বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 62

আবির তিথির থুতনিটা ধরে নিজের দিকে ফিরায় লজ্জা মাখা মুখখানি যে আবিরের কাছে বেশ ভালো লাগে,,,,,
আবিরঃ মায়াবতী
তিথিঃ হু,,,,
আবিরঃ তোমার না বেবী লাগবে???
তিথি এইবার আরো লজ্জা পায়,,,আবির তিথিত হাতটি ধরে বলে
আবিরঃ সকাল সকাল নাকি বউয়ের সাথে রোমাঞ্চ করার মজাই আলাদা সত্যি কি তাই,,,
তিথিঃ এই আপনি সকাল সকাল ফাজলামি অফ করেন তো,,,
আবিরঃ ওকে ফাজলামি অফ,,,
আবির এই বলে তিথিকে নিজের বুকে টেনে নেয়,, তিথির সাথে ফাজলামি করতে থাকে৷,
অনেক টা বেলা হয়ে যায়,,,আবির আর তিথি নিজের রুমে আসে,,তিথি শাওয়ার নিতে যায় আবির দৌড়ে ওয়াশরুমে ডুকে পড়ে প্রচুর বিরক্তি লাগে তিথির,,,
তিথিঃ আস্তা একটা বজ্জাত হু,,,,
আবির শাওয়ার নিয়ে তিথিকে ডাক দেয়,,,
আবিরঃ এই তিথি কই তুমি,,,,
তিথিঃ কি হইছে হ্যাঁ???? ষাড়ের মত চিল্লাছেন কেন?
আবিরঃ আরে ভুলে তাওয়াল ফেলে আসছি একটু এনে দিবা?
তিথিঃ পারবো না নিজে এসে নিয়ে যান হু,,,
আবিরঃ সিউর তো??? আমার কিন্তু খালি গায়ে তো ভেবে নাও,,,
তিথিঃ ছিইই,,,একদম বের হবেন না বলে দিলাম হুম,,,
আবিরঃ তাহলে দিয়ে যাও,,,,
তিথি তাওয়ালটা নিয়ে ওয়াশরুমের দরজায় নক করে,,দরজা খুলেই তিথির হাত সহ টান দিয়ে ভিতরে নিয়ে যায় আবির,,,
তিথিঃ কি করছেন কি হুম???
আবির তিথির কোমড় শক্ত করে চেপে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে বলে
আবিরঃ আমার বউকে নিয়ে শাওয়ার নিতে খুব মন চাইছে তাই,,,
তিথিঃ সব সময় ফাজলামি তাই না?
আবিরঃ বউয়ের সাথে করছি এতে কার কি হুম,,,
তিথি আবিরের কাছ থেকে ছুটার চেস্টা করে কিন্তু পারছে না কারণ আবির অনেক শক্ত করে ধরে আছে,,,,
আবিরঃ ম্যাডাম এতো সহজ না বুজলে আমার কাছ থেকে যাওয়ার,,,
তিথিঃ দেখুন অনেক দেরি হচ্ছে ছাড়ুন প্লিজ,,,
আবিরঃ ছেড়ে দিবো কিন্তু এর আগে শাওয়ার তো করে নাও,,
তিথিঃ আপনি বের হন আমি করে নিচ্ছি,,
আবিরঃ তা কি করে হয় এক সাথে করবো বলে কত আশা নিয়ে বসে আছি আর তুমি কিনা সব পানি ঢেলে দিলে,,,,
তিথি কিছু বলে না,, চুপ করে আছে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,আবির তিথির গালে আলতো করে ছুয়ে দেয়,,,আবিরের পাগলামি গুলো তে যেন তিথিকে পাগল করছে বারবার,,,আবির ঝর্নার পানি ছেড়ে দেয় দুইজনে ভিজে একাকার হয়ে যায়,,,মুখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে তিথির নেশার মত কাজ করছে আবিরের কাছে পানিটুকু,,,আবিরের স্পর্শে যেন কেমন নেশা মাখানো আজ,,,,
এইদিকে,,,

আমান সে কখন থেকে দরজা নক করছে সে খবর ও নাই তাদের,,,আমানের আওয়াজ পেয়ে তিথি আবিরকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ আ,,,মান,,,
আবিরঃ তো কি হইছে হুম,,
তিথিঃ আমান দরজার বাহিরে,,,,
আবিরঃ উফফ এরা ঠিক করে বউয়ের সাথে কেন যে রোমাঞ্চ করতে দেয় না বুজি না,,,
আবিরের বিরক্তি ভাব দেখে তিথি হেসে উঠে,,,আবির তাড়াতাড়ি বের হয়ে দেখে আমান প্রচুর রেগে তাকিয়ে আছে
আমানঃ সমস্যা কি হ্যাঁ?
আবিরঃ তোর সমস্যা কি তা বল আগে?
আমানঃ ফোন টা দেখ তো কত কল দিচ্ছি,,,আর সে কখন থেকে দরজা নক করছি খবর নাই ঘুমাস নাকি এখনও হ্যাঁ,,,
আবিরঃ দেখে কি মনে হয় ঘুমাই???
আমানঃ শাওয়ার নিয়েছিস মনে হচ্ছে,,,
আবিরঃ হুম কি বলবি বল এখন,,,
আমানঃ আচ্ছা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয় আমরা এখন বের হবো,,,
আবিরঃ কই যাবি?
আমানঃ সার্জেক যাবো,,এখন বের হলে তাড়াতাড়ি যেতে পারবো,,,
আবিরঃ ওকে,,,
আমানঃ আর শুন কাপড় নিয়ে নিস তোর আর তিথির,,আমরা কাল বেক করবো বুজলি,,,কারণ সার্জেকের মজা তো সকালেই,,,
আবিরঃ হ্যাঁ আচ্ছা যা আমি আসছি,,,,
আবির রেডি হতে থাকে কিছু ক্ষনের মধ্যে তিথিও শাওয়ার নিয়েই বের হয়,,ভিজা চুল গুলো মুছতে মুছতে বের হয়,আবিরের কাছে বেশ কিউট লাগে এই মুহূর্তে তিথিকে,,,তিথির চুল গুলো মুছতে থাকে আবির,,,
তিথিঃ আমার চুল আমি মুছতে পারি,,,
আবিরঃ বউয়ের ভিজা চুল মুছে দেওয়ার যে ফিলিংস তা বুজবে না ম্যাডাম,,,,
তিথিঃ বুজতে ও চাই নাই স্যার,,,,
আবিরঃ ওকে না বুজলে আর কি,,,বাই দ্যা ওয়ে তোমাকে কিউট লাগছে অনেক,,,
তিথিঃ প্রতি দিনের কথা এইটা আপনার,,,
আবিরঃ কি করবো বলো আমার বউটাকে যে এতো কিউট লাগে আমার কি বলবো,,,,,
তিথিঃ আচ্ছা তাই বুজি,,বাহা মিস্টার বজ্জাত হিটলার দেখি দিন দিন রোমান্টিকের বাদশা হয়ে যাচ্ছে,,,,
আবিরঃ এখনও কি দেখলা জানেমান আগে আগে দেখো হতা হে কিয়া,,,,
তিথিঃ হুম আচ্ছা চলেন নিচে যাই,,,
আবিরঃ আগে রেডি হয়ে নাও আমরা সবাই সার্জেক যাবো এখন,,,
তিথিঃ সত্তিইই,,,
আবিরঃ হুম তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও কেমন,,,,
তিথি খু্শিতে রেডি হতে লাগে,,আবির নিচে চলে যায় নিচে গিয়ে দেখে সবাই এক সাথে মজা করছে,,,,
নানিমাঃ তো আবির কেমন গেলো কাল,,(ফাজলামি করে)
আমানঃ কিসের কেমন গেলো নানিমা?
নানিমাঃ না তেমন কিছু না কাল আবির ছোট একটা সারপ্রাইজ দিয়েছে আমাদের তিথিকে তাই,,,
রিতুঃ ওয়াও তাই বুজি,,,
আবির লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে হেসে মাথা নাড়ায়,,,,তিথিও নিচে আসে সবার সাথে নাস্তা করতে বসে নানিমা আর বাকি সবাই ফাজলামি করছে কিন্তু আবিরের নজর যেন তিথির উপরে,,,তিথি নাস্তা করছে আর তার চুল গুলো বারবার কানের পিছনে নিচ্ছে,,মুখের মধ্যে কেমন যেন একটা বিরক্তি ভাব তার চুল গুলোর জন্য,,,,
নানিমাঃ আচ্ছা সবাই তাড়াতাড়ি কাল চলে আসবে,,,
আরিশাঃ নানু মাত্র তো যাচ্ছি একটু ঘুরে তারপর না হয় আসবো এতো চিন্তা করি ও না তো,,,
মেঝ মামিঃ তোমরা সবাই আমাদের সাথে কিছু সময় কাটাও তাই মা তোমাদের বলছে,,,,
তিশাঃহ্যাঁ আরু আমরা যদি নানিমা মামিদের সাথে কিছু সময় পাড় করি তাহলে তো আরো ভালো হয়,,,আসলে আমার আজ যেতেই ইচ্ছে করছে না আমরা আজ না গিয়ে যদি কাল পরশু যাই কি হয়,,,,
রিতুঃ হ্যাঁ আয়ুশ ও একটু অসুস্থ ওকে এইভাবে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া একটু মুশকিল হবে,,,,
আমানঃ তিশা কিন্তু সব তো আয়োজন হয়ে গেছে,,,
আবিরঃ আমান তো সমস্যা কই,,,,আয়োজন হয়েছে হোক কাল না হয় আবার করবো সবাই এক সাথে,,,,আজ ওদের ইচ্ছে করছে না যাবে না আমরা সবাই আজ এক সাথে এখানে মজা করবো কি বলো,,,
সবাই তো খুশি,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি চুপচাপ আপেল খাচ্ছে কিছু বলছে না,,,,তিথির কাছে গিয়ে বলে
আবিরঃ কি ব্যাপার তুমি চুপ যে?
তিথিঃ আপেল টা বেশ মিষ্টি তাই খাচ্ছি
আবিরঃ হেএএ,,,আমি কি জিজ্ঞেস করেছি যে আপেল কেমন খেতে?
তিথিঃ ও কিছু কি বলছেন বুজি আপনি?
আবিরঃ না কিছু না খাও
আবির অইখান থেকে এসে যায়,,,বড় মামা মামিকে বলে
বড় মামাঃ আজ বিরিয়ানী করো
তিথি বলে উঠে
তিথিঃ আজ বিরিয়ানী মিস্টার বজ্জাত করবে,,,
সবাই তিথির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে,,,,
তিথিঃ না মানে উনি করবে আর কি(আবিরের দিকে ইশারা করে)উনি অনেক ভালো বিরিয়ানী রান্না করতে পারে,,,,
নানিমাঃ বাহা তাই নাকি আবির,,,যাক আমার নাতি টা কিছু তো শিখছে তার বউ থেকে,,,,
আবিরঃ ওর থেকে রান্না শিখলে আজ আর খাওয়া হবে না নানু,,,
তিথিঃ আমি অনেক ভালো রান্না করতে পারি ওকে,,আমার রান্না নিয়ে কিছু বলবেন না আমি অনেক ভালো রাঁধনি,,,,
আবিরঃ সেটায় তেলাপোকা টিকটিকি আরো যা যা আছে সব ভালো কুক করতে পারো,,,,
তিশা আর আরিশা মুখ চেপে হাসছে,,,আমান তো হাসতে হাসতে শিহাবকে বলে
আমানঃ সে রেসিপি জানে আমাদের তিথি,,,,
আবির তিথি কিছু ক্ষন কথা কাটি করে,,তিথি প্রচুর রেগে চলে যায় রুমে,,,আবির এইদিকে বড় মামি আর মেঝ মামির সাথে কিচেনে বিরিয়ানি রান্না করছে,,,
কিছু ক্ষন পর সবাই খেতে আসে কিন্তু তিথি আসে না,,,
নানিমাঃ তখন বেচারি কে এইভাবে না বললে ও পারতি,,,দেখলি তো এখন আসছে না,,,
আবিরঃ আমি নিয়ে আসতেছি,,,
বড় মামিঃ মেয়েটা রাগে যদি না খায়,,,
আবিরঃ আরে মামি রাগে খাবে না এইটা অই মেয়ে নয় এইটা তিথি,,যার রাগ উঠলে আরো বেশি খায়,,,
মেঝ মামি হেসে উঠে
মেঝ মামাঃ এইভাবে না বলে তাড়াতাড়ি নিয়ে আয় খেতে,,,
আবির রুমে যায় গিয়ে দেখে গাল ফুলিয়ে বসে আছে,,,
আবিরঃকিছু বলা যায় না ওমনি গাল ফুলিয়ে বসে থাকবে,,,
আবির তিথির সামনে গিয়ে বসে,,,
আবিরঃ সরি
তিথিঃ হু,,,,,

আবিরঃ আচ্ছা খাবে না তো?
তিথিঃ খাবো না
আবিরঃ ওকে খাইও না তাহলে
তিথিঃ কিইইই?
আবিরঃ কি হলো?
তিথিঃ আপনি আমাকে এখানে মানাতে এসে না খেতে বলছেন????
আবিরঃ তুমি তো বললে খাবে না তাই আর কি,,,,
তিথিঃ আপনি অনেক বাজে হু,,,,
আবিরঃ হু সেটায়,,,আচ্ছা তুমি যদি না খাও তাহলে আমিও খাবো না বলে দিলাম,,,
তিথিঃ খাইয়েন না আপনি এমনি অনেক মোটাইয়া একটু কম খান,,,
আবিরঃ হোয়াট?????
তিথিঃ হু,,,,
আবিরঃ আমি মোটা তিথি তুমি আসলে একটু ফাজিল মেয়ে,,,,
তিথিঃ সত্যি বললে ফাজিল হয়,,,,
আবিরঃ তোমার থেকে শুকনা আছি ওকে,,,এখনও হাজার মেয়ে ক্রাশ খাবে
তিথিঃ চোখ তুলে মার্বেল খেলবো আপনার অন্য মেয়েদের দিকে চোখ দিলে হুম,,,,
আবিরঃ আমি দিবো না তারা দিবে,,,
তিথিঃ যে আপনার দিকে চোখ দিবে তার চোখ খুলে আমি সুফ বানিয়ে কাকদের খাওয়াবো,,,,
আবিরঃ বাহা আমার বউ তো দেখি সে লেভেলের হিংসেটু,,,,
তিথিঃ হু আপনার বেলায়,,,,,
আবিরঃআচ্ছা প্লিজ এখন যাবে খেতে খুব ক্ষিধে পাইছে আমার প্লিজ
তিথিঃ আপনি যখন এতো জোর করছেন চলেন,,,,
আবিরঃ সেটাই ড্রামাকুইন তো আপনি আপনাকে এইভাবে না ডাকলে যে আরো ড্রামা করবেন জানা আছে
তিথিঃ কিছু বললেন কি?
আবিরঃ না তো কিছু বলি নাই,,,চলো যাই,,,
আবির আর তিথি নিচে নামে সবাই এক সাথে লাঞ্চ করে নেয়,
বিকালে,,,
সবাই একটু ঘুরার জন্য বের হয় কাছেই,,,, একটা রেস্টুরেন্টে যায় সবাই মেনেজারের সাথে আবির আমান আর আহাদ শিহাব মিলে কথা বলছে,,,মেয়েরা চুপচাপ বসে আছে,,,রেস্টুরেন্টে সুইমিং পুল রয়েছে যেখানে কয়েকজন নেমে মজা করছে,,,
তিথিঃ এইসব বেডিদের শাওয়ার দেখাতে এখানে বসাইছে,,,,কিসব কাপড় পড়ে পানিতে নেমে হাসাহাসি করছে
তিশাঃ হাহা ওরা মেবি অন্য দেশ থেকে আসছে তাই,, সুইমিং পুলে মজা করছে,,,, বাদ দাও ইগনোর করো
তিথিঃ অন্য টেবিল কি ওরা পায় নাই,,,,
আরিশাঃ ভাবি এই দিক তো ভালোই লাগছে,,,,
তিথিঃ এই বিকাল টাইমে শাওয়ার নিচ্ছে কি ছাগল রে বাবা,,,,
রিতুঃ সবাই ছাগল তুই একা ভালো হইছে,,,,
তিশাঃ তিথি যার যার রুচি এইটা বলে লাভ নাই,,,আমরা অইদিকে খেয়াল না করাই বেটার,,,,
শিহাব আর আহাদ আসে মেয়েদের কাছে,,,
শিহাবঃ তোমরা কি এখানে বসবে নাকি ভিতরে?
তিথিঃ ভিতরে ব্যবস্থা করেন,,,
আহাদঃ ভাবি জিজু আর আবির ভাই গেছে অইদিকে কথা বলতে,,,
তিথি অইদিকে তাকিয়ে দেখে আমান আর আবির কথা বলছে কি যেন,,,
এইদিকে শিহাব আয়ুশকে কোলে নেয়,,সবাই এক সাথে উঠে ভিতরে যায় তিথি ছাড়া,,,তিথি আবিরের কাছে যেতে থাকে,,,
আমানঃ তিথি তুমি না গিয়ে এখানে?
তিথিঃ উনি কই?
আমানঃ ফোনে কথা বলছে আন্টিমা কল দিয়েছে তাই,,,
তিথিঃ এখানে কেন আসছি পার্কে না গিয়ে,,,,
আমানঃ এখানে কিছু ক্ষন বসে আমরা মুভি দেখতে যাবো তারপর ডিনার করেই বাড়ি ফিরে যাবো আর কি,,,
তিথিঃ হু,,,
আবির এক পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছে ফোনে সুইমিং পুলে কিছু বিদেশী মেয়ে আর কয়েকজন বাঙ্গালী মেয়ে আবিরের দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে সে কখন থেকে,,,একজন তো উঠে আবিরের কাছে যায়,,,
সারিকাঃ হাই,,
আবির তেমন পাত্তা না দিয়ে ফোনে কথা বলতেই থাকে,,,
সারিকাঃ এই মিস্টার আপনাকে বলছি,,,,
আবিরঃ আমাকে?
সারিকাঃ জ্বি,,,,কেমন আছেন?
আবিরঃ জ্বি ভালো,,,,
তিথি আমানের সাথে কথা বলছে কিন্তু আবিরের দিক থেকে তার নজর সরছেই না,,,একটা মেয়ে সুইমিং ড্রেসে আবিরের সামনে গিয়ে তার সাথে কথা বলছে,,,দেখে তো তার গা জ্বলছে,,,তাড়াতাড়ি আবিরের কাছে গিয়ে অই মেয়েটার সামনে দাঁড়ায়,,
সারিকাঃ হে ইউ সাইট দাও
তিথিঃ মিস সাদা জঙ্গি এইটা আমার হাজবেন্ড হয়,,,
সারিকাঃ তুমি বিবাহিত(আবিরকে উদ্দেশ্য করে)
তিথিঃ শুধু বিবাহিত না দুই বাচ্চার বাপ ও,,,
কথাটা শুনেই আবির কিছু টা অবাক হয় এই ভেবে যে তিথি কি বলছে কি,
তিথিঃ আমার জামাই এর দিকে চোখ তুলে তাকালে তোর চোখ খুলে ফেলবো আমি,,,
আবিরঃ আরে সে এমনি কথা বলছে,,,
তিথিঃ এইসব মেয়েদের আমার জানা আছে বুজলেন,,,,
মেয়েটা প্রচুর ক্ষেপে অইখান থেকে চলে যায়,,আবিরের প্রচুর হাসি পায় এই ভেবে যে তার বউ কত টা হিংসা করে তার আশেপাশে কাউকে দেখলে পর্যন্ত,,,
তিথি আবিরকে নিয়ে চলে যায় রেস্টুরেন্টের ভিতরে,,,,
সবাই অনেক আনন্দ করে আজকের বিকালটা,,,
রাতে,,,

তিথি ফ্রেশ হয়ে হেলান দিয়ে শুয়ে আছে,,আবির তার লেপটপ অন করে কাজ করছে,,,
তিথিঃ আপনি এখানে ও কি কাজ করবেন?
আবিরঃ আরে না একটা জরুরি মেইল পাঠানোর আছে অইটা জাস্ট পাঠালেই হবে,,
তিথিঃ হু,,,,
তিথি জানালার কাছে যায় আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখে আজকের চাঁদটা যেন বেশ সুন্দর করে উঠেছে,,,
তিথিঃ আমরা কি ছাদে যেতে পারি?
আবিরঃ এখন?
তিথিঃ হুম
আবিরঃ আচ্ছা ৫ মিনিট তাহলে,,,
আবির তার কাজটা শেষ করে নেয়,,,
আবিরঃ চলো,,,
তিথিঃ আমাকে কোলে করে নিয়ে যাবেন আপনি,,,,
আবিরঃ বাহা আজ আবদার যে আপনার ম্যাডাম?
তিথিঃ হু মন চেয়েছে তাই,,,,
আবির তিথিকে কোলে তুলে নেয়,,,ঘাড়ের পিছনে এক হাত রেখে আবিরের বুকে মাথায়া হেলিয়ে দিয়ে চুপ করে আছে,,,আবির তিথিকে ছাদে নিয়ে যায় দোলনায় বসিয়ে দেয়,,,
আবিরের হাতটা শক্ত করে ধরে বসে আছে দোলনায়,,,
তিথিঃ আজ চাঁদটা বেশ সুন্দর লাগছে তাই না?..
আবিরঃ না একদম না,,,
তিথিঃ কেন?
আবিরঃ আমার চাঁদটা যে অই আকাশের চাঁদ থেকে ও বেশি সুন্দর বুজলে,,,,
তিথি আবিরের ঘাড়ে মাথা রেখে চুপ করে আছে আর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,আবিরের কাছে এই মুহূর্ত টা বেশ ভালো লাগে,,তিথির আঙ্গুলের ভাজে নিজের আঙ্গুল রেখে আকাশের চাঁদ দেখছে দুইজনে,,,মিষ্টি কিছু মুহূর্ত পাড় করছে এইভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে,,,,
চলবে,,,,,