বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 06
তিথিঃ(শাঁতচুন্নি গুলো দাঁড়া তোদের হাসি আমি বের করবো 😡তোদের যদি আমি নালায় না চুবাই তাহলে আমিও তিথি নাহু,,আর বজ্জাত এনাকন্ডা তোকে তো আমি ছাড়বো না,,)
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখছে তিথি কি যেন ভিড়ভিড় করছে আর বুজতে বাকি রইলো
আবিরঃ এই যে মিস বকবক কি বকবক করছো মনে মনে
তিথিঃভাবছি একটা এনাকন্ডাকে মরিচ এর জুস এর সাথে নুডুলস এর পায়েস খাওয়াবো
আবিরঃ ওয়াট????
তিথিঃ আমি তো ওয়াট বলি নাই বলছি,,,,,,,,,
তিথি আর কিছু বলতে পারলো না তার আগে আবির দেয় এক ধমক
আবিরঃ চুপ একদম শয়তান মেয়ে,,,এতো ফালতু খাবার এর নাম কি ভাবে বলো?
তিথিঃ ফালতু খাবার????স্যাররররর
আবিরঃ উফফফ এতো জোরে চিৎকার কেন দাও
তিথিঃ আপনার সাহস হয় কি করে আমার প্রিয় খাবার গুলো কে ফালতু বলার😠
আবিরঃ (আসলে এই মেয়ে পাগল) স্টুপিড
তিথিঃ কি বললেন?
আবিরঃ কিছু না,,,কান ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো
তিথি পুরো এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে,,,ব্যাথায় পায়ের অবস্থা পুরো খারাপ,,,প্রচুর রোদ ও পানির পিপাসায় যেন তার অবস্থা আরো খারাপ,,,,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির জুস খাচ্ছে আর হাসছে তিথির দিকে,,,জিদে তো তিথির নাক লাল হয়ে যায়
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা এক বার আমি সুযোগ পাই তখন তোকে আমি জুসে ডুবিয়ে মারবো😠হারামি বদমাশ স্যার একটা😭আল্লাহ প্লিজ আজকে তো একটা দড়ি নিচে ফালাও এই বজ্জাত এনাকন্ডার গলায় বেঁধে কচু গাছে ঝুলাবো,,,আমার পা😭😭😭
রিতুর কান্না এসে যায় তিথির এমন অবস্থা দেখে,,,রিতু আবিরের কাছে এসে বলে
রিতুঃ স্যার প্লিজ ওকে মাফ করে দেন আর কখনো ও আপনার সাথে বেয়াদবী করবে না প্লিজ স্যার,,
আবির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে এক ঘন্টার বেশি হয়েছে তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথির পুরো মুখ লাল টমেটো হয়েছে,,,আর প্রচুর ঘামছে,,,,কিন্তু তিথি মুখ থেকে উফফ শব্দ টা ও করছে না,,উল্টো আবিরের দিকে রাগী ফেস নিয়ে লুক দিচ্ছে মনে হচ্ছে এখন আবির কে কাঁচা গিলে ফেলবে,,,,,
আবিরঃ এই যে মিস বকবক তোমার শাস্তি শেষ যাও ক্লাসে যাও
তিথিঃ(শয়তান এর বাচ্চা তোকে আমি দেখে নিবো অপেক্ষা কর শুধু তোকে যদি আমি লাল মরিচ দিয়ে না চিবাই তাহলে আমি ও তিথি না হু)
তিথি কান ছেড়ে পা টা নিচে রাখতে পারছে না ব্যাথায়,,,রিতু ধরে ধরে ক্যান্টিনে নেয়,,,,পানি এনে দেয়,,,তিথি গটগট করে পুরো পানি খেয়ে ফেলে,,,
তিথিঃ ওইই শয়তান বজ্জাত এনাকন্ডা কে আমি ছাড়বো মেরে ফেলবো আমি তাকে
রিতুঃ পাগল হয়েছিস তুই কি বলছিস,,সামান্য একটু কলার চেপে ধরেছিস বলে আজ তোকে কি শাস্তি দিলো এখন যদি আর কিছু করিস তাহলে তোর যে কি হবে আমি জানি না,,,
তিথিঃ দেখ রিতু সামান্য ভুল এর জন্য ওই বজ্জাত এনাকন্ডা আমাকে এক ঘন্টার বেশি রোদে এক পায়ে দাঁড় করিয়েছে ওকে আমি ছেড়ে দিবো ভাবছিস😠কখনো না,,,
নিয়া আর তার কিছু ফ্রেন্ড তিথির সামনে দিয়ে যাচ্ছে আর হাসাহাসি করছে তিথির দিকে তাকিয়ে,, তিথির তো পুরো গা জ্বলে যায় নিয়ার হাসি দেখে ইচ্ছে করছে তার এখন কাঁচা চাবাতে,,,রাগ টা কন্ট্রোল করে চুপ করে বসে আছে,,,,,কিন্তু নিয়ার এক কথায় তিথির পুরো মেজাজ মুহূর্তে খারাপ হয়ে যায়,,,,
নিয়াঃ জানিস ঈশা আজকে আবির ওই বেহেনজিকে অনেক ভালো মজা বুজিয়েছে স্যার সেজে😂ইসস কি না ফেস করেছে ওই বেহেনজি,,,,,আবির এর সাথে লাগতে আসভহে আর আবির তাকে পুরো ভার্সিটির সামনে কান ধরিয়ে এক পায়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে,,,জাস্ট অসাধারণ ছিলো ওই মুহূর্ত টা,,,আমি তো অনেক গুলো পিক ও তুলে ফেলছি ওই বেহেনজির,,,আজকে ফেসবুকে আপডেট দিবো,,,
রিতু তিথির হাত চেপে ধরে বলে
রিতুঃ প্লিজ চল এই খান থেকে,,,
তিথি রিতুর হাত টা ঝাপটা মেরে উঠে নিয়ার সামনে যায় রেগে পুরো লাল তিথি,,,,টেবিলে বারি দিয়ে বলে
তিথিঃ ওইই তুই কাকে বেহেনজি বলেছিস হুম,,,,নিজেকে আয়নায় দেখেছিস তোকে দেখে তো পেত্নীরা ও ভয় পাবে দিনের বেলায় যে এক ইঞ্চি করে আটা ময়দা মেখেছিস তোর অই লাল বানদর এর মতো মুখে 😠
নিয়াঃ হাউ ডের ইউ
তিথিঃ ডের এর এখনও দেখেছিস কি তুই,,,
তিথি নিয়ার ফোন টা ঝাপটা মেরে কেড়ে নেয় আর নিচে দেয় এক আছাড়,,, আছাড় মেরে পা দিয়ে ইচ্ছে মত চটতে থাকে রাগে তিথির চেহারা দেখার মতো না,,রিতু তো ভয়ে শেষ কারণ তিথি যে পরিমাণ রেগে আছে এতো রাগ উঠলে তিথি যে কি করে তিথি নিজেও জানে না,,,,নিয়া তো তিথিকে থাপ্পড় মারতে আসে তার ফোন ভেঙ্গে দেওয়া,, কিন্তু তিথি তো তিথি হাত টা ধরে মুচড়ে দেয় আর পিছনে পিছিয়ে ধরে বলে
তিথিঃ ভুল মেয়ের সাথে লাগতে এসেছি মিস ডাইনি,,,,আমার সাথে লাগতে আসলে যে কি পরিমাণ ভুগতে হয় তোর ধারণা নাই,,,,হাত তো আজকে শুধু মুচড়ে দিচ্ছি নেক্সট টাইম যদি এই টাইপের ভুল করিস না পুরো হাত ভেঙ্গে দিবো গট ইউ মিস ডাইনী
নিয়াকে ধাক্কা দিয়ে যেতে লাগে আবার ফিরে এসে সোর্স এর বোতল টা নিয়ে নিয়ার গায়ে ঢেলে দিয়ে বলে
তিথিঃ আমার নাম টা মনে রাখিস তিথি,,,,,আর তিথি যত দিন এই ভার্সিটিতে আছে না ভুলেও লাগতে আসবি না,,,যদি আসিস না তাহলে আজকের কথা মনে রাখিস,,,,
তিথি রেগে ওই খান থেকে চলে যায়,,আর নিয়া তো রাগে ফুসতে থাকে,,, পুরো ক্যান্টিন এর মানুষ তাকিয়ে ছিলো,,, কিছু মেয়ে আর ছেলে তো হাসাহাসি করছে কারণ নিয়ার সাথে আজ পর্যন্ত কেউ এই ভাবে কথা বলে নাই,,,নিয়া রাগী লুক নিয়ে বলে
নিয়াঃ তোমার এতো বড় সাহস আমাকে এতো বড় অপমান করার,,,এই জন্য যে তোমাকে কতো বড় শাস্তি পেতে হবে তুমি জানো না,,,,আমি কি করবো ভাবতে ও পারবে না,,,,
তিথি রেগে ক্লাস গুলোতে আবিরকে খুজতে থাকে কিন্তু আবিরকএ কোথায় ও পায় নাই,,,
আবির তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছে পার্কে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে,,
আকাশঃ আজকে কি না মজা বুজালি ওই মেয়েকে ভাই
আবিরঃ ওই মেয়ের জন্মের শিক্ষা আজ হয়ে গেছে আম সিউর,,,,
মেঘঃ ভাই আর জীবনে সে তোর নাম মুখে ও আনবে না,,,
রিশাবঃ আবির তুই অন্য ভাবে বুজাতে পারতি এই ভাবে মাঠের মাঝ খানে সবার সামনে এই ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখাটা পুরো বারাবারি ছিলো,,,
আবিরঃ তুই জানিস না ওই মেয়ে কাল আমার সাথে কি করছে যদি জানতি তাহলে ওই মেয়ের পক্ষে কথা বলতি না,,আমান ছিলো তখন
রিশাবঃ তাই বলে একটা মেয়েকে এই ভাবে সবার সামনে কান ধরি তাও এক পায়ে এই টা ঠিক না আবির,,,,
আবিরঃ হ্যাঁ একটু বেশি হয়ে গেছে,,,আমার ওকে সরি বলা উচিত,,,,, এই ভাবে তাকে শাস্তি টা না দিলে ও পারতাম,,,,
আবির অনেক আফসোস করছে তিথিকে এই ভাবে শাস্তি দেওয়ায়,,,,
তিথি রেগে যখন কোথায় ও আবিরকে পায় না তখন পার্কের দিকে এসে দেখে আবির তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছে,,,,তিথি রেগে এসে আবির কে সামনে ঘুরিয়ে ঠাস করে দেয় এক চড়
তিথিঃ ঠাসসসসসস👋👋
পুরো ভার্সিটির স্টুডেন্ট সবাই তাকিয়ে আছে,,,, আকাশ মেঘ রিশাব সবাই পুরো অবাক,,, আবিরের সাথে কেউ চোখ তুলে তাকায় নাই আর সে আবিরকে পুরো ভার্সিটির সামনে এই ভাবে থাপ্পড় মেরেছে তাও একটা মেয়ে,,,,,
আবিরঃ হাউ ডের ইউ
তিথি আবিরের কলার চেপে ধরে বলে
তিথিঃ নিজেকে কি মনে করিস তুই😠মিথ্যা স্যার সেযে এক ঘন্টা আমাকে এই রোদে কান ধরিয়েছিস তাও এক পায়ে,,,এক বার ও ভেবেছিস যে একটা মেয়ের সাথে কি ভাবে ব্যবহার করতে হয়,,,,আসলে কি জানিস তোর মত ছেলেরা এই টায় পারে,,,
আবির তিথির হাত কলার থেকে হাত টা ঝাপটা মেরে ছাড়িয়ে বলে
আবিরঃ তোমার সাহস হয় কি করে আমাকে থাপ্পড় মারার😠আর আমার কলার ধরার,,,
তিথিঃ সাহস এর এখনও কি দেখেছিস তুই
আবির আর কিছু বলতে যাবে তিথি আবার আর একটা থাপ্পড় দেয়,,আর বলে
তিথিঃ সাহস এই টা কে বলে ওকে,,,নেক্সট টাইম আমার সাথে এই সব মজা করতে আসলে এর পরিমাণ আরো খারাপ হবে ওকে
আবির কিছু বলতে যাবে তিতজি অই খান থেকে চলে যায়,,,রাগে তো তিথি হনহনিয়ে বের হয়ে যায় ভার্সিটি থেকে,,,
এই দিকে আবিরের পুরো মুখ লাল হয়ে যায়,,দুই গালে ৫ আঙুলের ছাপ বসে যায়,,,,পুরো ভার্সিটি থমথমে যায়,, ভয়ে তো কেউ কিছু বলছে না,, আবিরের পুরো চোখ লাল,, আবিরের ইচ্ছে করছে তিথিকে কয়েকটা আছাড় দিতে,,,
চলবে,,,,,,