Childhood marriage 2 !! Part- 12
#লেখিকা-সানজিদা সেতু
সায়নঃ কাল রাতে আমার গায়ে বালতি ভর্তি পানি ঢেলেছিলে না..তার শাস্তি এটা।চাইলে বাড়ির পুকুরেও ডুবাতে পারতাম কিন্তু তাতে মার ঝাড়ি খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল তাই…কি ব্যাপার কিছু বলছো না যে!সব লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেল?মনে থাকলে আর জীবনে আমার সাথে লাগতে আসবে না…
ছোঁয়াঃ কোন জবাব দিতে পারলাম না,মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি
সায়নঃ এটা কি হল!ও কোন জবাব দিচ্ছে না কেন?এতক্ষণেতো আমার চৌদ্দ গুষ্ঠী উদ্ধার করে দেয়ার কথা!কাহিনীটা কি?ওহ শিট!ব্যাপারটাতো আমার মাথায়ই ছিল না…ছোঁয়া…উঠে আসো..
ছোঁয়াঃ আমার কানে যেন কোন কথাই ঢুকছে না,ঐ ভাবেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি
সায়নঃ ছোঁয়া…কি বলছি শুনতে পাচ্ছো না?উঠে আসো বলছি…
ছোঁয়াঃ …..
সায়নঃ নাহ এভাবে কাজ হবে না,আমাকেই কিছু একটা করতে হবে।আস্তে আস্তে আমিও পানিতে নেমে গেলাম।ছোঁয়া…আমার হাতটা ধরে উঠে আসো
ছোঁয়াঃ ….
সায়নঃ কি আশ্চর্য!এইটা মেয়ে না কি?এ দেখি আমার একটা কথাও শোন না!দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা…ওকে একরকম কোলে করে পানি থেকে বের করার চেষ্টা করলাম
ছোঁয়াঃ একি কি করছেন আপনি?ছাড়ুন বলছি…নাহ কথাতে দেখছি কাজ হবে না,দিলাম বসিয়ে এক কামড়
সায়নঃ আউচ!এইটা মেয়ে না জংলি বিলাই!ওকে আবার পানিতে ফেলে দিলাম,এই মেয়ে কি সমস্যা তোমার?এত জোরে কেউ কামড় দেয়!
ছোঁয়াঃ কোন উত্তর দিতে পারলাম না,আবারও মাথা নিচু করে ফেললাম
সায়নঃ এই দেখো আবার চুপ করে আছে,আরে বাবা প্রবলেমটা কি বলবেতো…না বললে আমি বুঝবোটা কিভাবে?
ছোঁয়াঃ ….
সায়নঃ Okey fine I’m sorry.
ছোঁয়াঃ It’s okey
সায়নঃ তাহলে হাতটা ধরো…প্লিজ…
ছোঁয়াঃ কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না তাই একইভাবে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছি
সায়নঃ ছোঁয়া…কি বলছি শুনতে পাচ্ছো না?ওদিকে তাকিয়ে আছো কেন?Look at me damn it…
ছোঁয়াঃ উনার দিকে একবার তাকয়েই চোখ নামিয়ে নিলাম
সায়নঃ ওর চোখের দিকে চোখ পড়তেই বুঝে ফেললাম আমার এখন কি করা উচিত।গায়ের জ্যাকেটটা খুলে ওর গায়ে জড়িয়ে দিলাম তারপর একরকম কোলে করেই ওকে উপরে নিয়ে আসলাম।অদ্ভূতভাবে মেয়েটা কোন প্রতিবাদই করল না!
(কিছুক্ষণ পর)
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ জ্বি?
সায়নঃ Are you okey?
ছোঁয়াঃ হুম
সায়নঃ এখন কি বাড়ি যাবে?
ছোঁয়াঃ হুম
সায়নঃ ওকে তাহলে বাইকে উঠো
ছোঁয়াঃ উনার কথামতই চুপচাপ বাইকে উঠে বসলাম
সায়নঃ ছোঁয়াকে এভাবে দেখতে কেমন যেন লাগছে,সেই চঞ্চল ডানপিটে মেয়েটাকে খুব মিস করছি…
ওরা বাড়ি ফিরতে ফিরতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে আসলো,ওদেরকে দেখেই মা ছুটে চলে আসলেন।ছোঁয়া তখন শীতে রীতিমত কাঁপছে,ওকে এভাবে দেখেই মা আঁতকে উঠলেন
মাঃ ছোঁয়া…কি হয়েছে তোর?এমন ভিজলি কিভাবে?
সায়নঃ সর্বনাশ!এই মেয়ে যদি এখন মাকে সব বলে দেয় তাহলে যে কি হবে…
মাঃ কি রে কথা বলছিস না কেন?
ছোঁয়াঃ ও কিছু না মা,ওই একটু পা পিছলে…
মাঃ তুইও না…একটু দেখেশুনে চলতে পারিস না?বাড়ির সবার খেয়াল রাখতে পারিস অথচ নিজের বেলায়…
সায়নঃ উফ মা,লেকচার বন্ধ করবে?ওকে ফ্রেশ হওয়ার সময়তো দাও তারপর যা বলার বল…
রিয়াঃ হাই গাইজ,হোয়াটস আপ?
রাকিবঃ এতক্ষণতো ভালই ছিলাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আর ভাল থাকা হল না
রিয়াঃ কেন?হঠাৎ করে আবার কি হল!
তানিঃ কি আর হবে,তুমি আশেপাশে থাকলে কি আর ভাল থাকা যায়?(বিড়বিড় করে)
রিয়াঃ কিছু বললে?
তানিঃ কই নাতো…
রিয়াঃ Anyway মারুফ কোথায়?
রাকিবঃ নো আইডিয়া
রিয়াঃ তাহলে কে জানে?
(কেউ কোন জবাব দিল না,যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল)
রিয়াঃ মারুফ…মারুফ…
রাকিবঃ Would you mind shut your mouth?
রিয়াঃ তাহলে কেউ বলছো না কেন মারুফ কোথায়?মারুফ…মারুফ…
তানিঃ শাট আপ রিয়া আর হ্যাঁ মারুফ ঐদিকে আছে
রিয়াঃ হোয়াটএভার,নাউ বাই সি ইউ…
তানিঃ সি ইউ…হু ওয়াণ্টস?
রাকিবঃ কিরে,কি বিড়বিড় করছিস?
তানিঃ ভাবছি সায়ন আর কোন মেয়ে পেল না?এই ডাইনীটাকেই বেছে নিতে হল!
রাকিবঃ কি আর করবি বল,এখন খালি দোয়া কর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোন ভাল মেয়ে সায়নের জীবনে আসুক আর এই শাকচুন্নিটাকে ওর থেকে দূরে সরিয়ে দিক
রিয়াঃ হাই মারুফ
মারুফঃ আইছে মেজাজ খারাপ করার পাবলিক
রিয়াঃ ও হ্যালো,তোমাকেই বলছি
মারুফঃ রিয়েলি!আমি আবার ভাবলাম স্বপ্ন দেখছি
রিয়াঃ কেন আমি কি তোমাদের ফ্রেণ্ড না?
মারুফঃ ফ্রেণ্ড!আর তুমি!যাই হোক বাদ দাও এখন বল কেন এসেছো
রিয়াঃ না মানে সায়ন…
মারুফঃ ওর কোন খবর আমরা কেউই জানিনা,কবে আসবে না আসবে কিছুই বলেনি
রিয়াঃ ওহ প্লিজ,মিথ্যে বলার কোন দরকার নেই
মারুফঃ লিসেন রিয়া সায়ন বাসায় গিয়ে পর্যন্ত আমাদের কারো সাথেই একটাবার কথাও বলেনি।বিশ্বাস না হলে নিজেই খোঁজ নিয়ে দেখ
রিয়াঃ সেতো নেবোই,ওকে বাই
মারুফঃ রিয়া…একটা ফ্রি পরামর্শ দেই,মানলে তোমার জন্যই ভাল
রিয়াঃ I don’t need any kind of advice from you
(রিয়ে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল)
মারুফঃ সায়নের থেকে দূরে থাকো।He is not your type infact তুমি ওর যোগ্য নও so just stay away from him…
রিয়াঃ যত্তসব…আমাকে শেখাতে আসছে!আরে তোমাদের নাকের ডগায় সায়নকে আমি নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাব জাস্ট ওয়েট এন্ড সি…
(বিকালে)
সায়নের বন্ধুরা এসেছে সায়নের সাথে দেখা করতে,কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়ার পর ছোঁয়া সবার জন্য নাস্তা নিয়ে আসলো।কয়েক রকমের ফল,বিস্কুট,চানাচুর আর মিষ্টি…
সায়নঃ মা..ও মা…
মাঃ কি রে খোকা?কি হয়েছে?
সায়নঃ আমার পায়েস কই?
মাঃ দাঁড়া এক্ষুণি ব্যবস্থা করছি।ছোঁয়া…যাতো মা সবার জন্যে পায়েস নিয়ে আয়
সায়নঃ তুমি নিয়ে আসো না,ওকে কেন বলছো?
মাঃ যে বানিয়েছে তাকেইতো সার্ভ করতে দেয়া উচিত তাইনা?
সায়নঃ মানে!!
মাঃ মানে..আজকের পায়েসটা ছোঁয়া বানিয়েছে
সায়নঃ হোয়াট!আই কান্ট বিলিভ দিস
মাঃ বিশ্বাস না হলেও করতে হবে।কি রে তুই আবার বসে পড়লি কেন?যা..পায়েসটা নিয়ে আয়…
ছোঁয়াঃ হ্যাঁ মা,যাচ্ছি
সায়নঃ ছোঁয়া…আর পায়েস!তাও আবার আমার জন্য!নাহ মনে হচ্ছে কোন একটা ভেজাল আছে,বাবা সায়ন..বি কেয়ারফুল ওকে?এই মেয়েকে কোন বিশ্বাস নেই(মনে মনে)
ছোঁয়াঃ পায়েস খাবা তাইনা?দাঁড়াও খাওয়াচ্ছি…সবার জন্য আলাদা আলাদা বাটিতে আর উনার জন্য আলাদা করে তুলে রাখা পায়েসটা অন্য একটা বাটিতে করে খাবার টেবিলে নিয়ে গেলাম
মাঃ এইতো চলে এসেছে,নে মা সবাইকে উঠিয়ে দে
ছোঁয়াঃ এইতো মা দিচ্ছি,একে একে সবাইকে তাদের বাটি এগিয়ে দিলাম।উনারটাও উনাকে দিয়ে দিয়েছি
সায়নঃ রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি মনে হচ্ছে…ব্যাপারটা তাহলে দেখতে হচ্ছে…
ছোঁয়াঃ সবাই খেতে শুরু করেছে কিন্তু এই বেটা দেখি মুখেও তুলছে না!
টগরঃ বাহ ভাবী,পায়েসটাতো অনেক সুন্দর হয়েছে।কার কাছে শিখলেন?
ছোঁয়াঃ কার কাছে আবার মাইতো সব শিখিয়ে দিল
কনকঃ তবে তোরা যাই বলিস ভাবীর রান্নার হাত কিন্তু বেশ ভাল।সায়ন দোস্ত তোর ভাগ্যটা কিন্তু অনেক ভাল
মাঃ আচ্ছা তোরা কথা বল,আমি বরং দেখি মার কিছু লাগবে কিনা
টগরঃ কি রে সায়ন,তুই খাচ্ছিস না কেন?খেয়ে বল কেমন হয়েছে…আফটার অল স্পেশালি তোর জন্যইতো বানিয়েছে
সায়নঃ হ্যাঁ খাচ্ছি
ছোঁয়াঃ বেটা বজ্জাত আগে খেয়েতো দেখ তারপর বুঝবা ঠেলা..(মনে মনে)
লিখনঃ কথা না বাড়িয়ে আগে একটু খেয়ে দেখ
সায়নঃ সে নাহয় খাবো কিন্তু যে বানিয়েছে তারটা কই?সে কি খাবে না?
টগরঃ তাইতো..ভাবীতো কিছুই খেল না
ছোঁয়াঃ না না,আপনারা খান,আমি পরে খেয়ে নিব…
লিখনঃ তা বললে কি হয়?এই সায়ন এক কাজ কর না,তুই ভাবীকে খাইয়ে দে না
সায়নঃ জিও দোস্ত,এখন বোঝা যাবে কোন ঝামেলা আছে কি নেই..(মনে মনে)
ছোঁয়াঃ না না ভাইয়া,আমি ঠিক আছি।আপনারা খান না..আমি বরং শরবতটা করে নিয়ে আসি
টগরঃ আরে ভাবী,ওসব শরবত টরবত পরেও খাওয়া যাবে।আপনি বরং এখানে একটু বসেন
ছোঁয়াঃ আরে,টগর ভাই…
কনকঃ আরে ভাবী বসেনতো..
ছোঁয়াঃ বাধ্য হয়ে বসে পড়লাম
লিখনঃ নে দোস্ত কাজ শুরু কর
সায়নঃ কি কাজ?
টগরঃ আরে গাধা ভাবীকে খাইয়ে দে
ছোঁয়াঃ না না ভাইয়া,লাগবে না।আমি নিজেই উঠিয়ে নিচ্ছি
লিখনঃ ভাবী কি লজ্জা পাচ্ছেন নাকি?আরে ভাবী,লজ্জা পাওয়ার কি আছে?আমরাতো সবাই আপনার দেবর…
সায়নঃ ওই শালা কিসের দেবররে?আমি তোর থেকে কম করে হলেও তিন মাসের ছোট
কনকঃ ওই হল,এখন কি ভাবীকে খাইয়ে দিবি নাকি আমরাই তোর কাজটা করে দিব বল
সায়নঃ না না আমিই করছি,পায়েসের চামচটা ওর মুখের সামনে ধরলাম
ছোঁয়াঃ এখন কি করি?ওটাতেতো ইচ্ছে মত লবণ মিশিয়েছি,খাব কি করে!আর না খেলেতো সবাই…হে আল্লাহ আমারে উঠাইয়া লও
সায়নঃ ছোঁয়া…
ছোঁয়াঃ (চমকে উঠে)জ্বি?
সায়নঃ ওকে খেতে ইশারা করলাম
ছোঁয়াঃ হে আল্লাহ রক্ষা কর।বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া পড়তে পড়তে মুখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে মুখে নিলাম।ভেতরটা গুলিয়ে আসলো,এত লবণ কেন যে দিতে গেলাম!কিন্তু কিছুই করার নেই কোন রকমে মুখে হাসি ফুটিয়ে চুপ করে বসে থাকলাম
সায়নঃ নাহ মনে হয় আমারই ভুল,কোন ভেজাল নেই মনে হয়,একবার খেয়েই দেখিনা কি হয়…অল্প একটা মুখে দিতেইতো আমার অবস্থা খারাপ,ঠিক ধরেছি এই মেয়ে আসলেই একটা বদের হাড্ডি।ঠিক হয়েছে,দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা…
ছোঁয়াঃ এই লোক দেখি কিছুই বলছে না,এমন শান্ত শিষ্ট হয়ে বসে আছে কেন!মনে হচ্ছে এটা ঝড়ের পূর্ব মুহূর্ত,হে আল্লাহ রক্ষা কর…
সায়নঃ বাহ সত্যিইতো পায়েসটতো সত্যিই অনেক টেস্টি হয়েছে,আমিতো ভাবতেই পারিনি তুমি এত সুন্দর রান্না পার
ছোঁয়াঃ এই বেটায় কয় কি!নিশ্চিত মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে
সায়নঃ আমারতো আরও খেতে ইচ্ছে করছে
ছোঁয়াঃ তাহলে খান না…
সায়নঃ সেতো খাবই কিন্তু তার আগে যে রান্নাটা করেছে তাকেতো ভাল করে খাইয়ে নেই…
ছোঁয়াঃ হায় হায় এখন কি করি?না না আমি আর খাব না,আমার পেট ভরে গেছে
সায়নঃ বললেই হল!তুমিতো কিছুই খাওনি,দেখি হা করতো…
ছোঁয়াঃ বললামতো খাব না,শুধু শুধু কেন জোর করছেন?
টগরঃ ভাবী খেয়ে নেন খেয়ে নেন,কাল থেকে আর এই সুযোগ পাবেন না
সায়নঃ মুখটা খোল বলছি…
ছোঁয়াঃ বেটা বজ্জাত,জেনে শুনে আমার সাথে এমন করছে..আমার নামও ছোঁয়া,কিছুতেই মুখ খুলব না
সায়নঃ আমিও দেখব তুমি কিভাবে বাঁচো।একরকম জোর করেই ওকে আরো দুই চামচ পায়েস খাইয়ে দিলাম।মুখে দিতেই ও ছুটে বেসিনের দিকে চলে গেল,আমিও পিছু পিছু ছুটলাম…
ছোঁয়াঃ এটা কি হল?আপনি কি মানুষ!
সায়নঃ কেন তুমি আমার সাথে যা করতে চেয়েছো আমিতো জাস্ট তোমাকে সেটাই ফিরিয়ে দিলাম
ছোঁয়াঃ আপনাকেতো আমি…
সায়নঃ দেখে নেবে তাইতো?ঠিক আছে নিও বাট পরের বার।আপাতত আর সেই সুযোগ পাচ্ছো না
ছোঁয়াঃকেন?
সায়নঃ কারণ কাল সকালেইতো আমি চলে যাচ্ছি সো…
ছোঁয়াঃ যাক বাবা,বাঁচা যাবে,আপদ বিদায় হবে
সায়নঃ কি বললে?
ছোঁয়াঃ কই কিছু নাতো,আপনি কি যেন বলছিলেন?
সায়নঃ বলছিলাম যে আমাকে দেখে নিতে চাইলে নেক্সট টাইম আমি বাসায় আসা পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে
ছোঁয়াঃ আপনার জন্য ওয়েট করতে আমার বয়েই গেছে।আল্লাহ করুক আপনার মুখ যেন আর কক্ষনো দেখতে না হয়…
সায়নঃ সেম হেয়ার,হে আল্লাহ এই মেয়ের দোয়াটা তুমি কবুল করে নাও,আমিও আর কক্ষণও ওর মুখদর্শন করতে চাই না…
চলবে….