বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 28

একটা শো রুমের পাশেই তিথি কিনা পুতুল পড়ে আছে এই দেখেই আবিরের মনে কেন জানি ভয় ডুকে যায়,,,চারপাশে তাকিয়ে দেখে মানুষ নিজেদের মত আছে কিন্তু তিথি নাই,,,,তিথি কোথায় যেতে পারে আবির ভাবতে থাকে,,,,
আরিশা আর আবির অনেক খুঁজে কোথাও তিথিকে পায় না,,,আবির পাশে থাকা মানুষদের জিজ্ঞেস করে তিথির ছবি দেখিয়ে যে তাকে দেখেছে কি না কিন্তু কেউ বলতে পারে না,,,
আরিশা ও অনেক জন কে জিজ্ঞেস করে কিন্তু কেউ কিছু বলতে পাদে না,,,,তখন এক বুড়ি মহিলাকে দেখে আরিশা দৌড়ে যায়,,,, তিথির ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে
আরিশাঃ আন্টি এই মেয়েকে দেখেছেন???
মহিলাটি দেখেই বলে দেয়
মহিলাটিঃ হ্যাঁ দেখেছিলাম অনেক আগে,,,,
আরিশাঃ কোথাও আন্টি?
মহিলাটিঃ একটা ছেলের সাথে ছিলো মনে হচ্ছে তার স্বামী,,,,
আরিশাঃ আন্টি সে আমার ভাইয়া,,কিন্তু এখন আমার ভাবিকে পাওয়া যাচ্ছে না,,অনেক খুজেছি আমরা প্লিজ যদি একটু কনে করে বলেন যে আসলে কই দেখেছেন উনাকে,,,

মহিলাটিঃ হ্যাঁ মনে পড়েছে,,,
আরিশাঃ কি আনফি বলুন,,,
মহিলায়াটিঃ কিছু লোক এই মেয়েরে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে,,আমি তো ওই মেয়ে আর সাথে থাকা ছেলেটিকে ও বলতে চেয়েছি ব্যাপার টা কিন্তু তারা কই যেন চলে গেলো,,,,আমি খুজেছি তারপর আর পাই নাই তাদের হয়তো অই বদমাশ ছেলে গুলো নিয়ে যায়,,,
আরিশা তাড়াতাড়ি আবিরকে ডাকে,,
আবিরঃ খুজ পেয়েছিস???
আরিশাঃ ভাই আন্টিটা কিছু জানে ভাবির ব্যাপারে উনার কাছে জিজ্ঞেস করো,,,
আবিরঃ আন্টি বলতে পারবেন এই মেয়েটি কোথায়? ও আমার স্ত্রী তিথিফ,,,,অনেক খুজতেছি পাচ্ছি না,,,
মহিলাঃ তা তো আমি জানি না কিন্তু হ্যাঁ অই লোক গুলো কি মেয়ে পাচার এর কথা বলছে,,,তারা অনেক জন ছিলো,,আর তো কিছু শুনি নাই,,
কথাটা শুনেই আবিরের বুকে ভয় ডুকে যায়,,আরিশার ও,,,
আবিরঃ ধন্যবাদ আন্টি,,,আরু চল তাড়াতাড়ি
আবির তাড়াতাড়ি সিকিউরিটি রুমে যায় অইখানে গিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরাতে খুঁজতে থাকে,,,,কয়েকটায় দেখতে পারে না,,,
আবিরঃ এক ঘন্টা আগের টা দেখান তো তাড়াতাড়ি
সিকিরিউটিরা তেমন করছে যেমন আবির বলছে,,মার্কেট এর মেনেজার কে কল দিয়েই ডাকা হয়,,সবাই এক হয়েছে সবাই দেখতেছে,,,
সিসিটিভি ক্যামেরাতে দেখা যায়
কিছু লোক তিথির পিছনে পিছনে অনেক ঘুরছে,,মার্কেটে আসার পর থেকেই, ,তিথি শপিং প্যাকেট টা নিয়ে আসছে অই সময় একজন তাকে ডেকে নিয়ে যায় পাশের দিকে কিন্তু কি কথা হচ্ছে কিছু শুনতে পারছে না,,,তারপর কয়েকজন আসে একজন পিছন থেকে রুমাল দিয়ে তিথির মুখ চেপে ধরে তারপর বেহুঁশ করে ফেলে,,,একটা বোরকা কোনো মতো পড়িয়ে বের করে নেয় মার্কেট থেকে,,,,
রাগে গজগজ করছে আবির এইসব দেখেই,,,,
আবিরঃ বাহিরের গুলো দেখান,,
মার্কেট এর বাহিরে পার্কিং এর দিকে দেখে আবির ও অইখানে দাঁড়িয়ে আছে তার পাশ দিয়েই তিথিকে নিয়ে যাওয়া হয়,,,একটা সাদা বড় গাড়ি করে,,,
নিজের উপর তখন প্রচুর জিদ উঠে পাশের গ্লাসে ঘুষি দিয়ে বলে
আবিরঃ শিট,,,,

আরিশাঃ ভাই এখন কি হবে?ওরা ভাবিকে কিডন্যাপ করেছে???
আবিরের খুব রাগ লাগছে নিজের উপর এই জন্য যে তিথিকে কেন একা সে যেতে দিয়েছে,,,,আর তিথি এতো ক্ষন আসে নাই কেন সে চেক দেই নাই,,,
আরিশাঃ ভাইয়া বাসায় কি বলবো আমরা ?ওরা ভাবিকে কই নিয়ে গেছে কে জানে,,,সত্যি সত্যি যদি ওরা ভানিকে পাচার করে দেয় তখন কি হবে ভাই,,
আবিরঃ কিছু হবে না তিথির বুজলি,,,ওকে আই ঠিক নিয়ে আসবো,,,, তিথির কিছু হবে না কখনো যত ক্ষন আমি আছি,,
আবির ফোন বের করে পুলিশ কে কল দেয়,,,আমানকে ও কল দেয় সব জায়গায় এই টা ছড়িয়ে গেছে যে তিথি কিডন্যাপ হয়েছে,,,,
ঘন্টা খানিক পরে,,,
তিথির হুঁশ ফিরে চারপাশে তাকিয়ে দেখে অন্ধকার একটা রুম কিন্তু কেউ নাই,,,ভাবে সে কই আসছে,,,মাথা টা একটু ঘুরাচ্ছে তার ভাবতে থাকে কিভাবে এখানে এসেছে,,,,
তিথিঃ আমি তো শপিং করতেছিলাম এখানে কোন হারামির বাচ্চা আনছে৷
তিথি উঠে দরজার কাছে যায় দরজায় টুকা দিয়ে বলে
তিথিঃ অই অমানুষ এর বাচ্চা হারামির বাচ্চা মানুষ হলে বুকের সাহস থাকলে আমার সামনে আয়,,,,,দেখি কার কত বুকে সাহস একবার আয় আমার সামনে তোদের চাঁদ মুখ খানি আমিও একটু দেখি,,,,
তিথি তো প্রচুর গালি দিতে থাকে,,দরজায় লাথি দিয়ে পা ধরে বসে পড়ে আর কান্নার সুর করে বলে
তিথিঃ যারা আমাকে ধরে এনেছিস তাদের আমি কিমা কিমা বানাই আমার লাল কাককে খাওয়াবো,,,,,
এই দিকে,,,,
আবির প্রচুর রেগে আছে যে এখনও তিথির খবর পর্যন্ত পায় নাই,,,,পুলিশ রা চেস্টা করছে সবাই কে লাগায় খুজতে,,,,
বাড়ির সবাই চিন্তায় পড়ে যায় তিথি কেমন আছে,,,,তিথির বাবা মা তারা ও এসে যায়,,,আবিরের মা কান্না সুরে বলে
আবিরের মাঃ আল্লাহ জানে মেয়েটা কি অবস্থায় আছে??
খালাম্মাঃমেয়েটার কোনো ক্ষতি হয় নাই তো,,,আপ্পা পুলিশ গুলো করছে কি এখনও পর্যন্ত কিছু কেন করতে পারছে না,,,,
তিথির মাঃ আমার মনে চিন্তা তো হচ্ছে অই লোক গুলোর জন্য যারা ওকে নিয়ে গেছে,,,,
দাদিমাঃ মানে?? তোমার মেয়ে কে কেউ কিডন্যাপ করেছে আর তুমি তাদের চিন্তা করছো যারা তিথিকে নিয়ে গেছে,,,
সবাই তাকিয়ে আছে তিথির মায়ের দিকে,,আবির ফোনে কথা বলছিলো অই সময় ফোন টা রেখেই তিথির মায়ের দিকে তাকায়,,,
তিথির মাঃ আমার যে মাইয়া ওকে আমি জানি,,,,ওর সাথে আজ পর্যন্ত কেউ ঝগড়াতে পারে নাই,, আর ছেলেরা তো ওকে ভয়ে কাঁপতে থাকতো এমন মেয়ে আমার,,,,ওর বাবাকে জিজ্ঞেস করেন আপনারা যে কত বিচার আসতো এই মেয়ের জন্য,,,,প্রতি দিন আসতো স্কুল কলেজ সব জায়গায় ছেলেদের পিঠাতো,,,পাড়ার ছেলেদের পর্যন্ত
সবাই কথা গুলো শুনে পুরো অবাক,,,কিন্তু আবির মোটে ও অবাক নয়,,কারণ সে জানে তিথি আসলেই গুন্ডি রেস্টুরেন্টে যে ভাবে ছেলেটাকে পিঠাইছে অইটার পর তো সে তাকে ঝগড়াটি গুন্ডি ও ডাকা শুরু করেছিলো,,,,,
আমানঃ তা যাই হোক আন্টি,,,ওইখানে এক জন দুইজন গুন্ডা না অনেক জন,,,,ওরা যে মারাত্মক তা বুজতে পারছেন এইভাবে তুলে নেওয়াতে,,,,
আরিশা চুপচাপ বসে বসে কি যেন ভাবছে,,হুট করে উঠে বলে
আরিশাঃ ভাই কেন জানি আমার সন্দেহ হচ্ছে যে তিশা যাকে পাওয়া যাচ্ছে না আজ অনেক দিন,,,আর ভাবিকে ও তুলে নেওয়া হয়েছে অই বুড়া মহিলা পর্যন্ত বলছে যে নারী পাচার এর কথা,,,সব কিছু এক নয় তো আই মিন ভাবি আর তিশাকে সেম গুন্ডারা তুলে নেয় নাই তো,,,,
আমানের মাথায় এখন ডুকে এই কথা,,,আসলেই তো তিশাকে তো কেউ তুলে ও নিয়ে যেতে পারে,,,
আমানঃ তাহলে কি তিশা আর তিথিকে সেম গুন্ডারা নিয়ে গেছে???
আবিরঃ হয়তো কারণ দেখ তিশা গেছে অনেক দিন,,, না কেউ কল দিয়ে টাকা চেয়েছে আর না তিশার সামান্য খবর,,,
আমানঃ আবির যদি এমন হয় তাহলে অনেক বড় প্রবলেমে আছে তারা,,কারণ নারী পাচার মানে বুজিস??ওরা অনেক বড় বিপদে আছে আমাদের যে ভাবে হোক ওদের কে বের করতেই হবে,,
আবির আর আমান অনেক জায়গায় কল দিতে থাকে,,তারা তাদের চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে,,,,
এই দিকে,,,,
তিথির খুব রাগ লাগছে আর ক্ষিধা ও,,ক্ষিধায় সে পেটে হাত দিয়ে বসে আছে,,,,কয়েকটা ছেলে আসে এসে দরজা খুলে দেখে তিথি কাঁদছে,,,
হাশেম গুন্ডাঃ অই মাইয়া কি হইছে কাঁদিস কা,,,
তিথি তাকিয়ে দেখে তিনজন লোক দেখে বুজাই যাচ্ছে গুন্ডা,,,তিথি উঠে বলে
তিথিঃ আমার ক্ষিধা পেয়েছে,,,
হাশেম গুন্ডাঃ চান্দু তাড়াতাড়ি গিয়ে একটা রুটি আর এক পেয়াজ নিয়ে এনে দে,,,,
তিথিঃ ওই দাঁড়া কি পেয়াজ আর একটা রুটি???এই গুলো আমি খাবো মনে হয় তোদের???
চান্দু গন্ডাঃ ওহ তাহলে ফাইভ স্টার রেস্টুরেন্ট থেকে বুজি খাবার এনে দিবো???
তিথিঃ এইটা খারাপ না,,,ওকে যান নিয়ে আসেন আমি একটু অপেক্ষা করছি,,,,
হাশেম গুন্ডাঃ চড় মেরে সব দাঁত ফেলে দিবো যে এই সব খাবার এর নাম ও ভুলে যাবি,,,,,
তিথি রেগে যায় এইবার,,,,আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কিছু নাই,,,মুচকি হেসে বলে
তিথিঃ এই দিকে আসবেন চান্দু মিয়া,,,
চান্দু একটু তিথির কাছে যায়,,,তিথি কলার ধরেই দেয় থাপ্পড় লাথি,,,,এমন ভাবে মাইর শুরু করে যে বাকি দুইজন হা করে তাকিয়ে আছে,,,,
চান্দু গুন্ডাঃ ভাই বাঁচান আমাকে এই মাইয়া থেকে,,,,
তিথিঃ ভালোর ভালো আমার জন্য ভালো ভালো খাবার নিয়ে আয়,,,আর শুন আমি পালাবো না ওকে,,,আমাকে মজার মজার খাবার দিবি আমি চুপচাপ থাকবো বুজলি,,,,,

হাশেম গুন্ডাঃ কাশেম যা এই মাইয়া যা যা খাবে তা তা নিয়ে আয়,,,
হাশেম আর কাশেম দুইজন ভয় পেয়ে যায় চান্দুর ধোলায় দেখে,,,,
কাশেম দৌড়ে যায় খাবার আনতে রেস্টুরেন্ট এর ভালো ভালো সব খাবার নিয়ে আসে কিছু ক্ষন এর মধ্যে,,,,,
একটা টেবিলে সব খাবার রাখা হয়,,,
,তিথি চেয়ারে বসে পুরো রুমে শুধু এই টেবিল চেয়ার আছে আর কিছু নাই,,,,,তিথির একটু ও ভয় লাগছে না উল্টো সে অনেক মজা নিয়ে খেতে বসছে,,,
তিথিঃ এতো কম খাবার??? আচ্ছা ম্যানেজ করে নিবো এই বার,,,পরের বার বেশি করে নিয়ে আসবেন ওকে গুন্ডা ভাইয়ারা,,,
চান্দু গুন্ডাঃ হেএএ এতো খাবার তবুও কম..??
কাশেম গুন্ডাঃ এই মাইয়া এতো খাইতে পারবে না বড় ভাই,,,দেখবেন অল্প খেয়ে বসে যাবে তারপর রাতে আবার এইসব তারে আবার দিমু,,,,,
চান্দু গুন্ডাঃ এই মাইয়ার কি শক্তি রে বাবারে,,হাত নাকি অন্য কিছু,,,,
তারা নিজেদের সাথে কথা বলতে থাকে এই দিকে তিথি গবগব করে খেতেই লাগে,,,,অল্প সময়ে সব খাবার শেষ,,,,হাশেম কাশেম চান্দু ওরা খাবার এর টেবিল পুরো ফাঁকা সবাই দেখে তো পুরো হা করে যায়,,,,
কাশেম গুন্ডাঃ এইটা কি মাইয়া নাকি রাক্ষস ভাই??
চান্দু গুন্ডাঃ আমার তো রাক্ষস এই মনে হয় এই মাইয়ারে,,,,
তিথি আঙ্গুল চেটে চেটে বলে
তিথিঃ আমার তো পেটের এক কোনা ও ভরে নাই,,,আচ্ছা নেক্সট টাইম একটু বেশি করে নিয়ে আসবে কেমন,,, আর হ্যাঁ বিরানি আনবে গরুর ভুনা টা তেমন ভালো হয় নাই ভালো রেস্টুরেন্ট থেকে আনবে কেমন,,,,,
বেচারা গুন্ডা গুলো গুলো তাড়াতাড়ি অই রুম থেকে পালিয়ে যায়,,,
তিথি চারপাশে তাকাতে থাকে ভাবে সে কোথায় আছে,,,,জানালা একটা আছে যেটা দিয়ে দেখা যাচ্ছে গাছ আর গাছ বুজা যাচ্ছে এইটা জঙ্গল এর ভিতর,,,,
তিথিঃ আমাকে তুলে এনেছিস আর আমি এতো চুপচাপ ভাবে থাকবো নো নেভার,,তোদের ১৪ টা বাজিয়ে তারপর যাবো যাতে তোরা নেক্সট টাইম আমার নাম শুনে ও কাঁদিস হাহা,,,আচ্ছা কি করবো এখন???
দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে দরজা না লাগিয়ে তারা চলে যায়,,তিথি ও বাহিরে যায় পিছনে হাত দিয়ে বাড়িটা ঘুরছে,,,,
এইদিকে,,,
হাশেম তার বস কে কল দেয়,,,
হাশেমঃ বস যে মেয়েকে আজ তুলে এনেছি মারাত্মক বেয়াদব আর ডেঞ্জারাস???
বসঃ কেন??কি করেছে অই মেয়ে?
হাশেমঃ চান্দুকে যা ধোলাই দিচ্ছে অই মেয়ে একা,,আর তো এতো এতো খাবার এনেছে যে যা সব একাই গিলেছে,,,,,
বসঃ যে মেয়ের ছবি দিয়েছিস অইটা???
হাশেমঃ হ্যাঁ বস অই মেয়ে,,,,
বসঃ সমস্যা নাই যত খেতে ইচ্ছে খাক অই মেয়ে,,,অই মেয়ে দেখতে বেশ সুন্দর তার দাম টা ভালোই পাবো,,,,কাল সব গুলো মেয়ে পাচার করে দিবো যা আছে সব,,,,
হাশেমঃ কিন্তু আপনি তো কইছেন আরো ৪-৫ জন?..
বসঃ লাগবে না,,যে মেয়ে আজ তুলে এনেছিস অই মেয়ে একাই ৪-৫ জন এর মত,,,আমি কাল সকালে আসতেছি সব গুলো রে রেডি রাখবি কালকেই সব গুলো রে পাচার করে দিবো,,,,আর হ্যাঁ খেয়াল রাখিস মেয়ে গুলোর মুখে যেন একটা দাগ না লাগে,,যদি লাগে তোদের মুখ আমি পুড়ে দিবো বুজলি???
হাশেমঃ জ্বি বস,,,,
হাশেম কল টা কেটে দেয়,,
এই দিকে তিথি কয়েকটা রুম দেখে ফাঁকা,,একটা রুম থেকে কেমন যেন কান্নার আওয়াজ পাচ্ছে তিথি বুজতে পারে হয়তো আর কেউ কে তুলে এনেছে,,রুমের দরজায় তালা দেওয়া,,,
তিথিঃ ধ্যাত তালা দেওয়া কিন্তু ভিতর থেকে তো কান্নার আওয়াজ আসছে,,,হুম বুজেছি এখানে আরো কেউ আছে যাদের তালা দিয়ে রাখছে,,,,কিন্তু খুলবো কিভাবে???
তিথি ভাবতে থাকে কি করবে,,,মাথায় বুদ্ধি আসে
তিথিঃ আচ্ছা টিভিতে যে দেখি ক্লিফ দিয়ে তালা খুলতে তা কি ট্রাই করে দেখতে পারি,,
তিথি চুলের ক্লিফ দিয়ে তালা খুলার চেস্টা করে কিন্তু পারছে না,,উল্টো ক্লিফ বাঁকা হয়ে যায়,,বিরক্তি ভাব নিয়ে দরজায় লাথি মারে,,
রুমের মধ্যে কয়েকটা মেয়ে আর তিশা রয়েছে,,তারা দরজার কাছে আসে ভয়ে ভয়ে,,,
তিথিঃ ভিতরে কি কেউ আছেন???(দরজার কাছে গিয়ে বলে)
হঠাৎ একটা মেয়ের আওয়াজ পেয়ে তিশা তাড়াতাড়ি বলে উঠে
তিশাঃ আমরা অনেক জন আছি প্লিজ আমাদের বাঁচান,,,আমাদের এখানে তুলে আনা হয়েছে প্লিজ আমাদের বাঁচান,,,
তিথিঃ দেখুন ভয় পাওয়ার কিছু নাই,,আমি দেখতেছি কি করা যায়,আচ্ছা চাবি কার কাছে বলতে পারেন কি???
আসমাঃ আপ্পা মনে হয় অই কালা করে যে খাটো লোকটা আছে না অইটার কাছে,,,
তিথিঃ ওকে আমি দেখতেছি,,,
তিথি এমন ভাব নিয়ে হাঁটছে যে মনে হচ্ছে সে সুপার ওমেন সে সবাই কে একা বাঁচাতে পারবে,,
হাশেম কাশেম আর চান্দু মিলে কেরাম খেলে তিথি গিয়ে পাশে দাঁড়ায়,,,চান্দুর পিঠে জোরে থাপ্পড় দিয়ে বলে
তিথিঃ আরে দূর রানীকে মার,,,রানীকে মারলে এই সাদাটা একদম ইজি ভাবে পকেটে ডুকাতে পারবি আবাল মার্কা কালু,,,,
তিথিকে দেখে সব গুলো দাঁড়িয়ে যায়,,,অইখানে আরো অনেক গুলো গুন্ডা আছে,,,,,তিথি কাউকে কেয়ার না করে চান্দুর পিঠে আবার চড় দিয়ে বলে
তিথিঃ খেলতে পারিস না আবার খেলিস কেন???.
কাশেমঃ অই তুই এখানে কি ভাবে??তোরে না রুমে আটকাই আইছি,,,,
তিথিঃ আরে দূর দরজা খুলা রেখেই এসে গেছিস তোরা,,,যাই হোক আমি ও খেলবো তোদের সাথে
হাশেমঃ মাইয়া মানুষ আর কেরাম খেলবে হাহা পারবি না,,অই চান্দু এই মাইয়ারে রুমে আইটকাই আয়,,,
তিথিঃ ভয় পাচ্ছিস যে একটা মেয়ের কাছে হেরে যাবি ছি ছি,,,
কাশেমঃ আমাদের ডরাস না তুই.? আমরা গুন্ডা আমরা মানুষ ও খুন করি,,আর তুই আমাদের সাথে খেলবি?..
তিথিঃ জানি ভয় পাচ্ছিস তাই আর কি বলবি,,যা হোক তোদের মত ভীতু জীবনে দেখি নাই,,,
হাশেমঃ অই কাশেম খেলতে দেয়,,,যদি হারিস না মাইয়া তখন দেখবি,,,,
তিথিঃ আর যদি জিতি তাহলে তোরা তা করবি যা আমি বলবো রাজি,,,
চান্দুঃ আমাদের হাশেম ভাই এই খেলায় চ্যাম্পিয়ন,,,,উল্টো হারবি হাহা
তিথিঃ দেখা যাক,,,
তিথি আর হাশেম খেলা শুরু করে,,,তিথি মারতে যাবে এর আগে বলে
তিথিঃ আরে পিছনে অইটা কি রে?.
সবাই তাকায় আর এই সুযোগে তিথি সাদা দুইটা গুটি পকেটে ডুকায় দেয় হাত দিয়ে,,,,
তিথিঃ ইয়াহুউউউ দুইটা এক সাথে
সবাই বোর্ডের দিকে তাকিয়ে হা করে যায়,,,,
চান্দুঃ কখন মারলো???
তিথি উঠে আবার কষে চড় দেয় আর বলে
তিথিঃ যখন দুইজন জ্ঞানী মানুষ এক সাথে থাকবে অইখানে তোর মত কালা ছোলা কথা না বলা বেটার বুজলি,,,কি বলেন হাশেম ভাইইই
হাশেমঃ অই চান্দু কথা কইবি না,,অই মাইয়া খেল,,,
তিথিঃঅই আমার নাম মাইয়া না ওকে,,,,আমার নাম ইসরাত জাহান তিথি,,,আমাকে তিথি বলে ডাকবেন ওকে,,,আর হ্যাঁ সম্মান দিয়ে কথা বলুন আমি অনেক ভদ্র মানুষ ওকে,,

চান্দু গালে হাত দিয়ে চলচল চোখে তাকিয়ে বলে
চান্দুঃ (এই মাইয়া আস্তা শয়তান যখন তখন শুশুধু আমাকে চড় মারে,,,বেয়াদব মাইয়ার আশেপাশে ও থাকবো না পরে আবার মারবে)
হাশেমঃ হ্যাঁ হ্যাঁ মাফ করবেন তিথি আপ্পা,,আর সবাই শুনে রাখ আজ থেকে এই আপ্পারে আপ্পা ডাকবি আর সম্মান দিবি বুজলি,,,
তিথিঃ আচ্ছা জুসের ব্যবস্থা নাই কেন??এইভাবে শুকনা গলায় কি খেলা যায় উফফ
হাশেমঃ চান্দু জুস আনা
তিথিঃ শুধু কি জুস???
কাশেমঃ চান্দু তাড়াতাড়ি গিয়ে জুস আর কিছু নাস্তা আনা,,
তিথি সবাই কে বেকুব বানায়,,সে নিজে ও পারে না খেলা কিন্তু সে সে চালাকি করে খেলে,,,
এইদিকে জুস নাস্তার ব্যবস্থা হয়,,তিথি খাচ্ছে আর খেলছে সে হাত দিয়ে গুটি গুলো কখন যে পকেটে ডুকাছে,,,,
লাল গুটি পকেটে গেলেই তিথি জিতা,,,সবাই তাকিয়ে আছে কি হবে,,,তিথি জুস পুরো খেয়ে আবার হাশেম এর গ্লাসের জুস টুকু ও খেয়ে ফেলে,,,,,
তিথি চোখ বন্ধ করে দোয়া পড়ে,,তার বিসমিল্লাহ বলে গুটিটা মারে আর লাল গুটি পকেটে তিথি তো লাফিয়ে উঠে
তিথিঃ ইয়াহুউউ আমি জিতা কি মজা,,,
চান্দুঃ এখনও জিতেন নাই আপনি হু,,,আর একটা সাদা গুটি মারলে,,
তিথি সবাই কে বলে
তিথিঃ ওই খানে তেলাপোকা,,,,,
তিথি অইসুযোগে সাদা গুটি টা পকেট এর কাছে এনে দেয়,,,,
তিথিঃ আচ্ছা আমি মারি তাকাও সবাই
সবাই তাকিয়ে থাকে,,চান্দু গুটির দিকে তাকিয়ে আবার তিথির দিকে তাকায়,,
চান্দুঃ(গুটি ছিলো এক জায়গায় এখন দেখি এখানে,,এই মেয়ে বড্ড চালাক)
তিথি গুটিটা পকেটে ডুকিয়ে তো যা চিৎকার শুরু করে,,,,
সবাই তো হা করে আছে,,,তিথি সবাই কে পাগলু গানে ডান্স করতে তুলে,,,,তিথি ও ডান্স করে,,এই সুযোগে তিথি চান্দুর পকেট থেকে চাবি নিয়ে নেয়,,,,
চাবিটা নিয়ে এক তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে লুকিয়ে ফেলে,,,,
চলবে,,,,,,,,,
(সরি সবাই কে)