বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 47
আজ তু হে পানি পানি গান বাজছে আর গানের সুরে সবাই নাচ,,,,
অইদিকে,,
মেয়ের দল গুলো আসছে তেড়ে এট্যাক করতে🤣
তিথি সব মহিলাদের এক করে একটা মিটিং করতে থাকে যে কে কি করবে কি ড্রেস পড়বে,,,,
আমানের মাঃ না না বাপু আমি এইসব ড্রেস ভুলেও পড়বো না হুম,,
তিথিঃ আন্টি ভাবেন অইখানে অনেক সুন্দর মেয়ে যে এর চেয়ে বেশি খারাপ ড্রেস পড়ছে আংকেল ওদের হাত ধরে ধরে নাচছে তখন????
আমানের মাঃ ওর হাত কেটে ফেলবো আমি,,,(প্রচুর রেগে গিয়ে)
তিথিঃ না না আমরা ও ওদের গিয়ে উচিত শিক্ষা দিবো তারপর বুজবে ওরা,,,
তিথির মাঃ এই তিথি এইসব কেন পড়বো হু,,অইখানে জামাই বাবা ও থাকবে,,আর বাকি বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা ও,,,
তিথিঃ উফফ মামনি তুমি ও না,,মামনি তোমার জামাই বাবা চোখ সরালে তো আমার দিক থেকে এর আগে ওর চোখ তুলে ফেলবো,,,
আবিরের মাঃ তিথি এইসব ঠিক না,,আমরা যেমন আছি ওইভাবে যাই,,
তিথিঃ ডিয়ার শাশুড়ি আম্মা আমরা যদি এইভাবে যাই তাদের হুঁশ উড়ে যাবে আর হাতে নাতে ধরতে পারবো,,,ভাবো ওরা পার্টি মজা হইচই করছে তখন,,,
আরিশা মুখ চেপে হাসছে,, তিশা হালকা গুতা দিয়ে আরিশাকে বলে
তিশাঃ এই তিথির কি মাথা গেছে,,সব দুষ্টু বুদ্ধি ওর এই মাথায়,,,আল্লাহ জানে আজ চাচ্চু আংকেল আর আমার শশুড় আব্বার কি হাল হয়,,,
আরিশাঃ আরে তিশা আজ ধামাকা হবে,,,আর তোমার ভাইয়ের কান তো আজ আমি শেষ করে দিবো মলে যদি উল্টো পালটা কিছু দেখি হুম,,,
তিশাঃ হ্যাঁ আমার ভাইয়ের সাথে সাথে সবার আজ খবর আছে,,
আরিশাঃ কেন আমান ভাইয়ের উপর বুজি পুরো বিশ্বাস তোমার হু,,,
তিশাঃ হ্যাঁ আমি জানি সে এমন করবে না
তিথি হুট করে এসে তিশার ঘাড়ে হাত রেখে বলে
তিথিঃ তোমার আমান কত সাধু আজ দেখে নিও ডিয়ার তিশা বাবু,,,
তিশাঃ তিথি সব মানলাম কিন্তু বড়দের এই ড্রেস গুলা?আর আমরা ও সেম,,,
তিথিঃ আরে বেচালার পার্টিতে যাবো তাই একটু সেজে গুজে,,,
তিশাঃ কিন্তু ওরা দেখে তো শকড খাবে,,,
তিথিঃ আমি তো তাই চাই,,,
আরিশা আর তিশা তিথির কথা মত বড়দের রেডি করে দেয়,,,তারা সবাই বের হয়ে পড়ে ফার্মহাউসে যাওয়ার জন্য,,,
এইদিকে,,,
আবির আমান দুইজন এক সাথে নাচতে থাকে,,,,আকাশ এসে বলে
আকাশঃ ভাই একটা মেয়ে হলে ভালো হতো,, ডান্স দিতো সে ভাবে,,
আবিরঃ লাথি চিনিস হ্যাঁ??? এইসব পাগলা কথা আর বলবি না ওকে,,,
আমানঃ হ্যাঁ আমরা আমরা মজা করছি এই বেটার এখানে মেয়ে আনলে আমাদের বউরা জানলে তুফান তুলবে,,,
আকাশঃ আরে জানবে কি করে ওরা,,,
আমানের বাবা এসে বলে
আমানের বাবাঃ আকাশ ঠিক বলছে এখানে একটা সুন্দরী মেয়ে আনা উচিত ছিলো,,,
আমানঃ বাবায়ায়ায়া মাকে কল দিবো কি?
আমানের বাবাঃ আরে আমি তো মজা করছি তোর মায়ের ভয় লাগাস কা হু,
আবিরঃ শুন আকাশ মজা ভালো কিন্তু এতো টা না যে পরে মেয়েরা জানলে কষ্ট পাবে,,,আমরা আমাদের লিমিট না ভুলে থাকলে ভালো হয় বুজলি,,,
আকাশঃ ওকে ওকে,,তুই যে তিথি ভাবির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিস জানি আমরা,,
আকাশের এই কথার সুযোগ নেয় আমান,,,
আমানঃ হ্যাঁ আমাদের আবির তিথিকে এতো ভালোবাসে যে এখন চোখে হারায় না পর্যন্ত,,,,ভালোবাসায় হাবুডুবু খাচ্ছে সে
আবির কথাটা এড়িয়ে যায় কারণ সে জানে তিথি তার মনে অনেক জায়গা করছে,,তবুও সে সবার কাছে এড়িয়ে যায় এইটা,,,
আবিরঃ চুপচাপ আয় পার্টি করতে,,,
আমানঃ নেহাল কে দেখ আবির আহাদের বাবার সাথে যা নাচ আল্লাহ
আবিরঃ তোর শশুড় যা গিয়ে সামলা,,,
আহাদঃ বাবা টার মাথা গেছে,,
আবিরঃ ওদের কারনে আমরা পর্যন্ত মজা করতে পারছি না,,অইদিকে দেখ আমার শশুড় আবার কত ভালো এক পাশে বসে বসে আপেল জুস খাচ্ছে আর নাচ দেখছে,,,,
আমানঃ হ্যাঁ হ্যাঁ শশুড় তো ভালো বাট তোর বাপ দেখ উড়াধুড়া নাচ আমার বাপের সাথে,,,
আকাশঃ সে ভাই সে তারা তো জমিয়ে দিচ্ছে আজ,,,
আবিরঃ কচু দিচ্ছে উল্টো আমাদের পার্টি টা শেষ করছে,,,
আমানকে একটা ঘুষি দিয়ে বলে
আবিরঃ হারামি সব তোর জন্য,,
এরা মজা করতে থাকে,,আমানের বাবা এসে সবাই কে টেনে নিয়ে যায়,,,আবির তার বাবার সামনে নাচবে এই ভেবে কিছু টা লজ্জা পায় তাই একটু সাইট হয়ে দাঁড়ায়,,,
আমানঃ এই আবির আয়,,,
আবিরঃ আরে না ওদের সাথে নাচ সিরিয়াসলি???
আবিরের বাবা এসে আবিরকে বলে
আবিরের বাবাঃ কেন?আমরা বুজি ভালো ডান্স করতে পারি না??চুপচাপ আয় নাচতে
আবিরঃ বাবা একবার যদি মা বলতে পারে না যে তুমি এখানে ড্রিঙ্ক করে কোমড় দুলাছো সত্যি তোমার কপালে শনি আছে অই সময়,,,
আবিরের বাবাঃ চুপ থাক মায়ের চামচা,,,বেশি বকবক না করে নাচতে আয় না হলে আমিও তিথিকে বিচার লাগাবো যে তুই এখানে কি করছিস,,,
আবিরঃ তুমি কি আমার বাবা আসলে?নাকি শত্রু?
আবিরের বাবাঃ যা ভাবিস এখন আয়,,
আবিরের বাবা তাকে টেনে নিয়ে যায় নাচতে,,সবাই হইহল্লা করে যে গানের আয়োজন ছাড়া আর কিছু শুনা যাচ্ছে না,,,,
এইদিকে,,,
তিথি আর তার টিম বাহিনি এসে হাজির,,এখন শুধু এন্ট্রি করার বাকি ভিতরে,,,
তিশাঃ তিথি ভেবে দেখো আর একবার,,,
তিথিঃ উফফফ আর কি ভাববো আমরা এখন যাবো,,,
আরিশাঃ কিন্তু ভাবি আমরা কিভাবে যাবো??
তিথিঃ কেন জানালা দিয়ে,,,
আবিরের মাঃ হেএ না না জানালা দিয়ে নয়,,,
আমানের মাঃ হ্যাঁ এই ড্রেসে তো একদম নয়,,,
তিথিঃ তাহলে কেমনে যাবো?
আবিরের মাঃ পিছনের দরজা দিয়ে,,আমি আসার সময় পিছনের দরজার চাবি নিয়ে আসছি,,,
তিথিঃ উফফ ডিয়ার শাশুড়ি আম্মা তুমি আসলে একটা জিনিস যার কারছে সব কিছুর সমাধান আছে জাস্ট ফাটিয়ে দাও ,,,
আরিশাঃ এখন তাড়াতাড়ি চলো,,,,
সব মেয়েরা মিলে পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে আসে,,এসে দেখে সব কিছু অন্ধকার,,,
আরিশাঃ ওরা কই গানের আয়োজন শুধু পাচ্ছি,,,,
তিথিঃ সামনে যাই আর দেখি ওরা কি করছে,,,
সবাই মিলে যায় অইখানে যেখানে ছেলেরা উড়াধুড়া নাচছে,,,,
আবিরের বাবা আর আমানের বাবা এক সাথে হাত ধরে নাচতে ব্যস্ত হয়ে যায়,,,,,,
তিথি আর সবাই মিলে এসে যায় এসে দেখে যা তাদের তো চোখ কপালে,,,
আরিশাঃ পাপ্পা আর আংকেল এইভাবে নাচছে আল্লাহ
তিশাঃ ওমা সেকি চাচ্চু ও,,,
তিথিঃ আমার আদরের বাবাকে দেখছি না যে?
আরিশাঃ ভাবি অইদিকে তাকাও(ইশারা করে)
তিথি দেখে তার বাবা আকাশের সাথে যা নাচ,,,তিথি তার মামনিকে দেখায়,,,মামনি দেখে কপালে হাত দেয়,,
মামনিঃ হায় হায় তিথি এই কি করছে তোর বাপ??
তিথিঃ যাও গিয়ে ক্লাস নাও,,,
তিথি সবাই কে বলে
তিথিঃ জাগো নারী জাগো এখন সময় প্রতিবাদ করার হুম,,কেন আমাদের ছাড়া পার্টিতে এসে এইভাবে নাচছে যাও এট্যাক করো সবাই
তিথি তার মাকে সাহস দেয়,,আর বাকিদের ও,,,,
এইদিকে,,
আমানের বাবা আর আবিরেত বাবা নাচ অফ করে এক পাশে এসে বসে,,,আমানের বাবা আবিরের বাবার ঘাড়ে মাথা রেখে বলে
আমানের বাবাঃ জীবনটা ত্যানা ত্যানা হয়ে গেছে তোর ভাবি আমাকে তো একটু শান্তি দেয় না,,,নাচ গান উফফ অনেক বছর পর এমন শান্তি পেলাম,,,মুক্তি আজ ভাই মুক্তি মন খুলে ডান্স করবো আজ,,,
আবিরের বাবাঃ হুম সেম অবস্থা,,, একটু তো রোমাঞ্চ করতে যাই তাও ও দেয় না,,,কপালটা এমন হু
এই কথা গুলো শুনে আবিরের মা আর আমানের মা পুরো ক্ষেপে যায়,,আর বাবারা তাদের দুঃখের কথা একে অপরের সাথে শেয়ার করতে লাগে যা সভ শুনতে লাগে মা রা,, তারা তো লুচির মত ফুলছে শুনেই,,,
আবির আকাশ আমান ওরা হাফিয়ে যাওয়ায় এতো নাচার পর তারা তিন জন পানি খাওয়ার জন্য এক পাশে যায়,,আমান পানি খেয়েই একটা আপেল খাচ্ছে আর আবিরকে বলছে
আমানঃ উফফ সে পার্টি বস সে,,,
আকাশঃ হ্যাঁ আবির সে একটা পার্টি,,,
আবিরঃ আরো সে হতো যদি আমাদের বাপ রা না আসতো,,,বাপ তো এসেছে এসেছে শশুড় ও আসছে,,,
আকাশ হাসতে হাসতে পিছনে ফিরে দেখে আবিরের বাবার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে আবিরের মা আর আমানের মা,,,ঢোক গিলতে থাকে ভয়ে তো তার হাত কাঁপতে লাগে,,,
আমানঃ কিরে বেশি খেয়েছিস নাকি যে এইভাবে ভুঁত দেখার মত আছিস??
আকাশঃ ভাই অইদিকে তাকা আর দেখ ভুঁত নাকি কি,,,
আবির আর আমান পিছনে তাকায় তারা যা দেখে তা দেখে তো ঢোক গিলছে আর একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে তাদের মা আর গ্রাউন পড়া তাও আবার চুল গুলো ছাড়া বেশ সুন্দর এই লাগছে কিন্তু এইভাবে গ্রাউন পড়া দেখে তো শেষ,,,
আমানঃ এরা কি আমাদের মা?
আবিরঃ তাই তো মনে হচ্ছে,,,
আমানঃ চিমটি দে তো বিশ্বাস হচ্ছে না আমার যে তারা এখানে তাও আবার এমন ড্রেসে,,,
আকাশ অনেক জোরে আবির আর আমানকে চিমটি দেয়,,,জোরে চিৎকার করে উঠে দুইজনে,,,,
আবিরঃ আমাকে কেন দিলি হারামি,,,,
আমানঃ ভাই আজ তো আমাদের বাপ গেছে,,,,
আবিরঃ এরা এখানে কিভাবে??
আকাশঃ শুধু ওরা নয় মহিলাদের পুরো টিম এখামে দেখ,,,
আমান আর আবির অন্য দিকে তাকিয়ে দেখে সব মেয়েরা এখানে,,,
আমানঃ ও আল্লাহ তিশা আর বাকিরা ও আছে,,,
আবিরঃ এইসব কিছু আমি সিউর তিথির কাজ,,,এমন ড্রেস আর এমন ভাবে এখানে আসা এইসব কিছু তিথি ছাড়া আর কারো প্লেন না,,ওর মাথায় অল টাইম থাকে দুষ্ট বুদ্ধি,,,,
আমানঃ ভাই কি বউ তোর পুরো একটা আইটেম বোম,,,,যেখানে যায় ধামাকা করেই ছাড়ে,,,,কিন্তু এখন যে আমাদের ও কপালে দুঃখ আছে বাপদের সাথে সাথে
আবিরঃ উফফ চুপ থাক তো এখন,,দেখি মহারানি কই আছে,,
এইদিকে
আবিরের মা গিয়ে আবিরের বাবার সামনে দাঁড়ায় আমানের মা আমানের বাবার সামনে,,,,তারা দুইজন দেখে বলে
আমানের বাবাঃ আজ মনে হয় বেশি খেয়ে ফেলছি তাই আমানের মাকে দেখছি,,আহা আমার বউটা কত সুন্দর লাগছে এমন ড্রেসে,,,
আবিরের বাবাঃ আমিও যে দেখছি আমার প্রিয়তমাকে,,,সে তো লাল পরী লাগছে,,,
আমানের মা আর আবিরের মা এক গ্লাস পানি তাদের মুখে ছুড়ে মারে,,তারা হুশে আসে কিছু টা আর দেখে তারা স্বপ্ন দেখছে না আসলেই সামনে,,,ভয়ে তো তারা শেষ ,মা রা এমন ভাবে ঝগড়া লাগায় যে বলার বাহিরে অইখানে,,,
এইদিকে,,
তিথির মা গিয়ে তিথির বাবার সামনে দাঁড়ায় হুট করে বউকে দেখে নাচ বন্ধ হয়ে যায়,,,
তিথির বাবাঃ তুমি এখানে?
তিথির মাঃ কেন আনন্দ কি মাটি হয়েছে নাকি?
তিথির বাবাঃ উফফ কি যে বলো না,,, যাই হোক এতো সুন্দর ড্রেস পড়লে যে??আসো ডান্স করি,,,
তিথির মাঃ অন্য লোক দেখানোর জন্য,,,সাহস হয় কি করে এখানে এসে বাচ্চাদের সাথে কোমড় দুলিয়ে নাচার এই বুড়ো বয়সে লজ্জা শরম এর মাথা কি খাইছিলে যে মেয়ের জামাই এর সাথে এসে নাচো হু,,,
আহা তারা ও লেগে যায় ঝগড়া,,,
আহাদের বাবার কান ধরে নাচের জায়গা থেকে নিয়ে আসে আহাদের মা,,,তা দেখে তো আহাদ প্রচুর ভয় পায় যে তার মা তার বাপের কান ধরে নিয়ে গেছে এক পাশে আর কি না ঝগড়া করছে,,,
বুড়ো রা তো ঝগড়া করছে,,,
এইদিকে তিশা আর আরিশা আমান আর আহাদকে খুজছে যাও পেয়েছে তারা তাদের মত কথা বলছে,,,,কিন্তু তিথি নাই
আবির দেখে সব কাফেলরা ঝগড়া করতে ব্যস্ত,,কিন্তু তিথি নাই,,,
আবিরঃ এই এলিয়েন সব গন্ডগোল করে কই গেলো?
নেহালঃ তোর বউকে খুজছিস???
আবিরঃ হ্যাঁ
নেহালঃ অই দেখ নাচছে নাগিন গানে,,,,
আবিরের চোখ কপালে কারন সব মেয়েরা তাদের হাজবেন্ড এর সাথে ঝগড়া করছে আর তিথি কিনা নাগিন গানে বিনদাস নাচছে,,,আর সে ও কিনা গ্রাউন পড়ে লাল,,সব মেয়েরা আজ লাল গ্রাউন পড়ে যা দেখে আবির তার কপালে হাত দিয়ে বলে
আবিরঃ হে আল্লাহ এই কেমন বউ দিলা আমার কপালে?? সব মেয়েরা দেখি ঝগড়া করতে ব্যস্ত আর আমার বউ কিনা নাগিন গানে নাচছে,,,,
আকাশঃ ভাই যা যা তোর বউকে সামলা,,,,
আবির গিয়ে তিথির সামনে দাঁড়ায়,,,আবিরকে দেখে নাচ অফ করে দেয় তিথি,,,
তিথিঃ আরে মিস্টার বজ্জাত যে,,আসুন আসুন আপনি ও নাচুন আমার সাথে সে একটা গান,,,,
আবিরঃ বাহা মিসেস ঝগড়াটি এলিয়েন অইদিকে প্যাচাল বাজিয়ে আপনি এখানে মনের সুখে নাচছেন,,,,
তিথিঃ আরে ওরা ঝগড়া করুক আর আমি আনন্দ নেই পার্টির,,,,
আবিরঃ মা আন্টিমা আর বাকিদের তুমি এই ড্রেস পড়িয়ে আনলে কেন?
তিথিঃ পার্টিতে আসবো আর সেজে গুজে আসবো না হু,,,
আবির প্রচুর ক্ষেপে যায় কারণ অইদিকে ঝগড়ার যা আওয়াজ,,,,একটা ধমক দিয়ে উঠে আকাশ গান অফ করে দেয়,,,সবাই চুপ হয়ে যায়,,,
আবিরঃ সমস্যা কি হ্যাঁ সবার????
সবাই কিছু টা ভয় পেয়ে যায় কারণ আবির প্রচুর রেগে উঠে,,,,
আবিরঃ এসেছেন ভালো কথা ঝগড়া কেন করছেন হ্যাঁ??
তিথি মাঝ খান থেকে বলে উঠে
তিথিঃ হ্যাঁ লেডিস আপনারা অযথা ঝগড়া কেন করছেন হ্যাঁ? পার্টিতে আসছেন ফান করেন নাচেন গান খান
আবির তিথির দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায়,,তিথি তাড়াতাড়ি গিয়ে তিশা আবিরের মা আর সবাই কে টেনে নাচা শুরু করে দেয়,,,
আবির এক পাশে গিয়ে বসে পড়ে,,,আমান এসে বলে
আমানঃ এইটা আর বেচালার পার্টি নাই রে ভাই,,,
আবিরঃ এই তিথিকে কে বলছে যে আমরা এখানে পার্টি করতে আসছি?
আমানঃ আমি জানি না সত্যি,,,,
আবিরঃ প্রমেস যে এই খবর তিথির কাছে দিচ্ছে না তার খবর আছে দেখিস,,,
তিথি এসে আবিরকে টেনে নিয়ে যায় নাচার জন্য,,,
সব মেয়েরা তাদের হাজবেন্ড এর সাথে নাচছে,,,
বড়রা এক পাশে,,,,
তিথি আর আবির এক সাথে নাচছে ঠিক আবির শুধু তিথির দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে এই মেয়ে কি,,,শান্তি তে পার্টি টা ও করতে দিলো না তাদের,,,,,
অনেক ক্ষন তারা এইভাবে নাচতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,,
তিথির কেন জানি মনে হচ্ছে তার জামার চেইন খুলে যাচ্ছে,,তাড়াতাড়ি চলে যায় একটা রুমে চেইন লাগাতে কিন্তু কিছু টা আটকে যাওয়ার কারনে লাগাতে পারছে না,,,
পার্টিতে সবাই উড়াধুড়া নাচ দিচ্ছে,,,আবির তিথিকে পার্টিতে না দেখে খুজতে লাগে,,,
একটা রুমে দেখে সে ভিতরে যায়,গিয়ে দেখে তিথি জামার চেইন লাগাতে ব্যস্ত,,,পিঠের কাছে দুই হাত টেনে নিয়ে লাগানোর চেস্টা করেই যাচ্ছে
আবিরঃ আমি কি লাগিয়ে দিবো?
আবিরের আওয়াজ পেয়ে কিছু টা ঘাবড়ে যায় তিথি,,,
তিথিঃ না আমি পারবো,,,,
আবিরঃ সমস্যা নাই,,,হাজবেন্ড হই তোমার
তিথিঃ হু,,
আবির দরজা টা লাগিয়ে দেয়,,তিথির জামার চেইন লাগানোর চেস্টা করে কিন্তু পারছে না,,,অনেক জোরে টান দেওয়াতে ছিড়ে যায়,,,তিথি প্রচুর ক্ষেপে যায় আবিরের উপর
আবিরঃ সরি,,,
তিথিঃ পারবেন না তো পারবেন না আগ বাড়িয়ে মাস্টারি করতে কে বলছে হু,,,
আবিরঃ আ,,,সলে খেয়াল করি নাই,,,
তিথিঃ হু বুজছি,,,,
আবির তিথির কাছে এসে নিজের শার্টটা খুলতে লাগে,,,তিথি কিছু টা ঘাবড়ে যায়
তিথিঃ আ,,পনি শার্ট কেন খুলছেন??
আবিরঃ দেখতা পাবা কেন?
তিথি তো অন্য কিছু ভেবে ফেলে,,,আবির তার শার্টটা খুলেই তিথিকে পড়িয়ে দেয়,,তার গায়ে শুধু পাতলা একটা গেঞ্চি পড়া,,,,এমন অবস্থায় যে আবির বাহিরে যাবে সে সুযোগ ও নাই,,,বাট অনেক টা কিউট লাগছে আবিরকে,,,,তিথি তো নজর সরাতে পারছে না তবুও লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে অন্য দিকে তাকায় আবিরকে এইভাবে দেখে,,,
আবিরঃ শুনো রুমে থাকো আমি ফোন করে তোমার জন্য আর বাকিদের জন্য ড্রেস নিয়ে আসতেছি,,,
তিথিঃ কেন?
আবিরঃ কেন কি হ্যাঁ?? যে ড্রেস পড়ে সবাই আসলে না দাদি একবার দেখলে সবার ক্লাস নিবে,,,
তিথিঃ দাদি অনেক মডেন ওকে,,,
আবিরঃ জ্বি শুধু নিজের বেলায় বাট বাড়ির বউরা এইসব ড্রেস পড়ুক তা উনি কখনো মেনে নিবে না ওকে,,
তিথি আর কিছু বলে না,,আবির কাকে যেন কল দেয়,,,
কয়েক মিনিট পর আবির ফোন টা রেখে তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে চুল গুলো তিথির উড়ছে বেশ সুন্দর এই লাগছে তাকে,, আবির তিথির কাছে যায় তিথি সরতে লাগে যে ধাক্কা খায় আবিরের সাথে,,,
তিথিঃ স,,সরি,,,
আবির তিথিকে কিছু টা টেনে নেয় নিজের কাছে,,,চুল গুলো সরিয়ে কপালে চুমু একে দেয়,,তিথি আবিরের গেঞ্চিটা শক্ত করে আকড়ে ধরে রাখে,,,আবির তিথিকে হুট করে কোলে তুলে নেয় তিথিও চুপ করে আবিরের বুকে মাথা দিয়ে আছে,,,,
আবির তিথিকে বিছানায় শুয়ে দেয়,,,কপাল থেকে চুল গুলো সরিয়ে দেয়,,,কপালে কিস করে,গালে চোখে কিস করতে থাকে,,,,তিথি শক্ত করে আকড়ে আছে আবিরের গেঞ্চি,,,,আবির হুট করে তিথির ঠোঁটে ডুবে যায়,,,,
কিছু ক্ষন পর আবির তিথিকে ছেড়ে দেয়,,তার হুঁশ আসে সে কি করছে এইভাবে তিথিকে কিস করবে সে ভাবে ও নাই,,,
আবিরঃ সরি আসলে,,
তিথি লজ্জায় আবিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,,আবির বুজতে পারে তিথি তাকে ভালোবাসে তার স্ত্রী তার অধিকার আছে কিন্তু আবির চায় না এইভাবে তিথিকে নিজের করতে,,,,,
আবিরের ফোন বেজে উঠে হুট করে,,,আবির তিথিকে সরিয়ে বলে
আবিরঃ মেবি চলে এসেছে ওয়েট,,,
আবির রুম থেকে বের হয়ে যায় আর তিথি লজ্জায় বসে আছে ভাবে যে আজ তাকে আবির এইভাবে এতো টা কাছে নিবে সে ভাবে ও নাই,,,,
আবির মেইন দরজা খুলে দেখে খাদিজা সবার জামা কাপড় নিয়ে এসেছে,,,
খাদিজাঃ ভাইজান আনছি,,,
আবিরঃ গিয়ে সবাই কে দে,,,আর বল চেঞ্চ কিরে নিতে ওকে৷
খাদিজাঃ আচ্ছা
আবিরঃ শুন,,,
খাদিজাঃ জ্বি,,,
আবিরঃ আমরা যে এখানে পার্টি করতে এসেছি তা সবাই জানছে কিভাবে?এই খবর তিথির কাছে কে দিচ্ছে
খাদিজাঃআ,,মি কি জানি(ভয় পেয়ে)
আবিরঃ ওকে যা,,যদি একবার খবর পাই কে করছে এই কাজ তাকে আমি খুন করবো অই জায়গায়,,,
আবিরের কথায় খাদিজা অনেক ভয় পেয়ে যায়,,,ভয়ে তাড়াতাড়ি চলে যায়,,,,
আবির আমান আর আকাশকে ডাক দেয় কারন তারা ড্রিঙ্ক করে নাই তেমন,,,আর আবিরর বাবা আর আমানের বাবা তো পুরো শেষ,,,,বাকিরা ও নাচছে এখনও,,,
খাদিজা গিয়ে তিথিকে শাড়ি দেয়,,তিথি চেঞ্চ করেই সব মেয়েদের নিয়ে আসে রুমে আর চেঞ্চ করতে বলে,,,,
তিশাঃ কি হলো?
আবিরের মাঃ হ্যাঁ এইভাবে নিয়ে এসে চেঞ্চ করতে বললে যে?
তিথিঃ তাড়াতাড়ি সবাই রেডি হন মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডার হকুম যে আমরা এখনই বাড়ি যাবি,,,
আরিশাঃ আর পার্টি?
তিথিঃ বজ্জাত টা গিলে খাবে পার্টির কথা মাথায় আনলে হুম,,,
তিশাঃ আচ্ছা
সব মেয়েরা চেঞ্চ করতে থাকে রুমে,,,
আর তিথি রুম থেকে বের হয়ে আসে,,,আবিরকে খুজে আবিরের কাছে যায় তার শার্টি নিয়ে,,,,আবিরকে এক পাশে ডেকে বলে
তিথিঃ আপনার শার্ট,,,
আবিরঃ হুম,,আচ্ছা শুনো আমরা এখন বের হবো সবাই রেডি তো?
তিথিঃ কিন্তু পার্টি???না মানে আরু বলছে তাই,,,
আবিরঃ পার্টি আর করতে কই দিলা সব দিলা শেষ করে,,,,,যা গন্ডগোল বাঁধালা না এর ক্লাস আমি নিবো তোমার পরে,,,বিয়ে টা হোক একবার তারপর তোমার খবর আছে এইজন্য,,,
তিথিঃ হু,,,,আমি করছি,,,এইসব তো শাশুড়ি আম্মার প্লেন,,,
আবিরঃ চুপ থাকো,,,আমি জানি ভালো করে এইসব কার মাথা থেকে বের হবে,,,,
তিথিঃ হু,,,আজ অসহায় পিচ্ছি কিউট বাচ্চা বলে,,,
আবিরঃ হইছে এখন আর ন্যাকামি করতে হবে না,,,
তিশা রেডি হয়ে এসে আমানকে বলে
তিশাঃ কাল বিয়ে টা হোক পরশু বুজাবো মজা,,,,পার্টি না দেখাবো পার্টি হুম,,,
আমান কিছু টা ঘাবড়ে যায়,,,,সব মেয়েরা বের হয়ে যায় এক সাথে সবাই গাড়ির সামনে যেতে লাগে,,,এইদিকে আমান আবিরকে বলে
আমানঃ আমার সহজ সরল বউটাকে তোর বউ নিজের মত করে ফেলছে ভাই,,,এখন সে আমার ক্লাস নিবে,,,
আবিরঃ একদম উচিত হইছে,,,আমার বউয়ের তারিফ কির আরো এখন বুজ ঠেলা,,,
আহাদ এসে ও যোগ দেয়,,
আহাদঃ আমাকে তো এখনও কিছু বলে নাই কিন্তু কাল ছাড়বে না সিউর,,,,
আবিরঃ আমি মিসেস তিতার ক্লাস নিবো হুম,,,আচ্ছা আয়,,,
এইদিকে,,,
সবাই গিয়ে গাড়িতে বসে,,আকাশ আবিরের বাবা আর মাকে নিয়ে যায়,,,আর নেহাল আমানের বাবা-মাকে,,,,
বাকিরা ও যায়,,,
আমান আবির তিশা তিথি এক গাড়িতে,,,,
আবির ড্রাইভ করছে আর তিথির দিকে বারবার তাকাচ্ছে যে আজ তিথির কারনে পার্টি ছেড়েই আসতে হইছে,,,রাগ ও উঠে আবার হাসিও পাচ্ছে তার এই ভেবে যে সব মহিলাদের আজকে এমন ভাবে রাগাইছে তাদের স্বামীদের উপর যে সবাই আগুনের গোলা হয়ে যায়,,,,
তিথি জানালার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে এইভাবে যে আবিরের সাথে মুহূর্ত গুলো অসাধারণ ছিলো আজ,,,আর পার্টির মজা টা তো আলাদা কিন্তু তিথি আজ ভাবতে ব্যস্ত আবিরের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো যা তিথির মনে গেঁথে গেছে,,,,
ভালোবাসায় আজ রঙিন রয়েছে দুইজন অজান্তেই,,,
চলবে,,,,,