বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 61

শিহাব রিতু আহাদ আরিশা ওরা ও গাড়ি থেকে নামে,,,সবাই এক সাথে বাড়ির মধ্যে যায়,,আবিরের নানি তো বেশ খুশি সবাই কে দেখে,,,আবিরের মামি এসে আরিশাকে জড়িয়ে ধরে আগে,,বাড়ির সবাই তো এতো খুশি ওদের দেখে যে এইভেবে তারা এখানে আসার জন্য প্লেন করেছে,,,
সবাই যেন আবির আর বাকি সবাইকে ঘিরে ধরে,,,কিন্তু শিহাব আর রিতু দূরে এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে,,,নানিমা শিহাবের দিকে অসহায় ভাবে তাকায় ভাবে শিহাব এসে জড়িয়ে ধরবে তাকে কিন্তু না শিহাব এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে,,,ছোট একটা বাচ্চা রিতুর কোলে দেখে আবিরের বড় মামি মানে শিহাবের মা গিয়ে আয়ুশকে কোলে নিয়ে কেঁদে উঠে,,,,
শিহাবের মাঃ একটা বার কি আমার কথা মনে পড়ে নাই তোদের?এতো অভিমান আমাদের উপর,,
রিতুঃ মা আ,,সলে,,,
শিহাবের মাঃ থাক তোমাকে আর কিছু বলতে হবে না তুমি তো পরের মেয়ে আমার নিজের ছেলে তো আমার সাথে তেমন যোগাযোগ রাখে নাই,,,,
আবিরঃ মামি যদি তোমার ছেলে তোমার চিন্তা না করতো তাহলে এখানে আসার প্লেন সে কেন করতো আমাদের নিয়ে?
সবাই আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে প্লেন তো আবিরের ছিলো কিন্তু আবির যে শিহাবের নাম দিলো,,,,
শিহাবের মাঃ শিহাব নিজ থেকে তোদের এনেছে?
আবিরঃ হুম সে তা আমাদেরকে জোর করে আনে,,,
শিহাবের মাঃ তোদের দুইজনের মধ্যে কি সব ঠিক তাহলে???
আবিরঃ কিছু হলে তো ঠিক হবে মামি,,আমাদের মধ্যে কিছু নাই আছে শুধু বন্ধুত্ব ভাইদের ভালোবাসা বুজলা,,,
শিহাব শুধু তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে যে আবির তাকে একদম সহ্য করতে পারতো না সে আবির আজ তাকে তার মায়ের কাছে উপরে তুলে,,,,
নানিমাঃ দাদু ভাই এইদিকে আয়(শিহাবকে নিজের কাছে ডেকে)
শিহাব নানিমার কাছে যায়,,,নানিমা শিহাবকে নিজের পাশে বসিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বলে
নানিমাঃ এতো অভিমান আমাদের উপর?

শিহাবঃ দাদু এইসব বাদ দাও না সবাই আসছে ওদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে তো,
মেঝ মামা এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে,,,,সবাই তো বেশ খুশি,,সব চেয়ে বড় খুশি যে শিহাব বাড়ি ফিরে এসেছে,,,রিতুকে শিহাব ভালোবেসেই বিয়ে করেছে যার কারনে কেউ তাদের বিয়ে মেনে নেই নাই,,কানাডা চলে যায় সে তার স্ত্রী রিতুকে নিয়ে,,,দেশে ফিরে আসে কিছু কাজে যার কারনে আবিরের মা তাকে নিজের বাড়ি নিয়ে যায়,,,,
শিহাবের বাবা এসে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে রিতু তো ভয়ে কাঁপছে এই ভেবে যে কি হবে,,,,কিন্তু শিহাবের বাবা আয়ুশকে কোলে নিয়ে চুপচাপ ভিতরে চলে যায়,,,
মেঝ মামাঃ সবাই বাহিরে না দাঁড়িয়ে ভিতরে চল,
আমানঃ হুম আমার তো খুব ক্লান্ত লাগছে,,,
নানিমাঃ মেঝ বউ বড় বউ তাড়াতাড়ি খাবারের আয়োজন করো আমার ঘরে আমার নতুন নাত জামাই তিনটা নাত বউ যে এসেছে,,,
বড় মামি তিথিকে ভালো করে দেখে কি মিষ্টি মেয়েটা দেখতে,,,তিশা ও বেশ কিউট,,,, সবাই কে ভিতরে নিয়ে যায় অসম্ভব সুন্দর বাড়ি,,,সবার জন্য আলাদা আলাদা রুম রেডি করা হয় রুম গুলো মনে হয় রাজ প্রাসাদ পুরানো বাড়ি কিন্তু ভিতরে এতো সুন্দর বলার বাহিরে,,,
তিথি আর আবির যে রুমে রুমটা বেশ সুন্দর কিন্তু বারান্দা নাই বড় জানালা আছে দেখতে বেশ সুন্দর বাহিরেত দিক টুকু,,,,
তিথিঃ আচ্ছা আপনার নানার বাড়ি এতো বড় মনে হয় রাজপ্রসাদ,,,
আবিরঃ হাহা এইটা নানাভাইয়ের বাবা বানিয়েছে,,অনেক শখ করে জানো ছোট বেলায় তেমন আসতাম না বাট যখনই আসতাম আমরা সবাই মিলে বেশ মজা করতাম,,,
তিথিঃ হুম অনেক সুন্দর জায়গাটা,,,কিছু টা গ্রাম সাইট তাই না?
আবিরঃ হুম বিকালে বের হবো তখন আরো কিছু সুন্দর জায়গা দেখাবো,,,
তিথিঃ আমার না খুব ক্ষিধে পেয়েছে,,,
আবিরঃ এই ছাড়া আর কি পায় তোমার?
তিথিঃ কি?
আবিরঃ কিছু না আচ্ছা চলো নিচে,,,
সবাই ফ্রেশ হয়ে নিচে আসে,,,আবিরের বড় মামিটা অনেক কিউট একটু মোটা কিন্তু বেশ দেখতে,,তিথি বারবার উনার দিকে তাকাচ্ছে,,,
বড় মামিঃ কিছু কি বলবে তিথি?
তিথিঃ মামিমা তুমি না অনেক কিউট,,,,
বড় মামি হেসে দেয়,,,মেঝ মামি একটু অভিমানের সুরে বলে
মেঝ মামিঃ আর আমি বুজি কিউট না.?
তিথিঃ আরে তুমি তো পুরো বিউটি কুইন,,,,উফফ কত কিউট তোমরা আমি তো পুরো ক্রাশ,,,
বড় মামিঃ হাহা পাগলি তুমি অনেক বেশি কিউট আর মাশাল্লাহ দেখতে,,,আমাদের আবিরের পছন্দ মানতে হবে কি বলিস মেঝো,,,,
মেঝ মামিঃ হ্যাঁ ভাবি আমাদের আবিরের পছন্দ বেশ,,,
তিথি কিছু টা লজ্জা পায়,,,মামিরা মিলে টেবিলে খাবার দেয় সবাই এক সাথে খেতে বসে,,,
বড় মামিঃ আমান শুনেছি তোমার বউ বাকি ডাক্তার?
আমানঃ হ্যাঁ মামি,,,
মেঝ মামিঃ আবির তোর বউ কি বললি না যে?
আবিরঃ আমার বউ তো এলিয়েনদের ডাক্তার,,,,
সবাই হেসে উঠে,,,,
নানিমাঃ একদম আমার নাত বউকে এইভাবে বলবি না শয়তান ছেলে,,,
আবিরঃ আরে জানু(নানিমাকে)তোমার নাত বউ তো আবার আমার মনের ডাক্তার,,,,
সবাই এইবার জোরেই হেসে দেয়,,,
বড় মামিঃ ফাজিল হয়ে গেছিস আবির,,,
মেঝ মামিঃ আবির অই নিয়ার কি খবর রে?
নিয়ার কথা শুনেই আবির কাশতে থাকে,,আমান ও অনেক ভয়ে তাকিয়ে আছে,,,
তিথিঃ নিয়া কে?
মেঝ মামিঃ ওমা তুমি জানো না বুজি?
তিথিঃ না তো কে?
শিহাবঃ কেউ না আমাদের কলেজের ফ্রেন্ড ছিলো,,,,আবির এখানে ইন্টার পড়ে তখন নিয়া আমি আবির আমান আমরা এখানে এসে আড্ডা দিতাম তাই জিজ্ঞেস করছে৷,
আমানঃ হ্যাঁ মনে হয় এতো দিনে বিয়ে হয়ে গিয়ে বাচ্চা ও অনেক গুলো হইছে (একটু হেসে)
তিথি তেমন পাত্তা না দিয়ে আবার খেতে লাগে,,,,আবির ভাবে নিয়ার কথাটা বলে দেওয়া উচিত তিথিকে,,,নিয়া আসলে কে সত্তিটা বলে দিলে হয়তো এতো ভয়াবহ থাকতে হবে না কাউকে,,,,
খাওয়া দাওয়া শেষ তিশা,তিথি,রিতু আর আরিশা নিলে নানির রুমে,,,নানি তার বিয়ের পর কিছু গহনা বানায় তা এনে সবার হাতে সোনার চুড়ি পড়িয়ে দেয়,,
তিথিঃ এইগুলি???
নানিমাঃ নতুন বউরা আমার বাড়িতে এসেছে তাদের মুখ খানি দেখে যে কিছু দিতে হয় এইটা নিয়ম,,,অসুস্থতার কারনে বিয়েতে যেতে পারি নাই আর না তোমাদের মামিরা গিয়েছে আমাকে একা ফেলে তাই তোমাদের জন্য খুব যত্নে এইসব রেখেছি,,,
আরিশাঃ আমি কিন্তু অনেক রাগ করেছি নানু,,
নানিমাঃ ওমা আমার রাজকুমারী কেন রেগে আছে?
আরিশাঃ কত আশা করেছি আমার বিয়েতে তুমি যাবে,,,মামিরা পর্যন্ত যায় নাই হু,,
নানিমাঃ কিন্তু এখন তো তুই এখানে আমার কাছে বেশ কিছু দিন থাক বিয়েতে যা যা মিস গেছে সব কিছু ফুরিয়ে দিবো,,,
আরিশা খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরে নানিমাকে,,,
সবাই বেশ কিছু ক্ষন আড্ডা দেয়,,,বিকাল টাইমে আমান তিশা,,,আহাদ আরিশা আর আবির তিথি বের হয়,,,আয়ুশ একটু অসুস্থ হওয়ার রিতু আসে নাই আর শিহাব ও আসে নাই ভাবে কাফলদের মধ্যে এসে সে কি করবে৷
কিছু টা পাহাড়ি এলাকা বেশ সুন্দর চারপাশটা,,তিথি তিশা আরিশা এরা সবাই লাল শাড়ি পড়ে চুল গুলো খোপা করে,,বেশ লাগছে সবাই কে আর আমান আবির আহাদ এদের কি এরা এদের মত রেডি,,,
আমানঃ আবির পাহাড়ের উপরের রাস্তা টা মনে আছে?
আবিরঃ হ্যাঁ ভুলার মত না, কলেজ বন্ধ করে কত যে এখানে এসে আড্ডা দিতাম আমরা,,,
আহাদঃ বাহা জিজু ভাইয়া তোমরা তো দেখি সে উড়াধুড়া করলে,,
আমানঃ হ্যাঁ আমরা স্কুল কলেজ ভার্সিটি সব এক সাথে করেছি,,কারণ আমরা ছিলাম একে অপরের কলিজা,,,
আবিরঃ হ্যাঁ সে জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক বছর প্রেম করলি কিন্তু আমাকে বললি না,,,,
আহাদঃ হাহা আমার আপুর সাথে তাও
আমানঃ কেন অন্য মেয়ের সাথে করলে বুজি খুশি হতে?
পিছনে তিশা আরিশা তিথি এরা গল্প করতে করতে হাঁটছে,,,একটা গাছে পেয়ারা অনেক বড় বড় তিথি দাঁড়িয়ে যায়,,,
তিশাঃ কি হলো তিথি দাঁড়ালে যে?
তিথিঃ পেয়ারা খাবা?
তিশাঃ অনেক উপরে পাড়বে কে?
তিথিঃ হিহি আর কে আমাদের উনারা,,,
আরিশাঃ ভাবি ভুলেও না ভাই কিন্তু রেগে যাবে,,,
তিথিঃ দাঁড়াও,,,এই যে শুনছেন(আবিরকে)
আরিশা আর তিশা মুচকি হাসে,,,
তিশাঃ তোমার উনি তো হাঁটছে কথা না শুনেই,,,
তিথিঃ অই বজ্জাত এনাকন্ডা (চিল্লাই)
পিছন থেকে আওয়াজ পেয়ে তাকিয়ে দেখে তারা তিনজন এতো গল্প করছে যে পিছনে যে তাদের প্রিয়তমারা তা খবর ও নাই,,,তারা পিছনে যায়
আবিরঃ কি হলো?

তিথিঃ পেয়ারা খাবো,,,
আবিরঃ সব সময় এতো খাও কেন?
তিথিঃ আপনাকে যা বলেছি তা করেন,,,
আবিরঃ কই পাবো আমি এই সময়?
তিথিঃ অই যে দেখেন গাছে,,,
আবিরঃ চুরি করবো???
তিথিঃ কে বলেছে চুরি করতে আপনি তো গাছ থেকে টপ করে নিবেন,,,
সবাই মিট মিট হাসছে,,,আবির আমানের দিকে তাকিয়ে ইশারা করে,,
আমানঃ কি আমার দিকে কেন তাকাছিস?
আবিরঃ গাছে তুই উঠতে পারিস তো আর কি তোর ফ্রেন্ড ভাবির জন্য পেয়ারা আন,,,
আবির এই বলে একটু সামনে গিয়ে দাঁড়ায় বেচারা আমান আর কি পেয়ারা পাড়তে থাকে,,,,পেয়ারা পেড়েই সব এক সাথে দেয় দৌড়,,,কিছু ক্ষন পর সবাই এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় আর হাসতে লাগে,,,
আরিশাঃ উফফ ভাবি তুমি ও না পারো ওদের দিয়ে কি কি যে করাও,,,,
তিথিঃ সামান্য পেয়ারা পেড়ে এমন হাল বাকি গুলো কি করবে,,
তিশাঃ হাহা,,,,আচ্ছা চলো অইদিকে যায়,,
সবাই মিলে একটা পার্কে বসে পাহাড়ের এলাকায় এতো সুন্দর একটা পার্ক যে সবাই মুগ্ধ হয়ে বসে আছে,,,আবির আর আমান আইসক্রিম নিয়ে আসে সবাই এক সাথে আইসক্রিম খাচ্ছে আর প্রাকৃতিক গুলো উপভোগ করছে,,,,অনেক সময় এক সাথে অনেক ক্ষন সবাই পার করে,,,
অনেক সময় পর সবাই বাড়ি ফিরে যায়,,,কিন্তু সবাই সবার রুমে চলে যায় কিন্তু আবির তার নানির রুমে যায়
আবিরঃ নানু ডেকেছিলে?
নানিমাঃ হুম ডেকেছি এই দিকে আয়,,,,
আবিরঃ হুম বলো,,,,
নানিমাঃ শিহাব আমাকে সব বলেছে যে তোর আর তিথির ব্যাপারে,,,,
আবিরঃ অহ আচ্ছা,,,,
নানিমাঃ দেখ আবির নিজের ভালোবাসার মানুষকে কখনো কষ্ট পেতে দিস না সব সময় আগলে রাখিস,,,
আবিরঃ নানু যখন বুজতে পারি নাই তখন কষ্ট দিয়ে ফেলছি এখন তো আমি ওকে অনেক ভালোবাসি তাই আর কখনো কষ্ট পেতে দিবো না,,,,,
নানিমাঃ জানিস তোর নানাভাই আমাকে অনেক ভালোবাসতো কখনো আমাকে কষ্ট পেতে দিতো না,,,,,আমি চাই আমার নাতিও যেন য়ার বউকে সব সময় আগলে রাখে যত কিছু হোক না কেন,,,,
আবিরঃ ও মাই জানু তোমার নাত বউ আমার কাছে আমার জীবন এখন,,,তাকে কখনো কষ্ট পেতে দিবো না বুজলে,,,,
নানিমাঃ হুম সেটায় যেন হয়,,আচ্ছা যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে,,,
আবির তার রুমে যায় গিয়ে দেখে তিথি ঘুম জামা কাপড় চেঞ্চ না করেই,,,আবির বুজতে পারে ক্লান্ত অনেক তাই সে ঘুম,,এমনি তো ঘুম পাগলী তার উপর আজ হেঁটেছে অনেক,,,আবির ও গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,,,,
পরের দিন সকালে সবাই রক সাথে আজ বেড়াতে যায় একটা গ্রামে,,,গ্রাম সাইট গুলো বেশ সুন্দর কিন্তু তিথির একটু খারাপ লাগছে বিদায় আবির তিথিকে বিকালে নিয়ে আসে আর সবাই চলে যায় আবিরের বড় খালার বাড়ি যা গ্রামের সাইটেই ছিলো,,,
পুরো বাড়িতে তেমন কেউ নাই শুধু বড় মামি আর নানিমা ছাড়া,,,,তিথি নিজের রুমে বসে বসে আবিরের মায়ের সাথে ফোনে কথা বলছে,,,,
আবির সে বিকাল থেকেই গায়েব,,,
আবিরের মাঃআবির কই? (ফোনের ওপাশ থেকে)
তিথিঃ জানি না মা উনি তো আমাকে নিয়ে এসে যে কই গেছে কে জানে,,,
তিথি বাড়ির সবার সাথে ফোনে কথা বলতে এতো ব্যস্ত যে রাতের ৯ টা বেজে যায়,,,কল কেটেই তিথি আবিরকে খুঁজতে থাকে,,,
তিথিঃমেঝ মামি তুমি কি উনাকে দেখেছিলে?
মেঝ মামিঃ উনাকে মানে?
তিথিঃ মানে আ,,,বির(তিথি আবিরের নাম মুখে নেয় না যার কারনে এখন নিতে একটু অসুবিধা হচ্ছে)
মেঝ মামিঃ তা তো জানি না,,,,
তিথি আর কিছু না বলেই চলে যায় অন্য দিকে খুঁজতে,,,রাত ১০ টা বেজে আসে আবিরের খুঁজ নাই প্রচুর কান্না পায় তিথির এমন একটা জায়গায় এসে আবির তাকে এইভাবে একা রেখে গেছে,,,,
অনেক টা সময় পর আবির রুমে এসে দেখে তিথি কান্না করছে,,,
আবিরঃ কি হলো কান্না কেন করছো?
আবিরকে হুট করে দেখেই খুশিতে জড়িয়ে ধরে তিথি আবিরকে,,,
তিথিঃ কই ছিলেন আপনি??
আবিরঃ আরে শান্ত তো আগে হও তারপর বলছি,,,,
তিথি কান্না কিছুতে বন্ধ করছে না,,,,
আবিরঃ এই কান্না যদি অফ না করো তাহলে কিন্তু কামড় দিবো হুম,,,
তিথি আরো জোরেই কেঁদে দেয়,,,,
আবিরঃ আরে সরি তো জানেমান,,একটা কাজ ছিলো ইম্পর্টেন্ট তাই,,,
তিথিঃ আমার থেকে অন্য কাজ আপনার ইম্পর্টেন্ট হয়ে গেছে?
আবিরঃ আচ্ছা আমার দিকে তাকাও,,,
তিথি আবিরের দিকে তাকায়,,,
আবির তিথির চোখের পানি মুছে দিয়ে কোলে তুলে নেয়,,,,
তিথিঃ এই কি করছেন আপনি???
আবিরঃ দেখতে পাবে কি করছি,,,
আবির তিথিকে কোলে নিয়ে ছাদে নিয়ে যায়,,,তিথিকে নামিয়ে দেয় আবির ছাদটা এতো সুন্দর করে সাজানো দেখে তো তিথি পুরো থ,,,ছাদের চারপাশ পুরো ঘেরা ছাদে সুন্দর করে সাদা বিছানা করা একটা ছোট কাচের বোতলে জোনাকি পোকা রাখা অনেক গুলো যা জ্বলছে,,,,আবির ছাদের দরজা লাগিয়ে দেয়,,,পিছন থেকে এসে তিথিকে পিছন দিয়ে জড়িয়ে ধরে
তিথিঃ এই কি পুরো ছাদ যে ঘেরা?
আবিরঃ হুম যাতে কেউ আমাদের দেখতে না পারে,,,শুধু অই আকাশের চাঁদ ছাড়া
তিথিঃ কেন?
আবিরঃ বেকুব বুজবে না,,,,
তিথিঃ ওমা কেন জিজ্ঞেস করলাম তা বলাতেই আপনি বেকুব ডাকলেন হু আমি রুমে যাবো,,,
তিথি কিছুটা অভিমান করে আবিরের হাতটা সরিয়ে যেতে লাগে আবির আবার তিথিকে জড়িয়ে ধরে হুট করে
তিথিঃ হু ছাড়েন আমাকে,,,,
আবিরঃ আমার বউকে আমি ধরেছি এতে কার কি হুম?
তিথিঃ কথা বলবো না আপনার সাথে,,,,
আবিরঃ কথা বলতে হবে না,,তুমি চুপ থাকাই বেটার,,,
তিথিঃ হ্যাঁ এখন তো আমার কথা আপনার ভালো লাগবে ও না হু,,,
আবির মুচকি হেসে তিথিকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,,
আবির তিথির ঘাড়ে চুমু একেঁ দেয়,,,,আবিরের স্পর্শে যেন তিথি কেঁপে উঠে,,,আজ কেমন যেন নেশা মাখা আবিরের স্পর্শে,,, তিথিও যে চায় আবিরের স্পর্শ টুকু পুরো উপভোগ করতে,,,,আবির তিথিকে কোলে নিয়ে বিছানায় নিয়ে যায় গালে আলতো করে চুমু দেয়,,,তিথির চোখে চুমু দিয়ে তিথির দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে
তিথিঃ কি দেখছেন?

আবিরঃ আমার মায়াবতী কে,,,,
তিথিঃ ভালোবাসি অনেক আপনাকে,,,
আবিরঃ আমিও যে বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমাকে মায়াবতী,,,,আজ একটা জিনিস চাইবো দিবে আমাকে??
তিথিঃকি বলেন,,৷
আবিরঃ আজ আমাকে পুরো অধিকার দিবে আমার মায়াবতী কে নিজের করে নিতে,,,,
তিথি লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে,,,আবির বুজতে পারে তিথি কি চায়,,,
তিথির কপালের চুল গুলো সরিয়ে চুমু দিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে চোখ দুটি বন্ধ করে রেখেছে তিথি বেশ মায়াবী লাগছে আরো,,,চাঁদের আলোতে যে আরো বেশি সুন্দর লাগছে তিথিকে,,,
তিথিকে আজ আবির নিজের মত করে নিজের করে নেয়,,,তাদের ভালোবাসার সাক্ষী যেন আজ আকাশের অই সুন্দর চাঁদ,,,,
সকালে,,,,
আবিরের বুকে ঘুমিয়ে আছে তিথি,,চারপাশে হালকা আলো ফুটে উঠে পাখির কিচমিচ ডাকে যেন তিথির ঘুম ভাঙ্গে,,,ঘুম ভাঙ্গতেই নিজেকে আবিরের বুকে পায়,,,আবিরের চুল গুলো কপালে এসে পড়ছে হালকা ফুঁ দিয়ে চুল গুলো সরিয়ে দেয়,,,রাতের কথা গুলো মনে করেই লজ্জায় আবিরের বুকে মুখ লুকিয়ে ফেলে,,,
অনেক ক্ষন পর আবিরের ঘুম ভাঙ্গে সে ভাবে তিথি এখনও ঘুম তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে মিটনিট করে হাসছে তিথি,,,শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ বাহা সকাল সকাল বউয়ের এতো মিষ্টি হাসি যে?
তিথির মুখ থেকে যেন একটা আওয়াজ ও বের হচ্ছে না সে পারছে না আবিরের বুকে পুরো ডুকে যেতে,,,,
আবিরঃ এতো লজ্জা কই যে রাখবো আমি মায়াবতী,,,
তিথিঃ হু,,,,
আবিরঃ দেখি আমার বউয়ের লজ্জা মাখা মুখখানি,,,,
আবির তিথির থুতনিটা ধরে নিজের দিকে ফিরায় লজ্জা মাখা মুখখানি যে আবিরের কাছে বেশ ভালো লাগে,,,,,
চলবে,,,,,