বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 34

আবিরঃ পাগলি একটা,,,আমার ঘুম শেষ করে নিজে আরামে ঘুম,,,আসলেই পাগলি বউ আমার,,,,
তিথিকে কোলে নিয়ে রুমে নিয়ে যায়,,হালকা জড়িয়ে ধরে সেও ঘুমিয়ে পড়ে,,,,
সকালে তিথির ঘুম ভাঙে আর নিজেকে আবিরের বুকে পায়,,,আবিরের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে অনেক ক্ষন ভালোই লাগছে তার আবিরের দিকে তাকিয়ে থাকতে,, দিনের পর দিন তার কেন জানি আবিরের প্রতি এক মায়া জন্ম নিচ্ছে এমন মায়া যে মায়া থেকে সে নিজে ও ছুটতে চায় না,,এই কি ভালোবাসা নাকি অন্য কিছু তা তিথির অজানা কিন্তু হ্যাঁ তার কাছে আবিরকে এখন অনেক ভালো লাগে,,,আবিরের বুকে নিজেকে সেভ ভাবে,,,, ভালোবাসায় তো সার্থ নাই তাহলে কি তিথি আবিরকে ভালোবেসে ফেলেছে তাই ভাবছে সে,,,
তিথিঃ(উনাকে কেন এতো ভালো লাগে আমার আচ্ছা আমি কি উনার মায়ায় পড়ে গেছি,,,আর উনিও এতো কিউট যে উনার দিকে তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে করে,,,)
তিথি এইসব ভাবছে আর আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,আবিরের কপালের চুল গুলো সরিয়ে দেয় মুখে হাত দিয়ে রাখে কিছু ক্ষন,,,,কারো হাতের স্পর্শ পেয়েই আবিরের ঘুম ভাঙ্গে,,,তিথি ভয়ে তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে দেয়,,
আবিরঃ উঠে গেছো?
তিথিঃ হুম,,,
আবিরঃ আচ্ছা সরো আমাকে অফিস যেতে হবে,,,
তিথিঃ এতো তাড়াতাড়ি???মাত্র তো ৯ টা বাজে,,,
আবিরঃ বলেছিলাম না যে আজ অফিসে যেতে হবে ইম্পর্টেন্ট কিছু কাজ আছে,,,
তিথিঃ হু,৷
আবিরঃ আচ্ছা শুনো
তিথিঃ কি,,,
আবিরঃ তুমি ঘুমাও,,,পরে উঠে নাস্তা করে নিও কেমন
তিথি কিছু বলে না চুপচাপ করে শুয়ে থাকে,,আবির উঠেই ফ্রেশ হয়ে নেয়,,,অফিসের জন্য রেডি হচ্ছে তিথি আবিরের দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছে,,,
আবিরঃ কিছু বলবে কি?
তিথিঃ না কিছু বলবো না,,,
আবির আর কিছু না বলে রেডি হয়েই যেতে লাগে আবির তিথির পাশে এসে বসে,,,
আবিরঃ নিজের খেয়াল রাখবে,,আর ঠিক মত খাবে ওষুধ ও আমি কল দিবো কেমন,,,
তিথিঃ আচ্ছা,,,
আবির তিথির মাথাটা ধরে নিজের দিকে টেনে আনে,, তিথির কপালে আলতো করে চুমু দেয়,,,তিথি পুরো অবাক আবিরের কান্ডতে,,,,
আবিরঃ আসি,,,,

আবির অফিসে চলে যায়,,এইদিকে দিকে আবিরের এমন কান্ডতে পুরো অবাক হয়ে যায় যে আবির তাকে চুমু দেয় কপালে তার এতো কেয়ার করছে, অজান্তেই মনের মধ্যে খুশি হচ্ছে তার,,,
প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে যায় এইভাবে,,,
এই দুই সপ্তাহে আবির তিথির প্রতি অনেক কেয়ার নিচ্ছে,,,তিথি পুরো সুস্থ হয়ে উঠে আবিরের কেয়ারে,,প্রতি দিন আবিরের বুকে ঘুমানো যেন তিথির অভ্যাস হয়ে যায়,, আর আবির ও প্রতি দিন সকালে অফিসে যাওয়ার সময় তিথির কপালে চুমু দিয়ে যায়,,,
অজান্তেই ভালোবেসে ফেলে দুইজন দুইজনকে কিন্ত কেউ তা বুজে উঠতে পারছে না আর না বলতে পারছে একে অপরকে,,,,,
এইদিকে,,,
আমান আর তিশা তাদের সম্পর্কের কথা সবাই কে বলে,,,তিশার চাচা চাচি তো অনেক খুশি যে তিশার জীবনে আমানের মত একজন ভালো ছেলে এসেছে যে তাকে অনেক ভালোবাসে তার কেয়ার করে তাকে ভালো রাখবে,,,,আমানের মা বাবা তিশার জন্য তিশার চাচা চাচির বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় তারা ও রাজি হয়ে যায় যে আমান আর তিশার খুশির জন্য,,,,দুই পরিবার এখনও সিদ্ধান্ত নেয় নাই যে কবে বিয়ে হবে,,,,
অইদিকে,,,
আরিশা নিজে নিজে অনেক কষ্ট পাচ্ছে ছোট থেকে যাকে ভালোবেসে এসেছে সে এখন অন্য কারো,,কখনো ভাবে নাই তার মনটা এইভাবে ভেঙ্গে যাবে,,,কিন্তু আহাদের সাথে যখনই থাকে তখনই তার মনে হয় কিছু হয় নাই তার সাথে সে হেপ্পি তার লাইফে অনেক,,,আহাদ তাকে এতো ভালোবাসে যে কখনো জোর করে বলে নাই যে তাকেই বাসতে হবে বলে এসেছে সময় নাও যত লাগে,,,আহাদ আর আরিশা একটা লেকের পাড়ে বসে আছে
আহাদঃ আরু শুন,,,
আরিশাঃ হুম,,
আহাদঃ এইভাবে আর কত দিন?
আরিশাঃ কিভাবে আর কত দিন?
আহাদঃ দেখ আমি জানি তুই আমার জন্য কিছু ফিল করিস না আমি চাই না জোর করে কর,,,
আরিশাঃ তো কি করতে চাস,,,
আহাদঃ কিছু না,,,তুই যেভাবে হেপ্পি থাকবি সেভাবে হবে,,,আমি হয়তো আর ২ দিন পর আমেরিকা চলে যাবো একবারে
আরিশা অবাক হয়ে যায় আহাদের কথা শুনে,,,
আরিশাঃ মানে কি আহাদ?
আহাদঃ দেখ আমি পারছি না,,সত্যি অনেক ভালোবাসি তোকে তুই কখনো আমাকে চাস না,,আর আমি এইভাবে পারছি না আর,,আমি সব কিছু ঠিক করে ফেলছি ২ দিন পর আমার ফ্লাইট হয়তো আজ আমাদের শেষ দেখা কারণ কাল কিছু পেপার নিয়ে কাজ আছে,,,
আরিশাঃ তুই সবাই কে ছেড়ে ভালো থাকবি?
আহাদঃ কত ভালো থাকবো জানি না,,কিন্তু তুই ভালো থাকবি যদি আমি তোর সামনে না থাকি,,,তুই তোর নতুন জীবন শুরু করিস দোয়া করি,,,
আরিশাঃ আর তুই?
আহাদঃ আমার জীবনে সব সময় তুই ছিলি তুই আছিস আর তুই এই থাকবি, কেউ আর আমার এই মনে কখনো জায়গা নিতে পারবে না,,,ভালো তোকেই বেসেছি আর কাউকে পারবো না এই মন দিতে,,,
আরিশা চুপ করে আছে,,,আহাদ আরিশার দিকে তাকিয়ে দেখে আরিশা চুপ,,,
আহাদঃ যদি মিস করিস কখনো তাহলে কল দিস,,ভালো থাকিস আরু সত্যি অনেক ভালোবাসি কিন্তু আফসোস আমার ভালোবাসা বুজলি না,,,
আহাদ অইখান থেকে উঠে চলে যায় সে যে আর পারছে না চোখের পানি ধরে রাখতে,,,প্রথম দিন থেকে সে আরিশাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে মুখ ফুটে বলার পর যখন আরিশা মানা করেছে তবুও সে ভালোবেসে এসেছে,,,
আহাদ চলে যায় আরিশার চোখে আজ পানি,,,একটা আলাদা কষ্ট হচ্ছে কেন তা সে জানে না,,,বাড়ি ফিরে গিয়েই রুমের মধ্যে চুপ করে বসে আছে বারান্দায় বসে বসে ভাবছে আহাদের সাথে কাটানো সব মুহূর্ত,,,
তিথি আরিশার রুমে আসে এসে দেখে আরিশা বারান্দায় বসে আছে চোখের পানি মুছছে আর অন্য দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
তিথিঃ আরু
আরিশা তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে মুচকি হেসে দেয়৷
আরিশাঃ ওহ ভাবি তুমি?? আসো,,,
তিথিঃ কি ব্যাপার মন খারাপ কি?
আরিশাঃ কই না তো??
তিথিঃ অহ মনে তো তাই হচ্ছে,,,
আরিশাঃ না এমন কিছু না,,তো বলো তোমার কি অবস্থা??
তিথিঃ আমার কি আর,,,আরু একটা কথা বলি,
আরিশাঃ হুম,,
তিথিঃ আহাদ অনেক ভালো ছেলে,,সত্যিকারের ভালোবাসা পেয়ে হারিও না,,
আরিশাঃ হারিয়ে ফেলেছি ভাবি,,,
তিথিঃ মানে?
আরিশাঃ আহাদ চলে যাচ্ছে আমেরিকা এক বারে পরশু দিন,,,
তিথিঃ আর তুমি থাকে আটকাবে না??
আরিশাঃ কোন অধিকারে আটকাবো আমি??
তিথিঃ তুমি যে তাকে ভালোবাসো সে অধিকারে,,,
আরিশাঃ আমি তো আমানকে,,,,,
তিথিঃ না আরু,,তুমি আমানকে কখনো ভালোবাসো নাই সে ছিলো শুধু আবেগ তোমার এই বেশি কিছু না,,,আর আহাদ যাকে তুমি অনেক টা ভালোবাসো কিন্তু বুজে উঠতে পারছো না,,,আরু সময় থাকতে আটকাও যদি আবার না হারিয়ে ফেলো,,,
আরিশাঃ কিন্তু আমি কিভাবে আটকাবো??
তিথিঃ একবার বলে দেখো,,,
তিথি আরিশার ফোন টা নিয়ে কল দেয় আহাদকে,,আরিশাকে দিয়ে বলে
তিথিঃ কথা বলে নাও,,বলো সব তাকে,,
আহাদঃ হ্যালো হ্যাঁ বল কিছু কি বলবি?
আরিশাঃ,,,,,,,,,
আহাদঃ চুপ করে না থেকে বল কি হইছে??
আরিশাঃ আমাকে ছেড়ে যাইস না আহাদ,,,আমি পারবো না থাকতে তোকে ছাড়া,,,প্লিজ আহাদ
আরিশা কেঁদে দেয়,,আহাদের যে কি খুশি লাগতেছে এই মুহূর্তে,,,অজান্তেই বলে উঠে
আহাদঃ ভালোবাসি তোকে অনেক,,,
আরিশাঃ চুপ করে আছে,,,
তিথি আরিশার ফোন টা কেড়ে নিয়ে বলে
তিথিঃ প্রেম করলে চলবে না কালকেই ফ্যামিলি নিয়ে আসো বাসায় না হলে বিয়ে দিয়ে দিবো অন্য জায়গায়,,,
আহাদঃ তোমার কথা মত তো করলাম এখন আবার বিয়ে দিবে অন্য জায়গায়?? যা বলেছিলে তা হলো
তিথিঃ হুম বুজছি,,,আচ্ছা কথা বলো আমি আসি,,
তিথি আরিশাকে ফোন দিয়েই চলে যায়,,,
তিথি মুচকি হাসতে থাকে সে প্লেন করেছে এইসব,,আহাদকে দিয়ে এইসব বলিয়েছে আবার আরিশাকে এসে এইসব বলেছে যাতে আরিশা বুজে যে সে আহাদকে ভালোবাসে আমানকে নয়,,,
এইদিকে আবির অফিস থেকে আসছে এসেই দেখে তিথি রুমে নাই,,,,ফ্রেশ হয়ে বসে আছে সে কখন থেকে তিথির জন্য কিন্তু তিথি কই যে গেলো কে জানে,,
আবিরঃ এই এলিয়েন আবার কই গেলো???
তিথি মনের আনন্দে গান গাছে আর রুমে ডুকছে,,,তিথির গান শুনে আজ আবির অবাক,,,
তিথিঃ 🎼🎵তোমার ভালো লাগায় আমি অপ্রিয়,,তোমায় ভালোবাসি আমি তবুও🎵🎼
আবির পুরো শকড যে তিথি এতো সুন্দর করে ও গান গাইতে পারে,,,তিথির বয়েস টা ও দারুন ছিলো আজ,,,মিষ্টি সে সুর যেন আজ আবির তিথির গানে মুগ্ধ,,,
হুট করে আবিরকে দেখে চুপ হয়ে যায়,,,
তিথিঃ ওহ আপনি কখন এসেছেন??
আবিরঃ তুমি সুন্দর করে গান ও গাইতে পারো???
তিথিঃ আমি???
আবিরঃ হ্যাঁ,,,এখন তো গাইলে এতো সুন্দর করে
তিথিঃ কই না তো আপনার কান বেজেছে,,,
আবিরঃ মিথ্যা কেন বলছো তুমি তো দারুন গাও,,,
তিথিঃ হু অই আর একটু আকটু গাওয়া হয়,,,
আবিরঃ তাহলে অই কাক এর গান টা,,,আর এতো বাজে ভাবে গান গুলো???
তিথিঃ অই গুলো তো এমনি,,বাট সাদা কাক গান টা আমার প্রিয়, ,
আবিরঃ হুম বুজেছি,,,এখন থেকে সুন্দর করে গান গাইবে বুজলে,৷
তিথিঃওকে কিন্তু আপনাকে আমার কিছু বলার আছে,,,
আবিরঃ হুম বলো,,,
তিথিঃ আরিশা আর আহাদ কে নিয়ে,
আবিরঃ আহাদ?তিশার কাজিন?
তিথিঃ হ্যাঁ আরিশার ফ্রেন্ড ও,,,
আবিরঃ হ্যাঁ বলো,,,
তিথিঃ আরিশা আর আহাদ একে অপরকে ভালোবাসে,,ওদের যদি বিয়ে হয় ওরা হেপ্পি থাকবে আর আমান আর তিশা ও,,,
আবিরঃ আরুকে জিজ্ঞেস না করে ওর লাইফ এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না তিথি,,,
তিথিঃ আরু আহাদকে পছন্দ করে,,,ওদের বিয়ে হলে সত্যি ওরা হেপ্পি থাকবে,,,
আবিরঃ ওকে আমি কাল আহাদের ফ্যামিলি কে ডাকাবো,,,
তিথি খুশি হয়ে যায়,,,
পরের দিন সকালে,,,

আজ আবির বাসায় আমান ও এসেছে সাথে তার ফ্যামিলি,,,তিশা আহাদ আর তাদের ফ্যামিলি ও,,,সবাই এক সাথে বসে বিয়ের কথা হচ্ছে আহাদ আরিশার আমান তিশার,,,,
আবিরের বাবাঃ আরিশা যদি রাজি থাকে আর আপনাদের আপত্তি না থাকলে তাহলে বিয়ে আগামী সপ্তাহ হবে,
আহাদের বাবাঃ দেখুন তিশা আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে,,আগে ওর বিয়েটা হোক তারপর না হয় আহাদের,,আসলে তিশার প্রতি আমাদের ও কিছু দায়িত্ব আছে,,,
তিথিঃ আমি কিছু বলতে চাই বাবা বলবো কি?
আবিরঃ তিথি সবাই কথা বলছে পরে বলিও,,,
আবিরের বাবাঃ হ্যাঁ তিথি বলো,,আবির ওকে বলতে দে,,,
তিথিঃ আমি বলছি কি আমান তিশা,,,আহাদ আরিশা ওদের চার জনের বিয়ে এক সাথে এই বাড়িতে হলে কেমন হবে?সময় ও বেঁচে যাবে আর মজা ও হবে সব কিছু এক সাথে আনন্দ টা দিগুণ কি বলো বাবা?
আবিরের বাবাঃ হ্যাঁ আইডিয়া খারাপ না৷
আমানের বাবাঃ হ্যাঁ ঠিক বলেছে আবিরের বউ,,,
আবিরের মাঃ আমার মেয়ে সব সময় ভালো আইডিয়া দেয়,,,
আবিরঃ হ্যাঁ আরো মাথায় তুলে নাও ওকে,,,
তিথিঃ কিছু বলেছেন কি?
আবিরঃ না আমি কেন কিছু বলবো,,,

সবাই রাজি হয়ে যায় আমান তিশার আহাদ আরিশার বিয়ে এক সাথে এর জন্য,,,,
আবিরের বাবাঃ বিয়ে আমাদের বড় বাড়িতে হবে,,,কারন ২ টা বিয়ে এক সাথে এখানে সম্ভব না,৷ সব কিছু আয়োজন হলুদ মেহদী সব অনুষ্ঠান হবে বড় বাড়িতে,,,আর হ্যাঁ মেহমান দুইদিনের ভিতরে দাওয়াত দেওয়া হবে যাতে সমস্যা না হয়,,,
তিথিঃ আমাকে শপিং করতে হবে,,আমার মেকাপ ও শেষ ইসসস নতুন জুতা টা পড়া উচিত হয় নাই এখন আমি কি পড়বো বিয়েতে,,উফফা
তিথি নিজের শপিং নিয়ে ভাবতে থাকে,,আর বাড়ির সবাই বিয়ের আয়োজন নিয়ে,,এক সাথে যে এখন দুইটা বিয়ে পড়েছে তাদের বাড়িতে,,,
চলবে,,,,,,,,,

Comments