বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 07

এই দিকে আবিরের পুরো মুখ লাল হয়ে যায়,,দুই গালে ৫ আঙুলের ছাপ বসে যায়,,,,পুরো ভার্সিটি থমথমে যায়,, ভয়ে তো কেউ কিছু বলছে না,, আবিরের পুরো চোখ লাল,, আবিরের ইচ্ছে করছে তিথিকে কয়েকটা আছাড় দিতে,,,
চারপাশ টা থমথমে,,,আকাশ এসে আবিরের পিঠে হাত রেখে বলে
আকাশঃ আবির
আবির চোখ রাগিয়ে আকাশের দিকে তাকায়,,,চোখ থেকে আগুন বের হচ্ছে এমন লাগছে পুরো ভার্সিটির সামনে এতো বড় অপমান,,,আবির রেগে পার্ক থেকে বের হয়ে গেছে,,গাড়ির দরজা অনেক জোরে খুলে আবার অনেক জোরে লাগায়,,,
মেঘঃ আকাশ কি হবে রে এই মেয়ে তো সবার সামনে আবিরকে থাপ্পড় মারছে আর আবির যে রাগী ছেলে কি করবে আল্লাহ জানে
রিশাবঃ আবার আর একটা ভুল করে বসবে দেখিস
আকাশঃ রাখ তোরা এই সব আমার চিন্তা হচ্ছে আবির এখন কি করবে,,,যে ভাবে গেছে মনে হচ্ছে কিছু তো একটা করে বসবে
আবির অনেক জোরে ড্রাইভ করছে স্পিড যেন বাড়াতে থাকে,,, এতো স্পিড যে বলার বাহিরে,,বার বার কানে থাপ্পড় এর শব্দ বেজে উঠছে,,,
আবির একটা পাহাড়ি এলাকায় গাড়ি থামায়,,,,আর বের হয়ে কিছু ক্ষন চুপ থাকে আবার গাড়িতে জোরে বারি দিয়ে বলে
আবিরঃ আমাকে থাপ্পড় মারার ফল যে কি হবে তুমি কল্পনা ও করতে পারবে মা মিস তিথি😡তোমার লাইফের সব চেয়ে বড় ভুল আমাকে থাপ্পড় মারা আর আমি যে কি কি করবো তা তুমি জীবনে ও ভাবতে পারবে না,,খারাপ সময় এসে গেছে আবির রহমান এর লাইফে এসে যে ভুল করেছো তার মাশুল সারাজীবন দিতে হবে,,,
এই দিকে তিথি প্রায় কান্না করার মত অবস্থা এই রকম কেউ করে এই টা ভেবে,,বাসায় এসে কারো সাথে কথা না বলে নিজের রুমে চলে যায় আর ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ে প্রচুর পা ব্যাথা করছে তার,,,সাথে সাথে ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে,,,
মামানি অনেক টা অবাক যে প্রথম দিন ভার্সিটিতে গেছে কিন্তু তিথি কিছু না বলে সোজা রুমে,,সামান্য কিছু হতে পারে না তিথি সব বলে তাদের আজ না বলায় কিছু টা অবাক হয়েছে

মামানিঃ কি হলো আজ ওর
মামাঃ হয়তো ক্লান্ত থাক ঘুমাক রাতে উঠলে জিজ্ঞেস করিও,,,,
রাত প্রায় অনেক টা হয়ে গেছে আবির রুমে এসে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে রাগ টা যেন এখনও কমে নাই,,,,,গিটার টা নিয়ে জোরে জোরে বাজাতে থাকে এতো জোরে যে গিটার এর তাড় ছিড়ে গেছে,,,হাতের আঙুল কেটে রক্ত বের হচ্ছে,,,
আবিরঃ তোমাকে আমি ছাড়বো না,,, তুমি এখনও আমাকে চিনো না,,,,, আমি কে জানো না তোমার লাইফ আমি হেল করে দিবো
তিথি সে কখন ঘুমিয়েছে কিন্তু উঠার নাম নাই,,,
সকাল হয়ে আসছে তিথি ঘুম থেকে উঠে দেখে অনেক সকাল হয়ে গেছে কাল অনেক ঘুমিয়েছে,,,ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেয় ভার্সিটির জন্য,,, রিতু সে কখন থেকে কল দিচ্ছে খবর নাই,,,,,,
মামানি নাস্তা নিয়ে এসে তিথিকে বলে
মামানিঃ এতো ঘুম কাল আসছে কত থেকে তোর
তিথিঃসরি মামানি আসলে খুব ক্লান্ত ছিলাম তো তাই,,,রাইশা আপু কই
মামানিঃঘুমাছে যা ভার্সিটি থেকে এসে দেখা করিস
তিথি নাস্তা করে বের হয়ে যায়,,নিচে নেমে দেখে রিতু রাগী লুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,, তিথি মুচকি হেসে বলে
তিথিঃ চেহারাটা বাংলার পাঁচ কেন করে রেখেছিস
রিতুঃ তোকে কত কল দিয়েছি আমি হুম
তিথিঃ সরি বলতে পারি নাই
রিতুঃ তিথি

তিথিঃ হুম বল
রিতুঃকাল যে তুই সবার সামনে আবির স্যার কে থাপ্পড় মেরেছিস যদি সে রেগে কিছু করে তখন কি করবি তুই
তিথিঃ শুন আমি কাউকে ভয় পাই না ওকে,,,ওর যা ইচ্ছে করুন আমি কেয়ার করি না
রিতুঃ আল্লাহ জানে এই মেয়ের কপালে কি আছে
তিথিঃ কি বকবক করছিস নিজে নিজে
রিতুঃ কিছু না চল যাই
তিথি আর রিতু ভার্সিটিতে যায়,,তিথির চোখ পড়ে হুট করে পার্কের দিকে যেখানে আবির দাঁড়িয়ে আছে আর তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছে,,,,তিথির হঠাৎ করে কালকের কথা মনে পড়ে যায় যে সে সবার সামনে আবিরকে থাপ্পড় মেরেছে প্রথমে তো অনেক ভয় পায় পরে নিজেকে শক্ত করে আবিরের সামনে দিয়ে যায়,,আর আবির তো তিথিকে দেখে তার পায়ের রক্ত মাথায় উঠে যায়,,,রাগ টা যে প্রচুর বেরে যায় তিথিকে দেখে,,,,
আকাশঃ ওই মেয়ের সাহস দেখেছিস কাল তোকে চড় মেরে আজ অফিসে এসেছে কি সাহস ওই মেয়ের
আকাশের কথা শুনে আবির রাগান্বিত ভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে চলে যায়,,,,
রিতুঃ তিথি তুই ক্লাসে যা আমি স্যার এর সাথে একটু কথা বলে আসি আর ডান্স এর কথা ও বলবো তোর,,
তিথি মাথা নাড়িয়ে হাঁটা শুরু করে,,,, সিড়ি দিয়ে উঠছে,,,,হুট করে পিছন থেকে কে যেন মুখ চেপে ধরে জোর করে উপরে একটা খালি ক্লাসে নিয়ে যায় যেখানে কেউ নাই,,,তিথি তো ভয়ে শেষ কে তাকে এই ভাবে মুখ চেপে ধরে এনেছে,,,,তিথিকে হঠাৎ করে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেয় আর হুট করে দরজা লাগানোর শব্দ পেয়ে তো তিথির আত্মা শুকিয়ে যায়,,,,কি হতে চলছে তার সাথে এই ভেবে,,,,
পিছনে তাকায় অনেক সাহস করে মুখটা দেখার যে কে সে, আর দেখে আবির,,আবিরকে দেখে রেগে মেগে উঠে তিথি৷
আবির রাগী লুক নিয়ে তিথির কাছে যায়,৷ তিথি আবিরকে রেগে বলে
তিথিঃ ওই তুই আমাকে এই খানে কেন এনেছিস হ্যাঁ
আবির কোনো কথা না বলে এগোতে থাকে তিথির দিকে আর তিথি ভয়ে কাঁপতে থাকে, অনেক টা সাহস করে বলে
তিথিঃ আ,,,আমার দিকে কেন এগোছিস হুম
তিথি পিছনে যাচ্ছে আর আবির তিথির সামনে,, যেতে যেতে বেঞ্চের সাথে বারি খেয়ে পড়ে যেতে লাগে আবির তিথির হাতটি শক্ত করে ধরে নিজের দিকে টেনে আনে আর অনেক জোরে চেপে ধরে তিথির মুখের কাছে মুখ নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে
আবিরঃ অনেক সাহস না তোর,,, এতো সাহস যে পুরো ভার্সিটির সামনে আবির রহমানকে থাপ্পড় মেরেছিস,,,,
তিথিঃ হা,,,,হাত ছাড়ুন প্লিজ লাগছে হাতে(প্রায় কান্না করে দেয়)
আবির আরো জোরে চেপে ধরে বলে
আবিরঃ খুব লাগছে তাই না আমি তো চাই লাগুক এই ব্যাথা তো কিছু না মিস বকবক তোমাকে যে আরো অনেক কিছু সহ্য করতে হবে,,,, ভুল মানুষ এর সাথে পাল্লা নিয়েছো এর শাস্তি যে কি হবে তার ধারণা টুকু নাই তোমার
তিথিঃ প্লিজ হাত টা ছাড়ুন( চোখ টা পুরো লাল হয়ে যায় তিথির)
আবির তিথির হাত পিছনে নিয়ে মুচড়ে ধরে আর নিজের অনেক টা কাছে টেনে নিয়ে বলে
আবিরঃ গেট রেডি মিস বকবক তোমার লাইফে কি হতে চলছে ধারণা টুকু নাই রেডি থাকো তুমি প্রতি দিন প্রমাণ হওয়ার জন্য প্রতি দিন কষ্ট সহ্য করার জন্য,,,,, মনে করো শুরু হয়ে গেছে আজকে থেকে তা
তিথিঃ আমার হাত ছাড়ুন না হলে ভালো হবে না বলছি
আবির আরো জোরে চেপে ধরে বলে

আবিরঃ তুমি কিছুই করতে পারবে না আমার,,,,আবির রহমান নাম আমার এই টুকু যথেষ্ট ওকে আর বেশি কিছু বলবো না শুধু দেখবে
তিথি হাতটা ছাড়ানোর অনেক চেস্টা করে কিন্তু পাতে না আবিরের সাথে,,, আবির হাতটা এতো শক্ত করে ধরেছে তিথির চোখের পানি ঢলঢল করছে,,শেষ পর্যন্ত
তিথির চোখ বেয়ে টপ করে পানি গড়িয়ে পড়ে,,,,তিথি কখনো তার চোখের পানি নিচে পড়তে দিতো না কিন্তু আজ অজান্তেই নিচে পড়ে যায়,,,,আবির তিথিকে সোজোরে ধাক্কা মারে আর দরজা খুলে চলে যায় তিথির মাথাটা হালকা কেটে যায় বেঞ্চের কোণায় বারি খেয়ে,,,,
আবির দরজা টা জোরে লাগিয়ে চলে যায়,,বাতাসে দরজা টা একবার খুলছে আর এক বার বন্ধ হচ্ছে, , আর তিথি মাটিতে বসে আছে কপালে রক্ত নিয়ে,, চোখ বেয়ে তো পানি গড়িয়ে পড়ছে,,হাতে পুরো লাল দাগ হয়ে যায়,,আবিরের আঙুলের ছাপ বসে যায় তিথির সে ফর্সা হাতে,৷ হাতটি অনেক জোরে মুচড়ে দেয় আবির,,, তিথি না চাইতে ও আজ কেঁদে দেয়
চলবে,,,,,,