea চুরি করে company চালাচ্ছেন ।
নীড় : shut up… নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন কখনো কারো idea copy বা চুরি করেনা । got it? ওগুলো সব আমার idea… যেগুলো আমার অফিস থেকেই লিক হয়েছে।
মিস্টার মাহমুদ : oh really…? আমাদের বোকা পেয়েছেন। যে যা বোঝাবেন তাই বুঝবো।
মিস্টার ইমাম : অতো কিছু বুঝিনা।আমি আমার share ফেরত চাই।
মিস্টার গুপ্তা : আর আমি আমার invested টাকা গুলো ফেরত চাই ।
সবাই নিজেদের share আর টাকা চাইতে লাগলো। কেউ নীড়ের কথাই শুনছেনা । নীড় কোনো রকমে নিজের রাগটাকে control করে রেখেছে । ১টা সময় আর সম্ভব হলোনা।
নীড় : enough 📢📢📢…
সবাই চুপ হয়ে গেলো ।
নীড় : সুযোগ পেয়ে বসেছেন সবাই? হ্যা? আপনাদের টাকা মেরে খাবোনা আমি ।
মিস্টার সেন : দিবেন কোথায় থেকে? আপনার account তো খালি।
নীড় : এই মুহুর্তে আমি আমার বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনাদের মুখের ওপর উরিয়ে মারতে পারি । বুঝেছেন?
মিস্টার রায়হান : হামম। আর এখনতো আপনার বউই আছে। the মেরিন বন্যা । i think টাকা পেয়েই যাবো।
মিস্টার ইমাম : মিস্টার চৌধুরী আমার invest তো সবথেকে বেশি এনাদের মধ্যে । about 70% … i swear ১টা টাকাও নিবোনা। যদি ১টা বার আপনার মিসেসকে…।দেখুন business এ এটা common … তাই বলছিলাম কি মেরিনকে ১দিনের জন্য আ…
ইমাম ছিলো নীড় সামনেই বসা । নীড় আর ১সেকেন্ডও দেরি না করে মিস্টার ইমামকে দিলো ১টা ঘুষি ।
.
এরপর তার কলার ধরে দার করালো।
নীড় : আরেকবার বনপ… মেরিনকে নিয়ে কোনো কথা বললে জানে মেরে দিবো। কালই তুই তোর টাকা পেয়ে যাবি। এই মুহুর্তে আমার চোখের সামনে থেকে বের হ…
বলেই নীড় ইমামকে ছারলো ।
মিস্টার ইমাম : যাচ্ছি কিন্তু আমি কাল টাকা না পেলে কি করবো নিজেও জানিনা। আর বন্ধুরা আমি তো পাবোনা । তোমরাও মনে হয় পাবেনা।
তখন সবাই যেন আন্দোলন শুরু করলো নীড়ের বিরুদ্ধে । warning দিতে লাগলো নীড়কে । যে কালকের মধ্যেই টাকা না দিলে নীড়কে দেখে নিবে , জানে মেরে দিবে , পুলিশে ধরিয়ে দিবে । blah blah blah… তখন সবাই গুলির শব্দ পেলো। সবাই দরজার দিকে ঘুরলো । দেখলো revolver হাতে মেরিন দারিয়ে আছে । চোখে স্পষ্ট রাগ। মেরিন একেক জনের চেহারার দিকে তাকাচ্ছে । এরপর নীড়ের দিকে তাকালো। মুচকি হাসি দিয়ে নীড়ের দিকে গেলো। জান বলে নীড়কে জরিয়ে ধরলো। এরপর নীড়ের গালে কিস করলো। এরপর নীড়ের কাধে হাত রেখে
বলল : জন…

জন : yes mam…
বলেই জন তৌফিক নামের অন্য ১জন কর্মচারী দিয়ে সবার হাতে ১টা করে চেক & ১টা করে contract paper দেয়া হলো।
জন : যারা যারা টাকা invest করেছেন তাদের টাকা ফেরত দেয়া হলো । আর যারা share কিনেছিলেন তাদের সেই টাকা ফেরত দেয়া হলো। আর share বিক্রির জন্যেও টাকা দেয়া হলো। ৫ মিনিট সময় দেয়া হলো , contract paper পরে signature করুন ।
মিস্টার রায়হান : আর যদি share ফেরত চেয়েছি । বিক্রি করতে চাইনি।
জন : করতে চান নি এখন করবেন।
মিস্টার রায়হান : না করি ?
মেরিন বাকা হাসি দিয়ে মিস্টার রায়হানের পায়ের দিকে ফাকা গুলি করলো ।
মেরিন গানটা হাতে ঘোরাতে ঘোরাতে
বলল : আমি খুব সুন্দর করে gun দিয়ে music বাজাতে পারি । যেটা খুব সুন্দর করে কথা বলে…
কেউ আর দেরি না করে signature করে দিলো ।
নীড় : তু…
মেরিন নীড়ের কলার ঠিক করতে করতে ফিসফিস করে
বলল : যেটা হচ্ছে সেটা হতে দিন … আপনি কথা বলতে শুরু করলে আমার আপনার মুখ বন্ধ করতে হবে । by my lips… যেটা আমার ভালো লাগলেও আপনার হয়তো লাগবেনা । আর তাছারাও আমি আমার জন্য করছি । আপনার জন্য না ।
.
৫মিনিটপর…
সবার sign হয়ে গেছে।
মেরিন : ok.. কালকে বিকাল ৩টায় খান company তে চলে আসবেন। ছোট্ট ১টা মিটিং করতে চাই আপনাদের সাথে। কারোও যেন ১সেকেন্ডও লেট না হয়। ১সেকেন্ড লেট হলে আমি কিন্ত ১মিনিটও লেট করবোনা তাকে কবরে পাঠাতে । as everybody know মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী কাউকে ২য় সুযোগ দেয়না । এখন আপনারা আসতে পারেন।
সবাই চলে গেলো।
.
নীড় : আমি তোমার কোনো favor চাইনা
মেরিন : আমি তো আপনার ওপর কোনো favor করছিনা । আমি just khan emperor আরো broad করতে চাই nothing else…
নীড় : এই company আমি আমার নিজ যোগ্যতায় দার করিয়েছি । ভুলেও এর দিকে চোখ তুলে তাকিও না ।
মেরিন : কিন্তু আমার তো চোখ পরে গেছে। তাই তো জেনে গিয়েছি যে আপনার idea কে পাচার করছে।
নীড় : what?
মেরিন : হামম। বাহির থেকে কেউ এসে চুরি করে নিয়ে যায়না । ভেতর থেকেই বাইরে যাচ্ছে । আপনি আপনার সব employee দের ডাকুন। senior & close দের of course …

নীড় সবাইকে ডাকলো।
নীড় : আপনাদের মধ্যে কে তথ্য পাচার করছে ?
সবাই : ….
নীড় : আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি ।
সবাই বলতে লাগলো আমি করিনি আমি করিনি । আর নিজেদের emotional dialogue দিয়ে নীড়কে দুর্বল করতে লাগলো।
নীড় : এদের মধ্য কেউ করেনি মেরিন।
মেরিন ওর হাসি দিয়ে
বলল : আপনারা সবাই আমাকে i think ভালো করেই চিনেন। আমি জানি কে দোষী। যদি সেটা আমার মুখ দিয়ে বের করতে হয় তবে সেটা তার জন্য ভালো হবেনা । আমি কখনো কাউকে ২য় সুযোগ দেইনা। warning ও দেইনা। ১১সেকেন্ড সময় দিলাম বেরিয়ে আসতে। স্বীকার করতে । না হলে …
সবাই মনে করলে যে মেরিন হাওয়ায় তীর ছুরছে। তাই অপরাধী সামনে এলোনা ।
মেরিন হাসি দিয়ে গানটা হাতে নিয়ে সোজা নীড়ের P.A. রুপার কপালে shoot করলো।
নীড় : কি করলে?
মেরিন : shoot… ও আপনার rival comapany এর owner আলতাব ভুইয়ার ছোট মেয়ে রুপা ভুইয়া। যে আপনাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো । আপনি নীরাকে ভালোবাসতেন । তাই রুপাকে না দেখেই ওকে reject করে দিয়েছিলেন। তাই বাবা-মেয়ে মিলে আগে আপনাকে দেউলিয়া বানানোর plan করলো। যেন সহযেই আপনাকে কাবু করে রুপার সাথে আপনার বিয়ে দিতে পারে। আর রুপা আপনার P.A. হওয়ার জন্য আপনার সব information easily নিতে পারতো।
নীড় : oh my god… but তুমি ওকে জানে মারলে কেন?
মেরিন : ওর কপাল ভালো যে ১টা গুলিতেই ওকে সহজ মৃত্যু দিয়েছি । ওকে ধীরে ধীরে মারিনি … ওর এতো সাহস আপনার দিকে কুনজর দেয় ।
নীড় : are you mad?
মেরিন : only for you…
নীড় : এখন যে police এসে তোমাকে arrest করে নিয়ে যাবে?
মেরিন হাহা করে হাসতে লাগলো।
মেরিন : মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী এখন কোনো ১১বছরের বাচ্চানা । যে তাকে কেউ জেলে আটকাতে পারবে। হাহাহাহাহা…
জন…
নীড় মনে মনে : unbelievable…

.
পরদিন…
খান office এ…
মিস্টার মাহমুদ : আমাদের এখানে ডেকে আনার কারন ?
মেরিন : কারন আমি আপনাদের প্রত্যেকের company কিনতে চাই ।
সবাই : what ? আমরা তো বিক্রি করতে চাইনা ।
মেরিন : আপনারা কি চান সেটা matter করেনা । আমি কি চাই সেটাই বড় কথা… আর আপনাদের ডাবল টাকা দেয়া হচ্ছে। তাই রাজী না হওয়ার কোনো কারন নেই ।
মিস্টার সেন : আপনি বললেই কি সব হবে নাকি ?
মেরিন : হ্যা হবে।
মিস্টার মাহমুদ : না। আমরা আপনার হাতের পুতুল নই। আর তাই আজকে আমরা সবাই preparation নিয়েই এসেছি।
বলেই সবাই ১টা করে গান বের করলো। যেটা দেখে মেরিন হাসতে লাগলো। এরপর চেয়ারে বসে টেবিলের ওপর ২পা রাখলো। এরপর ১টা ছোট্ট রিমোট হাতে নিয়ে সেটার লাল বোতাম press করলো। আর সাথে সাথে সকলের হাত থেকে গান গুলো ছুটে সিলিং এ গিয়ে লাগতে লাগলো। সবাই তো অবাক।
জন : সাহস দেখে অবাক হচ্ছি । মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরীর দিকে বন্দুক তাক করেন ।
মেরিন : আপনারা আমার নীড়কে উল্টা-পাল্টা কথা বলেছিলেন। তাই ভেবেছিলাম আপনাদের company ডাবল টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে আপনাদের সকলের জিভ কেটে দিবো। কিন্তু এখন যেটা করলেন সেটার জন্য ডাবল টাকা কেন actual টাকাই দিবো। বিনা পয়সায় আপনাদের company কিনে নিবো।
বলেই মেরিন তুরি বাজালো। আর সাথে সাথে টেবিলের নিচ থেকে একদল কালো পোশাকধারী লোক বেরিয়ে এসে সেই ১২জনের মাথায় বন্দুক ধরলো।
মেরিন : নিন সবাই sign করে দিন। না হলে মরতে হবে।
সবাই signature করে দিলো। এরপর সবাইকে মেরিনের শাস্তি খানায় নিয়ে জিভ কেটে দেয়া হলো।
.
রাতে…
মেরিন বাগানের আমগাছটাকে পানি দিচ্ছে। এই বাসার এই আমগাছটাও
নীড়-মেরিন মিলে লাগিয়েছিলো। মেরিন গাছে পানি দিচ্ছে। তখন হঠাৎ নীড় এসে ঠাস করে মেরিনকে থাপ্পর মারলো। মেরিন নিচে পরে গেলো।
.