বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 27

তিশাঃ(আমান প্লিজ আমাকে রক্ষা করো প্লিজ আমান আমাকে নিয়ে যাও এখান থেকে আমি যে অনেক বড় বিপদে পড়েছি,,,,)
আসমাঃ এখন কি করবো আমরা?? আমাদের তো মনে হয় তাড়াতাড়ি নিয়ে যাবে ওরা,,,,
তিশাঃ আল্লাহর উপর পুরো বিশ্বাস আছে আমার সব ঠিক হবে,,আর আমার আমান সে ঠিক আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে,,আমার আমান আমাকে হয়তো খুঁজতেছে যখন সে জানবে আমি এখানে দেখবে আমার সাথে তোমাদের সবাই কে ও নিয়ে যাবে,,,,
নিরনঃ আপ্পা ওদের এতো সহজ মনে করিয়েন না ওরা খুব ভয়ানক,,,ওরা মেয়েদের পাচার করে তারা কি এতো ভালা মানুষ হইবো,,,,
তিশা খুবই চিন্তায় পড়ে যায়,,,,
এই দিকে,,,

বিকালে আবিরের অনেক টা ভালো লাগছে,,,আগে থেকে সে সাভাবিক তিথি সে দুপুর থেকে রুমে পর্যন্ত আসে নাই,,আবির রুম পুরো বাড়ি খঁজে কোথাও তিথিকে পায় নাই,,,আরিশার রুমে গিয়ে দেখে তিথি ঘুম সেখানে,,,
আবিরঃ এই মেয়ে যেখানে সেখানে কিভাবে এতো ঘুমাতে পারে,,,যখন তখন ঘুম আর ঘুম,,,,ঘুম ছাড়া কি আর কিছু নাই ওর,,,
আবির তিথির কাছে যায় বসতে যাবে আরিশা ওয়াশরুম থেকে বের হয়,
আরিশাঃ ভাইয়া তুমি??
আবিরঃ হ্যাঁ আসলে তিথিকে খুঁজছিলাম কিন্তু মহারানি তো এখানে এসে ঘুম,,,
আরিশাঃ হাহা,,,আচ্ছা ভালোই হয়েছে তুমি এসেছো আসলে তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো যা অনেক ইম্পর্টেন্ট ভাইয়া,,,
আবিরঃ হ্যাঁ বল,,,
আরিশাঃ বারান্দায় আসো এখানে ভাবি ঘুমাচ্ছে,,,আর আমি চাই না আমাদের কথা আর কেউ জানুক
আবিরঃ ওকে,,,
আরিশা আর আবির বারান্দায় যায়,,,আরিশা আবরের দিকে তাকাতে পারছে না অন্য দিকে দিকে তাকায় আবার নিচে,,
আবিরঃ কি হইছে নজর মিলাচ্ছিস না যে?
আরিশাঃ কিভাবে মিলাবো ভাইয়া?আমার কারনে যে তোমাদের জীবন টা এইভাবে শেষ হয়ে গেছে,,,
আবিরঃ মানে?
আরিশাঃ আমার জন্য শুধু তোমার আর আমান এর বন্ধুত্ব শেষ হইছে,,,শুধু মাত্র আমার জন্য তুমি ভাবিকে জোর করে বিয়ে করলে কষ্ট দিলে,,আমার জন্য আমান যাকে ভালোবাসে সে মেয়েটা ও কষ্ট পেয়েছে আর তো আহাদ ও,,,,
আবিরঃ তোর জন্য কিছু হয় নাই ওকে,,,যা হয়েছে সব ভাগ্যে ছিলো,,,যদি এমন না হতো তাহলে হয়তো আমি তিথিকে পেতাম না,,আর কথা আসছে আমান আর আমার বন্ধুত্ব আরে দূর পাগলী দেখবি তাড়াতাড়ি সব ঠিক হয়ে যাবে,,আমান আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না তা তো জানিস,,,
আরিশাঃ সরি ভাইয়া,,,
আবিরঃ থাপ্পড় খাবি এইসব মাথায় আনলে যে তোর জন্য হয়েছে,,আমার বোন আমার কাছে সব এই মনে রাখিস তার খুশির জন্য আমি সব পারবো,,,,
আরিশাঃ লাভ ইউ,,,আমি আসলে অনেক ভাগ্যবতী যে তোমার মত ভাই পেয়েছি,,,
আবিরঃ আচ্ছা এই আহাদ কে?
আরিশাঃ আমার কলেজের,,,আমার ফ্রেন্ড হয় কিন্তু সে আমাকে অনেক আগে দেখে পছন্দ করে কিন্তু আমি আমানকে পছন্দ করায় সে আর,,,,,
আবিরঃ হুম বুজেছি,,,,যাই করবি ভেবে করিস এইটাই,,,
আরিশাঃ ভাই আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি,,,
আবিরঃ কি সিদ্ধান্ত???
আরিশাঃ আমি আমানকে বিয়ে করার আর জিদ করবো না,,,আমান যাকে ভালোবাসে তাকে বিয়ে করুক এতে আমার সমস্যা নাই,,,
আবিরঃ সিউর?

আরিশাঃ হ্যাঁ ভাই,,চিন্তা করিও না আমি আত্নহত্যা করার চেস্টা ও করবো না,,,আমি বুজতে পারছি যে আমান আমাকে নিয়ে কখনো খুশি হবে না,,,আর আমি চাই না আমার জন্য কারো জীবন আর নষ্ট হোক,,,,
আবিরঃ আজ আমার বোনটা অনেক বড় হয়ে গেছি দেখি হুম,,,
আরিশাঃ ভুল গুলো যে বুজতে পেরেছি ভাইয়া,,,আমার কারনে কত কিছু হয়ে গেলো,,,
আবিরঃ কিছু হয় নাই ওকে,,,সব ঠিক আছে আর শুন তোর সিদ্ধান্ততে আমি আজ অনেক হেপ্পি,,,গর্ব হচ্ছে আমার বোনের উপর যে সে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে,,,
আরিশা মুচকি হাসে,,
এইদিকে তিথি ঘুম থেকে উঠে যায়,,আবির আরিশার সব কথাই সে শুনে,,,কেন জানি আজ আবিরের প্রতি সব রাগ চলে গেছে সে যা করেছে নিজের বোনের জন্য,,,হয়তো আবিরের সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ততে যে তার বাবার জীবন ও বেঁচেছে,,,আবিরের প্রতি আজ সম্মান জমে কিছুটা তবুও যে রাগ কিছু হলেও রয়ে গেছে,,,
তিথি চোখ অফ করে রাখে,,,আরিশা আর আবির অন্য কথা বলতে থাকে অনেক ক্ষন কথা বলার পর দুইজন রুমে এসে দেখে তিথি এখনও ঘুম,,,
আবিরঃ এই মেয়ে এতো ঘুমায় কেমনে আল্লাহ জানে,,,
আরিশাঃ হাহা ঘুমাতে দাও,,,
আবিরঃ এতো ঘুমালে ড্রাম হবে,,এমনি তো যে মুটি,,,
তিথি চোখ খুলেই উঠে বসে,,গরম হয়ে যায়
তিথিঃ চোখ কি হাতে নিয়ে হাঁটেন নাকি পকেটে যে আমাকে মোটা দেখেন,,,
আবিরঃ তুমি ঘুমাও নাই?
তিথিঃ ঘুমিয়ে তো ছিলাম কিন্তু ভেঙ্গে গেছে আর ভালোই হয়েছে ভেঙেছে না হলে আপনার মনে কি আছে জানতেই পারতাম না হু,,,
আরিশাঃ তোমরা থাকো আমি যাই,,,
আরিশা রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,তিথি রেগে মেগে শেষ,,,আবিরের কাছে এসে বলে
তিথিঃ আমাকে কোন দিকে মোটা লাগে আপনার হ্যাঁ???
আবিরঃ সব দিকে?
তিথিঃ কিইইইই??
আবিরঃ হাহা রাগ করলে তোমাকে পুরো টমেটো লাগে তখন ইচ্ছে করে,,,, না থাক বলবো না
তিথিঃ না না বলেন বলেন আমিও শুনি একটু আপনার তখন কি ইচ্ছে করে(প্রচুর রেগে গিয়ে)
আবিরঃ খেয়ে ফেলি,,,
আবির এই বলে তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,
তিথিঃ হেএএ কি বললো এই ই বজ্জাত টা,,,,
সন্ধ্যায় চা বানিয়ে আনে তিথি সাথে নুডুলস,,সবাই কে নাস্তা দেয় আবির সোফায় বসে বসে আরিশার সাথে ফাজলামি করছে তিথি আবিরকে নুডুলস দিতে যায়,,,হাতে দেওয়াতে আবির তিথির হাত ধরে রাখে ছাড়ছে না,,,,
তিথিঃ কি হচ্ছে কি হ্যাঁ?
আবিরঃ কি করলাম আমি?
তিথিঃ হাত ছাড়ুন,,,
আবিরঃ হাত তো ছাড়ার জন্য ধরি নাই,,ধরেছি আজীবন এর জন্য,,,
তিথিঃ এইটা কি ফিল্ম যে ডাইলোগ মারছেন হুম,,,
আবিরঃ যা কিছু বলা ও যায় না এই তিতা কে,,,
তিথিঃ তিতা কে??
আবিরঃ কে আবার তুমি??
তিথি ক্ষেপে যায় আবিরের কথায়,,,আবির খেতেছে আর তিথির দিএক তাকাচ্ছে তিথি তো লুচির মত ফুলছে,,,মাথায় বুদ্ধি আসে আবিরকে বলে
তিথিঃ নুডুলস না পুরো কেঁচোর মত,,সাদা সাদা কৃমি আছে না অইগুলোর মত লাগে,,,যদি সাদা কেঁচো আর কৃমি গুলো সিদ্ধ করে বাজা হয় তাহলে সেম নুডুলস এর মত লাগবে,,,
বেচারা আবির শুনার বাকি বমি করার বাকি নাই,,,
আরিশা ও সেম বমি করে দেয়,,,
সবাই একটু দূরে থাকায় কেউ তেমন কিছু শুনে নাই,,আবিরের অবস্থা দেখে মা এগিয়ে এসে বলে
মাঃ কি হলো তোর আবার???
আবির পানি খেতে থাকে,,,,তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি মুচকি হাসছে,,,,কিছু ক্ষন সাভাবিক ভাবে বসে ভাবে এই মেয়ে কি দিয়ে তেরি আসলে,,,
তিথি নুডুলস এর বাটি একটা এনে আবিরের সামনে খাচ্ছে আর আবিরকে বলছে
তিথিঃ কি হলো খান আপনি ও,,,
আবিরঃ তুমি খাও ভালো করে ফাজিল মেয়ে একটা,,,সব সময় মাথায় কুবুদ্ধি,,,
তিথিঃ কিছু বললেন???
আবিরঃ না কিছু না,,,

আবির রুমে চলে যায় লেপটপ নিয়ে বসে আবার ভাবে আমানকে কল দিবে,,ফোন টা নিয়ে অনেক বার কল দেয় কিন্তু আমান কল রিসিভ করে না,,,অনেক ক্ষন কল দেয় একবার ও কল রিসিভ না করায় আবির আমানের বাড়ি চলে যায়,,,
আমানের বাড়িতে যাওয়ার পর আমানের মা আবিরকে দেখে খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরে বলে
আমানের মাঃ তুই এসেছিস আবির???
আবিরঃ হ্যাঁ আমান কোথায় আন্টি,,,
আমানের মাঃ ছাদে বসে আছে,,,সারাদিন কিছু খায় নাই,, জানি না কি হয়েছে চুপচাপ রুমের মধ্যে থাকে ওকে এমন দেখতে আর পারছি না,,মা হয়ে কিভাবে ওর কষ্ট গুলো দেখবো বল বাবা,,,আমার ছেলেটা হাসি খুশি থাকে সে আমার হাসিখুশি ছেলেটা কেমন হয়ে গেছে,,,
আবিরঃ আমি দেখতেছি,,,,আচ্ছা তোমার হাতে বিরানি টা খাওয়াবা আজ আমান আর আমি এক সাথে ডিনার করবো,,,
আমানের মাঃ সত্যি বলছিস??
আবিরঃ হুম,,,
আমানের মাঃ আমি এখনই যাচ্ছি তুই যা আমানের কাছে কেমন,,,
আবির ছাদে উঠে গিয়ে দেখে আমান দোলনায় বসে আছে,,,আবির গিয়ে বসে আবিরকে হঠাৎ দেখে কিছু টা অবাক হয় তবুও কেয়ার না করে চুপ করে আছে,,,
আবিরঃ এতো অভিমান আমার উপর???
আমানঃ,,,,,,,,,,
আবিরঃ জানি আমি ভুল করেছি,,,ছোট থেকে যত ভুল করতাম তুই ঠিক করে দিতি,,সব সময় পাশে থাকতি কখনো বন্ধুত্ব ভেঙ্গে দিতি না,,,কিন্তু এখন ভেঙ্গেছিস কারন দোষ টা আমার অনেক বড়,,,,
আমানঃ,,,,,,,,,,
আবিরঃ বোনের ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গেছি,,যখন ওর হাত কাটা দেখেছি রক্ত গুলো যখন দেখেছি বিশ্বাস কর নিজের মধ্যে ছিলাম না,,,,যখন মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে সে তখন কিছু চোখে দেখছিলাম না শুধু দেখেছি মায়ের চোখের পানি বোনের নিশ্বাস বারি হওয়া বাবার চিন্তা দাদির কান্না,,,তখন ভুল ঠিক সব কিছু ভুলে গেছি,,,
আমান আবিরের দিকে একটু তাকায়,,,তবুও সে চুপ করে আছে কিছু বলছে না,,,,,
আবিরঃ জানি আমি ভুল করেছি,,তিথিকে কষ্ট দিয়ে তোকে সন্দেহ করে,,জানি আমার এই টা উচিত হয় নাই,,,যখন ভুল বুজেছি তখন তোরা এইভাবে আমাকে ছেড়ে যাবি ভাবতে পারি নাই,,,মাফ করে কি দেওয়া যায় না আমাকে,,,,
আমান আবির শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,,,কান্না করে দেয়
আমানঃ আমি পারছি না আবির,,,বিশ্বাস কর আমি আমার মধ্যে নাই,,,তিশার খুঁজ পাচ্ছি না এইদিকে তার মধ্যে তোর সাথে ঝগড়া সব মিলিয়ে আমি একা হয়েছি রে,,,,
আবিরঃ আমি সব সময় তোর পাশে আছি ওকে,,,
আমানঃ সরি রে আমিও তখন রাগের মাথায় তোকে কত কি বলেছি,,,
আবিরঃ তিশার খুঁজ পেয়েছিস??পুলিশ কে কি জানিয়েছিস,,,
আমানঃ না খুঁজ এখনও পাই নাই,,,পুলিশ খুঁজতেছে,,,ওর চাচা চাচি চাচাতো ভাই ও ওকে খুঁজতেছে,,,জানি না কোথায় আছে কিভাবে আছে ঠিক আছে কি না?জানিস খুব ভয় হচ্ছে বারবার মনে হচ্ছে তিশার সাথে এমন কিছু হয়েছে যা উচিত না,,,মন বলছে সে ভালো নাই ওর বিপদ হয়েছে রে,,,,
আবিরঃ আমরা ওকে এক সাথে খুঁজবো,,,আমি আমার বেস্ট চেস্টা লাগাবো সবাই কে লাগাই দিবো কিন্তু তিশাকে খুঁজে ঠিক বের করবো প্রমেস,,,
আমানঃ হুম,,,দোয়া করি তিশা যেখানে থাকুক না কেন সুস্থ থাকুক,,,,ওর কিছু হলে আমার কি হবে?
আবিরঃ কিছু হবে না সব ঠিক হবে ওকে,,,
দুই বন্ধু অনেক গল্প করতে থাকে,,জমে থাকা কষ্ট গুলো আজ দুইজনে শেয়ার করছে,,,রাত অনেক হয়ে যায় আবির আমানের সাথে আছে,,,
এই দিকে তিথি অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে যায় কিন্তু আবির আসে নাই,,,,আবির যখন বাড়ি ফিরে তখন রাত দুইটা বাজে,,,ফ্রেশ হয়েই তিথির পাশে শুয়ে পড়ে,,,
সকালে,,,
তিথি উঠে নামাজ পড়ে নেয়,,আবিরকে দেখে কিছু টা রাগ হয় যে সে কখন এসেছে,,,,রাগে হনহনিয়ে বাহিরে চলে যায়,,
আবির ঘুম থেকে উঠে তিথিকে দেখতে না পেয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখে তিথি নাস্তা বানাছে মায়ের সাথে,,,কথা বলতে চেয়ে ও পারে নাই সবাই থাকাতে,,,
,কিছু ক্ষন পর সবাই এক সাথে নাস্তা করতে বসে,,,তখন মা বলে উঠে আবিরকে,,
মাঃ আবির শুন,,,
আবিরঃ জ্বি মা বলো?
মাঃ আজ তিথি আর আরিশাকে নিয়ে একটু শপিং করতে যা একটু পরে,,,ওদের কিনাকাটি শেষ হলে একটু ঘুরে আসিস,,,
আবিরঃ মা আমার অফিস আছে,,,ওরা নিজেরা যাক
মাঃ যা বলেছি তা করবি,,,দুইটা মেয়েকে একা পাঠাবো পাগল আমি??
আবিরঃ আজিব তো ড্রাইভার সাথে যাবে একা কই?
মাঃ চুপচাপ তুই নিয়ে যাবি ওকে,,,আর কোনো কথা না অফিস পরে,,,,
আবির আর কিছু বলে না চুপচাপ আছে ভাবে বললে উল্টো বকা খাবে,,,
কিছু ক্ষন আবির তিথি আরিশা ওরা মার্কেট যায় শপিং করতে,,,
অনেক ক্ষন শপিং করতে থাকে,,,আবিরের কাছে খুব বিরক্তি লাগে যে এতো শপিং করে মেয়েরা,,,,
তিথিঃ দূর আমার তেমন কিছু কিনা ও হলো না,,,
আবিরঃ কিইই???এতো কিছু নেওয়ার পর ও নাও নাই আল্লাহ রে,,,,
তিথিঃ কি নিয়েছি হ্যাঁ?? মাত্র অল্প একটু,,,,
আবিরঃ ওহ রেলি??এখানে অল্প একটু,,,,,
আবির তিথি ঝগড়া করতে থাকে,,,

দূর থেকে তাদের ফলো করছে ৪ জন লোক,,,লোক গুলো বারবার তিথিকে দেখছে একজন তো বলে উঠে
একজনঃ ভাই এই মেয়ে তো হেবি সুন্দর,,,যদি ওরে তুলে নিয়ে যেতে পারি বস অনেক খুশি হবে,,আর টাকা ও বেশ পাওয়া যাবে,,,
অপরজনঃ হ্যাঁ ঠিক বললি,,এমনিতে ও অইখানে মেয়ের সংখ্যা কম,,,আরো কয়েকটা লাগবে যদি এই মাইয়ারে নিয়ে যাইতে পারি তাহলে তো বস খুশি হয়ে যাবে,,,
লোক গুলো নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকে,,তাদের কথা গুলো শুনে এক বুড়া মহিলা,,,মহিলাটি ভয় পেয়ে যায় তিথি আর আবিরের কাছে আসতে যাবে তত ক্ষনে তারা অইখান থেকে চলে যায়,,
আবির তিথি আরিশা ওরা এক সাথে লাঞ্চ করতে থাকে,,,লাঞ্চ শেষ করে তারা গাড়িতে সব শপিং প্যাকেট গুলো রাখে,,,
তিথিঃ আমার অই প্যাকেট টা কই???
আবিরঃ কোন প্যাকেট????
তিথিঃ যেটায় আমার পুতুল রাখা আছে,,,
আবিরঃ তুমি পুতুল নিয়েছো??তুমি কি বাচ্চা???
তিথিঃ উফফ চুপ থাকেন তো মনে হয় ভিতরে ফেলে আসছি দাঁড়ান আমি নিয়ে আসি,,,
আবিরঃ লাগবে মা আমি যাচ্ছি,,,
তিথিঃ আপনি কিভাবে চিনবেন হু,,আমি যাচ্ছি আপনি থাকেন,,,
আবিরঃ তাড়াতাড়ি আসবে না হলে ফেলে চলে যাবো ওকে,,,
তিথিঃ ওকে ওকে হু,,,
তিথি হাঁটতে থাকে আর আবিরকে গালি দিতে থাকে,,,
তিথি মার্কেট এর ভিতরে যায়,,,কিন্তু ফিরে আর আসে না,,,কয়েক ঘন্টা হয়ে যায় তিথি এখনও আসে না,,,আবিরের চিন্তা হচ্ছে যে এতো ক্ষন তিথি কি করে,,,আরিশা আর আবির মিলে মার্কেট এর ভিতরে গিয়ে খুঁজতে থাকে কিন্তু তিথিকে কোথাও পায় নাই,,,
একটা শো রুমের পাশেই তিথি কিনা পুতুল পড়ে আছে এই দেখেই আবিরের মনে কেন জানি ভয় ডুকে যায়,,,চারপাশে তাকিয়ে দেখে মানুষ নিজেদের মত আছে কিন্তু তিথি নাই,,,,তিথি কোথায় যেতে পারে আবির ভাবতে থাকে,,,,
চলবে,,,,,,,,,