Childhood marriage 2 !! Part- 31
#পর্ব-৩১
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
CSE ডিপার্টমেন্টের চার তলার পশ্চিম দিকের একেবারে কর্ণারের দিকের একটা রুম,এটাই এই ডিপার্টমেন্টের মেইন ল্যাবরেটরি।ঘড়ির কাটায় তখন রাতটা অনেকটাই গভীর,সায়নরা এখন এই রুমটার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে।ল্যাব তত্বাবধায়কের থেকে চাবিও নিয়ে আসা হয়েছে,কিন্তু তার জন্য বেশ কিছু মিথ্যে কথাও অবশ্য খরচ করতে হয়েছে।আর এসবই করা হচ্ছে কারণ এই রুমের দরজার পাশেই এক কোণায় ছোঁয়ার একটা ইয়ার রিং পাওয়া গেছে,সায়নই আইডেন্টিফাই করেছে।ওদের সবার ধারণা ছোঁয়া এই রুমের মধ্যেই আছে,সায়নতো টেনশনে পাগলপ্রায় হয়ে গেছে।কারো কোন কথায় শুনতে চাইছে না,শুধু এ মাথা থেকে ও মাথা পায়চারি করে বেড়াচ্ছে…
যাই হোক শেষমেষ ল্যাবটা খোলা হল আর খুলতেইতো সবার চোখ কপালে উঠে গেল।ছোঁয়া আর আয়ান ঘরের এককোণে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে,ছোঁয়া আয়ানের কাধে মাথা রেখে পড়ে আছে আর আয়ানও ওকে শক্ত করে ধরে রেখেছে।দুজনের কারোরই কোন সাড়াশব্দ নেই,এমনকি ওরা যে এত কাহিনী করে এই রুমে ঢুকলো ওদের ভাবভঙ্গি দেখে মনেই হচ্ছে না যে কোনকিছু টের পেয়েছে!
ওদেরকে এভাবে দেখে সবাইতো রীতিমতো স্ট্যাচু হয়ে গেছে আর সায়ন?ও আর এক মিনিটও দেরি না করে আয়ানের দিকে ছুটে গেল,লোপাও ছুটলো ওর পিছু পিছু।সায়ন গিয়েই ছোঁয়াকে লোপার হাতে ছেড়ে দিল তারপর সোজা আয়ানের কলার চেপে ধরলো,আয়ানের ঘুম ভেঙ্গে গেল।চোখ মেলেই সবাইকে এখানে দেখে ভয় পাওয়ার বদলে ওর মুখে হাসি ফুটে উঠলো কিন্তু পরক্ষণেই সায়নের রুদ্রমূর্তি দেখে চুপসে গেল
আয়ানঃ আরে সায়ন..তুই এভাবে…কি হয়েছে?
সায়নঃ বল কি করেছিস ওর সাথে?
আয়ানঃ আরে আমি আবার কি করলাম?আমরা এখানে আটকা পড়ে গিয়েছিলাম আর অন্ধকারে ছোঁয়ার সাফোকেশন হচ্ছিল তাই সেন্সলেস হয়ে গেছে
সায়নঃ হোয়াট ননসেন্স!কেন শুধু শুধু মিথ্যে বলছিস?তোকেতো আমি…
লোপাঃ ভাইয়া প্লিজ,এখন উনি সত্যি বলছে নাকি মিথ্যা সেটা ভাববার সময় নেই আগে ছোঁয়াকে হসপিটালে নিয়ে চলুন।আমার মনে হচ্ছে সিচুয়েশন খুব একটা ভাল না
তানিঃ হ্যাঁ সায়ন,আর ঝামেলা করিস না।ওর জ্ঞান ফিরলেই সত্যিটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে
সায়নঃ ওকে বাট আয়ান,কান খুলে শুনে রাখ যদি ওর কোন ক্ষতি করে থাকিস তাহলে কিন্তু আমি তোকে ছাড়ব না…
(সায়ন আর কিছু না বলে লোপার দিকে এগিয়ে গেল তারপর ছোঁয়াকে কোলে তুলে নিয়েই হনহন করে বেরিয়ে গেল আর ওর পিছু পিছু বাঁকি সবাই।রিয়া আয়ানকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে আসলো)
রিয়াঃ সরি দোস্ত,তুই কল দিয়েছিস আমি বুঝতেই পারিনি তাই…
আয়ানঃ ইট’স ওকে বাট আমি বুঝতে পারছি না এই পুরো ঘটনাটা ঠিক কিভাবে ঘটলো।আমি মিন সবকিছুতো আর কোইনসিডেন্স বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না তাই…
রিয়াঃ সে যাই হোক,ওসব পরেও খুঁজে বের করা যাবে।আপাতত তোরা দুজনে যে সুস্থ আছিস সেটাই অনেক
আয়ানঃ আমিতো ঠিকই আছি বাট ছোঁয়া…আই হোপ ও যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে
রিয়াঃ সবইতো বুঝলাম বাট একটা জিনিস আমার কাছে ক্লিয়ার না তুইতো বলেছিলি ছোঁয়া তোর জিএফ তাহলে সায়ন কেন এভাবে রিয়্যাক্ট করলো?
আয়ানঃ নো আইডিয়া…আচ্ছা শোন I need some rest so…
রিয়াঃ হ্যাঁ হ্যাঁ তুই তাহলে বাড়ি চলে যা,আমি একাই চলে যাব
আয়ানঃ ওকে বাই
(আয়ান চলে গেল)
রিয়াঃ দূর ছাই,কোথায় ভাবলাম সায়ন ছোঁয়া ম্যাডামকে ভুল বুঝবে,ওর উপর নিজের রাগ ঝাড়বে তা না উল্টো ওকে নিয়ে…আদিখ্যেতার একটা লিমিটেশন থাকা উচিত আর এই মেয়ে যে অন্ধকারে এমন প্যানিক হয়ে যায় তাতো জানতাম না।কি দরকার ছিল এভাবে ফেইন্ট হয়ে যাওয়ার,আমার সব প্ল্যান ভেস্তে দেওয়ার…
(হসপিটালে)
কিছুক্ষণ আগেই ছোঁয়ার জ্ঞান ফিরেছে তবে এখনও বেশ উইক তাই ডক্টর ডিসচার্জ দেয়নি।সবাই যার যার মত ফিরে গেছে কিন্তু সায়ন এখনও হসপিটালেই আছে,ছোঁয়া পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না তাই ওর কাছেই থেকে গেছে।
এখন সকাল হয়ে গেছে,ছোঁয়াকে ঘুমের ঔষধ দেওয়া হয়েছে তাই এখনও ঘুমাচ্ছে।সায়ন সারারাতই প্রায় জেগে ছিল তাই একটু ঘুম ঘুম ভাব আসছে তাই এই রেশটাকে কাটানোর জন্য একটু বাইরে এসেছিল।কফিটা নিয়েই হসপিটালে ফিরে গেল কিন্তু একি,ও এখানে কি করছে?
সায়নঃ তুমি!তুমি এখানে কি করছো?
রিয়াঃ না মানে কাল রাতে তোমাদের সাথে আসতে পারিনি তাই ভাবলাম ওকে দেখে যাই
সায়নঃ একটু বাইরে এসো
রিয়াঃ কেন?
সায়নঃ ও ঘুমাচ্ছে আর আমি চাইনা ওর ঘুমে কোন ডিস্টার্ব হোক সো…
(রিয়া সায়নের সাথে বাইরে বেরিয়ে আসলো)
সায়নঃ এবার বলো আসল কাহিনী কি?
রিয়াঃ কাহিনী!এসবের মধ্যে আবার…আমিতো বললামই ওকে দেখতে…
সায়নঃ তাই বলে এত সকালে!
রিয়াঃ আসলে আমার অনেক গিল্টি ফিল হচ্ছিল তাই…
সায়নঃ গিল্টি,আর তুমি!দেখো রিয়া,ভেবো না যে তোমাকে আমি এখনও চিনতে পারিনি।তোমাকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি আর তাই এটাও জানি যে লাভ ছাড়া তুমি একটা কাজও কর না।এখানে যে এসেছো তার পেছনেও নিশ্চয় কোন মোটিভ আছে
রিয়াঃ না না সায়ন,তুমি আমাকে ভুল বুঝছো
সায়নঃ ভালোমানুষির প্রিটেণ্ড করে কোন লাভ নেই এখান থেকে যাও,
রিয়াঃ বাট সায়ন…আমিতো শুধু তোমাদের হেল্প করতে…
সায়নঃ উই ডোন্ট ওয়ান্ট ইওর হেল্প সো জাস্ট লিভ…
রিয়াঃ ওকে ফাইন,আই এ্যাম লিভিং বাট সায়ন,এতটা হাইপার হওয়ার কি কোন দরকার ছিল?
সায়নঃ সরি বাট ছোঁয়ার সাথে যা কিছুই হয়েছে এটাকে আমি জাস্ট কোইনসিডেন্স বলে মানতে পারছি না সো একটুতো কনশাস হতেই হবে
রিয়াঃ তারমানে কি সত্যিই আয়ান…
সায়নঃ এর মধ্যে আয়ানের কোন ইনভলভমেন্ট নেই,ওরা দুজনেই পরিস্থিতির শিকার।জ্ঞান ফিরেই ছোঁয়া আমাকে সব বলেছে
রিয়াঃ ওহ তাহলে এখন…
সায়নঃ ও শুধু একবার সুস্থ হয়ে উঠুক,এর পেছনে ঠিক কে আছে সব বের করে ফেলব
রিয়াঃ ইয়ে মানে আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে,আমি আসছি
সায়নঃ আর হ্যাঁ যদি জানতে পারি এসবের পেছনে তোমার কোন হাত আছে তাহলে আই স্যয়ার,আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না..
(দুদিন পর)
সায়ন ছোঁয়াকে নিয়ে ক্যান্টিনে লাঞ্চ করতে এসেছে,খাবার এখনও দেয়নি তাই নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথাবার্তা বলছে।হঠাৎই কোথা থেকে আয়ান চলে আসলো,এসেই ছোঁয়ার পাশে বসে পড়লো
আয়ানঃ এখন কেমন আছো?
ছোঁয়াঃ ভাল আপনি?
আয়ানঃ আমার আবার কি হবে?আমি একদম ফিট…
ছোঁয়াঃ ভালই হল আপনার সাথে দেখা হয়ে,আসলে আমি নিজেই আপনার সাথে দেখা করতে চাইছিলাম
আয়ানঃ রিয়েলি!কিন্তু কেন?
ছোঁয়াঃ আসলে সেদিনের হেল্পার জন্য আপনাকে থ্যাংকস দেওয়ার সুযোগই পাইনি তাই…
আয়ানঃ আরে এতে থ্যাংকস দেওয়ার কি আছে?আমার জায়গায় যে কেউ থাকলে এটাই করতো
ছোঁয়াঃ কিন্তু তবুও আপনি না থাকলে হয়তো আমি হার্টএ্যাটাক করে…
সায়নঃ আহ ছোঁয়া…হচ্ছেটা কি?খাবার চলে এসেছে আর তুমি…চুপচাপ খাও বলছি…
আয়ানঃ হ্যাঁ হ্যাঁ তোমার এখন একটু বেশি করে খাওয়া দাওয়া করা উচিত।এক কাজ কর আমার এই লেগপিসটা তুমিই খাও আর এই শিং মাছের ঝোলটা এটাও তোমার,আমি বরং অন্যকিছু অর্ডার করছি।কথা বলতে বলতেই আমার প্লেট থেকে সবকিছু ছোঁয়ার প্লেটে তুলে দিচ্ছি
সায়নঃ এতক্ষণ চুপচাপ ওদের কথা শুনছিলাম বাট আর সহ্য হচ্ছে না,এই আয়ানের ন্যাকামি দেখে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেছে।ইচ্ছে করছে বেটাকে একটা ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেই
ছোঁয়াঃ ইয়ে মানে ভাইয়া,বলছিলাম যে আপনারটা আপনিই খান না…আমিতো খাচ্ছিই
আয়ানঃ তা বললে কি হয়?তুমি অসুস্থ মানুষ তাই তোমাকে একটু বেশি বেশিই খেতে হবে সো প্লিজ…
সায়নঃ টেবিলে একটা বাড়ি দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম,ছোঁয়া চল…
ছোঁয়াঃ উনাকে উঠে দাঁড়াতে দেখে আমিও উঠে দাঁড়ালাম।কোথায়?
সায়নঃ কথা না বলে চুপচাপ আমার সাথে চলো।ওর হাত ধরে হাঁটতে লাগলাম কিন্তু…
আয়ানঃ সায়ন ছোঁয়াকে নিয়ে যাচ্ছিল,আমি কি চুপ করে বসে থাকবো?নাহ ছোঁয়ার আরেকটা হাত চেপে ধরলাম
সায়নঃ (হঠাৎ টান পড়ায় পেছনে ফিরে তাকালাম,কি আশ্চর্য!এই আয়ানের বাচ্চাটা…ওর এত বড় সাহস!)হোয়াট ননসেন্স?এসব কি হচ্ছে?
ছোঁয়াঃ (উনার চোখ মুখ কেমন লাল হয়ে গেছে,আমার খুব ভয় করছে)আয়ান ভাইয়া..বলছি যে আমার হাতটা ছেড়ে দিন প্লিজ,উই নিড টু গো
আয়ানঃ কেন?ও তোমার হাত ধরতে পারে আর আমি পারি না!তোমার সব ব্যাপারে ও এমন ইন্টারফেয়ার করে কেন?কে হয় ও তোমার?তোমার হাজবেন্ড নাকি?
ছোঁয়াঃ হাজবেন্ডইতো রাগতো করবেই(মনে মনে)
সায়নঃ ছোঁয়া…তুমি কি আসবে নাকি আমি…
ছোঁয়াঃ এই না না আমি আসছি…ভাইয়া প্লিজ…
আয়ানঃ ওকে এত ভয় পাওয়ার কি আছে?লিসেন ছোঁয়া,আমি তোমার সাথে আছি সো একদম ভয় পাবে না
ছোঁয়াঃ প্লিজ ভাইয়া হাতটা ছাড়ুন নাহলে যে অনর্থ হয়ে যাবে
সায়নঃ ও কি বলছে শুনতে পাচ্ছিস না?হাতটা ছাড়
আয়ানঃ না ছাড়লে কি করবি?
সায়নঃ ভাল চাসতো যা বলছি তাই কর
আয়ানঃ ছাড়ব না,যা করতে পারিস করে না
সায়নঃ ছোঁয়া…আর এক মিনিটও ওয়েস্ট না করে চলো আমার সাথে
আয়ানঃ ছোঁয়া…কোত্থাও যাবে না তুমি,আমার সাথে এখানে বসে খাওয়া শেষ করবে তারপর যেখানে ইচ্ছে যাবে
সায়নঃ ছোঁয়া আমার সাথে যাবে
আয়ানঃ না ছোঁয়া আমার সাথে থাকবে
সায়নঃ আমি একবার বলে দিয়েছি মানে ওটাই ফিক্সড,ছোঁয়া আমার সাথেই যাবে
আয়ানঃ বললেই হলো?আমি বলছি ছোঁয়া কোত্থাও যাবে না,ও এখানেই থাকবে
ছোঁয়াঃ (চিৎকার করে)শাট আপ,কেউ ক আমার কথাটা একবার শুনবেন?আপনারা দুজন কি আমাকে খেলনা পুতুল পেয়েছেন?একবার এদিকে টানছেন,একবার ওদিকে আরে বাবা আমিওতো একটা মানুষ তাইনা,আই এ্যাম ফেড আপ উইথ বোথ অফ ইউ প্লিজ লিভ মি এ্যালোন…
ছোঁয়া ওদের দুজনের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে ছুটে বেরিয়ে গেল,এদিকে সায়ন আর আয়ানের মধ্যে রীতিমতো মারামারি লেগে গেল আর এসবের বেনিফিট নিল অন্য কেউ,সে আর কেউ নয় রিয়া।রিয়া দূর থেকে ওর ফোনে পুরো ঘটনাটা ভিডিও করে নিল।সায়ন আর আয়ানকে থামালো মারুফ আর লোপা,ওরাও ওখানে লাঞ্চ করতে এসেছিল।অবস্থা বেগতিক দেখে ওরা ছুটে আসলো,অনেক কষ্টে ওদেরকে আলাদা করলো…
মারুফঃ Are you guys gone mad?কি করছিস তোরা এসব?এসব করার আগে ছোঁয়ার কথাটা একবার ছোঁয়ার কথাটা ভেবে দেখবি না!সবাই ওর সম্পর্কে কি ভাববে বলতো…
সায়নঃ যা ভাবতে চাই ভাবুক,আপাতত আমি এই ইডিয়টটাকে একটা উচিত শিক্ষা দিতে হবে।ও আমার ছোঁয়াকে হাত লাগায় কোন সাহসে?
আয়ানঃ ছোঁয়া কারো বাপের সম্পত্তি না,একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ I love Chowa আমি জানি তুইও ওকে ভালোবাসিস But that does not count ও যদি আমাকে ভালোবাসে তাহলে আমাকে আর কেউ আটকাতে পারবে না
সায়নঃ How dare you!তোকেতো আমি…
মারুফঃ স্টপ ইট সায়ন,পাগলামি করিস না প্লিজ…
সায়নঃ ছেড়ে দে মারুফ আজকে আর ওকে আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।ও কাকে নিয়ে এসব ফালতু কথা বলছে ও জানে না,ছোঁয়া যে আমার…
মারুফঃ সায়ন স্টপ,চল আমার সাথে।চল বলছি…
(মারুফ সায়নকে একরকম টানতে টানতে বাইরে নিয়ে আসলো)
মারুফঃ তুই কি পাগল হয়ে গেছিস?এক্ষুণিতো সব বলে দিচ্ছিলি
সায়নঃ দিলে দিচ্ছিলাম,তুই খামোখা আটকাতে গেলি কেন?সত্যিটা বলে দিলে এটলিস্ট আমার বউটাকে নিয়ে আর কেউ টানাটানিতো করতো না…
লোপাঃ বাট ভাইয়া,ছোঁয়ার ন্যচারটতো আপনি জানেন।ও চায় না এখনই কেউ সত্যিটা জানুক,ওর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করে বসলে ওর রাগতো আপনি চিনেন।এত সহজে সবকিছু মেনে নেবে না,এতদিন ওর মনে যেটুকু জায়গা করে নিয়েছিলেন এক নিমিষে সব হারিয়ে ফেলবেন
সায়নঃ তাহলে এখন আমাকে কি করতে বলছিস?
মারুফঃ কিছুই না,ওর হ্যাঁ বলার জন্য ওয়েট কর তারপর নাহয় সবাইকে সব জানাবি…
(সন্ধ্যায়)
আয়ানদের বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে সায়ন,ছোঁয়ার প্রজেক্টের কাজ শেষ হওয়ার জন্য ওয়েট করছে।কিছুক্ষণের মধ্যেই ছোঁয়া বেরিয়ে আসলো,সায়ন ওর দিকে ছুটে গেল
সায়নঃ আজ এত তাড়াতাড়ি?
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ কাজের চাপ একটু কম ছিল তাই…
সায়নঃ ভালোই হল,চল লেকের ধার থেকে ঘুরে আসি
ছোঁয়াঃ আমার ইচ্ছে করছে না,আপনি যান
সায়নঃ হোয়াট ননসেন্স!তুমি না গেলে আমি…এই তোমার হাতে ওটা কি?
ছোঁয়াঃ ইনভাইটেশন কার্ড
সায়নঃ কিসের?
ছোঁয়াঃ আয়ান ভাইয়ার বার্থডে
সায়নঃ কি!তুমি কিন্তু যাবে না
ছোঁয়াঃ কেন?
সায়নঃ আমি নিষেধ করছি তাই
ছোঁয়াঃ ওহ এখন আমি কি করব না করব সেই ডিসিশনও কি আপনিই দেবেন?
সায়নঃ মানে?
ছোঁয়াঃ দেখুন এটা আমার লাইফ,আমার জন্য কোনটা ভাক কোনটা মন্দ আমি খুব ভালোমতোই বুঝি সো প্লিজ আমার কোনকিছুতে বাঁধা দিতে আসবেন না
সায়নঃ আরে বাবা আমি ঠিক ওভাবে বলিনি আমিতো জাস্ট…আচ্ছা ঠিক আছে তোমার ইচ্ছে হলে তুমি যেও আমার কোন প্রবলেম নেই
ছোঁয়াঃ থাকলেও আমার কিছু করার নেই
সায়নঃ তুমি হঠাৎ এভাবে কথা বলছো কেন?
ছোঁয়াঃ তো আর কি করব?দুপুরে সবার সামনে যা করলেন তারপর আর আমার মুখ দেখানোর কোন উপায় আছে?
সায়নঃ বাহ রে আমি কি শুধু শুধু এসব করেছি?ওই আয়ানের বাচ্চাটা তোমার হাত ধরলো আর আমি কিছুই বলব না!ওহ বুঝেছি,তোমার বোধহয় এসব ভালোই লাগছিলো তাইনা?তাইতো বলি একটা পরপুরুষ তোমার হাত ধরলো অথচ তুমি কতটা রিল্যাক্স মুডে ছিলে কিভাবে সম্ভব!আসলে তোমার মত মেয়েরা এটাই চায়,বড়লোক ঘরের ছেলে দেখেছো এখন আর আমাকে ভাল লাগবে কেন…
ছোঁয়াঃ আর সহ্য হল না,উনার গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিলাম।শাট আপ,অনেক বলেছেন আর না।You know what,you are really a sick.Just go to hell…
চলবে….