বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 41

ভালোবাসি শব্দটা শুনেই আবির অবাক মনে কি খুশি হচ্ছে নাকি অন্য কিছু,,,কিন্তু তিথি তো হুশে নাই,,,আবার ভাবে হুশ নাই বিদায় হয়তো তিথি আবিরকে সত্যি বলেছে,,,আর তিথি আবিরের কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে আবার বলে উঠে
তিথিঃ ভালোবাসি মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা
ভালোবাসি শব্দটা বলেই তিথি আবিরকে জড়িয়ে ধরে,,,চোখের পানি টলমল করছে তিথির,,,আবিরকে শক্ত করে ধরে বলে
তিথিঃ জানেন আমি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসি,,,আপনার বুকে মাথা রাখলে যে শান্তি পাই তা কোথাও পাই না,,,আপনার আওয়াজ শুনলেই যেন কলিজাটা ঠান্ডা হয়ে যায়,,,,ভালোবাসা কি জানি না কিন্তু হ্যাঁ আপনার থেকে আমি শিখেছি ভালোবাসা কি,,,,
আবির তিথির প্রতিটা শব্দ মন দিয়ে শুনে,,,তিথি হুশে নাই কিন্তু তার প্রতি টা শব্দ যেন আজ সত্যি লাগছে আবিরের কাছে,,,,
তিথি আবিরকে ছেড়ে আবিরের গালে দুই হাত রেখে বলে
তিথিঃ আপনার মুখের হাসি আমার সব চেয়ে প্রিয়,,,জানেন আমার অনেক গুলো অনুভূতি জমানো আপনার জন্য আমার মনে,খুব ইচ্ছে করে প্রকাশ করতে ,,প্রতিটা অনুভূতি শুধু আপনার জন্য আপনি যে আমার প্রথম ভালোবাসা,,,,আচ্ছা আপনি কি আমাকে ভালোবাসেন??
আবির চুপ করে আছে ভালোবাসেন শব্দটা শুনেই আবির চুপ,,,
তিথিঃ উফফ আমিও না আপনি আমাকে ভালো না বাসলে কাকে বাসবেন,,,আমাকে প্রতি রাতে বুকে না নিয়ে ঘুমালে যে আপনি ঘুমাতে পারেন না,,,আপনি তো আমার বজ্জাত তাই আমাকে ভালোবাসেন তাই না?
আবির কি উত্তর ফিবে তিথির ভেবে পাচ্ছে না,,,আজ আবিরের কাছে তিথির এমন প্রশ্ন আবিরকে ভাবতে বাধ্য করে আবির তিথিকে কি ভালোবাসে?তিথির কথা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলে
আবিরঃ তিথি ঘুমাও প্লিজ এখন,,,না হলে খুব মাথা ব্যাথা করবে খুব,,,
তিথি আবিরের কথায় পাত্তা না দিয়ে বলে,,,
তিথিঃ একটা কথা বলি?
আবিরঃ আবার কি.?
তিথিঃ আপনি অই কায়রা ডাইনিটাকে বিয়ে করবেন না তো?? আমার একদম ভালো লাগে না যখন সে আপনার সাথে চিপকে থাকে,,,আপনার হাত ধরে আপনার আশেপাশে ঘুরঘুর করে আস্তা একটা শাঁতচুন্নি ডাইনি কালা পেত্নি হু,,,
আবির মুচকি হেসে তিথির হাত ধরে বলে
আবিরঃ আমার বউ সব সময় তুমি থাকবে,,,,মিসেস আবির রহমান এই নাম কখনো অন্য কেউ নিতে পারবে না তুমি ছাড়া ,,বিয়ে আমি যাকে করেছি আমি সত্যি ভালো আছি তাকে নিয়ে,,,,আর হ্যাঁ মায়রা বা অন্য কাউকে আমি কখনো বিয়ে করবো না কারণ আমি অলরেডি বিয়ে করে ফেলছি একবার নয় দুইবার তাও,,,
তিথিঃ দুইবার মানে???অই হারামি আমার সতিন কে আবার?? (প্রচুর রেগে)
তিথির রাগী চেহারা দেখে আবির একটু হেসে দেয়,,,,
আবিরঃ পাগলি তোমাকে তো করলাম দুইবার বিয়ে,,,আর আমার শখ নাই অন্য কাউকে বিয়ে করার,,,
তিথিঃ হুম মনে রাখিয়েন,,,
আবিরঃ জ্বি ম্যাডাম,,,
তিথিঃ আচ্ছা তাহলে অই কায়রার কি হবে??
আবিরঃ তিথি আমি কিছু সত্যি বলি শুনো মায়রা আমার ভালো ফ্রেন্ড আর কিছু না,,,ওকে কখনো আমি বিয়ে করতে চাই নাই তবুও প্রমেস করেছিলাম বাধ্য হয়ে কিন্তু আল্লাহ হয়তো আমার কপালে তোমায় লেখে রেখেছে যে আমার সাথে তোমার বিয়ে হয়,,,আর হ্যাঁ তুমি আমার ওয়াইফ আছো থাকবে সারাজীবন বুজলা,,,,,আর মায়রাকে আমি বোজাব তাকে বুজানোর চেস্টা করবো আমি,,,,
তিথিঃ আচ্ছা ভালোবাসেন না আমাকে???
আবিরঃ ভালোবাসি কিনা জানি না কিন্তু হ্যাঁ তোমার প্রতি আমি দূর্বল তা আমি বুজতে পারছি,,,,
তিথি মুখটা ফুলিয়ে বলে
তিথিঃ কিস করেন,,,,,
আবিরঃ হোয়াট???
তিথিঃ আরে আমি গোশসা
আবিরঃ মানে???

তিথিঃ মানে আমি রেগে আছি আমাকে কিস করেন রাগ কমে যাবে আমার,,,,
আবিরঃ কিন্তু কেন রেগে আছো তা তো বলবে???
তিথিঃ অই যে বললেন ভালোবাসেন কি না জানেন না তাই,,,
আবিরঃ তিথি শুনো,,,,
তিথিঃ নায়ায়া কিছু শুনবো না আমি,,,কিস করবেন আপনি আমাকে এখন,,,
তিথি তার মুখটা আবিরের সামনে এনে দেয়,,,আবির আলতো করে কপালে চুমু একেঁ দেয়,,,,তিথি মুচকি হেসে আবিরের গাল টেনে বলে
তিথিঃ ওলে আমার কিউট বজ্জাত এনাকন্ডা রে,,,
আবিরঃ উফফফ গাল টা এইভাবে তাই ছিড়বা,,,,
তিথিঃ অই শুনেন,,,
আবিরঃ কি??
তিথিঃ আপনি না অনেক কিউট,,,,,
আবিরঃ হুম বুজছি,,,,,ঘুমাও,,,
তিথির শাড়ির আঁচল টা পড়ে যায় আবির তাড়াতাড়ি আবার তুলে দিয়ে বলে
আবিরঃ আচ্ছা আমি শরবত নিয়ে আসি এতে বেটার ফিল করবা,,,
তিথিঃ আমি বেটার ফিল তখনই করবো যখন আপনি আমাকে অনেক গুলা কিস দিবেন,,,,
আবিরঃ চুপ একদম,,,,,চুপচাপ এখানে বসে থাকবে ওকে,,,,
আবির তিথিকে ধমক দিয়ে রুমের বাহিরে যায় লেবুর শরবত এর জন্য,,,,
এইদিকে
তিথি আবিরের একটা শার্ট নিয়ে পড়ে শাড়ি খুলেই,,,,শার্টের বুতাম লাগাচ্ছে আর আয়নায় তাকিয়ে বলছে
তিথিঃ বাহা কত কিউট লাগছে বজ্জাত এর শার্টে,,,,
তিথি শার্টটা পড়েই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় দুই হাত মেলে দিয়ে বাতাস উপভোগ করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে,,,,
এইদিকে
আবির কিচেনে গিয়ে কাজের লোক কে বলে লেবুর শরবত দিতে,,,লেবুর শরবত নিয়ে আসতে লাগে দেখে মায়রা,,,,
মায়রাঃ আবির জানো আজ কি হইছে আমার সাথে,,,,
আবিরঃ মায়রা প্লিজ পরে কথা বলবো এখন আমার উপরে যাওয়া খুব ইম্পর্টেন্ট, ,
মায়রাঃ আমার কথা না শুনেই যেতে চাচ্ছো উপরে এমন কি আছে যে আমার থেকে ইম্পর্টেন্ট হ্যাঁ????
আবিরঃ মায়রা শুনো কাল কথা বলবো প্লিজ বাট আমার এখন উপরে যাওয়া খুব দরকার,,,
আবির মায়রাকে ইগনোর করে উপরে যায় যা মায়রার ইগোতে অনেক লাগে,,,,
আবির রুমে এসে দেখে তিথির শাড়ি নিচে পড়ে আছে,,,শরবত টা টেবিলে রেখে বারান্দায় যায় গিয়ে দেখে দুই হাত মেলে চোখ অফ করে তিথি বাতাসে দাঁড়িয়ে আছে,,,,চুল খোলা থাকায় অনেক উড়ছে বেশ সুন্দর লাগছে তিথিকে,,,আবির আরো অবাক হয় যে তিথি আবিরের শার্ট গায়ে দিয়ে আছে,,,
আবিরঃ তিথি,,,,
আবিরের আওয়াজ পেয়ে চোখ খুলে তাকায়,,,মুচকি হেসে আবিরের হাত ধরে বলে
তিথিঃ মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা কই ছিলেন এতো ক্ষন হুম,,,,দেখেন আমাকে কত কিউট লাগছে আপনার শার্টে,,,শার্টে আপনার ঘ্রাণ আহা যা কি বলবো কত ভালো লাগছে আমার এই ঘ্রাণ,,
আবিরঃ আচ্ছা বুজছি এইবার রুমে আসো শরবত টা খেয়ে নাও,,,,তারপর ঘুমাবা চুপচাপ
তিথি আবিরের ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে
তিথিঃ ইসসস আজ ঘুম হবে না শুধু রোমাঞ্চ হবে,,,,
আবির বুজতে পারে তিথি হুশ হারিয়ে পাগলামি গুলো করছে সকাল হলেই সব ভুলে যাবে,,,,আঙ্গুল টা সরিয়ে বলে
আবিরঃ সব হবে কিন্তু আজ নয় কাল,,
তিথিঃ না আজ এখন হবে,,
আবিরঃ উফফ এই নেয়ে তো ড্রিঙ্ক করে পুরো পাগল,,, যে ড্রিঙ্ক দিচ্ছে না তাকে হাতের কাছে পাইলে আমি খুন করবো
তিথিঃ কিছু বললেন?
আবিরঃ না,,,এইবার চলো প্লিজ
তিথি আবিরের কথায় পাত্তা না দিয়েউ হাতটা শক্ত করে ধরে নিজের কাছে টেনে নেয়,,,,
আবির কিছু বলতেই পারছে না তিথি আবিরের মুখে হাত দিয়ে রেখেছে,,,,দুইজনে তাকিয়ে আছে একে অপরের চোখের দিকে,,,তিথির সে মায়াবী চেহারায় যেন আজ মুগ্ধ আবির,,,চোখের মাঝে যেন হারিয়ে যাচ্ছে আবির ,,,,তিথির চোখে যে মায়া যে ভালোবাসা আবিরের প্রতি তা আজ আবির স্পষ্ট বুজতে পারছে,,,
তিথি আবিরের অনেক টা কাছে যায় পা টা একটু উঁচু করে আবিরের ঘাড়ে দুই হাত রাখে,,,,আবির সরে যেতে চায় কিন্তু পারে না তিথি তার এক হাত দিয়ে আবিরের হাত তার কোমড়ে রাখে,,,
তিথিঃ শক্ত করে ধরবেন কি.?
আবিরঃ তিথি হুঁশে নাই তুমি,,,

তিথিঃ আমি ঠিক আছি বুজলেন আপনি,,,আর আপনার বিয়ে করা বউ আমি,,,,,তো জড়িয়ে ধরেন,,,
আবির তিথির এমন কান্ডতে অনেক টা হতবাক,,কিছু বলতে যাবে তিথি আবিরের মুখে আবার আঙ্গুল দিয়ে বলে
তিথিঃ ইশশ আজ একটা কথা ও না,,,
আঙ্গুল সরিয়ে আবিরের গালে হাত রেখে মাথাটা একটু নিচে করে কপালে চুমু দেয়,তিথির স্পর্শে যেন এক জাদু আছে যা আবিরকে মুগ্ধ করে,,,,চোখে চুমু দিতে থাকে তিথি,,,,আবির তিথির কোমড় শক্ত করে ধরে নিজের দিকে টেনে নেয়,,,,
এই কি ভালোবাসা নাকি মোহ কিছু সে আজ বুজতে পারছে না বাট এই বুজেছে যে তিথি তার মনে জায়গা করে নিয়েছে যা কেউ কখনো পারে নাই,,,,,
তিথি আবিরের চোখে চুমু দিয়ে গালে আলতো করে চুমু দেয়,,,আবির তিথির পিঠে এক হাত রেখে আর এক হাত কোমড়ে রেখে শক্ত করে নিজের কাছে ধরে রাখে,,,হুট করে যে তিথি আবিরের ঠোঁটে ডুবে যাবে তা আবির বুজতে পারে নাই,,,প্রথম কিস টা হয়তো তিথি দিয়ে দিলো আজ,,,,
তিথি আবিরের চুল শক্ত করে আকড়ে ধরে,,,,,আবির তিথির এমন নেশাতে আজ মুগ্ধ ধরতে গেলে,,,,,
কিছু ক্ষন পর,,,
তিথি আবিরের ঠোঁট দুটি ছেড়ে লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে আর আবির তিথির সে লজ্জা মাখা মুখ দেখে আজ ক্রাশিত,,,,,তিথির এমন লজ্জা মাখা মুখ যে সে কখনো দেখে নাই,,,এক উজ্জ্বল ভাব আজ এই চেহারায়,,,তিথির কপালে আলতো করে চুমু দিতে খুব ইচ্ছে করছে আবিরের,,,খুব ইচ্ছে করছে বিদায় সে তিথির কপালে চুমু দিয়েই দেয়,,,গাল দুটি ধরে কপালে দুইটা কিস দেয় তারপর তিথিকে কোলে নিয়ে রুমে নিয়ে আসে,,,,
তিথি চুপ করে আবিরের বুকে মাথা রেখে আছে,,,তিথি ভাবে আর একটা কিন্তু হয় আর একটা,,,,,আবির তিথিকে খাটে বসায় লেবুর শরবত টা হাতে দিয়ে বলে
আবিরঃ লক্ষি মেয়ের মত খেয়ে নাও,,,
তিথিঃ এই কি ছিলো রোমাঞ্চ এর জায়গায় শরবত,,,
আবিরঃ চুপচাপ খেয়ে নাও,,,,তারপর সব
তিথিঃ ওকে তাহলে আপনি খাওয়ায় দেন,,,
আবির তিথিকে শরবত টা খাইয়ে দেয়,,,,,
আবিরঃ একটা কথা রাখবে প্লিজ,,,,
তিথিঃ হুম বলেন,,,,
আবিরঃ চুপচাপ এখন ঘুমাবে??
তিথিঃ ওকে যদি আপনি আমাকে আপনার বুকে নিয়ে ঘুমান তাহলে,,,
আবিরঃ ওকে
আবির তিথিকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়ে,,, তিথি আবিরের বুকে মাথা রেখে তবুও বকবক করে,,,
তিথিঃ আমাদের কিন্তু অনেক গুলা বাচ্চা হবে,,ওদের বিয়ে হবে তারপর আমাদের এতো গুলা নাতনি হবে বুজলেন,,,,
আবিরঃ হুম ফুটবল টিম ক্রিকেট টিম সব বানাবো এখন ঘুমাও,,,,
তিথিঃ না এতে তো মাত্র ২৪ টা হবে,,,,
আবিরঃ তাহলে???
তিথিঃ ৪৫ টা বাচ্চা হবে আমাদের বুজলেন,,,
তিথির কথা শুনে আবিরের হাসি পায় হুঁশ নাই কিন্তু তিথির কথা গুলো যা মারাত্মক আবির পারছে না হাসতে ভালো করে আর না পারছে কাঁদতে,,,,,
তিথিঃ কি বলেন ৪৫ টা বেবী ঠিক তো
আবিরঃ হ্যাঁ ৪৫ টা কেন ৫০ টা নিও এখন চুপচাপ ঘুমাও তো না হলে উঠে চলে যাবো হুম,,,,
তিথিঃ এই না না আমি ঘুমাচ্ছি তবুও যাইয়েন না হুম,,,,
তিথির এমন বাচ্চাদের মত পাগলামি দেখে আবির হেসে দেয়,,,
তিথিঃ হাসছেন কেন?
আবিরঃ না এমনি,,,,,
তিথি চোখ বন্ধ করে,,,আবির তিথির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,,,অনেক ক্ষন পর সে ঘুমিয়ে যায়,,,তিথি ঘুমিয়ে যায় দেখে তিথির মাথায় একটা চুমু দিয়ে ভাবে
আবিরঃ (সত্যি কি আমি তিথিকে ভালোবাসি???যদি ভালো না বাসি তাহলে কেন তিথির প্রতি এতো মায়া আমার,,,তাকে বুকে নিয়ে ঘুমালে যে শান্তি পাই তা কখনো পাই নাই অন্য কিছু তে,,,তিথির ফাজলামি দুষ্টুমি সব কিছু আমার ভালো লাগে,,,যতবার তাকে দেখি ততটা তার প্রতি দূর্বল হই তাহলে কি আমি ও তিথিকে ভালোবাসি???)
আজ হাজার টা প্রশ্ন আবিরের মনে,,,তিথির ভালোবাসা প্রকাশ করাতে আজ আবির ও নিজের কিছু ফিলিংস বুজে উঠে এই কি ভালোবাসা নাকি মোহ শুধু এইটা বুজার বাকি,,
আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে নিজের কাপড় গুলো পর্যন্ত চেঞ্চ করতে পারে নাই তিথি যেভাবে আকড়ে ধরে আছে,,,,তিথির চুল গুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দেয় তিথির ঘুমান্ত চেহারাতে যেন এক মায়া জমে আবির আজ চাইলে ও পারছে না তিথির দিকে থেকে নজর সরাতে,,,,,
আজ আবির তিথির সাথে কাটানো সে মুহূর্ত গুলো ভাবতে থাকে অজান্তেই হাসি এসে যায় মুখে তিথির সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো মনে করে,,,,কখন যে সে ঘুমিয়ে পড়ে নিজে ও জানে না,,,
এই দিকে অনুষ্ঠান টা হচ্ছে ধামাকা ছেলেরা তো উড়াধুড়া পার্টি করছে বাহিরে আর মেয়েরা ভিতরে,,,,কিন্তু মায়রার মুড অফ করে এক কোণায় বসে আছে,,,,
তিশাঃ এই আরিশা কি ব্যাপার এই ডাইনিটা এতো চুপচাপ
আরিশাঃ বাহা ভাবির মত দেখি তুমি ও ডাইনি বলা শুরু করলে তিশা
তিশাঃ তিথির সাথে থেকে থেকে কিছু টা ভাষা শিখতে হবে তাই না??
আরিশাঃ হাহা সেটায়,,,,
তিশাঃ আচ্ছা এই তিথি কই?সে কখন থেকে দেখছি না কি ব্যাপার,,,,,
আরিশাঃ আমিও,,, মনে হয় ছেলেদের পার্টিতে গেছে ভাবি তো আবার ভাইকে না দেখলে শান্তি নাই,,,,,
তিশাঃ আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এই তিথি কিছু করেছে হুম,,,
মায়রা ও অনেক ক্ষন ধরে খেয়াল করে যে তিথি নাই সে তিশা আর আরিশার কাছে এসে বলে
মায়রাঃ আচ্ছা তিথি কই???
তিশাঃ কেন কাজ ছিলো নাকি???

মায়রাঃ না আসলে দেখছি না অনেক ক্ষন ধরে,,,,,
আরিশাঃ ভাবি মেবি ভাইয়ের সাথে,, আসলে ওরা একে অপরকে ছাড়া এক মুহূর্ত ও থাকে না,,,৪ বছর ধরে যে রিলেশন করেছে,,,
মায়রাঃ মানে??(প্রচুর রেগে গিয়ে)
তিশা হা করে আছে আরিশার দিকে যে সে কি বলছে এইসব,,,,
মায়রাঃ আবির অই মেয়ের সাথে রিলেশন করছে???
আরিশাঃ হ্যাঁ শুধু তাই নয় ভাবি আর ভাই তো এক দিন ঝড়ের রাতে বিয়ে করে আসছে,,,আমি ভাবিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি যে তারা ৪ বছর রিলেশন করে বিয়ে করেছে,,,
মায়রাঃ এইটা সত্যি না,,,আবির কখনো এমন করতে পারে না,,,আর ওদের বিয়ে রিলেশন করে না,,,
আরিশাঃ বিশ্বাস না করলে তুমি দাদি বা মাম্মা কে জিজ্ঞেস করো যাকে ইচ্ছে করো সবাই তো এইটায় বলবে কারণ ভাই আর ভাবির প্রেম কাহিনী,,,
আরিশা মায়রাকে হিট লাগাই লাগাই কথা বলে,,,মায়রা জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়,,,রাগে হনহনিয়ে উপরে চলে যায়,,আবিরের রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়ায় দরজা টা খুলার চেস্টা করে কিন্তু পারছে না,,,, পারছে না মুচড়ে ভাঙ্গতে রাগে দরজা খোলার চেস্টা করে কিন্তু ব্যর্থ জানালা দিয়ে উঁকি মেরে যা দেখে তা দেখে রাগ যেন তার মাথা আরো ছিড়ে দিচ্ছে,,,,
তিথি শার্ট গায়ে দেওয়া আর আবিরের বুকে, আবির তাকে যেভাবে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে এই দেখে মায়রার মনে যে তুফান উঠে বলার বাহিরে,,,,নিজের রুমে যায় গিয়ে সব ছুড়ে মারে,,,,
মায়রাঃ তুমি আমার শুধু আবির শুধু আমার,,,আর কারো হতে পারো না তুমি,,,, তোমাকে যদি আমি না পাই তাহলে কাউকে পেতে দিবো না আবির কাউকে না,,,
এই দিকে নিচে তিশা আরিশাকে বলে
তিশাঃ তুমি মিথ্যা বললে কেন???
আরিশাঃ কিসের মিথ্যা?
তিশাঃ এই যে আবির ভাই আর তিথি প্রেম করেছে ৪ বছর
আরিশাঃ আরে তিশা এইটা তিথি ভাবি বলেছে যখন সে আমাদের বাসায় প্রথম আসে,,,
তিশাঃ মানে?
আরিশা তিশাকে সব খুলে বলে,,,তিশা হাসতে হাসতে শেষ
তিশাঃ মায়রা তো জ্বলে পুড়ে এখন শেষ হবে,,,তার যে কি হবে আল্লাহ
আরিশা আর তিশা হাসতে থাকে,,,,
অনুষ্ঠান শেষ হয় অনেক রাত করে,,সবাই যার যার রুমে রেস্ট নেয়,,,,
সকাল হয়ে আসে,,,আবিরের ঘুম আগে ভাঙে আজ বুকের মধ্যে তিথিকে দেখে মনের অজান্তেই মুখে হাসি ফুটে,,,তিথির কপালে আলতো করে চুমু একেঁ দিয়ে ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ১১ টা বাজে,,,
আবিরঃ এতো বেলা হয়ে গেলো শিট,,,
আবির তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হতে চলে যায়,,,
তিথির ঘুম ভাঙ্গার পর সে উঠে বসে মাথা প্রচুর বার হয়ে আছে তার,,,এতো টা ব্যাথা করছে যে সে কিছু দেখছে না,,,
তিথিঃ উফফফ এতো ব্যাথা কেন করছে মাথাটা,,,,
মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে,,আবির ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখে তিথি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে,,,
আবিরঃ মহারানির হুশ তাহলে আসছে,,,,
তিথিঃ মানে?
আবিরঃ কাল রাত কি কি করেছিলেন মনে আছে তো?
তিথিঃ কাল রাত কি করেছি মানে?
আবিরঃ ওমা সে কি আপনি ভুলে গেলেন মহারানি আপনি কি যে কান্ড করলেন ড্রিঙ্ক করে,,,
তিথিঃ নাউজুবিল্লাহ আমি এইসবে জীবনে হাত দেই না ওকে,,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা হাত দেন না তাই গটগট করে ৫-৬ গ্লাস এক সাথে খেয়েছেন,,,
আবিরের এমন কথা শুনে তিথি পুরো শকড উঠে দাঁড়িয়ে আবিরের সামনে গিয়ে অসহায় ভাব নিয়ে বলে
তিথিঃ আমি কি করেছি?সত্যি বলবেন কিন্তু (মাথায় হাত দিয়ে)
আবিরঃ কি করো নাই তাই বলো,,,,
তিথিঃ প্লিজ বলেন কি করছি আমি,,,,,
আবির সব খুলে বলে তারপর বলে
আবিরঃ আমার ইজ্জত এর উপর তুমি যে হামলা করলে আল্লাহ আমি তো পুলিশ কেস করবো আজকেই,৷
তিথিঃ মানেএএএ
আবিরঃহ্যাঁ তুমি আমার উপর যা করলে আমি কিভাবে মুখ দেখাবো সবাই কে,,,(একটু অভিনয় করে)
আবির তিথির মুখের যে ভাব দেখে তা দেখে বুজা যায় তিথি অনেক ভয়ে আছে,,,তিথির থেকে মজা নেওয়ার জন্য বলে
আবিরঃ তুমি কাল আমাকে ছি কি ভাবে বলি আমি (অনেক টা অভিনয় করে) আমার গাল কপাল সব কামড়াই খেলে,,,
তিথিঃ হেএএএএ কি বলেন আপনি
আবিরঃ শুধু তাই নয় তুমি আমাকে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে (মুখ হাত দিয়ে)আমার ইজ্জত এর উপর হামলা করলে,,,আমি কাকে মুখ দেখাবো এখন (একটু ভাব নিয়ে)
তিথিঃ আ,,মি কিছু করি নাই আপনি মিথ্যা বলছেন হুম,,,
আবিরঃ তুমি কাল আমার সাথে যা করলে এর প্রমাণ দিবো হুম,,,

তিথিঃ ওকে দেন দেখি,,,,
আবিরঃ না পুলিশ কে দিবো,,,কেস করবো পুরুষ নিযার্তন,,,
তিথিঃ মা,,,নেএএ আমি আপনার স্ত্রী হই,,আর আপনি আমার নামে কেস করবেন,,,,
আবিরঃ বউ হও তো কি হইছে হ্যাঁ?? বউ বলে কি তুমি আমার ইজ্জত এর উপর হামলা করবা,,
তিথিঃ আমি সত্যি কিছু করি নাই(কেঁদে দেয় তিথি)
তিথি কেঁদে দেয় তিথির কান্না দেখে আবির তিথির গালে দুই হাত রেখে বলে
আবিরঃ কেস করবো না,,,,কিন্তু আমার শর্ত আছে
তিথিঃ কি শর্ত আছে বলেন,,,,
আবিরঃ যা বলবে তা করবে তো???
তিথিঃ হুম করবো,,,
আবিরঃ ওকে তাহলে,,আমি কিছু করবো না ওকে,,,
আবির তিথিকে একটু জড়িয়ে ধরে মুচকি হাসে,,তিথি আবিরের বুকে মাথা রেখে ভাবতে থাকে কাল রাতে আসলে কি হয়েছে,,,,
চলবে,,,,,