বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 32

আবিরের এমন কথায় তিথি পুরো অবাক এই রকম কথা তো আবির বলে নাই,,,তিথি আবিরের বুকে একটা ঘুষি দিয়ে বলে
তিথিঃ যা শয়তান
লজ্জায় পুরো লাল,,আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে অনেক ক্ষন থাকে,,,,,,,,
আবির তিথির হাত ধরে রুমে নিয়ে আসে,,,,টেবিলে বসিয়ে খাবার নিজের হাতে মেখে তিথিকে খাইয়ে দেয়,,,,তিথি বাধ্য মেয়ের মতো খেয়ে নেয় কারণ সে জানে তার কোনো বাহানা আবির শুনবে না,,,উল্টো আরো ধমক দিবে,,,,আবির তিথিকে খাইয়ে বলে
আবিরঃ তাড়াতাড়ি নিচে আসো সবাই নিচে আছে,,,আর হ্যাঁ
তিথিঃ কি???
আবিরঃ ৩ দিন পর কিন্ত আমাদের বিয়ে,,তো মিস তিতা আপনি কি তিন পরে মিসেস আবির রহমান হতে রাজি????
তিথিঃ জ্বি না মিস্টার এনাকন্ডা
আবিরঃ কি বললে???আমি এনাকন্ডা😡😡
তিথিঃতাহলে আমি কি তিতা???

আবিরঃ কে বলছে তুমি তিতা,,,তুমি তো এলিয়েন😂😁😁
তিথিঃ কি আমি এলিয়েন😡😡😡হারামি,,,,বিলাই,,,,কালো কুমির,,,আফ্রিকার এনাকন্ডা,,, জলহস্তী,,,,লাল বাদর,,,নীল মাকড়সা 😡😡😡😡
আবিরঃ কি😱😱😱😱তিথি তুমি আসলে এলিয়েন এতে আমার বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই😁😂😂😁
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা তুই তো আজকে শেষ 😡😡😡
তিথি উঠে আবিরকে মারার জন্য দুরাতে থাকে,,,আবির দূরে রুম থেকে বেরিয়ে পরে,,,,আবিরের পিছনে তিথি দুরাতে থাকে,,,আবির নিচে চলে যায় ক্র তিথি ও,তাদের কান্ড দেখে সবাই হেসে দেয়,,,,আবিরের মা একটু শান্তি পায় কারণ রং এর অনুষ্ঠানে যা হয়েছে এতে তিথির উপর যা গেছে তা নিয়ে সে অনেক চিন্তিত ছিলো,,,,মাঝে মাঝে আবিরের কান্ডতে তিনি এতো খুশি হয় যে যা প্রকাশ করতে চায় না,,,,
পুরো বাড়ি দূরে ও তিথি আবিরকে ধরতে পারে নাই,,,,,আবির দূরে নিজের রুমে চলে যায়,,,,তিথিও আবিরের পিছনে যায়,,আবিরের রুমে গিয়ে দেখে আবির রুমে নাই,,হঠাৎ দরজা লাগানোর আওয়াজ পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে আবির দরজা টা লাগিয়ে দেয়,,,তিথি কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির তিথির কোমড় চেপে ধরে নিজের দিকে টান দেয়,,,তিথির সব চুল এসে আবিরের মুখে,,,আস্তে করে চুল সরিয়ে দেয়,,আর কানের নিচে গুছে দিয়ে তিথির কানের কাছে মুখ এনে দিয়ে বলে
আবিরঃ আমাকে শেষ করার একটা উপায় হচ্ছে তোমার সে পাগল করা হাসি,,,ওই টা দিয়ে আমায় শেষ করতে পারবে মিস তিতা
তিথি লজ্জায় তো মুখটা তুলতে পারছে না৷৷,, আবির তিথির গালে আস্তে করে নিজের গাল দিয়ে হালকা ঘষা দিয়ে একটা চুমু দিয়ে বেরিয়ে পরে,৷
তিথি এখনও আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে,,,লজ্জিত মুখখানি আয়নায় দেখে সে আরো বেশি লজ্জা পায়,,,মাঝে মাঝে আবিরের কান্ডতে তিথি অনেক লজ্জা পায়,,,এতো টা লজ্জা দেয় ছেলেটা যে মাঝে মাঝে তিথির ইচ্ছে করে মাটির নিচে ঢুকে যেতে 😁😂
অনেক ক্ষন পর তিথি নিচে নেমে সবার সাথে কথা বলে চারপাশে তাকিয়ে দেখে আবির কথায় ও নাই,,,,কাউকে জিজ্ঞেস ও করতে পারছে না লজ্জায়,,,কে কি ভাববে সে টা ভেবে আর কিছু বলে নাই,,,সারা বিকাল সবার সাথে গল্প করে কেটে যায়,,,রাতে ডিনার করে সবাই এক সাথে কিন্তু আবিরের কোনো দেখা নাই,,,তিথির একটু ও খেতে ইচ্ছে করছে না তারপর ও মায়ের জোরে কিছুটা খেয়ে নেয়,,,
তিথি রুমে গিয়ে আনমনে সব ভাবতে থাকে,,শিহাবের কান্ড আর তার প্রত্যেকটা কথা,,,,শিহাব বলে যায় যে তিথিকে কখনো অন্য কারো হতে দিবে না,,,প্রত্যেকটা ব্যাপারে তিথি খুবই ভয়ে আছে,,,মাথায় খালি ঘুরছে যদি শিহাব আবিরের কিছু করে,,,তাহলে সে বাঁঁচবে কি করে,,,বারান্দায় চেয়ারে বসে বসে এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে,,,

সকালে ঘুম থেকে উঠে তিথি পুরো অবাক যে সে বিছানায় কি ভাবে,,,,পরে বুজতে আর বাকি রইল না যে আবির তাকে বিছানায় আনছে,,,আবিরের কেয়ারিং,,তার চিন্তা,,তার লাভ,,,তার বিশ্বাস প্রত্যেকটা জিনিসে তিথি মুগ্ধ,,,,,হবে নাই বা কেন,,এমন জীবন সাথী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার,,
তিথি ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে দেখে আবির সবার সাথে বসে গল্প করছে,,,,তিথি ও তাদের সাথেযোগ দেয়,,,,,সারাদিন অনেক সুন্দর ভাবে কেটে যায়,,,
পরের দিন,,,
আজ আবির তিথির হলুদ,,,,দিনে হলুদ রাতে মেহদী অনুষ্ঠান,,আর কালকে তাদের বিয়ে😍😍😍😍
তিথিকে টুকটুকে হলুদ শাড়ি পড়ানো হয়েছে,,,সাথে কাঁচা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে,,,মুখে কোনো মেকাপ নাই,,,,হলুদ শাড়িতে তিথিকে খুব সুন্দর লাগছে,,,আবির সাদা পাঞ্জাবির উপর হলুদ কোঠিক পরে,,,হ্যান্ডসাম আবিরকে আজকে আরো বেশি হ্যান্ডসাম লাগছে,,,,,
সব মেয়েরা হলুদ শাড়ি পড়েছে,,,আর ছেলেরা হলুদ পাঞ্জাবি,,
হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়,,,,দুইজনকে দুই পাশে বসানো হয়,,, মাঝ ঝানে একটা বড় কাপড় দিয়ে রাখে,,,,দুইজন দুইজনকে দেখে পারছে কিন্তু এক সাথে না,,,আবিরের মা আবিরের গায়ে হলুদ লাগিয়ে দেয়,,,,আবিরের মায়ের পরে একে একে সবাই হলুদ লাগিয়ে দেয়,,,,আবিরকে হলুদ লাগিয়ে তিথিকে লাগাতে যায়,,,তিথির গায়ে প্রথম হলুদ নানি লাগায়,,,,পরে আবিরের মা,,,সবাই একে একে তিথিকে ও হলুদ লাগায়,,হলুদ মাখা মুখ খাকি যে আরো বেশি সুন্দর লাগছে,,,,
আবিরের অবস্থা তো ১২ টা😂😁পুরো মুখে হলুদ,,আমান আর আকাশ মিলে তো আবিরকে হলুদে গোসল করাইছে,,,বেচারা আজকে তার এমন করবে সে ভাবতে ও পারে নাই😂😁😁সবাই আবিরকে দেখে মাটিতে গড়াগড়ি করার অবস্থা😁😁😂তিথি আবিরকে দেখে মুখ টিপে হাসছে,,,,,
আবিরঃ (খুব হাসছি পাচ্ছে তাই না মিস তিতা???ওয়েট তোমার অবস্থা ও সেম করবো আমি😁😂)
তিথিঃ (এই যা এই বজ্জাত এনাকন্ডা নিশ্চিত কিছু প্লেন করছে এখন😨😨))
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দেয়,,,তিথি চারপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ তার দিকে তাকাচ্ছে না আবিরের দিকে তাকিয়ে হাসছে,,,,
রাইশাঃ ভাবি চলো তোমায় গোলস করতে নিয়ে যাই,,,,আর আবির ভাই তুই ও যা,,,
তিথিঃ আমি একটু আসছি,,,রুমে যেতে হবে ওই খানে রয়েছে গোসল করার পর কাপড় পড়ার শাড়ি,,,,
তিথি নিজের রুমে চলে যায়,,,আলমারি থেকে কাপড় টা নিয়ে যেতে লাগে দেখে আবির,,,হাতে অনেক গুলো হলুদ নিয়ে তিথির দিকে এগোতে থাকে,,,,আবিরের আগানো দেখে তিথি পিছনে যেতে থাকে,,,আবির তিথির সামনে এগোতে এগোতে বলে
আবিরঃ খুব হাসি পাচ্ছে তখন তাই না ম্যাডাম
তিথিঃ ক,,,কই না,,তো,,,
আবিরঃ তাই???
তিথিঃ হুম
আবির তিথির সামনে চলে যায় তিথি পিছনে যেতে যেতে আলমারির সাথে লেগে যায়,,আবির তিথির কাছে মুখ এনে হলুদ গুলো নিজের গালে লাগায়,,,তারপর নিজের গাল টা তিথির গালের সাথে লাগিয়ে সব হলুদ তিথির গালে লাগায়,,,,তিথি নাকের সাথে নিজের নাক ঘষা দিয়ে বলে
আবিরঃ এখন হয়েছে আমাদের হলুদ
তিথিঃ ছাড়ুন কেউ আসবে,,,প্লিজ
আবিরঃ আরে আমি আমার বউকে হলুদ লাগাছি এই খানে কে আসবে আবার
তিথি কিছু বলার সুযোগ পাচ্ছে না আবির তিথির গালে নিজের গাল লাগিয়ে শুধু হলুদ লাগাচ্ছে,,,তিথির পুরো শরীর কাঁপা শুরু হয়ে গেছে,,,আবিরটা যে বড্ড ফাজিল,,,,
রাইশা রুমে ঢুকে যায়,,,চোখ হাত দিয়ে বলে
রাইশাঃ সরিইইইইইইইই
রাইশার আওয়াজ পেয়ে আবির পিছনে যায়,,আর তিথি রাইশাকে দেখে পুরো শকড আর লজ্জিত,,,লজ্জায় মাথা নিচু করে রেখেছে কি না কি ভাবছে সে টা ভেবে,,
রাইশাঃ আবির ভাই রোমেঞ্চ করবি ভালো কথা কিন্তু দরজা তো লাগাবি না হলে আমাদের মতো বিনা টিকেটে রোমেঞ্চ দেখার পাবলিক চলে আসবে তোদের কিউট রোমেঞ্চ দেখতে😛😛😛😂

আবিরঃ ওহ তাই নাকি??দাঁড়া তুই তোকে দেখাছি যে রোমেঞ্চে বাঁধা দিলে কি শাস্তি পেতে হয়,,,
আবির এসে রাইশার কান মুচড়ে ধরে,,,রাইশা চিৎকার করে বলে
রাইশাঃ এখন যদি কান না ছাড়িস তাহলে আমি বাহিরে গিয়ে সবাইকে তোদের রোমেঞ্চের কথা বলবো হুম,,,,
আবির রাইশার কান আরো জোরে ধরায় সে আরো জোরে চিৎকার দেয়,,,তিথি মানা করায় আবির রাইশাকে ছেড়ে দেয়,,,রাইশ ভেংচি কেটে তিথির হাত ধরে নিয়ে যায়,,,
দুইজনকে গোসল করিয়ে দেওয়া হয়,,৷ ,, ঘর বরতি মানুষ থাকায় তিথি কিছু খাইতে ও পারছে না, আবিরের মা তিথির জন্য খাবার রুমে পাঠিয়ে দেয় আর নিজে এসে খাইয়ে দেয়,৷
বিকালে সন্ধ্যায় মেহদী লাগানো মেয়েরা আসে,,,,সবাই রেডি হয়ে ছেলেদের বাহির করে দিচ্ছে,,,,কিন্তু ছেলেরা মেয়েদের উপর পুরো ক্ষেপে যায়,,,,,
আমানঃ এই টা কি শুধু মেয়েদের অনুষ্ঠান নাকি😡
বৃষ্টিঃ জ্বি হ্যাঁ,,,,,এই খানে ছেলেরা এলাও না সো আসতে পারেন দোয়া করে,,,,,,
আমানঃ এই যে ম্যাডাম,,,আজকে আমার বন্ধুর ও মেহদী ওকে
বৃষ্টিঃ ওহ তাই আমি তো মনে করছি আপনার
আমানঃ হ্যাঁ আমার তখন হবে যখন তুমি রাজি থাকো,,,,
সবার সামনে আমান এই রকম কিছু বলবে বৃষ্টি ভাবতে ও পারে নাই,,,,চারপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই হাসছে তাদের উপর,, তাদের কথা শুনে,,,লজ্জায় মাথাটা নিচু করে চলে যায়,,,,ছেলেরা ঢোলের তালে তালে ডান্স করছে আর মেয়েরা ও যোগ দেয়,,,আবির সিড়ি দিয়ে নেমে এসে দেখে আমান আকাশ বাকিরা সবাই ডান্স করছে৷,,,,,,
আবির আজকে সবুজ পাঞ্জাবি পড়েছে,,,লাল একটা ওড়না গলায় পেছানো,,,,,দেখতে পুরো হিরো লাগছে আরে লাগবে না কেন আমার ক্রাশ বলে কথা😛😛আর জাতির ও😂😂
আমান আবিরের হাত টেনে নিয়ে আসে ডান্স করতে সবাই এক সাথে ডান্স করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,সবার আনন্দ যেন হাজার গুন বেরে যায় ঢোলের আওয়াজে,,,,আমান ডান্স করতে করতে বৃষ্টির পাশে যায় আর ইচ্ছে করে ধাক্কা দেয়,,,বৃষ্টি যখনই আমানের দিকে তাকায় আমান চোখ মারে😂😂😂বেচারি কিছু বলতে পারছে না তার ভাই যে সামনে আর মেহমান ও 😂😂😂
কিছু ক্ষন পর তিথিকে সিড়ি দিয়ে নামিয়ে নিয়ে আসে আবিরের মা,,,তিথিকে যে পুরো পরী লাগছে,,,সবুজ লেহেঙ্গা লাল ওড়না মাথায়,,,,কাঁচা ফুল দিয়ে পুরো বউ করে সাজানো হয়েছে তিথিকে,,,,হালকা মেকাপ,,,,দেখতে পুরো পরী,,,,,,সবাই তো হা করে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে আর সবার আগে জাতির ক্রাশ আবির😂😂😂😂