বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 31

আবির মনে করে তিথির হয়ে গেছে সে বাহিরে বের হয়ে আসে একটা টি-শার্ট পড়ে,,,,,বের হয়ে পুরো থমকে যায়,,,,শাড়ি পিছিয়ে কুচির জন্য কেমন ভাবে যেন হাত ঘুরায় আর এতো চিন্তা নিয়ে তাকিয়ে আছে যে আবিরের প্রচুর হাসি আসছে,,,কিন্তু তিথির এমন রুপে আবির আরো বেশি মুগ্ধ হয়ে আছে,,,ভিজা চুল,,,চুল বেয়ে পানি গড়িয়ে নিচে পড়ছে,,,লাল শাড়ি পিছিয়ে অনেক চিন্তাতেই পড়ে আছে,,,
তিথিঃ উফফফ এই শাড়ি এতো প্যাচাল কেন বিরক্তি
তিথি বিরক্তি ভাব নিয়ে শাড়িটা হাতের মধ্যে ঘুরাচ্ছে,,,আবির তিথির সামনে আসে,,তিথি তাড়াতাড়ি সরে যায়,,,শাড়িটা ধরে আবির বলে
আবিরঃ ওয়েট
তিথিঃ আ,,,মি পারবো
আবিরঃ হুম তা তো দেখছি কত পারো
তিথিঃ দে,,খুন প্লিজ আপনি যান আমি পারবো
আবিরঃ চুপ একদম চুপ
আবিরের ধমক শুনে তিথি ভয় পায়,,চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে,,,আবির শাড়িটা কুচি করে আর তিথির দিকে আড় চোখে তাকায়,,,তিথি অনেক টা ঘাবড়ে আছে,,,আবির কুচি করে তিথির হাতে দিয়ে বলে
আবিরঃ নাও
তিথি চুপচাপ কুচিটা ধরে,,,চুল বেয়ে পানি পড়ছে তা দেখে আবির একটা তাওয়াল এনে তিথির চুল গুলো মুছতে থাকে,,,তিথি শুধু তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে,,,চুল মুছার পর আবির তিথির সামনে হাঁটু ঘেরে বসে তিথির হাত ধরে বলে
আবিরঃ প্লিজ তিথি অন্য কাউকে বিয়ে করিও না,,,,এখনও সময় আছে মানা করে দাও,,,বাকি সব আমি সামলে নিবো,,,কেউ কিছু বলবে না শুধু একবার বলো এই বিয়েতে তুমি রাজি না,,
তিথি আবিরের হাতটা সরিয়ে বলে
তিথিঃ আমার দেরি হচ্ছে আমাকে যেতে হবে,,,
তিথি উঠে হাঁটা শুরু করে তখন আবির হাতটা ধরে বলে
আবিরঃ বিয়ে তোমার ওই দিন হবে তিথি শুধু আমার সাথে আর কারো সাথে না,,,
তিথি নাক ফুলিয়ে বলে
তিথিঃ আমি আপনাকে কখনো বিয়ে করবো না ওকে,,,
এই বলে তিথি চলে যায়,,,,
আবিরঃ আমি জানি না কেন তুমি আমার সাথে এমন করো?কেন আমাকে ঘৃনা করো?কিন্তু তিথি তুমি শুধু আমার হবে আর কারো না,,,কারণ আমি জানি তুমি আমাকে আজও ভালোবাসো,,,,আই প্রমেস তিথি যে কারণে তুমি আমার উপর আজ ফিড আফ তা অনেক যলদি শেষ হবে,,,আবার ফিরে আসবে আমার আগের তোতাপাখি,,,
তিথি নিজের রুমে এসে যায়,,,,হাচ্ছি দিতে দিতে শেষ,,নাক মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে,,ঠান্ডা বেশ করে লেগেছে তার,,রুমে গিয়েই আগে কাপড় চেঞ্চ করে ফেলে,,,বিছানায় শুয়ে আছে একটা কাঁথা গায়ে দিয়ে,,,,কিছু ক্ষন পর নিরব আসে,,,
নিরবঃ মামানি তিথি রেডি হয় নাই.?
মামানিঃ আমি তো জানি না,,ওর রুমে আছে আচ্ছা আমি দেখে আসি
নিরবঃ আচ্ছা আমি দেখে আসি
নিরব তিথির রুমে গিয়ে দেখে তিথি শুয়ে আছে,,তিথির পাশে গিয়ে বলে
নিরবঃ কি ব্যাপার এখনও রেফি হও নাই যে,,,,
তিথিঃ,,,,,,,,,,,!
নিরবঃ তিথি
নিরব তিথির কপালে হাত দিয়ে দেখে প্রচুর জ্বর,,,,
নিরবঃ এই কি তোমার তো প্রচুর জ্বর, কি ভাবে জ্বর আসলো এতো
তিথি কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না,,,এতো টা কাঁপানি বেরে যায় যে কথা পর্যন্ত কথা বলতে পারছে না,,,নিরব দূরে গিয়ে মামানিকে বলে
নিরবঃ মামানি তিথির অনেক জ্বর উঠে যায় আমি ডাক্তার নিয়ে আসি আপনি তিথির কাছে যান,,,
নিরব দূরে যায় ডাক্তার আনতে,,,,মামানি তিথির মাথায় হাত বুলাতে থাকে,,,,
এই দিকে,,আবির কফি খাচ্ছে আর তিথির সাথে কাটানো সব মুহূর্ত মনে করছে,,,ভার্সিটিতে কাটানো সময়,,জঙ্গলে কাটানো মুহূর্ত গুলো,, সব কিছু যেন অনেক সুন্দর সৃতি ছিলো,,,,,
আবিরের মাঃ তিথির কথা ভাবছিস?
আবির পিছনে থাকিয়ে বলে,,,
আবিরঃ হুম মা,,আগের দিন গুলো কত সুন্দর ছিলো মা,,,জানি না মা কেন তিথি আমার সাথে এমন করছে,,মা একটা কারণ তো আছে যা তিথি লুকাচ্ছে,,,,আর তিথির এই সব এর কারণ আমি জেনে ছাড়বোই মা,,,,
আবিরের মাঃ আবির তা আমিও জানি যে একটা কারণ তো আছেই যা তিথি লুকাচ্ছে,,,কিন্তু আবির এখন সব চেয়ে বেশি ইম্পর্টেন্ট এই বিয়ে আটকানো আর মাত্র ৬ দিন আছে,,,,
আবিরঃ মা তিথি কিছু তে এই বিয়ে ভাঙ্গবে না,,,
আবিরের মাঃ যে ছেলের সাথে তিথির বিয়ে ঠিক তাকে সব সত্যি বলে দে,,,,বলে দে যে তিথি তোকে ভালোবাসে,,,সব বলে দে হয়তো এতে সব ঠিক হবে,,,
আবিরঃ হুম,,আচ্ছা মা আমি একটু তিথির কাছে যাবো আসলে কাল একটা মিটিং আছে তা সকাল ৭ টায় তো তাড়াতাড়ি বের হতে হবে,,,আমি দেখা করে আসি
আবিরের মাঃ আমিও যাবো আসলে আমার ও ইচ্ছে করছে ওকে দেখতে,,,চল
আবির আর তার মা তিথিদের বাসায় যায়,,,দরজা খুলা ছিলো আবির তিথির রুমে গিয়ে দেখে তিথির গায়ে কাঁথা আর মামানি তিথির মাথায় জল পটি দিচ্ছে,,,
আবিরঃ মামানি কি হয়ছে ওর
মামানিঃ জানি না হঠাৎ প্রচুর জ্বর উঠে যায়,,,
আবির তিথির পাশে গিয়ে বসে তিথির মাথায় হাত রেখে দেখে প্রচুর জ্বর,,,,
আবিরঃ মামানি সুফ বানিয়ে নিয়ে আসবে আমি আছি তিথির পাশে,,,
আবিরের মাঃ হ্যাঁ ভাবি চলেন আমিও আপনার সাথে চলি আবির আছে তিথির পাশে,,,

আবির তিথির মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়,,তিথি চোখ খুলে দেখে আবির,,কিছু বলতে যাবে আবির বলতে মানা করে,,,,তিথির কাঁপানো যেন বেরে যায়,,,আবির তিথির হাত শক্ত করে ধরে বলে
আবিরঃ তিথি আমি আছি,,,দেখো কিছু হবে না,,,,আমি থাকতে তোমার কিছু হবে না,,,
নিরব ডাক্তার নিয়ে আসে এসে আবিরকে তিথির পাশে দেখে রেগে যায়,,,তিথির হাত ধরে আছে আবির এই দেখে তো নিরবের রাগ টা আরো বেরে যায়,,,,আবির ডাক্তার কে দেখে সরতে যাবে তার কিন্তু তিথি আবিরের হাত শক্ত করে ধরে রাখে,,,আবির ও সরে না,,,বসে থাকে
ডাক্তারঃ উনি কি পানিতে বেশি ক্ষন ছিলো???পানিতে বেশি ক্ষন থাকায় উনার এতো জ্বর উঠে,,,
আবিরের তখন মনে পড়লো যে তারা আজ অনেক ক্ষন পানিতে ভিজেছে,,,
আবিরঃ আসলে ডাক্তার তিথি অনেক ক্ষন পানিতে ছিলো,
ডাক্তারঃ হুম এই জন্য জ্বর এসেছে,,,,ওষুধ ঠিক মত খাওয়ান দেখবেন সুস্থ হয়ে যাবে,,,
ডাক্তার তিথিকে দেখে চলে যায়,,,নিরব আবিরের সামনে এসে বলে
নিরবঃ তুমি কি ভাবে জানলে যে তিথি পানিতে অনেক ক্ষন ছিলো,,,
আবিরঃ আমি না জানলে কে জানবে?কারণ তিথি,,,,
অই সময় মামানি আর আবিরের মা রুমে ডুকে,,,,,আবির আর কিছু না বলে মামানি থেকে সুফ টা নিয়ে পাশে রাখে,,তিথি আসতে করে ধরে আধা শুয়া করে বসায়,,,,
আবিরঃ মামানি তিথিকে সুফ টা খাইয়ে দাও,,সবাই বাহিরে যাচ্ছি আমরা,,,
তিথি আবিরের হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে,,মামানি তিথিকে খাইতে দিতে চায় তিথি খায় না,,,
আবিরঃ আচ্ছা মামানি আমি খাইয়ে দেই তোমরা সবাই যাও,,
সবাই বাহিরে চলে যায় আবির তিথিকে খাইয়ে দেয়,,,তিথি শুধু তাকিয়ে আছে আবিরের দিলে কেন জানি আজ তার একদম ইচ্ছে করছে না আবিরের হাত ছাড়তে,,,,
নিরবের মাথায় হাজার ও প্রশ্ন,,,সে আর না পেরে মামানিকে জিজ্ঞেস করে
নিরবঃ মামানি আবির আর তিথি কি একে অপরকে জানে?
মামানিঃ হ্যাঁ জানে তো,,,,ওরা তো একই ভার্সিটিতে পড়তো,,,তিন বছর আগে আবির আমাদের বাসায় অনেক আসতো,,,তারপর আমরা এসে যাওয়ায় আর দেখা হয় নাই,,,
নিরব এই কথা শুনে যেন থমকে যায়,,তার কেন জানি খারাপ লাগছে,,,নিরব ওই খান থেকে চলে যায়,,,আবির এক মুহূর্তের জন্য ও তিথিকে ছড়ে উঠে না,,,,অনেক রাত হয়ে যায়,,মামানি বলায় আবির নিজের রুমে তো যায় কিন্তু তার একটু ও মন টিকছে না তিথিকে ছাড়া,,, আর থাকতে না পেরে তিথির রুমে লুকিয়ে আসে,,এসে দেখে তিথির রুমে কেউ নাই তিথি ঘুমাচ্ছে,,,দূরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়,,তিথির কপালে হাত দিয়ে দেখে আগে থেকে জ্বর কম আছে,,,আবিরের হাতের ছোঁয়া হঠাৎ তিথির ঘুম ভেঙ্গে যায়,,
তিথিঃ আ,,,পনি এতো রাতে??
আবিরঃ খুব টেনশন হচ্ছে তাই
তিথি কিছু আর বলে না,চুপচাপ শুয়ে থাকে,,আবির তিথি পাশে বসে তিথির চুলে বিলি কেটে দেয়,,,তিথি ও ঘুমিয়ে পড়ে,,,আবির কখন যে তিথির পাশে ঘুমিয়ে পড়ে খবর ও নাই,,,
কেটে যায় তিন দিন,,,বিয়ের বাকি আর তিন দিন,,,,,ছোট খাটো অনুষ্ঠান করে হলে ও বিয়ে টা কিছু টা ধুমধাম হচ্ছে,,,,এই তিন দিনে আবির অনেক চেস্টা করে তিথিকে বুজানোর,,,,আজ তিথির মেহেদী রাত,সবাই নাচ গান সব কিছুতএ মেতে উঠে,,,, নিরবের কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে তিথি এই বিয়েতে হেপ্পি না,,আবির নিরবের সাথে কথা বলার ও চেস্টা করে কিন্তু নিরব আবিরকে পছন্দ করে না তাই তার সাথে কথা ও বলে না,,,
সন্ধ্যায় তিথিদের বাসায় অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়,,,,তিথিকে একটা সবুজ সারারা আর লাল কামিজ পড়ানো হয়,, দেখতে অসাধারণ লাগছে,,,,কাঁচা ফুলের গহনা দিয়ে আজ তিথিকে সাজিয়েছে,,,,,
মামানি তিথির রুমে ডুকে থমকে যায় তিথিকে যে আজ অনেক সুন্দর লাগছে,,,তিথির পাশে এসে কপালে চুমু দিয়ে বলে
মামানিঃ আজ আমার মেয়েকে অনেক সুন্দর লাগছে,,,,পরী ও যে হার মানবে আজ আমার মেয়ের কাছে,,,,,(চোখ থেকে কাজল নিয়ে তিথির কানের নিচে লাগিয়ে দেয়)
তিথি মামানিকে জড়িয়ে ধরে,,,তার একটু ও ইচ্ছে করছে না এই বিয়ে করতে,,,,চোখের কোণায় পানি এসে জমে যায়,,,মামানি মুছে দিয়ে বলে
মামানিঃ একদম চোখ দিয়ে পানি ফেলবি না আজ,,আমার মেয়েকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে অনেক,,,
মামানি তিথিকে নিয়ে হলরুমে আসে,,সবাই নাচ গান করে,,মেহেদী দেওয়ার মেয়ে ও এসে বসে আছে,,,,তিথিকে বসিয়ে মেয়েরা মেহেদী লাগাতে থাকে,,আর তিথি আবিরকে মিস করে,, হুট করে কিস করা জোর করে কামড় দেওয়া সব কিছু যেন খুব মনে পড়ছে,,,
আবির লুকিয়ে লুকিয়ে আসে,,কারণ আবিরকে দেখলে। আমানি বকবে ছেলেরা একটা ও নাই তাই,,আবির এক পাশে দাঁড়িয়ে হা হয়ে যায় তিথিকে দেখে কি না লাগছে আজ,,পুরো পরী,,,ফুলের সাজে যেব আজ পুরো ফুল লাগছে,,,
আবিরঃ হায় আজ আমার তোতাপাখিকে এতো সুন্দর লাগছে যে পরীরা ও হার মানবে,,,
হঠাৎ তিথির নজর পড়ে আবিরের দিকে,,,,ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে,,,তখন
মেহেদী মেয়েটা তিথিকে জিজ্ঞেস করে
মেহেদী লাগানোর মেয়েঃ ম্যাডাম আপনার বরের নাম?
তিথিঃ আবির(আনমনে আবিরকে দেখে,,,,)
মেহেদী মেয়েটা তিথির হাতে লেখে দেয় আবির,,,আর তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,তিথি ইশারা করে চলে যেতে কিন্তু আবির যাবে না বলে,,,আবির ইশারা করে তিথিকে ৫ মিনিট বলে তার রুমে,,,
তিথি’ লাগানো শেষ মেহেদী?
মেয়েটিঃ জ্বি ম্যাম একটু,,,
তিথি আবিরকে ইশারা করে বলে এখনও মেহেদী লাগানো শেষ হয় নাই,,তখনই আবিরের পিছনে মামানি এসে বলে
মামানিঃ আবির তুমি এখানে??
আবিরঃ আ,,সলে মামানি তিথির সাথে কিছু কাজ ছিলো, একটা ফাইল পাচ্ছিলাম না অনেক ইম্পর্টেন্ট তাই,,
মামানিঃ আজ তো ওর মেহেদী তাহলে আজও কাজ?
আবিরঃ মামানি জাস্ট ১০ মিনিট তারপর আমি চলে যাবো প্রমেস
মামানিঃ আচ্ছা আনি ডেকে দিচ্ছি
মামানি তিথির কাছে গিয়ে দেখে মেহেদী লাগানো শেষ,,
মামানিঃ তিথি তোর তো মেহেদী লাগানো হয়ছে যা আবিরের নাকি কি কাজ আছে ওর সাথে দেখা করে আয়,,,
তিথিঃ ওকে মামানি,,,

তিথি নিজের রুমে যায় যাওয়ার সাথে সাথে আবির দরজা লাগিয়ে দেয়,,
তিথিঃ দরজা কেন লাগালেন?
আবিরঃ আজ তোমাক্ব অসাধারণ লাগছে,,,উফফফ পুরো পরী
তিথিঃ এই বলার জন্য ডেকেছিলেন?
আবিরঃ না খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তাই,,
তিথিঃ উফফ যাই আমি
আবির তিথির ওড়না টা ধরে টান দেয়,,
আবিরঃ শর্ত আছে?
তিথিঃ মানে কিসের শর্ত?
আবিরঃ যেতে দিবো তার আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে
তিথিঃ কি কাজ?
আবিরঃ আগে প্রমেস করো করবে?
তিথিঃ আগে শুনি,,করার মত হলে করবো
আবিরঃ করার মত,,,তুমি যদি না করো তাহলে আমি চিৎকার দিয়ে বলবো যে তুমি আমার ইজ্জতের উপর আবার হামলা করেছো হুম
তিথিঃ কিইইই পাগল নাকি আপনি কি সব ফালতু কথা বলছেন,,মেয়েদের মত
আবিরঃ তাহলে শিকার করলে যে মেয়েরা ফালতু কথা বলে
তিথিঃ যতসব নাটক সরেন তো যাই আমি
আবিরঃ পাহাড়ি এলাকায় আমার উপর যে হামলা করলে তা কি আমি পুলিশ কে বলবো?? ভেবে দেখো যদি বলি তাহলে তোমাকে পুলিশ নিয়ে যাবে আর সবাই কি ভাববে তোমার ব্যাপারে,,,,
তিথিঃ আপনি অনেক বাজে
আবিরঃ হুম অনেক,,, এখন বলো রাজি কি না শর্তে?
তিথিঃ ওকে কি করতে হবে বলেন,,
আবিরঃ প্রমেস করো তুমি করবে
তিথিঃ ওকে ওকে প্রমেস এই বার বলুন আর যান তো
আবির মুচকি হেসে বলে
আবিরঃ কিস করো আমাকে,,,
তিথিঃ কিইইইইইইই
আবিরঃ হুম, আজ তুমি আমাকে কিস করবে,,,,
তিথিঃ আপনার মাথা পুরো খারাপ হয়ছে যান এখান থেকে
আবিরঃ ভেবে বলছো তো?

তিথিঃ ইউউউউউ
আবির তার গালটা তিথির সামনে এগিয়ে নিয়ে আসে তিথি তার হাত দুটো উঁচু করে বিরক্তি ভাব নিয়ে কিস করে গালে,,
আবিরঃ ফিলিংস এর সাথে কিস করো আমি যে ভাবে করি,,,
তিথিঃ আমার এতো ফিলিংস নাই যে এতো ফিলিংস এর সাথে কিস করবো ওকে
আবিরঃ ওকে আমি শিখিয়ে দিচ্ছি,,
আবির তিথির গালে দুই হাত রেখে কিস করে ঠোঁটে চেপে ধরে,,তারপর গালে কিস করে,,,
তিথি কিছু বলতে ও পারছে না,,,মেহেদী হাতে যার জন্য সে আবিরকে ধাক্কা ও দিতে পারছে না,,
আবিরঃ এই ভাবে দেয়,,আবার কি শিখাই দিবো
তিথিঃ না লাগবে না(কি ঝামেলা তে পড়ছি উফফ ইচ্ছে তো করছে ইঁদুরের কাবাব বানিয়ে খাই হু)
আবিরঃ ম্যাডাম চিন্তা ভাবনা হয়ে গেলে কিস করবেন
তিথি রাগী ফেস করে আবিরের গালে আলতো করে চুমু দেয়,,আবির তিথির কোমড়ে দুই হাত রেখে নিজের কাছে টেনে নেয়,,,তিথি আবিরের সে খোচা খোচা দাড়িতে চুমু দেয়,,,এক অজানা ভালো লাগা কাজ করছে এই প্রথম সে আবিরকে কিস করছে জোর করে হলে ও সে নিজে তো আজ আবিরকে কিস দিচ্ছে,,,
চলবে,,,,,,