বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 03

তিথিঃ ওইই মিয়া চুপ একদম😠বেশি কথা কইলে এখন আপনারে তেলাপোকার ভর্তা বানামু হুম
রিতুঃ তিথি কি করছিস কি প্লিজ ছাড় প্লিজ
তিথিঃ আমি কেন চুপ করবো হুম,,,এই বজ্জাত এনাকন্ডা এক তো আমাকে ধাক্কা মারছে তারপর বলে পেত্নী ও নাকি আমার থেকে সুন্দর 😠
রিতু কি করবে বুজে উঠে পারছে না,,সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে আর এই মেয়ে যে ভাবে ঝগড়া করছে মনে হচ্ছে তার কিডনি নিয়ে ফেলছে চুরি করে😂
আমান আবিরের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আমানঃ ভাই এই মেয়ে তো প্রচুর ঝগড়াটি রে,,,কি না বকা দেয়😱আমি তো আজ প্রথম এতো রেসিপি এর নাম শুনছি,,কেকা আপ্পাকে ও হারিয়ে দিবে এই মেয়ে 😛😜,,আর কি সব এনিমেল এর নাম শুনতেছি আমি তো জীবনে এই সব শুনি নাই রে,,,
আবির রাগী লুক দিয়ে আমানের দিকে তাকায় আবার তিথির দিকে,,,আবিরের খুব ইচ্ছে করছে তিথিকে একটা আছাড় দিতে মাথার উপর থেকে,, দেওয়া উচিত মেয়েটা বেশি বকবক করে😛😂(আমি আবার ভালো 😂😛)
তিথি নাকটা ঘষা দিয়ে বলে

তিথিঃ মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা স্কুলে তো মনে হয় কখনও যান নাই তাই জানেন না যে মেয়েদের সাথে কি ভাবে কথা বলতে হয় হুম
আবির রেগে তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ তোমার ভাগ্য ভালো মিস বকবক যে তুমি একটা মেয়ে না হয় এই খানে এখন বুজতে যে আবির রহমান আসলে কি?আজকে মেয়ে বলে বেঁচে গেলে
তিথিঃ মেয়ে না হলে কি করতি হুম😡সাহস থাকলে এখন কর তোকে আমি কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে চাইনিজ কাবাব বানামু হুম,,,
আবির আর পারছে না নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করতে,পাশের টেবিলে সুপ ছিলো তা নিয়ে তিথির মাথায় ঢেলে দেয়,,,তিথির পুরো গায়ে সুপ,,,মাথা থেকে টপটপ করে সুপ বেয়ে পড়ছে আর তিথির রাগ
আবিরঃ এই বার দেখলে তো আমি কি করতে পারি মিস বকবক
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডাআয়ায়ায়ায়ায়ায়া😠😠😠😠
আবির হাসতে থাকে,,রেস্টুরেন্ট এর সবাই হাসে তিথির এমন অবস্থা দেখে,,তিথি ও পাশে থাকার আর এক বাটি সুপ নিয়ে আবিরের মাথায় ঢেলে দেয়,,,দুইজন কে দেখে তো সবাই হাসছে,,,,আবির প্রচুর রেগে যায়,।
আবিরঃ হাউ ডের ইউ😠
তিথিরঃ তিথি কি করতে পারে তোর ও জানা দরকার মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডাআয়ায়ায়া
দুইজনে এতো পরিমাণ ঝগড়া করে যে তাদের ঝগড়া দেখে মাঝ খানে বেচারি রিতু আর বেচারা আমান ফেশে যায়,,,,আসছে মেয়ে দেখতে কিন্তু এখন ঝগড়া দেখছে😐কি না ভাবছে তারা আর তাদের কপালে হলো কি,,আফসোস যেখানে এই তিথি সেখানে গন্ডগোল 😜😂
আবির আর তিথির ঝগড়ার পরিমাণ আরো বেরে যায়,,কেউ কারো থেকে কম না,,যেমন তিথি ঠিক তেমন আবিরও😜😂আবিরের কলার ধরে ঝাকুনি দিয়ে তিথি ঝগড়া করছে আর আবির তো সে পরিমাণ রেগে ছিলো,, রাগের সুরে বলে
আবিরঃ আজকে আমি এই বেয়াদব মেয়েকে ছাড়বো না😡
তিথিঃ আরে ধরে তো দেখ আগে হাত ভেঙ্গে শেওড়া গাছে ঝুলামু হুম
আবির তিথির ঝগড়া চলতে থাকে,,এই দিকে রিতু আর আমান থামানোর অনেক চেস্টা করছে কিন্তু পারছে না,,,ঝগড়াটা যে এতো ভেরে যায় মেনেজার বিরক্তি হয়ে যায়,,,রিতু আর না পেরে তিথিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে আর আমান আবিরকে অন্য দিকে,,,,
আবিরঃ তোমাকে আমি দেখে নিবো(চিৎকার করে তিথিত দিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে )
তিথিঃ আরে যা যা দেখিস,,তোর চোখ তুলে আমি গুটি খেলবো হুম আসিস তুই আমি ও রেডিইই মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা
রিতু তিথিকে রাস্তায় নিয়ে যায়,,তিথি তো বকবক করতে থাকে,,রিতু আর না পেরে দেয় এক ধমক
রিতুঃ চুপ একদম 😠সব সময় তুই এমন করিস,,,কি সমস্যা তোর হুম???সব কিছুতে ঝগড়া না করলে কি তোর ভালো লাগে না
তিথিঃ আরে আমি করছি ওইইই বজ্জাত,,,,,
রিতুঃ চুপ এক বারে তুই,, তুই কেমন আমার জানা আছে,,,,সব সময় এই সব ভালো লাগে না ওকে,,,,রেস্টুরেন্ট এর এতো মানুষ এর সামনে এই ভাবে ঝগড়া,,, তোকে নিয়ে আর পারা যাবে না উফফফ
তিথিঃ হ্যাঁ হ্যাঁ এখন তো সব আমার দোষ ওই ছেলে তো কুচি খোকা কিছু জানে না,,,তুই সব সময় আমার দোষটাই দেখিস এক বার ও জিজ্ঞেস করেছিস কেন করলাম হুম

রিতুঃ তুই কেমন আমার জানা আছে ওকে
তিথিঃ ওকে ফাইন এতো যখন জানিস তাহলে আমার থেকে দূরে থাক এতে তোর জন্য ভালো,,,, আমার জন্য যখন তোমার মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছে তাহলে আমার সাথে থাকার দরকার নাই যা(অনেকটা অভিমানী সুরে)
রিতুঃ ঘুরাই দিমু এক চড় তোকে এখন 😠সব সময় এই এক কথা কেন বলিস হুম😠
তিথিঃ সত্যি তো বললাম আমি
রিতুঃ জ্বি আপনি এতো সত্যি বলেন যে বলার বাহিরে,,
তিথিঃ তুইইইইইইই
রিতুঃ আমি কি
তিথিঃ কিছু না হু
রিতুঃ হয়ছে মুখটা বাংলার পাঁচ না করে বাসায় চল ফ্রেশ হতে,,,
তিথিঃ ওই বজ্জাত এনাকন্ডা কে আমি এক বার হাতে পাই তাকে আমি আলুর ভর্তা বানিয়ে ছাড়বো,,, সাহস হয় কি করে আমার মাথায় সুপ ঢালার 😠
রিতুঃ কথায় আছে না যেমন কর্ম তেমন ফল,,,ঠিক তাই হলো তোর সাথে
তিথিঃ মানে?😠
রিতুঃ তুই যেমন তোর সাথে জুটছেও তেমন 😁
তিথি রিতুর কথা তো চলতে থাকে,,,
এই দিকে আবির প্রচুর রেগে আছে,,,প্রচুর রেগে ড্রাইভ করছে আর বলছে
আবিরঃ ওই মেয়েকে আমি এক বার পাই তখন বুজবে আবির রহমান এর সাথে বেয়াদবীর মজা,,,,এতো বেয়াদব মেয়ে আমি জন্মে দেখি না😡দেখতে তো মনে হয় বাজা মাছটাও খেতে জানে না কিন্তু সে যে পুরো মাছের কাটা গিলে ফেলছে তা কে জানে
আমানঃ ভা ভা রে তুই তো দেখি এখন কবিতা আকারে কথা বলছিস আবির(খিলখিল করে হেসে দেয়)
আবিরঃ তোর হাসি পাচ্ছে ওহ রেলি আমান???এই ভাবে কেউ আমাকে অপমান করে নাই,,,, অপমান তো দূরে থাক উঁচু আওয়াজে কথা পর্যন্ত বলে নাই আর এই মেয়ে কিনা আমার গায়ে কফি মেরেছে,,সুপ মেরেছে,,,তারপর আবার আমার কলার ধরে কথা বলছে যা তা😠
আমানঃ😀😂ভাই আমি একটা কথা বুজলাম না ওই মেয়েটা বলছে তোকে কুচি কুচি করে ইঁদুরদের খাওয়াবে আবার ওইইই ইঁদুর এর কাবাব তোকে খাওয়াবে আচ্ছা কি ভাবে সম্ভব আমাকে বলবি প্লিজ
আবিরঃ আমান একদম চুপ 😠ওইই পাগল মেয়ের মত তুই ও ফালতু কথা শুরু করলি,,,আমি ১০০% সিউর ওই মেয়ে পাবনার পাগল,৷, না হলে এতো বাজে বকবক করতো না,,,

আমানঃ হাহা তাও ঠিক রে,,,
আবিরঃ আমার ইচ্ছে করছে ঘুরাই চড় দিতে বেয়াদব মেয়ে একটা,,
আবির প্রচুর রেগে থাকে,,,আর রেগে ড্রাইভ করছে,,,কিছু ক্ষন পর আবির আর আমান বাসায় এসে যায়,,আবিরের মা আবিরকে এমন দেখে জিজ্ঞেস করে
আবিরের মাঃ কিরে তোর কি হলো,,, খাবার দিয়ে গোসল কেন করে আসলি??
আবিরঃ আম্মু পরে কথা বলছি ওকে
আমান ইশারা দিয়ে বলে সে বলবে আবিরকে যেতে দিতে,,, আবিরের মা আর জোর করে নাই,,, আমান পরে আবিরের মাকে সব খুলে বলে তিনি তো পুরো অবাক কথা গুলো শুনে কারণ আবির অনেক রাগী একটা ছেলে,, সহজে রাগে না কিন্তু রাগ উঠলে হয়ছে,,,,,
এই দিকে আবির ফ্রেশ হয়ে তাওয়ালটা বিছানায় রেখে বারান্দায় যায় আকাশের দিকে অনেক ক্ষন তাকিয়ে থাকে,,যখনই তিথির কথা গুলো আর ওই সময় টা মনে পড়ে তখন প্রচুর রেগে যায়,,,দাঁতে দাঁত চেপে বলে
আবিরঃ তোমাকে আমি ছাড়বো না মিস বকবক 😠
চলবে,,,,,,