ভালোবাসা এমনও হয়

ভালোবাসা এমনও হয় Season 2 !! Part- 22 (Last-Part)

ঈশাঃ আসলে ও এতোদিন আমাদের সাথে ছিলো নাহ।

ডাক্তারঃ ওহ আই সি।বাট পরেরবার থেকে ওর খেয়াল রাখবেন।

নীড়ঃ আমরা ওর সাথে দেখা করতে পারি

ডাক্তারঃ হ্যা পারেন।।বাট বেশি কথা বলবেন নাহ।আর বেশি ভীড় করবেন নাহ।

নীড়ঃ আচ্ছা ধন্যবাদ ডক্টর।

সবাই মিলে একে একে তরীকে দেখে আসলো।।বাট মেঘ গেল নাহ।।কারন মেঘের মাথায় এখনো তরীর ড্রাগস নেয়ার কথাই ঘুরছে।

এইদিকে সবাই দেখে যাওয়ার পর তরী বার বার উঁকি দিচ্ছে দরজার দিকে ।। কারন মেঘ আসেনি দেখতে তাকে।

তরীঃ সবাই এসে দেখে গেলো অথচ তুমি একবারও দেখে গেলে নাহ মেঘ। দেখবে কি করে ডক্টর তো বলে দিয়েছে যে আমি ড্রাগস নিতাম।।একজন ড্রাগস এডিক্টেড কে কেন দেখতে আসবে(তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে)

২ দিন পর তরীকে রিলিজ দেয়া হলো।।। সবাই ২ দিনে অনেকবার দেখতে এসেছে।।তরীর সাথে থেকেছেও নেশা আর ঈশা।।বাট মেঘের কোন সারা পায়নি তরী।।তাকে দেখতেও আসেনি।

এইদিকে তরী এই নিয়ে অনেকবার পাগলামো করে ফেলেছে ড্রাগসের জন্য।।আর তাই তাকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে রাখা হয়েছে বেশিরভাগ সময়ই।।।।

বাড়িতে ফিরেও তরী মেঘের দেখা পায়নি।।।ওষুধের ইফেক্ট এ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে তরী।

রাত১১.৫০

তরীর ঘুম ভেঙে গেল মেঘ এর ডাকে।।এতো রাতে মেঘকে দেখে খুব অবাকই হলো তরী।।চারদিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো খুব সুন্দর করে মোম দিয়ে পুরো রুমটা সাজানো।।

তরী উঠে বসে সব কিছু দেখে খুশি হলেও মেঘক্র দেখে গাল ফুলিয়ে অন্যদিকে ঘুরে গেল।

মেঘঃ বাহ ৪ বছরে এতো কিছু পরিবর্তন হলেও কেউ গাল ফুলানোটা এখনো ভুলেনি

তরীঃ কেউ গাল ফুলালেই কি আর নাহ ফুলালেই কি।।কারো কি কিছু আসে যায়

মেঘঃ কারো তো অনেক কিছুই আসে যায়।।তাই তো সরি বলার জন্য এতোকিছু করলো।

তরীঃ লাগবে নাহ কারো সরি😒

মেঘঃ বাট আজ যে কারো বার্থডে তা কি কেউ টা ভুলে গেছে

তরী ভাবতে লাগলো।।হঠাৎ তার মনে পরলো আজকের তারিখ কতো।।আরে আজ তো মেঘের আর তার বার্থডে।। তরীর মাথা থেকে তো একদম বেরিয়ে গেছিলো কথাটা।

আড়চোখে মেঘের দিকে তাকালো।মেঘ টেডি স্মাইল দিয়ে ভ্রু নাড়ালো।

তরী আবার অন্যদিকে ঘুরে গেল।

মেঘ হেসে দিলো।।

মেঘঃ হয়েছে হয়েছে এই ভাব দেখানোর কাজ পরেও করা যাবে।।আগে উঠুন তাড়াতাড়ি।। কেকটা কাটতে হিবে তো নাকি।

মেঘ টেনে তরীকে উঠিয়ে টেবিলের সামনে নিয়ে দাড়া করালো।।তরী খেয়াল করে দেখলো একটা চকলেট কেক আর একটা ভ্যানিলা কেক।।

মেঘ তরীর হাতে নাইফ দিয়ে ভ্যানিলা কেক টা কাটলো।।তারপর এক টুকরা কেক তরীর হাতে ধরিয়ে দিলো।

মেঘঃ খাইয়ে দে(হা করে)

তরী খাইয়ে দিলো।।খাইয়ে দেওয়ার সময় মেঘ তরীর হাত কামড়ে ধরে রাখলো

তরীঃ আহ মেঘ আমার লাগছে তো

মেঘ ছেড়ে দিলো।তরী হাত ঝাকাতে লাগলো

তরীঃ আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন।।এতো জোরে কেউ কামড় দেয়

মেঘঃ আমি তো ভেবেছি এটা টপিং(কিউট স্মাইল দিয়ে)

তরী মুখ ভেঙালো।

মেঘঃ আমাকে উইশ করবা নাহ??

তরীঃ হেপি বার্থডে 😒

মেঘঃ আমার গিফট কই

তরীঃ কিসের গিফট আর আমার তো মনে ছিলো নাহ

মেঘঃ তাহলে তো শাস্তি পেতে হবে।।আর শাস্তি টা হ……

হঠাৎ মেঘ কিছু একটা দেখে জোরে বলে উঠলো

মেঘঃ ওহহ শিট।ভুলেই গেছি

তরীঃ কি!!!!!

মেঘঃ অলসো হেপি বার্থডে মাই লেডি(তরীকে জড়িয়ে ধরে)

তরী চুপ করে রইলো।

মেঘঃ ভাবা কি শেষ হয়েছে।।কেকটা কাটুন

তরীঃ এই জন্যই কি দুইটা কেক এনেছেন

মেঘঃ হু

তরী আর মেঘ মিলে সেই কেকটাও কাটলো।
মেঘ আগে তরীকে খাইয়ে দিলো।।তারপর মেঘের সামনে ধরলো।

মেঘঃ তুমি জানী আমি চকলেট কেক খাই নাহ।

তরীঃ হুহ(বলেই ভ্যানিলা কেক থেকে নিতে যাবে মেঘ হাত টা ধরলো)

মেঘঃ বাট কেউ যদি সেইদিন রাতের মতো খাইয়ে দিতো তাহলে খাওয়া যেত

তরীর সেইদিনের কথা মনে পড়তেই লজ্জায় লাল নীল হয়ে গেল।

মেঘ তরীর কোমড়ে নিজের দুইহাত দিয়ে তরীকে নিজের কাছে টেনে নিলো।

মেঘঃ কি হলো খাওয়াবা নাহ?(দুষ্টু হাসি দিয়ে)

তরী নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো।

মেঘঃ চুপ থাকা তো সম্মতির লক্ষন তো আমি কি তাই ভেবে নিবো নাকি

তরী কিছু বললো নাহ। মেঘ যেই নাহ ধীরে ধীরে নিজের মুখ তরীর মুখের সামনে আনতে যাবে তরী ধাক্কা দিয়ে মেঘকে সরিয়ে দিলো

তরীঃ আমি ঘুমাবো গুড নাইট
বলেই যেতে নিলো মেঘ টেনে আবার তার কাছে এনে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।।
এইবার চাইলেও তরী নিজেকে মেঘের থেকে ছুটাতে পারলো নাহ।

মেঘঃ কেন এমন করছিস বৃষ্টি।। আই নো ইউ স্টিল লাভ মি।।দেন হোয়াই।।কেন আমার থেকে দুরে চলে যাচ্ছো।

তরীঃ ছাড়ুন আমাকে(মেঘের বুকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে।। কিন্তু মেঘ ছাড়ছে নাহ)

মেঘঃ কেন এমন করছো বৃষ্টি।। আমার কি কোন ভুল হয়ে গেছে।।তাহলে প্লিজ আমাকে বলো বাট এইভাবে দুরে থেকো নাহ

তরীঃ(মনে মনে-ভুল তো তোমার নেই মেঘ।ভুল তো আমার।।আমি দোষী)

মেঘঃ কি হলো কথা কেন বলছো নাহ

তরীঃ কিছু বলার নেই তাই।।

মেঘঃ কিছু বলার নেই!!!

তরীঃ হ্যাঁ আছে নাহ।।এইটাই বলার আছে যে আপনার টাচ আমার সহ্য হচ্ছে নাহ।।কেন বুঝতে পারছেন নাহ আপনি

মেঘ বুঝতে পারলো তরী তাকে রাগানোর জন্য এইসব বলছে।।তাই মেঘ তরীকে ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।।কারন সে চায় নাহ তরীর উপর রাগ দেখাতে।।

সকালে মেঘ খাবার নিয়ে এসে তরীর রুমে দরজা নক করলো।।রাতে মেঘ এই বাড়িতেই ছিলো।।

তরী মেঘের যাওয়ার পর আর ঘুমায়নি।।সজাগই ছিলো।।তাই দরজা খুলে দিলো।।

মেঘ খেয়াল করে দেখলো রুমের সব কিছু আবার ভেঙে ফেলেছে তরী।।তরীর দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো তরী ও কেমন একটা অস্থীর ভাব তরীর মাঝে।।মেঘ বুঝতে পারলো তরীর ড্রাগসের কথা মনে হচ্ছে।।তাই টপিক ঘুরাতে তরীকে দিলো এক ধমক

মেঘঃ ঠাটিয়ে একটা চড় মারবো বেয়াদব মেয়ে।রুমের কি অবস্থা করেছিস এটা।।সবাই কি তোর চাকর নাকি তুই নষ্ট করবি আর সবাই ঠিক করবে

তরী থতমত খেয়ে গেলো।।সাথে রেগে ও গেল

তরীঃ বেশ করেছি ভেঙেছি তাতে আপনার কি।।আপনার বাড়ির কিছু তো নষ্ট করিনি।।আমার নিজের বাড়ির জিনিস আমি ভেঙেছি।।তাতে আপনার কি😠

মেঘঃ আমার অনেক কিছুই।।আর এটা কি শুধু তোর বাড়ি নাকি।।এটা আমার মামার বাড়ি +আমার ফুপির বাড়ি+আমার আম্মুর বাড়ি+আমার হবু বউ এর বাড়ি।।সো এই বাড়িতে আমার অধিকার তোর থেকে বেশি।।এখানে থাকতে হলে আমার কথা শুনতে হবে নাহ হলে চলে যেতে পারিস😏

তরীঃ কিহ এতো বড় কথা।।আমাকে আমার বাড়ি থেকে বের করে দেয়া।।ঠিকাছে থাকবো নাহ আমি এই বাড়িতে।।আজই চলে যাবো।।নাহ নাহ আজ নাহ এখনই চলে যাবো।

মেঘঃ তো যা।।কে আটকে রেখেছে তোকে

তরী গাল ফুলিয়ে ঠাস ঠুস করে আলমারি থেকে লাগেজ বের করলো।।

তরীঃ ধুর কাপড় ও নিবো নাহ।কিছু নিবো নাহ এমনিই চলে যাবো।

মেঘ কে পাস করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।

মেঘ ও তরীর পিছন পিছন গেল গাড়ি নিয়ে গেল।৷

তরী তো গাল ফুলিয়ে ঠাস ঠুস হেটেই যাচ্ছে।।হঠাৎ মেঘ তরীর সামনে এসে গাড়ি থামিয়ে তরীর হাত ধরে টান মেরে গাড়িয়লতে বসিয়ে দিলো।।তারপর দরজা লাগিয়ে লক করে দিলো

তরীঃ এটা কি করলেন আপনি 😠

মেঘঃ (চুপচাপ চুইংগাম চিবাচ্ছে)

তরীঃ আমি কিছু বলছি 😤

মেঘ জোরে গান ছেড়ে দিলো।

মেঘঃ কি বলছো শুনতে পাচ্ছি নাহ

তরী বুঝতে পারলো মেঘ কে এখন কিছু বলেই শুনবে নাহ।তাই বসে বসে রাগে ফুফাতে লাগলো।।
তরীর অবস্থা দেখে মেঘ মুচকি মুচকি হাসছে।।

মেঘ তরীকে নিয়ে সেই নদীর পাড়ে পৌছাল যেখানে বিয়ের আগের দিন রাতে তারা এসেছিলো।

গাড়ি থেকে নামতেই মেঘের মনে সে পুরোনো ক্ষত গুলো আবার তাজা হয়ে উঠলো।।কিন্তু সেগুলোকে প্রশ্রয় দিলো নাহ। গিয়ে তরীর সামনে দাড়িয়ে দরজা খুললো।।তরী ও বের হলো।। চারপাশে তাকিয়ে সেও চুপ হয়ে গেল।।মেঘের দিকে তাকিয়ে রইলো।

মেঘ নিজের আঙুলের ভাজে তরীর আঙুল গুলো ঢুকিয়ে শক্ত করে চেপে ধরলো।। তরী হাত ছুটালো নাহ।

মেঘঃ কাম

মেঘ তরীকে টেনে সেই কুটিরটাতে নিয়ে গেল যেখানে সেইদিনেও এসেছিলো।।আজও ঠিক সেই ভাবেই সাজানো যেমনটা সেইদিন সাজানো ছিলো।

মেঘঃ কি অবাক হচ্ছো হুম

তরী চুপ করে রইলো

মেঘ পিছন থেকে তরীকে জড়িয়ে ধরলো।।তরীর কাঁধে নিজের থুতনি রাখলো।

মেঘঃ সেইদিন এইখান থেকেই সব কিছু শেষ হয়েছিলো।।আজ আবার এইখান থেকেই সব শুরু করবো।।(বলেই তরীর ঘাড়ে কিস করলো।তরী কেপে উঠলো)

মেঘঃ জানি হয়তো অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে।।কিন্তু সব কিছু আবার ঠিক করে সাজাবো দুইজন মিলে।।।আলাদা থেকে নাহ বৃষ্টি। প্লিজ আমাকে একা করে দিস নাহ।।মরে যাবো আমি তোকে ছাড়া।।আমি জানি তুই এখনো আমায় ভালোবাসিস।।প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিস নাহ।।আই লাভ ইউ।।আই কেন লিভ ফিও সেকেন্ড উইদ আউট ব্রেথ।।বাট কান্ট লিভ উইদ আউট ইউ বৃষ্টি।। অনেক থেকেছি তোর থেকে দুরে।। আর আমাকে নিজের থেকে দুরে রাখিস নাহ বৃষ্টি।। প্লিজ

তরী মেঘের দিকে ঘুরে তাকে জড়িয়ে ফুফিয়ে কেঁদে দিলো।

তরীঃ আমি ও পারবো নাহ তোমাকে ছাড়া মেঘ।।আই অলসো কান্ট লিভ উইদ আউট ইউ।। আই লাভ ইউ টু🥺😥😭

কথাগুলো মেঘের মনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি এনে দিলো।।অবশেষে মান অভিমানের পাল্লা শেষ হলো।

তরীঃ বাট ড্রাগস।মেঘ আমি যে পারছি নাহ ভুলে থাকতে।।যখনই মনে পরে আমার মনে হয় নাহ নিলে আমি মরেই যাবো।।বাট আমি চাই নাহ নিতে তবুও আমায় যে নিতে হবে।।আমি যে এডিক্টেড হয়ে গেছি মেঘ 🤕

মেঘ তরীর মাথায় হাত ভুলিয়ে আরো শক্ত করে তরীকে জড়িয়ে ধরলো।

মেঘঃ ভালোবাসার থেকে কোন এডিকশনই বড় নাহ বৃষ্টি।। আর এই ড্রাগস এর টেনশন বাদ দাও। ট্রিটমেন্ট শুরু করলেই তুমি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবে।।শুধু তোমার ইচ্ছাটা থাকতে হবে।কি চাও নাহ আমার সাথে থাকতে

তরীঃ হুম(বলেই আবার কেঁদে দিলো)

মেঘঃ তাহলে তো হয়েই গেল।।আর আবার কাঁদছিস কেন(বলেই তরীকে ছেড়ে তার চোখের পানি মুছে দিলো)

তরীঃ এতো ভালোবাসো কেন

মেঘঃ তুই এতো ভালো তাই

তরীঃ একটু আগে নাহ তুমি করে বললে এখন আবার তুই হিয়ে গেলাম😒

মেঘঃ তুই বললে বেশি আপন লাগে তাই

তরীঃ 😒

মেঘঃ (আবার তরীকে জড়িয়ে ধরলো)আমার বাবুটা রাগ করলো বুঝি

তরীঃ আমি বাবু নাহ

মেঘঃ তো কি শুনি

তরীঃ বাবুর আম্মু হবো🙈🙈

মেঘঃ তাই বুঝি(দুষ্টু হেসে)

তরী লজ্জা পেয়ে আরো শক্ত করে মেঘকে জড়িয়ে ধরলো।মেঘ ও বুঝতে পেরে আরো টাইট করে হাগ করলো।

মেঘঃ খুব ভালোবাসি❤

তরীঃ আমিও খুব ভালোবাসি🖤

৩ বছর পর

সবাই একসাথে রাতে বার্থডে সেলিব্রেট করলো।।তরি নাক ফুলিয়ে উপরে চলে আসলো।।কারন মেঘ একটিবারের জন্যও আজ তাকে উইশ তো দুরের কথা এখনো পর্যন্ত তার সাথে ফোনে কথাও বলেনি।।নিজে মেঘকে উইশ করেছিলো বাট তারও রিপ্লাই দেয়নি।

(সেইদিন পেরেছিলো তরী।।।।মেঘের ভালোবাসা আর নিজের চেষ্টায় ড্রাগসের নেশা ছাড়াতে সক্ষম হয়েছিলো সে।।আর য়ারপর মেঘের সাথে নতুন করে জিবন শুরু করে)

তরীঃ এতো কিসের অফিসের কাজ তার।।নিশ্চয়ই ভুলে গেছে।আজ আসুক।। কথাই বলবো নাহ আজ।

কথাগুলো ভেবেই রুমে ঢুকতে যাবে তখনি একটা বিরাট বড় বেলুন এগিয়ে এলো,

তরীঃ [মৃদু হেসে ] হোয়াট আর ইউ ডুয়িং, অভি??

(অভি হলো তরী আর মেঘের ছেলে)

বেলুনের সাইড থেকে পিচ্ছি একটি হাত এগিয়ে তরীকে ছোট্ট একটু পিন এগিয়ে দিলো, হাটু গেড়ে বসে পিনটি এগিয়ে নিয়ে বেলুনটি টুস করে ফুটিয়ে দিতেই

অভিঃ হ্যাপি বার্থডে মম (চেচিয়ে)

স্নেহাও হেসে অভিকে কাছে টেনে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলো
তরীঃ একবার তো উইশ করলো আবার কেন!!

পাশ ফিরতেই দেখে আরো একটি বেলুন, এইবার আর তরীর বুঝার বাকি রইলো না এগুলো কার কান্ডনামা, দীর্ঘ একটি শ্বাস ফেলে বাকি বেলুনটাও ফুটিয়ে দিলো তরী, জোড়ে হাত তালি দিয়ে লাফিয়ে উঠলো অভি।
বেলুন ফুটতেই কেক হাতে মেঘকে দেখতে পেলো তরী।

মেঘঃ হ্যাপি বার্থডে মাই লাভ
মুখ ভেংগিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো তরী তখনিই মেঘ হাত চেপে ধরে বসিয়ে দিলো

মেঘঃ সরি বৃষ্টি ! আমি জানি আমি পার্টিতে থাকতে পারিনি।।আসলে একটা ইম্পোর্টেন্ট মিটিং ছিলো।। আর এই দেখো মোবাইলের ব্যাটারি লো তাই আমি আগে উইশ করতে পারিনি, প্রত্যেকবার তো আমিই আগে করি এইবার নাহয় সরি!

মুখ ভেংগিয়ে উঠে চলে যাচ্ছিলো তরী হঠাৎ ওড়না টান খাওয়ায় পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে, মেঘ এবং অভি দুজনই ওড়ানার দুদিকের দু-আচল টেনে ধরে আছে, এইবার আর না হেসে পারলো তরী! হাটু গেড়ে বসে দুজনকেই কাছে টেনে জড়িয়ে নিলো! মেঘ ও হেসে তরীর কপালে একটি এবং অভির কপালে একটি চুমু খেলো!

মেঘঃ লুক আমি কিন্তু আজও চকলেট কেক এনেছি

তরী বুঝতে পেরে মুচকি হাসলো।

তিনজন মিলে কেক কেটে আবার বার্থডে সেলিব্রেট করলো।

রাত ২ টা বেজে ১০মিনিট,

মেঘ ফ্রেশ হয়ে ওয়াসরুম থেকে রুমে ঢুকে মুখ মুছে সোফার উপর রাখলো টাওয়েলটা, বিছানার দিক তাকাতেই দেখে, তরী অভিকে জড়িয়ে নিয়ে দুজনই ঘুমিয়ে আছে, মৃদু হেসে মেঘ লাইট অফ করে পাশে এসে দুজনকেই কম্বল টেনে দিলো ভালো করে, ঘুমন্ত অভির গালে একটি চুমু দিয়ে তরীর ঠোটে একটি ডিপ কিস করলো, বালিশে মাথা রাখতেই মেঘ ড্রিম লাইটের আলোও তরীর মৃদু হাসির চেহেরাটি দেখতে পেল! তা দেখে মেঘ ও মুচকি হাসলো, অভির গায়ে জড়িয়ে রাখা তরীর হাতটি শক্ত করে আকড়ে ধরলো

তরীঃ [ ঘুমন্ত কন্ঠে ] লাভ ইউ মেঘ

[ মেঘ ও মৃদু হেসে ধীরো কন্ঠে লাভ ইউ টু! বলে উঠলো তরীকে ]

সমাপ্ত
❤❤সবাই কথাগুলো কাইন্ডলি পড়বেন
(একটা আপুর গল্প থেকে আজকের পার্টের থিম টা নেওয়া।।কারন আপুর এন্ডিং টা আমার ভালো লেগেছিলো তাই আমি ও ওইভাবে দেয়ার ট্রাই করলাম।।কেউ আবার বলবেন নাহ চুরি করছি🙄

আর গল্পের কথা কি বলবো।।আশা করি সবার ভালোই লাগছে।।হয়তো সবার মনের মতো লিখতে পারিনি।।হয়তো গুছিয়ে লিখতে পারিনি।।যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে ক্ষমা করবেব।।

আর গুড নিউজ হলো খুব তাড়াতাড়ি সিজন-৩ আসছে।)

#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#সিজন_০৩
১)
নীড়ঃনীড়ঃ রঙিলা বাড়ই তুই রঙিলা রে,,
তোর রূপের আগুনে হৃদয় পুড়ে🥰

নেশাঃ শোনরে সুজন আমি বলি যে তোরে
চাঁদ ভেবে আগুন নিয়ে খেলিস না রে😎

২)
সাইফঃ মে তেরি দুশমন দুশমন তু মেরা😒

সানিয়াঃ ন্যা নাগিন তু সাপেরা🤮

৩)

ইশানঃ তোমায় দেখলে মনে হয়😍

ঈশাঃ হাজার বছর তোমার সাথে ছিলো পরিচয় বুঝি🥰🙈

৪)

বৃষ্টিঃ ও ডিজে ও ডিজে একটা ঝাকানাকা গান বাজা😀😎

মেঘঃ😳😬🙊🙈🙈😳😳😳😳,😵

আই থিংক সিজিন ৩ এ কার ক্যারেক্টর কেমন হবে সবাই একটু একটু বুঝতে পারছেন।

আর বেশিরভাগ মানুষই চায় নীড় নেশাকে।। তো সিজন ৩ তাদেরই মেইন ক্যারেক্টর দেয়া হবে।।বাট যেহেতু অনেকে সাইফ-সানিয়া কে চেয়েছে আমার মতো তাই তারাও থাকবে।।সাথে আমাদের ইশান-ঈশাও😉
কাপল হবে মোট চারটা
১)নীড়-নেশা
২)সাইফ-সানিয়া
৩)ইশান-ঈশা
৪)মেঘ-বৃষ্টি
আর তাদের রিলেশন এর মধ্যে আগুন লাগানোর জন্য থাকবে নিহা,আয়ান,আদ্র, রোজা এন্ড নিরব😉
আর এদের দ্বারা ও যদি কম পরে যায় তাহলে মেইন ভিলেন আমি তো আছেই😆

(ফাইনালি টাটা বাই বাই চি ইউ।।আর সবাইকে আমার প্যাচের সাথে থাকার জন্য এত্তোগুলায়ায়ায়ায়ায়া ধনিয়াপাতা 🥰

 

 

👉 এক পলকে দেখে নিন সহজে গল্প খুঁজে পাওয়ার সুবিধার্থে দেওয়া হল