বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 32

তিথি রাগী ফেস করে আবিরের গালে আলতো করে চুমু দেয়,,আবির তিথির কোমড়ে দুই হাত রেখে নিজের কাছে টেনে নেয়,,,তিথি আবিরের সে খোচা খোচা দাড়িতে চুমু দেয়,,,এক অজানা ভালো লাগা কাজ করছে এই প্রথম সে আবিরকে কিস করছে জোর করে হলে ও সে নিজে তো আজ আবিরকে কিস দিচ্ছে,,,
তিথির এতো মেজাজ খারাপ হচ্ছে যে বলার বাহিরে,,,
আবিরঃ এই ভাবে কেউ কিস করে?
তিথিঃ আমি পারি না ওকে,,,আমি যাই এখন
আবিরঃ এক পা লড়লে খবর আছে আজ,,,
তিথিঃ মানে কি এই সব এর?
আবিরঃ মানে খুব সিম্পল ম্যাডাম আমাকে পুরো ফিলিংস এর সাথে কিস করতে হবে,,,
তিথিঃ কিস করেছি ওকে
আবিরঃ না এই টা কিস না,,মনে হচ্ছে আমাকে থাপ্পড় মারছো এমন
তিথিঃ কিইইই?
আবিরঃ হুম চিৎকার করে লাভ নাই,,,দিবে কি না তা বলো
তিথিঃ আপনি কি শুরু করছেন হুম,,,সব কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি একদম ঠিক না,,,
আবিরঃ তুমি যা করলে তাই করছি,,,
তিথি বিরক্তি ভাব নিয়ে আবিরের গালে আবার কিস করে,,,তিথি তার চোখ দুটো বন্ধ করে আবিরের গাল কিস করতে থাকে,,,হুট করে মনে পড়লো যে আবির তো তাকে কামড় ও দিতো তিথি ও আর কি দিয়ে দিলো কামড় আবিরের গাল জোরে
আবিরঃ আয়ায়ায়া উফফ তিথি রাক্ষসীদের মত কামড় দিচ্ছো কেন?
তিথিঃ কি আমি রাক্ষসী😠
আবিরঃ তো নয়তো কি??তুমি এতো জোরে কামড় দিলে যে রাক্ষসীরা দেয়
তিথিঃ এই যে মিস্টার তোমার মানে আমি রাক্ষসী?
আবিরঃ বাহা বাহা এই তো আমার তোতাপাখি,,বাহা অনেক দিন পর তুমি করে বললে ওয়াও(তিথির গাল টা টেনে)
তিথিঃ হুর,,,,
আবিরঃ কই যাবো তোমায় ছাড়া,,,তুমি যেখানে আমি ও সেখানে,,,,
তিথি বিরক্তি ভাব নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,আবির মুচকি হাসতে থাকে,,,,
আবিরঃ আমি জানি তিথি আজও তোমার মনে আমার জন্য ফিলিংস আছে,,,,,এখন শুধু একটা কাজ এই বিয়ে বন্ধ করা,,,নিরব ওহ হ্যাঁ এই ছেলেকে আমার বুজাতে হবে,,,,
আবির রুম থেকে বের হয়ে দেখে বাহিরে নিরব ও তার পুরো পরিবার এসেছে,,,,নিরবের নজর হঠাৎ আবিরের দিকে পড়ে তাও তিথির রুম থেকে বের হতে,,এই দেখে নিরবের মাথা খারাপ হয়ে যায়,,,,,চারপাশে তাকিয়ে দেখে তিথি আছে কি না,,,তখন দেখে তিথি কিছু মেয়েদের সাথে কথা বলছে তাও অনেক টা দূরে,,,,
নিরবঃ এই আবিরের বাচ্চা সব সময় তিথির আশে পাশে,,কি চায় এই ছেলে,,,
আবির নিরবের কাছে এসে বলে
আবিরঃ তোমার সাথে কিছু কথা আছে,,,,তাও অনেক ইম্পর্টেন্ট
নিরবঃ আমারও আছে চলো
তখনই নিরবের মা এসে বলে
নিরবের মাঃ নিরব তোকে এখানে থাকতে হবে,,
নিরবঃ মা আমি এখন আসছি,,,
নিরব আবিরকে বলে
নিরবঃ এখানে এমন জায়গা আছে যেখানে কথা বলা যাবে আর কেউ থাকবে ও না,,,,
আবিরঃ হুম ছাদে চলো
নিরব আর আবির ছাদে যায়,,,আবির নিরবের কাছে এসে বলে
আবিরঃ এই বিয়ে বন্ধ করে দাও প্লিজ এতে কেউ হেপ্পি থাকবো না আমরা
নিরবঃ মানে??আমরা মানে?
আবিরঃ তিথি আর আমি একে অপরকে ভালোবাসি আর তাও আজ থেকে না তিন বছর আগে থেকে
কথাটা শুনে নিরব একটু পিছনে যায়,,,,কথাটার জন্য একদম তৈরি ছিলো না
নিরবঃ এই টা সত্যি না ওকে,,,তুমি এই সব বানিয়ে বলছো,,,
আবিরঃ আমি সত্যি বলছি,,,,বিশ্বাস করো এতে সবার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে প্লিজ এই বিয়ে করিও না,,,
নিরবঃ তিথি যদি তোমাকে ভালোবাসে তাহলে তোমাকে বিয়ে না করে আমাকে কেন করতো,,,আর এই তিন বছরের কখনো ওর মুখে তোমার নাম পর্যন্ত শুনি নাই,,,যদি সে তোমাকে ভালোবাসতো তাহলে সে কেন এতো টা বছর দূরে থাকতো???
আবিরঃ আমি তোমার কথা বুজছি কিন্তু তিথি আমাকে ভালোবাসে,,,আমি জানি না কেন সে আমাকে ওই দিন ছেড়ে এসেছে,,,আমি সত্যি জানি না কেন তিথি আমার থেকে দূরে ছিলো,,শুধু জানি সে আজও আমায় ভালোবাসে,,,,প্লিজ নিরব বিয়েটা ভেঙ্গে দাও এতে তুমি ও হেপ্পি থাকবে,,,
নিরবঃ আমি হেপ্পি কিসে থাকবো তা তোমার চিন্তা করার দরকার নাই,,,কারণ আমি তিথিকে এই তিন বছরে অনেক জানি আর ওকে ভালোবাসি,,,আমি তিথিকে ভালোবাসি,,

আবিরঃ ওহ তাই তুমি ওকে ভালোবাসো?আচ্ছা সে তোমাকে ভালোবাসে??
নিরব চুপ হয়ে যায়,,,আবার বলে উঠে
নিরবঃএখন না বাসলে ও বিয়ের পর ঠিক বাসবে,,,
আবির ফোন টা বের করে রেকর্ড করা একটা বয়েস শুনায় নিরবকে যেখানে তিথি তার ফিলিংস আবিরকে বলে,,,,
আবিরঃ তিথি আমাকে ভালোবাসে আর সব সময় বাসবে এইটার গ্যারান্টি আছে,,,বিয়েটা তুমি করবে না
নিরবঃ বিয়ে তো আমি করবোই তিথিকে,,,
আবিরঃ এই সব শুনার পর ও,,,,
নিরবঃ তুমি তিথির অতীত আর আমি বর্তমান ভবিষ্যত সব,,,আর তিথি তোমাকে পিছনে রেখে আমার হাত ধরতে চাচ্ছে তার মানে তো এইটায় যে তিথি তোমাকে না আমাকে এখন নিজের লাইফে চায়,,,,,
আবিরঃ নিরব তুমি যা চাইবে আমি তা দিবো,,,,আমার সব কিছু দিতে রাজি প্লিজ আমার তিথিকে আমাকে ফিরিয়ে দাও,,আজ পর্যন্ত আমি কারো কাছে মাথা নথ করি নাই শুধু তোমার কাছে করছি আমার তিথির জন্য
নিরবঃ তিথি অনেক স্পেশাল তা আমি জানি,,,,,তিথি আমাকে বিয়ে করবে তাই সে আমাকে বেঁচে নিয়েছে,,,
আবিরঃ দেখো নিরব তিথি তোমাকে ভালোবাসে না,,,সে তোমাকে নিয়ে করতে রাজি শুধু হলো তার ফ্যামিলির জন্য,,,,সে মন থেকে আমাকে আমাকে চায় কেন বুজার চেস্টা করছো না,৷
নিরবঃ তিথিকে ভালোবাসি আমি,,,, আর তিথিকে আমি হারাতে চাই না ওকে,,,সে আমাকে বেঁচে নিয়েছে তার মানে আমার মধ্যে স্পেশাল কিছু আছে,,
আবির এই বার প্রচুর রেগে যায়,,,নিরবের কলার চেপে ধরে বলে
আবিরঃ এতো ক্ষন ধরে সুন্দর করে বলছি কানে যাচ্ছে না তাই তো??? তিথি তোর কবে হলো রে???জীবনে প্রথম কোনো মেয়েকে ভালোবেসেছি ভার্সিটি লাইফে থাকতে আজও তাকে ভালোবাসি,,,রাত দিন এক করেছি শুধু তালে খুজে পেতে আর তুই উড়ে এসে এখন আমার তিথিকে নিজের বলছিস,,,আগে আবির রহমান এর সম্পর্কে জেনে নিস তারপর কথা বলিস,,,,আমার যা তা আমি কারো হতে দেই না,,আর তিথির কথা আসলে তো কখনো না,,,
নিরবঃ ওহ তাই তাহলে এই বিয়ে আটকিয়ে দেখা যা
আবিরঃ তা সময় হলে টের পাবি,,,আমি তোকে ভালো করে বুজাতেছি আর তুই,,,সমস্যা নাই বুজানো যেহেতু হয় নাই তাহলে অন্য ভাবে না হয় বুজবি,,,,,
নিরবঃ পরশু বিয়ে দেখি তুই কি করতে পারিস,,শুধু এইটা মনে রাখিস যা হওয়ার হবে কিন্তু আমি এই বিয়েতে পিছিয়ে যাবো না,,,তিথিকে আমি বিয়ে করবোই,,
আবিরঃ স্মার্ট হওয়া ভালো কিন্তু অভারস্মার্ট ভালো না এইটা সব সময় মনে রাখিস,,,আবির রহমান আসলে কি তা এখন টের পাবি,,,,
নিরবঃ ওকে দেখা যাবে
নিরব ওইখান থেকে চলে যায়,,আবির প্রচুর রেগে থাকে,,

আবিরঃ সুন্দর করে বুজালাম কিন্তু বুজলো না,,, এখন যা হবে তার জন্য আমি দায়ী না,,,,আমার ওই রুপ দেখবে যা কখনো কেউ দেখে নাই,,,,আমি আমার ভালোবাসা কখনো হারাতে দিবো না,,,,নিরব অনেক বড় ভুল করলে আমার তিথির দিকে নজর দিয়ে,,এখন যা হবে তা তুই কল্পনা ও করতে পারবি না,,,,
নিচে অনেক নাচ গান হয়,,,তিথি বারবার চারপাশে তাকায় আবিরকে কোথায় দেখছে না,,,নিরবকে দেখে তিথি অন্য দিকে তাকায়,,,তখনই আবির ও নিচে নামে,,,আবির কে দেখে নিরব তিথির কাছে এসে বলে
নিরবঃ ওয়াও তিথি আজ তোমাকে কত সুন্দর লাগছে,,,
তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির অনেক টা রেগে আছে,,,,,
নিরবঃ চলো ডান্স করি তোমার মেহেদী তো শুকিয়ে গেছে চলো
তিথিঃ আ,,সলে আমার না ইচ্ছে করছে না,,,আপনি যান
নিরবঃ তোমাকে ছাড়া কি ভাবে হুম,,
নিরব জোর করেই তিথির হাত ধরে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়,,,আবিরের রাগ যে আরো বেরে যায়,,,নিরব তিথির কোমড়ে হাত রেখে নিজের কাছে টেনে নেয়,,,তিথির কাছে এতো খারাপ লাগছে নিরবের ছোঁয়া যা তিথির ফেস দেখে পুরো বুজা যাচ্ছে,,,,নিরব আবিরের দিকে তাকিয়ে ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে তিথিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাচে,,,তিথির নজর শুধু আবিরের দিকে আর আবিরের চোখ দিয়ে তো আগুন পড়ছে,
তিথিঃ আমি আসি
নিরবঃ এখনও তো ডান্স শেষ হয় নাই,,পরে যেও
তিথি যেতে চেও পারে নাই,,,তিথির মেজাজ যেন মুহূর্তে খারাপ হয়,,, তার ইচ্ছে নাই তারপর ও নিরব তাকে জোর করে ডান্স ফ্লোরে ধরে রাখে,,,
আবির উঠে আসে,নিরবের হাত থেকে তিথির হাত ছাড়িয়ে তিথিকে নিজের দিকে টেনে নেয়,,,,গানের তালে তিথিকে নিয়ে কাফেল ডান্স করে,,,সবাই কিছু টা অবাক হলে ও গানের তালে সব এমনি মনে করে নিজেদের মত মজা করতে থাকে,,,
নিরবের হাত থেকে তিথিকে এই ভাবে টেনে নেওয়ায় নিরবের ইগোতে লাগে,,,,কিছু বলতে যাবে আবির তিথিকে বুকে চেপে ধরে এক হাত দিয়ে নিরবের বুকে রেখে ইশারা করে চলে যেতে না হলে সে এমন কিছু করবে যাতে নিরব ভাবতে ও পারবে না,,
আবিরের বুকে মাথা এসে পড়ে তিথির,,প্রত্যেক টা হার্ট বিট যেন শুনতে পায় তিথি,,আবিরের ছোঁয়া কখনো তার খারাপ লাগে নাই আর না অস্তির লাগতো প্রত্যেক বার আবিরের ছোঁয়া তার ভালো লাগতো এক অজানা শান্তি পেতো আবিরের বুকে,,,
আবির তিথির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আবিরঃ যা তোমার খারাপ লাগবে সরাসরি বলা শিখো,,,মন যা বলে তা করবে,,,,কখনো অন্যের কথায় চলবে না নিজের মত চলবে,,,,
কথাটা বলে আবির নিচে নেমে যায়,,তিথি দাড়িয়ে আছে এখনও,, সে যত দেখে তোত অবাক হয় আবির আসলে কি চায়,,মনের অজান্তে আবিরের কথা যেন তার কাছে খুব ভালো লাগে,,,
এই দিকে এই আব কিছু দেখে নিরবের মাথা খারাপ হয়ে যায়,,,,
নিরবঃ আমি কখনো হার মানতে শিখি নাই,,,তিথি শুধু আমার আমাকে ভালো না বাসলে ও তিথিকে আমি নিজের করে ছাড়বোই,,আবির তোকে আমি হারিয়ে ছাড়বো তোর সামনে তোর তিথিকে নিজের বউ করে নিয়ে যাবো,,, ওই দিন দেখবি কি অবস্থা করি তোর,, আর তিথি অনেক বিরক্তি লাগে আমার ছোঁয়া তাই না ওকে একবার এই বিয়ে টা হোক তারপর বুজাবো আমি তোমাকে ও,,,,
আবির নিজের রুমে চলে যায়,,তার খুব মেজাজ খারাপ হচ্ছে এই ভেবে নিরব তিথিকে ছুঁয়েছে,,তিথির খারাপ লাগার পর ও সে কিছু বলে নাই এই ভেবে ভেবে আবিরের মাথা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়,,,,,এই দিকে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ায় সবাই চলে যায়,,তিথি ড্রেস চেঞ্চ করে বারান্দায় এসে বসে থাকে,,,,খুব মনে পড়ছে আবিরের কথা,,,আজ সে নিজে আবিরকে কিস করেছে এই ভেবে নিজে নিজে হেসে দেয়,,,হাতের মেহেদীর দিকে তাকিয়ে থাকে হঠাৎ করে নজর পড়ে হাতে তো আবিরের নামে মেহেদী,, মেহেদী দিয়ে সুন্দর করে বড় করে লেখা আছে আবির,,,,
তিথিঃ আবিরের নাম কখন আমার হাতে লেখলো,,

তখনই মনে পড়ে যখন মেহেদী মেয়েটা জিজ্ঞেস করেছে বরের নাম কি তখন আবিরকে দেখে সে আবিরের নাম অজান্তেই বলে ফেলে,,,,
মেহেদী ভরা হাত টার দিকে তাকিয়ে থাকে,,,,কথায় আছে না যে যার ভাগ্যে থাকবে সে তার ভাগ্যে আসবে যত কিছু হোক,,,,
আবির একটা ফোন করে তারপর বাহিরে চলে যায়,,,,এই দিকে তিথি আজ নিজের ইচ্ছেতে অপেক্ষা করছে আবিরের,,,
তিথিঃ এই বজ্জাত যখন আমার হাতে নিজের নাম দেখবে তখন কত কিছু যে বলবে,,,, আজ তো আমার মাথা পর্যন্ত খেয়ে ফেলবে,,,,,ইচ্ছে তো করে এই বজ্জাত এর মাথায় ডাব মারি,,,হুম ডাব মারলে সে আমার মাথায় নারকেল মারবে যে বিপজ্জনক রাক্ষস একটা
আবিরের কথা মনে করে আনমনে হাসতে থাকে,,,আবিরের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যায় খবর পর্যন্ত নাই,,
সকাল হয়ে যায় সকালে পুরো বাটি মাথায় সবাই আজ অনেক ব্যস্ত তিথি ঘুম থেকে উঠে চারপাশে তাকিয়ে দেখে সে বারান্দায় ঘুমিয়ে গেছে তার মানে আবর আসে নাই তার সাথে দেখা করতে,,,, কথাটা মনে পড়েই তার যেন কান্না আসছে,,
চলবে,,,,,,