বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 33
সিড়ি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে আসে আবিরের মা,,,তিথিকে যে পুরো পরী লাগছে,,,সবুজ লেহেঙ্গা লাল ওড়না মাথায়,,,,কাঁচা ফুল দিয়ে পুরো বউ করে সাজানো হয়েছে তিথিকে,,,,হালকা মেকাপ,,,,দেখতে পুরো পরী,,,,,,সবাই তো হা করে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে আর সবার আগে জাতির ক্রাশ আবির😂😂😂😂
আবির তিথির সামনে গিয়ে হাত বারিয়ে দেয়,,,তিথি তার ডান হাত আবিরের হাতে রাখে,,,আস্তে করে নিচে নামায়,,,,আমান ইশারা দিয়ে আবিরকে বলে তিথিকে নিয়ে ডান্স করতে,,,আবির একটু মুচকি হেসে তিথির হাত ধরে ঘুরানো শুরু করছে,,,,ঢোল এর আওয়াজ যেন দুই গুণ বেরে যায়,,,আবিরের মা,,নানিকে আমান আর আকাশ টেনে এনে ডান্স করে তাদের সাথে,,,পুরো রহমান বাড়ির খুশিতে মেতে ওঠে,,,,রহমান বাড়ির খুশিতে আজকে সবাই মেতে ওঠে ডান্সে,,,,
ডান্স শেষে মেহেদী লাগানোর মেয়েরা তিথিকে নিয়ে যায়,,,,তিথি সুন্দর করে বসিয়ে হাতে মেহেদী লাগানো শুরু করে,,দুইজন হাতে আর দুই জন পায়ে লাগায়,,,,বৃষ্টি আর বাকি মেয়েরা ও মেহেদী লাগানো শুরু করে,,,,
আবির,,,আমান,,,আকাশ,,মেঘ সবাই এক পাশে বসে বসে মেয়েদের মেহেদী লাগানো দেখছে আর নিজেরা মজা করছে,,,,
আমানঃ আবির কালকে তোর জীবনে অনেক বড় দিন,,,,
আবিরঃ হ্যাঁ কালকে আমার জীবনের অনেক বড় দিন,,,কালকে আমার তিথি আমার হয়ে যাবে,,,তিথি তো আমার আছে কিন্তু ইসলাম অনুযায়ী আর আইন অনুযায়ী সে আমার হবে কালকে,,,,
আকাশঃ আচ্ছা চল মেয়েদের একটু ডিস্টার্ব করি,,,আয় আয়
আবিরঃ তোকে কাঁচা খাবে রাইশা যদি কিছু করিস😂😂😂
আকাশঃ আচ্ছা আবির তুই কি জানিস আমাদের আমান প্রেম করে???
আমান আকাশের কথা শুনে ঢোক গিলতে থাকে,,
আবিরঃ কি😱😱😱কি বলিস আমান আর প্রেম
আমানঃ আকাশের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বুজলি তাই উল্টো পালটা বকছে
আকাশঃ ওহ তাই বুজি😞😞
আমানঃ ফালতু কথা ছাড় আর আয়,,,মেয়েরা মেহেদী লাগাচ্ছে আর আমরা এই খানে বোরিং হচ্ছি,,
গান চালাই সবাই ডান্স শুরু করে দেয়,,,আবির তিথির পিছনে গিয়ে ঘাড়ে মুখ এনে বলে
আবিরঃ আজকে সারারাত কি মেহেদী দিবে???
তিথি একটু পার্ট নিয়ে বলে
তিথিঃ আমার মেহেদী অনুষ্ঠান বলে কথা সময় তো লাগাবোই
আবিরঃ ওহ তাই বুজি ম্যাডাম
তিথিঃ জ্বি এখন যেতে পারেন মেহেদী লাগাতে দাও যাও
আবির না গিয়ে তিথির মেহেদী লাগানো দেখছে আর একটা একটা বলে তিথিকে হাসাচ্ছে,,, আবিরের নানি দূর থেকে আবির আর তিথিকে দেখে মুচকি হাসছে৷৷ ,,,, আবিরের মা নানির পাশে এসে বলে
আবিরের মাঃ কি হলো মা এই খানে দাঁড়িয়ে আছো যে???
নানিঃ আমার আবির কতো খুশি দেখ,,,,তার এই হাসির কারণ যে শুধু তিথি,,,তাদের যেন আল্লাহ এই ভাবে হাসি খুশিতে রাখে,,,
আবিরের মাঃ আমিন,,
বৃষ্টি মেহেদী লাগিয়ে এক বিপদে পড়ে গেছে,,চুল গুলো খোলা থাকায় বার বার মুখে এসে পড়ছে,,,চুল গুলো সরাতে ও পারছে না,,,,নিজের কাছে খুব বিরক্তি লাগছে,, কাউকে যে বলবে সে সুযোগ ও নাই,,,,কারণ সব মেয়েরা তো মেহেদী লাগিয়েছে,,,চুল গুলোতে খালি ফুঁ দিচ্ছে,,,,আমান অনেক ক্ষন যাবত বৃষ্টির কান্ড দেখছে আর হাসছে,,,,আমান বৃষ্টির কাছে এসে তাকে এক পাশে নিয়ে যায়,,,
বৃষ্টিঃ কি করছো কি???কেউ দেখলে কি ভাববে???
আমানঃ তাতে আমার কি???যার যা ইচ্ছে ভাবুক এতে আমার কিছু যায় আসে না ওকে ম্যাডাম
বৃষ্টিঃ হ্যাঁ তোমার কিছু যায় আসে না,,,,, কিন্তু কেউ দেখলে আমার খবর আছে ওকে
আমানঃ কেন তোমার কেন খবর আছে,,,ম্যাডাম আমাদের কথা সবাই জানলে তো আরো ভালো কারণ তখন আমাদের বিয়ে হবে
বৃষ্টিঃ আহা কি সুন্দর কথা,,,,সবাই জানুক আর আমার ১২ টা বাজাক
আমানঃ কার এতো সাহস আমার বউয়ের গায়ে হাত দেওয়ার শুনি😡😡😡
আবির পিছনে থেকে বলে উঠে
আবিরঃ তোর জম শালা
আবিরের আওয়াজ পেয়ে আমান আর বৃষ্টি পিছনে ফিরে দেখে আবির,,আবির কোমড়ে দুই হাত রেখে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ তুই প্রেম করিস তাও আমার বোনের সাথে😡😡
আমানঃ আবির আসলে আমার কথা শুন হয়ছে কি
আবিরঃ হ্যাঁ বল শুনছি কি???😡
আমানঃ জেনে যখন গেছিস ভালো কথা,,, দেখ আবির আমি তোর বোনকে খুব ভালোবাসি,,শুধু আমি না তোর বোন ও আমায় ভালোবাসে,,আমাদের সম্পর্ক প্রায় তিন বছরের,,,,,
আবির রাগী লুকে বৃষ্টির দিকে তাকায়,,,,,,বৃষ্টি তো ভয়ে শেষ,,,,আবিরের রাগ দেখে,,,
আবিরঃ বৃষ্টি তুই কি আমানকে ভালোবাসি??
বৃষ্টিঃ ভাইয়া আসলে হয়ছে যে
আবিরঃ যা জিজ্ঞেস করছি শুধু তার উত্তর দিবি(ধমক দিয়ে)
বৃষ্টিঃ হ্যাঁ (কান্না করে 😭😭)
,আবির অনেক ক্ষন রাগী লুকে থাকে আর না পেরে হেসে দেয়,,,আবিরের এমন হাসিতে আমান আর বৃষ্টি পুরো অবাক৷ , আবির আমানকে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ হারামি আগে যদি বলতি তাহলে আমার আগে তোর বিয়ে হতো
আমান বৃষ্টির দিকে তাকায়,,,বৃষ্টি চোখের পানি মুছে আবিরকে জড়িয়ে ধরে,,,,বাড়ির সবাইকে আমান আর বৃষ্টি কথা জানানো হয়,,সবাই তো অনেক খুশি আমান আর বৃষ্টির জন্য,,,,,,সব চেয়ে খুশি তিথি,,,,,
মেহেদী অনুষ্ঠান খুবই আনন্দে কাটে,,,,
রাতে তিথি বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকে আর আবিরের নামে মেহেদী গুলো হাতে দেখতে থাকে,,,,আর মুচকি মুচকি হাসে,,,আর একদিন পরে সে মিসেস আবির রহমান হবে ভাবতে তার আনন্দে বুক ভরে যাচ্ছে,,,,খুবই আনন্দের ব্যাপার যখন ভালোবাসার মানুষটি তার হবে সারাজীবন এর জন্য,,,তিথির কাছে ও খুব আনন্দ লাগছে তার ভালোবাসা তার হবে সারাজীবন এর জন্য,,,,,শীতল বাতাস,,,,রাতের সে চাঁদনি আলোতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিথি আবিরের সাথে প্রত্যেক মুহূর্ত গুলো মনে করে হাসছে,,,,
বিয়ের দিন,,,
আজ আবির আর তিথির বিয়ে,,,,,,,চারপাশে আনন্দে ভরে ওঠে,,,,পুরো রহমান বাড়ি আজকে নতুন বউয়ের মতো সাজানো হয়েছে,,,,,,,,
সকাল থেকে তিথির কেমন যেন লাগছে,,,অজানা এক ভয় তার মধ্যে কাজ করছে,,,কিন্তু আবিরের হাসি মাখা মুখ খানি দেখলে ভয়টা চলে যায়,,,কিন্তু ভিতরে ভিতরে ভয় কাজ করছে,,,,,,,,বিয়ের সময় হয়ে আসছে,,,পার্লারের মেয়েরা এসে তিথিকে সাজিয়ে দেয়,,,,,
মেহেরুন কালারের লেহেঙ্গা,,,,গা বরতি গহণা,,,,মাথায় মেহেরুন কালারের ওড়না,,,,মেকাপ সব কিছু মিলিয়ে আজকে তিথিকে পুরো পরী লাগছে,,,,তিথির সৌন্দর্য যেন হাজার গুণ বেরে যায়,,,কথায় আছে না মেয়েদের বেশি সুন্দর লাগে তাদের বিয়েতে ঠিক আজকে তিথিকে ও খুবই সুন্দর লাগছে,,,,তিথিকে সাজানো পরে পার্লারের মেয়েরা চলে যায়,,,,বৃষ্টি রেডি হয়ে তিথির পাষে থাকে,,তিথিকে দেখে মুগ্ধ নয়নে কিছু ক্ষন তাকিয়ে থাকে আর তিথিকে জড়িয়ে ধরে বলে
বৃষ্টিঃ ভাবি আজকে তোমায় পুরো পরী লাগছে,,ভাইয়া তো আজকে চোখ সরাতেই পারবে না,,,,,
বৃষ্টির কথা শুনে তিথি কিছুটা লজ্জা পায়,,,,
আবির আজকে তিথির সাথে মিলিয়ে মেহেরুন কালারের পাঞ্জাবি পড়ে,,,রাজাদের মতো হাতে তেলোয়ার,,,
আবির রেডি হয়ে সব বাহিরে গিয়ে গাড়ি করে আসে,,আর আমান আকাশ সব ছেরা গাড়ির সামনে বাইক রেখে হর্ন বাজানো শুরু করে,,,,, গাড়ির চারপাশে আর সামনে সব বাইক,,,,অনেক জোরে হর্ন বাজানো হয়,,,,বৃষ্টি দূরে নিচে নেমে যায়,,,তিথি একা রুমে থাকে,,,,,একা আয়নার সামনে বসে নিজেকে দেখছে আর মুচকি মুচকি হায়াছে,,,,,কিছু ক্ষন পর মেয়েরা সব গেটের সামনে ডান্স শুরু করে আর ছেলেরা ও তাদের যোগ দেয়,,,,মোট কথা সব দিকে তাদের বিয়ে পারফেক্ট,,,
আবির গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে যায়,,কাজী সাহেব বর ও কনে এক সাথে নিয়ে আসতে বলে,,,রাইশা আর বৃষ্টি গিয়ে তিথিকে আনতে যায়,,,,
বৃষ্টি আর রাইশা তিথির রুমে গিয়ে দেখে তিথি নাই,,,,,,বৃষ্টি আর রাইশা মিলে তিথিকে সব জায়গায় খুঁজে কিন্তু কথায় ও পায় নাই,,,তারা দুইজন নিচে গিয়ে বলে
বৃষ্টিঃ মা ভাবিকে কথায়ো পাচ্ছি না,,সব জায়গায় দেখেছি কিন্তু কথায় ও নাই,,,,
তিথি কথায় ও নাই শুনে আবিরের মাথা কাজ করছে না,,দূরে গিয়ে সব রুমে দেখতে থাকে কিন্তু তিথিকে কথায় ও পায় নাই,,,আবিরের বুকটা মুচড়ে উঠে হঠাৎ,,, কেমন যেন এক ভয় আবিরকে আকড়ে ধরে,,,,ভয়ে চোখ বেয়ে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে,,,,,,
শিহাব তিথির লুকিয়ে তিথির রুমে যায় আর দেখে তিথির রুমে কেউ নাই,,সে সুযোগে তিথিকে জোর করে ছাদে নিয়ে আসে,,,তিথিকে বলে
শিহাবঃ তিথি আমি তোমায় খুব ভালোবাসি প্লিজ আমাকে ছেড়ে ওই আবিরকে বিয়ে করিও না,,প্লিজ তিথি আমার সাথে চলো আমি তোমায় অনেক সুখে রাখবো,,,
তিথি রেগে শিহাবের গালে কষে থাপ্পড় মারে আর বলে
তিথিঃ এই জীবনে তো আমি তোকে ভালোবাসবো না,,,,আমি শুধু আমার আবিরের বুজলি তুই আমি শুধু আমার আবিরের
শিহাব প্রচন্ড রেগে যায় তিথির হাত চেপে ধরে বলে
শিহাবঃ তুই যদি আমার না হস তাহলে আমি তোকে আর কারো হতে দিবো না,,,
আবির সব জায়গায় তিথিকে খুঁজে কিন্তু পায় না,,আমান আবিরের ঘাড়ে হাত রেখে বলে
আমানঃ তিথি আশে পাশে আছে,,,আর তিথি ঠিক আচগে,,,,,
হঠাৎ তিথির চিৎকার শুনে আবির দূরে যায় ছাদে,,,,
আবিরের পিছনে সবাই যায়,,ছাদের দরজা ধাক্কা মেরে খুলে ছাদে গিয়ে তিথি শিহাব তিথির হাত চেপে ধরে আছে,,তিথি খুব জোর করছে হাত ছাড়ানোর কিন্তু পারছে না,,,,তিথি প্রায় কান্না করে দেয়,,,তিথির কান্না দেখে আবিরের বুক ফেটে যাওয়ার অবস্থা,,,, আবির রাগী লুকে শিহাবের দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ ওই দিনের মাইর হয়তো তুই ভুলে গেছিস তাই আমার তিথির গায়ে আবার হাত দিয়েছিস,,,,
আবির দূরে গিয়ে শিহাবকে মারতে যাবে তার আগে শিহাব মুচকি হেসে ছাদের পাশে তিথিকে নিয়ে যায় আর ধাক্কা মারে আবার হঠাৎ করে তিথির এক হাত ধরে ফেলে আর চিৎকার করে বলে
শিহাবঃ তিথি যদি আমার না হয় তাহলে আমি তাকে তোর হতে দিবো ভাবলি কি ভাবে😡😡
আবির আর সবার তো অবস্থা খুব খারাপ ভয়ে,,,সবাই মিনতি করতে থাকে শিহাবের কাছে যে তিথির হাত যেন না ছাড়ে,,,ভয়ে তো তিথির অবস্থা খুব খারাপ,, নিচের দিকে তাকিয়ে ভয়ে কান্না করে দেয়,,আবির শিহাবকে হাত জোর করে বলে
আবিরঃ তুই যা বলবি আমি তা করবো যতো ইচ্ছে আমাকে মার প্লিজ আমার তিথিকে ছেড়ে দে,,প্লিজ শিহাব তুই আমাকে মেরে ফেল প্লিজ আমার তিথিকে ছেড়ে দে প্লিজ শিহাব আমার তিথির ক্ষতি করিস না প্লিজ 😭😭😭😭প্লিজ তাকে ছেড়ে দে প্লিজ
সবাই হাত জোর করেছে শিহাবের কাছে যাতে সে তিথির ক্ষতি না করে,,
শিহাব অনেক জোরে হেসে দিয়ে বলে
শিহাবঃ যে জিনিস আমার না সে জিনিস আমি কারো হতে দিবো না,,,,,,,তিথি আই লাভ ইউ জান,,খুব বেশি ভালোবাসি তোমাকে আর আমার ভালোবাসা আমি কাউকে দিবো না,,,,লাভ ইউ তিথি লাভ ইউ
তিথিকে আই লাভ ইউ বলে তিথির হাতটা ছেড়ে দেয়,,,তিথি নিচে পড়ে যায়,খুব জোরে একটা শব্দ হয় আর সে শব্দ হলো তিথি পড়ে যাওয়া 😭,,রক্তাক্ত দেহটা নিচে পড়ে আছে,,রক্তে পুরো মেঝেতে ভরে গেছে,,তিথির গাল বেয়ে রক্ত আর রক্ত,,তিথিকে ফেলে দেওয়ার সময় সবাই চিৎকার করে উঠে,,,
আবির দূরে এসে নিচে তাকিয়ে দেখে লাল রং এ রক্ত গুলো পুরো মেঝেতে ভরে গেছে,,আর তিথি তার মাঝে শুয়ে আছে,,,,,
আবিরঃ তিথিইইইইইইইইইইইইইই😭😭😭😭😭😭😭
(😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭)