বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 13

তিথি টিস্যু নিয়ে মুখ মুছতে লাগে আর আবিরের দিকে তাকাতে থাকে আবির মুচকি মুচকি হাসছে,,,,
তিথি আবিরের দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে আবিরের হাসিটা যেন তার কাছে এই মুহূর্তে অনেক ভালো লাগে,,,
তিথিঃ(বাহা এই বজ্জাত দেখি হাসতে ও জানে)
তিথি তার মুখ ভালো ভাবে মুছে আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির এখনও হাসছে,,,
তিথিঃ স্যার আমার শেষ আপনার হাসি কি এইবার বন্ধ হবে???
আবিরঃ তুমি বাচ্চাদের মত খাও এইভাবে আল্লাহ,,,,ক্ষিধে পেয়েছে বলবে তো কিন্তু এইভাবে মিথ্যা বলে তাও এতো তাড়াতাড়ি খেয়ে নিজের মুখের অবস্থা করলে বারোটা,,,
তিথিঃ অনেক মজা লাগছে তাই না???
আবিরঃ না তো একদম না,,,আচ্ছা শুনো আমি রেস্টুরেন্ট এর মেনেজার এর সাথে কথা বলে আসি বিল তুমি চুপচাপ এখানে দাঁড়িয়ে থাকো ওকে,,,
তিথিঃ আপনার ছাতা??
আবিরঃ তোমার মাথায় ধরে রাখো যা খাওয়ার খাইলে না মনে যে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে?
তিথিঃ ওহ হ্যালো আমি ওতো খাই নাই ওকে,,,
আবিরঃ হুম দেখলাম কত খাইলে যাই হোক এখানে থাকো কোথাও যাইও না ওকে,,,
তিথিঃ হুম
আবির রেস্টুরেন্টে এর ভিতরে চলে যায়,,,
তিথি চারপাশটা ভালো করে খুজে দেখে বেশ সুন্দর সুইমিং পুল এর পাশে অনেক গুলো গুলো সাজানো টেবিল দেখে বুজা যাচ্ছে কাফেলদের জন্য,,,অনেক গুলো কাফেল তো বসে ও আছে,,,তিথি উঠে হাঁটা শুরু করে চারপাশটা ভালো করে তাকাচ্ছে,,,
কয়েকজন ছেলে পার্টি করছে,,একজনের নজর যায় তিথির উপর সে নিজ টেবিল থেকে উঠে তিথির কাছে যায়,,
মিরাজঃ হাই মিস
তিথি পিছনে থাকায় আবার আশেপাশে
মিরাজঃ আপনাকে বলছি,,,
তিথিঃ ওহ আচ্ছা বলুন,,,

মিরাজঃ কেমন আছেন??
তিথিঃ জ্বি ভালো আপনি কে?
মিরাজঃ পরিচয় হয়ে নিতে কত ক্ষন,,,আমি মিরাজ আপনি বুজি একা এসেছেন?
তিথিঃ কেন একা আসা যায় না বুজি?
মিরাজঃ না তা না কিন্তু একা আসলে আমি সঙ্গী হতে পারি,,,
তিথিঃ আমি বলেছি হতে?
মিরাজঃ আরে আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন?আমি তো ভালো বললাম আসলে আমি ও একা আপনি ও একা তো আমরা দুইজন এক সাথে আপনি চাইলে এই সুইমিং পুলে এক সাথে শাওয়ার নিতে পারি যদি আপনি রাজি থাকেন আর কি,,,
তিথি মুচকি হাসি দিয়ে ছাতাটা দিয়ে দেয় এক বারি,,,
মিরাজঃ এই কি করছেন আপনি???
তিথিঃ কিছু না একটু দেখতেছিলাম ছাতাটা ঠিক আছে কিনা আসলে খুলছে না তো তাই আর কি,,,
মিরাজঃ অহ নো প্রবলেম,,,তো কি বলেন আমার প্রস্তাবে রাজি?আপনি চাইলে এখানে একটা রুম ও বুক করতে পারি,,,
তিথিঃ রুম বুক করবি?
তিথি এই বলে উড়াধুড়া ছাতা দিয়ে পিঠানো শুরু করে দেয় ইচ্ছে মত মারতেছে সব মানুষ এক হয়,,,
মিরাজঃ পাগল নাকি
তিথিঃ তুই আমাকে আবার পাগল বলছিস আজ তোকে আমি দাঁড়া,,
তিথি পা থেকে জুতা খুলেই দেয় পিঠা জুতা আর ছাতা দিয়ে ইচ্ছে মত মারছে,,,,অনেক মানুষ ভিড় করে কারো কথাই তিথি শুনছে না,,,,বেচারার পুরো শরীর লাল করে ফেলে মারতে মারতে,,,মেনেজার দৌড়ে আসে
মেনেজারঃ ম্যাডাম কি হইছে আপনি এইভাবে পাবলিক এক করে কেন উনাকে মারছেন,,,
তিথিঃ এই লোক আমাকে প্রস্তাব দিয়েছে রুম ডেট করার জন্য তাই তাকে রুম ডেট আসলে কি তা বুজাচ্ছি আমার নিয়মে,,,
মেনেজারঃ ম্যাডাম প্লিজ এমন কান্ড করিয়েন না আর সব মানুষ ভিড় করেছে,,রেস্টুরেন্টের নাম খারাপ হবে প্লিজ ছেড়ে দেন উনাকে
তিথিঃ আরে দূর মিয়া চুপ থাকেন তো আগে উনাকে একটু সাইজ করে নেই আমি তারপর বলিয়েন,,,
তিথি কারো কথায় পাত্তা না দিয়ে ইচ্ছে মত মারতে থাকে,,,
এই দিকে আবির এসে তিথিকে টেবিলে না পেয়ে অবাক হয়ে যায় গেছে কই তিথি এই ভেবে,,,চারপাশে তাকিয়ে দেখে তিথি নাই আর আশ্চর্য কথা কেউ ও নাই সবাই গেলো কই
আবিরঃ এই মেয়ে আবার কই গেছে বলেছিলাম এখানে থাকতে আর সে কিনা উফফফ,,,
ওয়েটার একটা গ্লাস কিছু নিয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি আবির ডাক দেয়,,
আবিরঃ এই দিকে আসুন,,,
ওয়েটারঃ জ্বি স্যার
আবিরঃ এখানে একটা মেয়ে ছিলো কোথায় জানেন??
ওয়াটারঃ না স্যার কিন্তু হ্যাঁ ওই দিকে একটা মেয়ে একটা ছেলে অনেক মারতেছে ছাতা জুতা দিয়ে,,সবাই অইখানে মেনেজার সবাই থামাতে পারতেছে না কি মেয়ে রে বাবা স্যার কি শক্তি বলতে হবে,,
আবিরের আর বুজতে বাকি রইলো না যে মেয়েটা আসলে কে,,,তাড়াতাড়ি দৌড়ে যায় মানুষের ভিড়ের মধ্যে অনেক কষ্ট করে গিয়ে দেখে সত্যি মেয়েটা আর কেউ না তিথি,,,
আবিরঃ তিথি কি হচ্ছে কি???ছাড়ো ওকে
তিথিঃ না আজ ওকে আমি রুম ডেট শিখাবো,,
মেনেজারঃ স্যার প্লিজ উনাকে থামান না হলে আমার রেস্টুরেন্ট এর মান সম্মান সব নিবে প্লিজ স্যার
আবিরঃ তিথি থামতে বলছি কানে যায় না কথা(ধমক দিয়েই)
তিথি থেমে যায় ছেলেটার অবস্থা অনেক খারাপ,,,উঠে দাঁড়াতে পারতেছে না,,,মেনেজার আবিরের কাছে এসে বলে
মেনেজারঃ স্যার প্লিজ আপনার মিসেস কে একটু বুজান পাবলিক জায়গায় এইভাবে একটা ছেলেকে না মারতে এইভাবে
তিথি আর আবির অবাক হয়ে যায় মিসেস শুনে,,,
তিথিঃঅই মিসেস কে রে?আমাকে দেখে বুজা যাচ্ছে আমি বিবাহিত হ্যাঁ??? (ছাতাটা মেনেজার এর সামনে ধরে)
মেনেজার ভয় পেয়ে যায়,,,
মেনেজারঃ সরি সরি আপনার তাহলে স্যার এর জিএফ,,,
তিথিঃ একবারে মাথায় বারি দিয়ে মাথার সব গোবর বের করে দিবো,,,তোকে কেউ বলছে আমি উনার জিএফ হ্যাঁ??
আবিরঃ তিথি চুপ,,,মেনেজার উনাকে মেডিকেল নিয়ে যান আর আমার কার্ড এইটা মেডিকেল এর আব বিল আমার এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন,,,
তিথিঃ আপনি জানেন না কি করছে
তিথিঃ চুপ থাকতে বলেছি,,,
তিথি চুপ হয়ে যায়,,সবাই চলে যায় মেনেজার ছেলেটিকে তুলে আসতে আসতে নিয়ে যায়৷,
তিথি ছাতাটার দিকে তাকিয়ে দেখে পুরো ছাতা ভেঙ্গে গেছে আবার জুতা ও ছিড়ে গেছে আবিরের দিকে তাকাচ্ছে আবার জুতা আর ছাতার দিকে,,,
আবিরঃ গুন্ডি যে এক নাম্বারের সন্দেহ নাই আর,,,
তিথিঃ কিছু বললেন??
আবিরঃ না কিছু না জুতা যে ছিড়লে এখন হাঁটবে কিভাবে?
তিথিঃ তাই তো ভাবতেছি,,,,
আবিরঃ অহ আচ্ছা ওকে ভাবো তাহলে আমি গেলাম
তিথিঃ কই যান আপনি???
আবিরঃ সারাদিন কি এখানে থাকবো????
তিথিঃ তো আমাকে ছেড়ে যান কই?

আবিরঃ হুম চলো
তিথি আবিরের পিছনে পিছনে যায়,,আবির ড্রাইভ করছে আর তিথির দিকে তাকাচ্ছে তিথি গভীর ভাবে কি যেন চিন্তা করছে,,,,
আবিরঃ কি ভাবো?
তিথিঃ এই যে আমার এতো দামী জুতা ছিড়ে গেলো অই ফাজিল ছেলেটার জন্য এখন কি করবো???
আবিরঃ অহ আচ্ছা কত দাম ছিলো এতো যে গভীর ভাবে চিন্তায় ডুবে আছো???
তিথিঃ অনেক দাম অনেক আপনি জেনে কি করবেন হু,,,
আবিরঃ কত শুনি আমি
তিথিঃ ৩০০ টাকা (অনেক টা ভাব নিয়ে)
আবির তিথির কথা শুনে চুপ হয়ে যায় তিথির দিকে তাকিয়ে আছে
আবিরঃ বাহা অনেক দাম তো এতো দামী জুতা আজ পর্যন্ত আমি পড়ি নাই,,,
তিথিঃ আরে স্যার এতো দামী জুতা সবাই পড়তে পারে না হুম,,,
আবিরঃ হুম সেটায়,,,,
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে ভাবে এই মেয়ে আসলে কি,,,,
কিছু ক্ষন পর একটা শপিং মলের সামনে গাড়ি থামায়,,,তিথি গাড়ির গ্লাস নামিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে দেখে শপিং মল
তিথিঃ আমরা এখানে কেন আসছি?
আবিরঃ আপনার জন্য ভালো দেখে জুতা নেওয়ার জন্য যাতে নেক্সট টাইম কাউকে মারলে ও ছিড়ে,,,,
তিথিঃ কিন্তু এতো বড় শপিং মলে কেন?রাস্তার পাশের দোকান গুলোতে ভালো জুতা পাওয়া যায়,,,
আবিরঃ এই জন্য তো অল্প মারাতে ছিড়ে গেছে,,,
তিথিঃ অইগুলা দিয়ে আরো মারা যাইতো আপনার জন্য পারি নাই যে হু,,,
আবিরঃ হুম বুজছি আচ্ছা চলো,,,
আবির আর তিথি শপিং মলে যায়,,,একটা জুতার দোকানে অনেক দামি দামি জুতা তিথি হা করে তাকাই আছে অনেক গুলো জুতা অনেক ডিজাইন এর,,,,
তিথিঃ এতো জুতা???
আবিরঃ যেটা পছন্দ হয় নিয়ে নাও,,,
তিথিঃ ভাই ৪-৫০০ টাকার মধ্যে ভালো থেকে জুতা দেখান,,,
লোক গুলো সবাই আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে আর আবির তিথির দিকে,,,,আবির একজন কে ইশারা করে ডেকে বলে
আবিরঃ ম্যাডাম যা যা চায় দিয়ে দেন বিল এর চিন্তা করিয়েন না আমি দিয়ে দিবো উনি যা দেয় তা নিয়ে নিবেন ওকে,,,
একজনঃ আচ্ছা স্যার আপনি যা বলেন,,,
তিথি এক জোড়া জুতা পায়ে দিয়ে হাঁটে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে,,,,,কিন্তু বেশি উঁচু হওয়ায় তিথি খুলে ফেলে,,আর এক জোড়া যখন পায়ে দিতে যায় দোকান এর লোক একটা এসে জুতা গুলো নিয়ে তিথির পায়ে দিতে লাগে
তিথিঃ আরে কি করছেন পায়ে কেন হাত দিচ্ছেন আজিব,,

আবির সামনে এসে বলে
আবিরঃ কি হইছে?
তিথিঃ দেখুন না উনি আমাকে জুতা পড়িয়ে দিচ্ছে,,
দোকান এর লোকটিঃ স্যার আমি তো ভাবছি ম্যাডাম হয়তো,,,
আবিরঃ আমাকে দেন,,,
আবির জুতা গুলো নিয়ে তিথির হাতে দিয়ে বলে
আবিরঃ বসে পড়ে নাও তাহলে পারবে,,,আর আপনি (লোকটিকে ইশারা করে) মেয়েদের পায়ে কখনো হাত দিবেন না সহজে,,,জুতা হোক বা না হোক ওদের টা ওদের দিবেন পড়তে,,
লোকটিঃ জ্বি স্যার
তিথিঃ আচ্ছা এই গুলোর দাম কত??
আবিরঃ নেওয়ার আছে নিয়ে নাও কত না বাড়িয়ে,,
লোকটিঃ ম্যাডাম আপনি যত দেন,,
তিথিঃ ৪০০ হবে???
লোকটি আবিরের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে বলে হবে,,,,তিথি জুতা গুলো নিয়ে আবিরের সামনে অনেক বাহাদুরি করে দেখাই বলে
তিথিঃ কিনাকাটি এতো সহজ না,,সবার পক্ষে সম্ভব না এতো কম দামে ভালো জিনিস কিনার,,
আবিরঃ হ্যাঁ সেটায়,,,এখন কি যাওয়া যায় আমার কাজ আছে আর তোমার এইসব বন্ধ করে হাঁটা শুরু করো,,
আবির আর তিথি হাঁটা শুরু করে শপিং মল থেকে বের হতেই তিথির নজর যায় ফুচকার দিকে ফুচকা দেখেই দৌড়ে যায় গিয়েই বলে
তিথিঃ মামা এক প্লেট ঝাল করে ফুচকা বানান তো
আবির তিথিকে বলে
আবিরঃ পাগল নাকি তুমি??? রাস্তার পাশ থেকে কেন খাচ্ছো পেট খারাপ হওয়ার জন্য,,, আর তুমি না একটু আগে এতো গুলো খেলে আবার ক্ষিধে ও পেয়ে গেলেো???
তিথিঃ দেখুন ফুচকা খেতে ক্ষিধে লাগে না,,,আর আমার সব খাবার হজম হয়ে গেছে অই বেয়াদব ছেলেটাকে মারাতে,,,,আপনি খাবেন?
আবিরঃ না আমি খাই না তুমি খাও
তিথি ফুচকা নিয়েই খেতে লাগে,,,ঝালে নাক মুখ থেকে পানি পড়ে চোখ থেকে ও পানি পড়ছে তবুও সে খাচ্ছে,,,ঝালে পুরো মুখ লাল হয়ে যায়,,, আবির তিথির দিকে তাকিয়ে আছে মুখ পুরো লাল হয়ে যায় তবুও তিথি খাচ্ছে চোখ অফ করে,,,কেন জানি তিথিকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে এই মুহূর্তে আবিরের কাছে,,,
তিথিঃ স্যার একটা খেয়েই দেখেন হেব্বি বানাই মামাটা ফুচকা ,,
আবিরঃ না আমি খাবো না তুমি খাও,
তিথিঃ আপনি খাইতে জানলে নাকি খাবেন আপনি তো এলিয়েন যে খাবেন না হু,,,
আবিরঃ হুম ভালো
তিথিঃ আপনার তো খাওয়ার রুচি নাই,,পারেন শুধু ঘ্যানঘ্যান করতে হু
আবিরঃ ওকে মামা এক প্লেট ফুচকা বানান কিন্তু ঝাল একদম কম,,
তিথি আবিরের দিকে কোণা চোখে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ স্যার আমার জন্য প্লিজ পানি নিয়ে আসুন প্লিজ স্যার অনেক ঝাল লাগছে,,
আবিরঃ তুমি আমাকে অর্ডার করছো???
তিথিঃ আরে ছি ছি আমি আপনাকে অর্ডার করতে পারি এতো বড় সাহস আমার কি আছে???স্যার আমি তো আপনাকে বলছি মানবতার জন্য
আবির পানি আনতে চলে যায় এই দিকে
তিথিঃ মামা অনেক ঝাল দিবেন এতো যে একটা খাইলে যেন চাঁদ এর দেশে ঘুরে আসতে পারে,,,
ফুচকাওয়ালাঃ কিন্তু স্যার তো বলেছে কম দিতে
তিথিঃ আরে মামা স্যার এমন আপনার দেওয়ার আছে দেন তো,,যদি ঝাল না হয় না মামা এক টাকা ও দিবো না হুম,,,
ফুচকাওয়ালা তিথির কথা মত ফুচকাতে অনেক ঝাল দেয়,,,
এই দিকে আবির পানির বোতল এনে তিথিকে দেয়,,,ফুচকাওয়ালা আবিরকে ফুচকার প্লেট দেওয়ার পর আবির একটা মুখে দিয়ে আর নাই নিজের মধ্যে,,,,ঝালে যেন চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে তাড়াতাড়ি তিথির হাত থেকে পানির বোতল ঝাপটা মেরে কেড়ে নিয়ে পানি খাওয়া শুরু করে দেয়,,তিথি মুখ চেপে হাসতে থাকে
আবিরঃ এতো ঝাল এর মানে কি???(প্রচুর রেগে গিয়ে)
তিথিঃ আরে উনাকে কেন বকছেন আপনি তো বললেন
আবিরঃ উফফফ মনে হচ্ছে মরিচ সব দিয়ে দিচ্ছে,,
আবির ঝালে চটপট করছে পানি এমন ভাবে খাচ্ছে যে তার শার্ট পর্যন্ত ভিজে গেছে অনেকটা,,,
তিথি ফুচকাওয়ালা থেকে আর এক বোতল নিয়ে আবিরকে দেয় মুখ চেপে হাসছে আবিরের কান্ড দেখে,,,,
কয়েক মিনিট পর আবির গাড়িতে গিয়ে বসে পানি খাচ্ছে আর জিভ বের করে বাতাস লাগাছে জিভে আর এইসব দেখে তিথি বেশ মজা নেয়,,,তিথি ফুচকাওয়ালা কে টাকা দিয়ে এসেই গাড়িতে উঠে বসে,,
তিথিঃ আমরা কি অফিসে যাবো এখন???
আবিরঃ না আমি বাসায় যাবো এর আগে তোমায় নামিয়ে দিয়ে,,,

তিথিঃ ওকে স্যার
আবির ড্রাইভ করছে এক হাতে আর এক হাতে পানি খাচ্ছে ঝালে তার অবস্থা খারাপ তিথি আবিরের এই সব দেখে অন্য দিকে ফিরে বলে
তিথিঃ(আমার সাথে লাগতে আসছিলে তাই না বজ্জাত বস এইটা তো শুধু ট্রেলার ছিলো ফিকচার শুরু করলে না তিথির নাম আজীবন মনে রাখবে হু)
আবির তিথির দিকে কোণা চোখে তাকিয়ে দেখে তিথি কেমন ভাবে যেন হাসছে তবুও কিছু বলে না,,,
আবিরঃ তোমার বাসা আর কত দূর?
তিথিঃ আগে গিয়ে লেফট তাহলে আসবে
কিছু ক্ষন পর আবির আর তিথি এসে যায় তিথি গাড়ি থেকে নেমে দেখে আবিরের অবস্থা আসলেই খুব খারাপ মুখ আগে থেকে লাল হয়ে গেছে,,মুখে কেমন যেন লাল লাল চাপ পড়ে গেছে তিথির এইসব দেখে ভয় লাগে,,
তিথিঃ স্যার আপনি আমার সাথে আমাদের বাসায় আসুন কিছু ক্ষন পর চলে যাইয়েন,,
আবিরঃ না না আমি ঠিক আছি,,আসলে ঝালে আমার এলার্জি আছে,,,বেশি ঝাল খেলে আমার সমস্যা হয়,,,
কথাটা শুনে তিথি আরো ভয় পেয়ে যায়,,,
তিথিঃ প্লিজ স্যার আমার কথা শুনুন প্লিজ আমার সাথে চলুন আপনার ভালো লাগলে চলে যাইয়েন
আবির তিথির কথা শুনে তিথির সাথে তার বাসায় যায় আবির হাঁটতে পর্যন্ত পারছে না শরীর এতো কাঁপছে যায়,,,তিথি ধরে ধরে নিয়ে যায়,,
দরজায় নক দেওয়ায় মা এসে খুলে দেয়,,,খুলে দেখে তিথি একটার হাত নিজের ঘাড়ের পিছনে রেখে ছেলেটিকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে ছেলেটির শার্ট পুরো ভিজা মুখের অবস্থা খুব খারাপ লাল লাল চাপ পড়ে গেছে পুরো মুখে,,,
চলবে,,,,,,,,,