বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 29

সবাই তো হা করে আছে,,,তিথি সবাই কে পাগলু গানে ডান্স করতে তুলে,,,,তিথি ও ডান্স করে,,এই সুযোগে তিথি চান্দুর পকেট থেকে চাবি নিয়ে নেয়,,,,
চাবিটা নিয়ে এক তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে লুকিয়ে ফেলে,,,,
এইদিকে রাত হয়ে আসে পুলিশ এখনও তিথির খবর পর্যন্ত পায় নাই,,আবির তার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমান ও খুব টেনশনে আছে,,
আবিরের মাঃ আবির কিছু তো কর বাবা,,মেয়েটা কি অবস্থায় আছে কে জানে,,,প্লিজ কিছু তো কর
আবিরঃ মা আমি আমার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি,,,
একজন পুলিশ আসে,,পুলিশ এসে আবিরের সামনে দাঁড়ায়,,,
আবিরঃকোনো খবর কি পেয়েছেন আপনি?
অফিসারঃ মিস্টার আবির আমার যা খবর পেয়েছি তা আমাদের জন্য অনেক,,,
আবিরঃ কি পেয়েছেন বলুন??

অফিসারঃ একটা একটা অনেক বড় ক্রিমিনাল এর কাজ,,যে দেশ থেকে মেয়ে নিয়ে বিদেশে নারী পাচার করে,,, আর খবর পেয়েছি যে ওরা কালকেই সব মেয়েকে পাচার করে দিবে,,কারণ তাদের নাকি সব মেয়ে নেওয়া হয়েছে যা যা লাগবে,,,
আমানঃ মানে আমাদের কাছে আজ রাত টায় সময়,,, ওরা কই আছে তা তো খবর পেয়েছেন,,,
অফিসারঃ আমান সাহেব ওরা অনেক চালাক,,,এই জানি যে ওরা সবাই একটা জঙ্গল এর ভিতর আছে,,,আমাদের এখন বের হতে হবে,,কিন্তু গোপন ভাবে যেতে হবে কারণ আমাদের মধ্যে হয়তো তাদের লোক ও থাকতে পারে,,,
আবিরঃ আমি আর আমান আপনাদের সাথে যাবো,,,,
অফিসারঃ অনেক ডেঞ্জারাস ওরা,,
আবিরঃ ওরা যতই ডেঞ্জারাস হোক না কেন আমি যাবো আমার কাছে এই মুহূর্তে তিথি অনেক ইম্পর্টেন্ট তো প্লিজ অফিসার,,,
আমানঃ হ্যাঁ আমাদের কাছে এই মুহূর্তে তিথি তিশা রা বাকি মেয়ে গুলো ইম্পর্টেন্ট,,,ওদের জন্য আমরা আমাদের কথা ভাবতে পারি না,,,
আবিরঃ প্লিজ অফিসার,,,
অফিসারঃ কিন্তু আমাদের এইভাবে গেলে হবে না আমাদের নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে যেতে হবে,,,,
আবির আমান আর বাকি পুলিশ গুলো প্লেন করতে থাকে কি ভাবে মেয়েদের বাঁচাবে,,,
অই দিকে,,,
সবাই হাঁফিয়ে যায় নাচতে নাচতে,,,তিথি একটা চেয়ারে বসে বলে
তিথিঃ সবাই ক্লান্ত হয়ে গেছেন তাই না,,
হাশেমঃ হ্যাঁ আজ অনেক দিন পর এতো খুশি আমি,,,
তিথিঃ অই চান্দু কালু যা সবার জন্য ভালো ভাবে চা বানিয়ে আন,,,
চান্দু মুখটা বানিয়ে ফেলে,
হাশেমঃ যা চান্দু নিয়ে আয় চা,,,
তিথিঃ শুন আমার চা তে চিনি কম দিবি,,আর হ্যাঁ সাথে বিস্কুট আনতে ভুলবি না বুজলি কালু চান্দু,,,
চান্দু রেগে চলে যায় অইখান থেকে,,,
তিথি সবার সাথে এমন ভাবে গল্প করছে মনে হচ্ছে ওরা তার বাল কালের বন্ধু,,,,সবাই ও তিথির সাথে বেশ মজা নিয়ে কথা বলে,,,
কিছু ক্ষন পর

চান্দু চা নিয়ে আসে,,,সবাই কে চা দেয় তিথি চায়ের কাফে চুমু দিয়ে চান্দুর কাছে যায়,,,চান্দু ভাবে থাপ্পড় মারবে,,তিথি চান্দুর গালটা হালকা টেনে বলে
তিথিঃ গুড চা টা ভালো হইছে,,,
চান্দু একটু মুচকি হাসে,,,,
চায়ের কাফ টা রেখেই তিথি বলে
তিথিঃ আমি একটা গান শুনাবো কে কে শুনবেন,,,
চান্দুঃ কেউ শুনবে না,,,
তিথিঃ হাশেম ভাই আপনার এতো ভদ্র বোনকে কি বলে দেখন???
হাশেমঃ বোন?(চলচল চোখে)
তিথিঃ হ্যাঁ বোন,,,জানেন আমার না বড় ভাই নাই,,আপনাকে দেখলে মনে হয় আমার বড় বোন,,,জানেন আপনাকে আমার নিজের মায়ের পেয়ের বড় ভাই লাগে,,কত যে ভালো আপনি,,,,
তিথি এমন ভাবে বলে যে হাশেম পুরো গলে যায়,,,,তিথি বুজতে পারে আর একটু মাখন মারলেই হবে,,,
তিথিঃ আপনার মত এতো সুন্দর ভদ্র হ্যান্ডসাম কিউট ভাই আমি আর দেখি নাই,,,
হাশেমঃ আমি হ্যান্ডসাম???? আমাকে কিউট লাগে??
তিথিঃ তো????আপনাকে তো হিরো লাগে হিরো,,,,আপনি যদি মুভি করেন না তাহলে দেখবেন অই মুভি পুরো হিট বস,,,,
তিথির এতো তারিফ শুনে তো হাশেম গুন্ডা পুরো গলে যায়,,,আর চান্দু তিথির দিকে তাকিয়ে ভাবে
চান্দুঃ (এই মেয়ে এতো পাম কেমনে মারে,,,,বজ্জাত মেয়ে একটা পুরো শয়তান এর আম্মা,,,,দেখে বুজা যায় ভাজা মাছ খেতে পারে না)
তিথিঃ হাশেম ভাইয়ায়ায়া আপনি না অনেক ভালো৷৷৷
হাশেম পুরো গলে গেলো,,,,আর তিথি তো মহা হেপ্পি যে তার জালে ফেলে দিচ্ছে গন্ডাকে,,,
হাশেমঃ এই সবাই শুনে রাখ আজ থেকে তিথি আমার বোন,,ওকে কেউ যদি কিছু বলিস খবর আছে সোজা গুলি করে দিবো বুজলি,,,
তিথিঃ ওহ আমার কত ভালো ভাইয়ায়ায়া,,,,
হাশেমঃ বল বোন কি লাগবে তোর??
তিথিঃ আমি একটা গান শুনাবো আমার প্রিয় গান,,,,,
হাশেমঃ যা ইচ্ছে গান,
সবাই লাইন ধরে বসে,,,
তিথিঃ এহেম এহেম না মানে একটু গলা ঠিক করে নিচ্ছি আর কি,,,,
হাশেমঃ এখন ঠিক আছে?
তিথিঃ হ্যাঁ আছে,,,শুরু করি তাহলে
হাশেমঃ হ্যাঁ গাও
তিথিঃ আমি কাক দেখেছি সাদা কাক যার মাথা টাক টাক
তিথির গান শুনেই সবাই কান হাত দিয়ে আছে,,,তিথির যা গলা ছিলো মাইক এর আর অভাব লাগবে না,,,তিথি এতো জোরে গাইছে যে বেচারা সবার অবস্থায় খারাপ হয়ে যায়,,,

চান্দুঃ এতো বাজে গান আমার বাপের জন্মে শুনি নাই,,,
তিথি রেগে যায় গিয়ে চান্দুর গালে ঠাস ঠাস করে দুইটা চড় বসিয়ে দেয়,,,সবাই অবাক হয়ে যায়,,,পেটের ভিতর একটা সে জোরে ঘুষি মারে,,,,পায়ের উপর এতো জোরে লাথি মারে যে বেচারা চান্দুর অবস্থা পুরো খারাপ,,,,,,
তিথিঃ আবাল মার্কা কালু সাহস হয় কি করে আমার প্রিয় গান কে বাজে বলার,,,,তোর মত কালা বেকুব বান্দর কি বুজবে আমার মত জ্ঞানী মানুষের গান,,,,
সবাই ভয় পেয়ে যায় তিথির এমন মাইর দেখে,,,আর বেচারা চান্দুর অবস্থা তো পুরো খারাপ হয়ে যায়,,,,
তিথিঃ হাশেম ভাই আপনার বোনকে এতো কিছু বলছে আর আপনি কিছু বলেন নাই,,,হ্যাঁ বুজি বুজি মুখে বোন বললেন মন থেকে না,,,(কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
হাশেম রেগে যায় চান্দুর গলা ধরে নিচে ফেলে বলে
হাশেমঃ তোর এতো সাহস আমার বোনকে অপমান করার,,,তোর মুখ আমাকে দেখাবি না,,,যদি দেখাস তাহলে কেটে টুকরো টুকরো করবো বুজলি,,,,
চান্দু ভয় পেয়ে যায়,,,ভয় পেয়ে চলে যায় আর তিথিকে ইচ্ছে মত মনে মনে গালি দিতে থাকে
চান্দুঃ ( এই মেয়ে বড্ড চালাক,,,)
তিথি অনেক খুশি হয়ে যায়,,,
রাতের খাওয়ার এর আওয়াজ করা হয়,,,সব তিথির মনের মত সব খাবার আনা হয়,,,,
সবাই এক সাথে খেতে বসে তিথি সব গুন্ডার সাথে খেতে বসে,,সবাই খাচ্ছে
তিথিঃ আমার না একটা রেসিপি মনে পড়েছে,,,
হাশেমঃ কি??
কাশেমঃ এখন আর কোনো খাবার আনতে পারবো না,,যা আছে তা খেয়ে নাও,,,
তিথিঃ আরে শুনেন তো আগে তারপর বলিয়েন,,,,
কাশেমঃ হে হে বলেন কিন্তু আমরা আনতে পারবো না,,,,
তিথিঃ ইঁদুরের মাংস দিয়ে ঢেঁড়স রান্না করলে সে টেস্টি,,,,,লাউ দিয়ে ব্যাঙের রোষ্ট টা সে হবে,,,আর কেঁচো চাটনি তো ইয়ামিইইই,,,,সব চেয়ে মজা তো টমেটো দিয়ে কাকের কোরমা পোলাও,,,,,
তিথি এই রেসিপি বলছে আর খাচ্ছে,,,,
এই দিকে সব গুলো গন্ডার অবস্থা ১৪ টা,,,সবাই বমি করতে করতে শেষ,,,কেউ খাইতে পারে নাই যা খেয়েছে উল্টো বমি করে দিয়েছে,,,,
তিথিঃ বমির শরবত তো আরো ইয়ামিইইই,,,সাথে কাঁচা মরিচ আর লেবু দিলে তো কথায় নাই,,,,উফফফফ হাশেম ভাই কি না ইয়ামি,,,সবাই কে আমি টেস্ট করাব,,,,,
তারা এতো বমি করে যে সবাই শুয়ে যায়,, সিরিয়ালি সবাই নিচে পড়ে আছে বমি করতে করতে,,,আর বেচারা গন্ডা গুলো তাদের খাওয়া তো শেষ হইছে সাথে তাদের অবস্থা আরো খারাপ হইছে,,,,
তিথি আঙ্গুল চেটেপুটে খেয়ে উঠে দেখে সবাই বমি করতে করতে শেষ আর তাদের অবস্থা এমন খারাপ যে কেউ উঠে ও দাঁড়াতে পারবে না,,,
তিথি মুচকি হেসে রসি নিয়ে আসে আর সব গুলো রে বাঁধা শুরু করে,,,সবাই কে বেঁধে সে নিজেকে অনেক বাহাদুরি মনে করছে,,,
তিথিঃ তিথি তুই তো গ্রেট,,,তিথি দ্যা গ্রেট
নিজের তারিফ নিজে করে তাড়াতাড়ি অই রুমের কাছে যায় তালা খুলে দেয়,,,
তালা খুলার আওয়াজ পেয়ে সবাই ভয় পেয়ে যায়,,,,তিশা ভয়ে কাঁপতে থাকে যে কি হবে তাদের কি সত্যি সত্যি এখন পাচার করে দিবে,,,,
তিথি দরজা খুলেই দেখে অন্ধকার লাইট টা অন করে,,,লাইট অন করার সাথে সাথে তিশাকে দেখে তিথি অবাক হয়ে যায়,,তিশা ও সেম তিথিকে দেখে অবাক
তিশাঃ তিথি????
তিথিঃ তিশা??তুমি এখানে???
তিশা দৌড়ে এসে তিথিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়,,,
তিশাঃ তুমি এসেছো??
তিথিঃ হ্যাঁ এসেছি কিন্তু তুমি এখানে??কি হয়েছে আমাকে খুলে বলো,,,,
তিশা তিথিকে ছেড়ে বলে
তিশাঃ আমাকে বাঁচাও তিথি,,ওরা খুব খারাপ তিথি খুব,,, আমাদের এখানে তুলে এনেছে অন্য দেশে পাচার করার জন্য,,,অনেক মেয়েদের ধরে এনেছে,,,,
তিথিঃকিইইই???মানে আমাকে ও ওরা এই জন্য নিয়ে এসেছে???
তিশাঃ মানে ওরা তোমাকে ও????
তিথিঃ হুম ওরা আমাকে ও নিয়ে এসেছে,,,
তিশাঃ তাহলে এখন কি হবে???
তিথিঃ কি আর হবে যা হবার হবে,,,ওদের আমি এমন হাল করেছি যে ওরা ওদের বাপের নাম টা ও ভুলে যাবে,,
এই দিকে
আবির আমান আর পুলিশ নিজেদের ড্রেস আপ চেঞ্চ করে পরিচয় চেঞ্চ করে রয়না দেয়,,,তারা জঙ্গল এর ভিতর ডুকে কিন্তু এখনও অইখানে আসে নাই যেখানে তিথিরা আছে,,,
অইদিকে,,,

তিথি সব মেয়েদের ছাড়ার,,,যত মেয়ে আছে সব গুলো কে ছাড়িয়ে বলে
তিথিঃ এতো সহজে তো এখান থেকে যাবো না,,,ওদের আমি এমন শিক্ষা দিবো যে আজকের পর এই তিথির নাম উঠতে বসতে বলবে,,,আজ আমি ওদের একটু রেসিপি আসলেই ট্রাই করাবো,,,এতো দিন বলতাম আজ আমি ওদের খাইয়ে ট্রাই করাবো,,,,,,
তিথির মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি আসে,
সব মেয়েদের লাগিয়ে দেয় ইঁদুর ধরতে,,,সবাই ইঁদুর ধরে আনে কিছু সবজি কাটে ইচ্ছে মত মরিচ দিয়ে সিদ্ধ করে ইঁদুর টা অইখানে দিয়ে,,,সাথে অনেক লবন,,,,
তিশাঃ তিথি কি করছো এইসব???
তিথিঃ দেখো কি কি করি,,,আজ ওদের কি হাল করি আমি,,,,
তিশাঃ ওরা খুব ডেঞ্জারাস তিথি,,,
তিথিঃ আমার থেকে কম,,,,
তিথি তিথির কাজ করছে,,সব কিছু করে সবার কাছে নিয়ে যায় সব গুলো গন্ডার মুখ চেপে ধরে গালের মধ্যে ঢেলে দেয়,,,
তিথিঃ তিশা আসমা তেলাপোকা ধরে নিয়ে আসো কিচেনে অনেক তেলাপোকা আছে,,,
সবাই কথা মত তেলাপোকা আনে,,তিশা হা করে তাকিয়ে আছে তিথির কান্ড গুলোতে,,,তিথি আসলে কি তা ভাবছে,,,,,
কয়েক জন মেয়ে তেলাপোকা নিয়ে আসে,,,তিথি উঠে কিচেনে যায় তেলাপোকা গুলো ব্লান্ডার করে তিতকরলা ও সাথে দেয়,,,কাঁচা মরিচ যা আছে সব দিয়ে জুস বানায়,,,
তিশাঃ তিথি প্লিজ এমন করিও না,,,
তিথিঃ উফফ ডাক্তার সাহেবা চুপ থাকো দেখো আগে আগে কি হয়,,,
তিশাঃ তুমি আসলেই ডেঞ্জারাস বইন,,,,
তিথিঃ হিহি
তিথি সুন্দর করে গিয়ে জুস গুলো গ্লাসে ঢালে আর সব গুলো গুন্ডার কাছে যায়,,,
তিথিঃ হাশেম ভাই আমি আপনার বোন তাই না??তাই আপনার জন্য জুস নিয়ে এসেছি,,জানেন আমি নিজের হাতে বানাইছি,,,
হাশেম প্রচুর রেগে আছে,,,
তিথিঃ মেয়েরা আগে হাশেম ভাইয়ের গাল চেপে ধরো আমি উনাকে নিজের হাতে জুস খাওয়াই
মেয়েরা হাশেম এর গাল চেপে ধরে আর তিথি জুস গুলো পুরো গালে ঢেলে দেয়,,,বেচারা হাশেম পুরো বমি করে তবুও তিথি জোর করে আরো খাওয়ায়,,,
চলবে,,,,,,,,,