Childhood marriage

Childhood marriage ! Part- 11

#লেখিকা-সানজিদা সেতু
#পর্ব-১১
সায়ন : তু..ত..তুমি😯
ছোঁয়া : আ..আসলে আমি…
সায়ন : তুমি এখানে কি করছো?
(পেছন থেকে)
বাবা : ওকে আমি নিয়ে এসেছি
সায়ন : বাবা তুমি!!!
বাবা : হ্যাঁ আমি,কেন এসে কি তোকে খুব প্রবলেমে ফেলে দিলাম?
সায়ন : প্রবলেম কেন হবে আসলে তোমরা এভাবে হঠাৎ…
বাবা : হ্যাঁ তোর মা তোকে নিয়ে অনেক টেনশন করছিল,একা একা কি করছিস,কি খাচ্ছিস এসব ভেবে মাথা খারাপ করে ফেলছিল তাই আমরা চলে আসলাম।
সায়ন : মা যে কি করে না,কানাডাতে তো আমি কতদিন একা থেকেছি তাই এখনও পারব
বাবা : তখন একা ছিলে ঠিক আছে,কিন্তু এখন তোমার বউ অাছে তাই…
সায়ন : মানে!!ও কি এখানেই থাকবে নাকি??
বাবা : হ্যাঁ ওর ভার্সিটি কিছুদিনের জন্য ছুটি তাই…
সায়ন : ওহ্ নো..(বিড় বিড় করে)
বাবা : কিছু বললে?
সায়ন : কই না তো,তোমরা ভেতরে আসো…
ছোঁয়া : এতক্ষণ চুপচাপ উনাদের বাবা-ছেলের কথা শুনছিলাম।এই প্রথম উনার দিকে তাকালাম,উনি আমার দিকে যেভাবে চোখ পাকিয়ে তাকালেন মনে হল যেন কাঁচাই খেয়ে ফেলবেন…

(কিছু্ক্ষণ পর)
সায়ন : অফিসে চলে এলাম।আচ্ছা ওদেরকে বাড়িটার এ্যাড্রেস কে দিল?তখনই ফোনটা বেজে উঠল,রিসিভ করতেই শুনলাম মারুফের কণ্ঠ
মারুফ : কি রে কি করছিস?
সায়ন : এইতো অফিসে
মারুফ : যাহ্ শালা,নতুন বউ কে রেখে অফিসে কি করছ?
সায়ন : তার মানে তুই ওদেরকে এখানে পাঠাইছোস?
মারুফ : তা কি করব?মামা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলে আমি কি করব?
সায়ন : তোরে তো আমি…
মারুফ : একদম ঢং করবি না বুঝছস,ভাবিরে পাঠাই দিছি।মামা কাল চলে যাবে এখন একা বাসায় দুজনে ইচ্ছে মত রোমান্স করিস…
সায়ন : শালা হারামী,তোরে খালি সামনে পাই….
মারুফ : যখন পাবি তখন যা করার করিস,এখন টাটা…

(কয়েকদিন পর)
ছোঁয়া : বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম,উনি অফিসে চলে গেছেন আর বাবা গেছেন মারুফ ভাইয়াদের বাসায়,ফুপা-ফুপুর সাথে দেখা করতে।সেখান থেকেই বাড়ি ফিরে যাবেন।বাসাটা একেবারেই পিচ্চি,মাঝারী সাইজের একটা বেডরুম,তার সাথে এ্যাটাচড বাথরুম,একটা ড্রইংরুম আর একটা কিচেন।বেডরুমটার সাথে লাগোয়া বেলকনি আর ছোট-খাট আরেকটা রুম আছে তার সাথে।বোধহয় জরুরী প্রয়োজনে কোনমতে বেডরুম বলে চালানো যাবে ওটাকে…
কিন্তু পুরো বাসাটাই একেবারে অগোছালো,চারপাশে শুধু ধুলা আর ধুলা,বোধহয় ভাল করে ঝাড়ুও দেয়নি।তারসাথে দেয়ালের জায়গায় জায়গায় আবার মাকড়সার জাল,একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা।আর আসবাবপত্র?সেটার কথা আর নাই বা বলি,একটা তোশক ছাড়া কিছুই নেই আর সেটা যদি বেডরুমের এক কোণে বিছিয়ে না রাখতেন তাহলে হয়তো আমি বেডরুম আর ড্রইংরুমের মধ্যে কোন পার্থক্যই খুঁজে পেতাম না…
যাই হোক এগুলোর একটা ব্যবস্থা করতে হবে,একটু সময় নিয়ে চিন্তা করলাম আর তারপরই কাজে নেমে পড়লাম।ওড়নাটা কোমড়ে পেঁচিয়ে আরেকটা কাপড় দিয়ে নাক আর মুখ ঢেকে লেগে পড়লাম পরিচ্ছন্নতা অভিযানে।দেখতে দেখতে পুরো ফ্ল্যাটটাই পরিষ্কার করে ফেললাম কিন্তু ততক্ষণে আমার অবস্থা খারাপ।ওহ্ আপনাদেরকে তো বলাই হয়নি যে আমার ডাস্ট এ এ্যালার্জি আছে।এত সাবধানে কাজ করার পরও হাঁচি দিতে দিতে আমার অবস্থা খারাপ।ঝটপট ওয়াশরুমে চলে গেলাম…
সায়ন : অফিসে বসে ছিলাম,হঠাৎই বাবার ফোন আসলো।তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বলল কারণ ম্যাডাম নাকি একা আছেন…
সায়ন : বাসায় পৌঁছে ডোর কি দিয়ে দরজা খুললাম।ভেতরে ঢুকতেইতো চোখ ছানা-বড়া,ফ্ল্যাটটা একেবারে নতুনের মত চকচক করছে,তারমানে ছোঁয়াই সবকিছু পরিষ্কার করেছে।কিন্তু ম্যাডাম কই?তাকেতো কোথাও দেখা যাচ্ছে না…একটু পরেই বুঝলাম ম্যাডাম ওয়াশরুমে।আমিও ড্রেসচেঞ্জ করায় মনোযোগ দিলাম
ছোঁয়া : গোসল শেষ,এতক্ষণে মনে পড়ল আমি কাপড় নিয়ে আসতে ভুলে গেছি।এখন কি করি?কি আর করার,পুরো বাসায় তো আমি ছাড়া আর কেউই নেই সো নো টেনশন…
টাওয়েলটা গায়ে ভাল করে পেঁচিয়ে আস্তে করে বেরিয়ে আসলাম…
সায়ন : ড্রেস চেঞ্জ করছিলাম,হঠাৎই ওয়াশরুমের দরজাটা খুলে গেল।ওদিকে তাকাতেইতো আমি শকড,ছোঁয়া শুধুমাত্র টাওয়েল পরে দাঁড়িয়ে আছে।ভেজা চুলে ওকে এই অবস্থায় দেখেতো আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার জোগাড়…
ছোঁয়া : বাইরে বের হতেই দেখি উনি দাঁড়িয়ে আছেন,আমার দিকেই হা করে তাকিয়ে আছেন।আমিতো উনাকে দেখে পুরাই স্ট্যাচু হয়ে গেছি,কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না…
সায়ন : এক পা দু পা করে ছোঁয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি,আমার পায়ের উপর যেন আমার বোন কনট্রোলই নেই…
ছোঁয়া : উনাকে এগিয়ে আসতে দেখেই দিলাম দৌঁড়,সোজা ওয়াশরুমে ঢুকেই দরজা আটকে দিলাম…
সায়ন : ওর দরজা লাগানোর শব্দে হুঁশ ফিরল,কি করছিলাম আমি!তখনই দরজাটা আবার খুলে গেল…
ছোঁয়া : এই যে শুনছেন?
সায়ন : পেছন ফিরে তাকালাম,মেয়েটা দরজাটা হালকা খুলেছে কিন্তু বের হয়নি।ভেতর থেকেই কথা বলছে…
ছোঁয়া : এই যে শুনুন না…
সায়ন : কিছু বলবে?
ছোঁয়া : না মানে ব্যাগ থেকে একটা থ্রি-পিস বের করে দিন না প্লিজ…আসলে আমি তাড়াহুড়োয় নিয়ে আসতে ভুলে গেছি…
সায়ন : ওহ্ আচ্ছা ওয়েট এ মিনিট…
ছোঁয়া : আচ্ছা
সায়ন : ব্যাগ থেকে একটা ড্রেস বের করেই ওয়াররুমের দিকে ছুটলাম।দরজায় নক করতেই হালকা একটু খুলে গেল,শুধু একটা হাত বের করেছে।আমি অবাক হয়ে ওর হাতের দিকে তাকিয়ে আছি
ছোঁয়া : কই দিন…
সায়ন : ওর কথায় হুঁশ ফিরল,ড্রেসটা এগিয়ে দিলাম।ও এক ঝটকায় ড্রেসটা নিয়েই দরজাটা আবার লাগিয়ে দিল কিন্তু তাতেই আমার ঘুম হারাম হয়ে গেল।ড্রেসটা নেওয়ার সময় ওর হাতে সামান্য একটু টাচ লেগেছে,লাগার সাথে সাথেই আমি যেন ৪৪০ ভোল্টের শক খেলাম।পুরো শরীরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল,কি হচ্ছে কিছুই বুঝছি না।মাথায় হাত দিয়ে বিছানায় বসে পড়লাম….
ছোঁয়া : ড্রেসটা হাতে নিয়ে হাঁপাচ্ছি,প্রচণ্ড লজ্জা লাগছে আর সেই সাথে উনার ঘামে ভেজা উন্মুক্ত শরীরটার কথা মনে পড়ছে।তখন ইচ্ছে করছিল ছুটে গিয়ে উনার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ি কিন্তু…
আর কিছু ভাবতে পারছি না,ঝটপট ড্রেস চেঞ্জ করে নিলাম…
সায়ন : বিছানায় হেলান দিয়ে বসে ছিলাম,তখনই ছোঁয়া বের হল।চুল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে,খুব ফ্রেশ লাগছে ওকে,চোখ ফেরাতে পারছি না…
ছোঁয়া : শুনছেন?
সায়ন : হুম?কিছু বলছিলে?
ছোঁয়া : না মানে কিছু জিনিস লাগবে…
সায়ন : জিনিস!!কি?
ছোঁয়া : হ্যাঁ এই যে এগুলো…(সকাল থেকে যেগুলো লিস্ট করেছিলাম উনার হাতে ধরিয়ে দিলাম)
সায়ন : লিস্টের দিকে এক নজর দিতেই চমকে উঠলাম।এই এত্ত এত্ত জিনিস কি হবে?
ছোঁয়া : এত জিনিস কোথায়?সবই তো দরকারী জিনিস…
সায়ন : তাই বলে এত!!
ছোঁয়া : অল্পই তো..আরো অনেক কিছু লাগবে।বাসায় গ্যাসের চুলা,বেড কিছুইতো নেই তাই সবই লাগবে…
সায়ন : আচ্ছা তুমি কি পার্মানেন্টলি এখানে থাকার প্ল্যানিং করছ নাকি?এমন কিছু ভেবে থাকলে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল বলছি
ছোঁয়া : উনার কথা শুনে মনটাই খারাপ হয়ে গেল তবুও অনেক কষ্টে বললাম,না পার্মানেন্টলি থাকতে যাব কেন?কিন্তু যাওয়ার আগে আপনার এই গারবেজটাকে বাড়ি বানিয়ে তবে যাব…
সায়ন : ওর কথা শুনে আর কিছু বলতে পারলাম না,সোজা মার্কেটে চলে গেলাম।ওর লিস্ট করা সবকিছু কিনে নিয়ে ফিরে আসলাম
ছোঁয়া : আপনি চলে এসেছেন?
সায়ন : মুচকি একটা হাসি দিলাম

দুজনে মিলে সব ফার্নিচার আর জিনিসপত্র ঠিকঠাক করতে করতে রাত হয়ে গেল।আসার সময় বাইরে থেকেই খাবার নিয়ে এসেছিলাম,দুজনে ডিনার সেরে নিলাম।আজ বাবা ফুপুদের বাড়িতেই থাকবেন তাই ডিনার সেরেই ঘুমাতে নিলাম কিন্তু প্রবলেমটা বাঁধল অন্য জায়গায়…
ছোঁয়া পাশের রুমে ঘুমাচ্ছিল,শুয়ে পড়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই ওর হাঁচি আর কাশির শব্দ কানে আসতে লাগল।শেষ মেষ উঠে ওর রুমে চলে গেলাম,মেয়েটা শীতে থর থর করে কাঁপছে অথচ এখনও তেমন শীত পড়তে শুরু করেনি!
চাদরটা ওর গায়ে টেনে দিতে গিয়েই চমকে উঠলাম,মনে হল জ্বর এসেছে।তাড়াতাড়ি কপালে হাত দিলাম,হ্যাঁ আমার ধারণায় ঠিক জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে।এখন কপ করি?রুমে জ্বরের কোন ঔষধ নেই আর এত রাতে কোন ফার্মেসী খোলা পাব বলে মনে হচ্ছে না আর পেলেও ওকে এভাবে একা রেখে কিভাবে যাব?
কোন উপায় না দেখ পানি আর একটা সুতি কাপড় নিয়ে আসলাম।ওর পাশে বসে মাথায় জলপট্টি দিতে লাগলাম,কিছুক্ষণের মধ্যেই মনে হল জ্বরটা কিছুটা নেমে এসেছে।একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে উঠতে নিলাম কিন্তু পারলাম না,ছোঁয়া আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে।ওর দিকে তাকালাম,হুঁশ নেই কিন্তু মনে হল বিড় বিড় করে কিছু একটা বলছে।কি বলছে বোঝার জন্য আস্তে আস্তে ওর মুখের দিকে এগিয়ে গেলাম…
ছোঁয়া : প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাবেন না…আমি আপনাকে অ…(বিড় বিড় করে)
সায়ন : আর যেতে পারলাম না,ওর পাশেই বসে রইলাম।কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমে ঢলে পড়তে লাগলাম।প্রথমে বালিশে হেলান দিয়ে বসে থাকলেও কখন যে নিজের অজান্তেই ওর পাশে শুয়ে পড়েছি খেয়ালই করিনি..
(সকালে)
সূর্যের আলো চোখে এসে পড়তেই ঘুম ভেঙ্গে গেল,অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করছিল।উঠতে যাব তখনই বুকের উপর ভারি কিছু অনুভব করলাম,তাকিয়ে দেখলাম ছোঁয়া আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মত ঘুমাচ্ছে।একটু রাগ লাগলেও কেন জানি কিছু বলতে পারলাম না,ওর কপালে হাত দিয়ে দেখলাম নাহ্ এখন আর তেমন জ্বর নেই।ওকে আলতো করে বুকের উপর থেকে নামিয়ে বালিশে শুইয়ে দিলাম তারপর উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।বেচারী অসুস্থ আরেকটু ঘুমাক…

(কিছু্ক্ষণ পর)
সায়ন : ছোঁয়া…ছোঁয়া…
ছোঁয়া : ঘুমাচ্ছিলাম,হঠাৎ মনে হল কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে
সায়ন : এই মেয়ে উঠে পড় বলছি…উফ কি ঘুম রে বাবা,আমার তো দেরি হয়ে যাচ্ছে….
ছোঁয়া : ঘুম ঘুম চোখে তাকালাম,মনে হল উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।নিশ্চয় স্বপ্ন দেখছি কিন্তু স্বপ্ন হলেও স্বপ্নটা কিন্তু অনেক সুন্দর।আনমনেই মুচকি একটা হাসি দিলাম তারপর আবারও ঘুমিয়ে পড়লাম…
সায়ন : যাহ্ বাবা,আবারও ঘুমিয়ে পড়ল!
ছোঁয়া : ঠিক কতক্ষণ পরে ঘুম ভাঙল জানিনা,উঠেই উনাকে খুঁজতে লাগলাম।কিন্তু উনি কোথায়?কোথাও তো দেখতে পাচ্ছি না…
হঠাৎই ড্রেসিংটেবিলের উপর চোখ পড়ল,আস্তে আস্তে সেদিকে এগিয়ে গেলাম।চিরকুটটার দিকে চোখ পড়তেই মুখে হাসি ফুটে উঠল,মাত্র তিন লাইনের একটা লেখা:
“আমি অফিসে চলে যাচ্ছি,চিন্তা কর না টাইমলি চলে আসব
টেবিলে খাবার আর ঔষধ রাখা আছে খেয়ে নিও
আর তোমার শরীর অনেক দুর্বল তাই বেশি ছোটাছুটি করবা না,ইউ নিড রেস্ট…”
চিরকুটটা ভাঁজ করে কিছু্ক্ষণ মুচকি মুচকি হাসলাম তারপর ফ্রেশ হয়ে উনার কথামত খেতে চলে গেলাম…

দিনগুলো এভাবেই কেটে যাচ্ছে,আমার ছুটিও প্রায় শেষের দিকে,আর কয়েকদিন পরেই আমাকে চলে যেতে হবে।উনার ব্যবহারে আমি দিন দিন উনার প্রতি আরো উইক হয়ে যাচ্ছি,ছোট খাট ব্যপারেও আমার এত কেয়ার করেন দেখে খুব অবাক লাগে।আমার আর কোন সন্দেহ নেই যে যেমন ছেলেকে আমি স্বামী হিসেবে চাইতাম উনি ঠিক তেমন কিন্তু….
বেলকোনিতে দাঁড়িয়ে মনে মনে এসবই ভাবছিলাম,উনি আমার এতটা কেয়ার নেন অথচ আমার কাছে আসতে পারছেন না!
কে সেই মেয়ে যার জন্যে উনি…
ঠিক আছে আমিও এত সহজে ছাড়ছি না,নিজের অধিকার কিভাবে আদায় করে নিতে হয় আমার জানা আছে…
একমনে এভাবে বিড়বিড় করতে করতেই সবকিছু গোছাচ্ছিলাম,গতকাল ছোটখাট জিনিস গুলো এই রুমটাতে জড় করে রেখেছিলাম।এখন সবগুলো ধুয়ে মুছে ধুলোবালি পরিষ্কার করে জায়গামত রাখছিলাম,তখনই একটা জিনিসে চোখ আটকে গেল…
আরে আরে এটা আবার কি?মনেতো হচ্ছে একটা ফটো এ্যালবাম,কিন্তু এটা এভাবে লুকিয়ে রেখেছে কেন?
এ্যালবামটা খুলতেই যেন ৪৪০ ভোল্টের শক খেলাম!
এটা তো…
চলবে…