বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 11
তিথির শরীর পুরো দুর্বল হয়ে যায় সারাদিন না খাওয়ায়,,চেহারা টা পুরো শুকিয়ে যায়,,দাঁড়াতে পর্যন্ত কষ্ট হচ্ছে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকার কারনে,,,চোখ গুলো ও ঝাপসা হয়ে আসছে,,,
আবির বাড়ি চলে যায়,,,
এই দিকে
তিথি বাসায় এসে শাওয়ার নিয়ে খেতে বসে,,কারো সাথে তেমন কথা না বলে খেয়ে উঠে যায় ওষুধ খেয়েই শুয়ে পড়ে,,পা প্রচুর ব্যাথা করছে পা ব্যাথায় তার খুব কান্না পাচ্ছে,,,,কিছু ক্ষনে ঘুমিয়ে পড়ে,,,
তারপরের দিন তিথি অফিস যায় না,,,শরীর টা খারাপ লাগায় সে অফিস না গিয়ে ঘুমাচ্ছে,,,
আবির অফিসে এসে দেখে তিথি আসে নাই অফিসে সে তিথিকে খুজে কয়েকবার কিন্তু তিথি এখনও আসে নাই দেখে রেগে যায়,,দুপুরের ১ টা বেজে যায় আবির ম্যানেজার কে ডেকে বলে
আবিরঃ আজ মিস তিথি আসে নাই কেন?
ম্যানেজারঃ না আজ আসে নাই,,
আবিরঃ আসে নাই কেন তা জিজ্ঞেস করলাম,,,,
ম্যানেজারঃ তা জানি না স্যার
আবিরঃ তাহলে জানেন কি আপনি হ্যাঁ? (চিৎকার দিয়ে)
ম্যানেজারঃ সত্যি স্যার আমি জানি না,,,আমি জেনে বলছি৷
আবিরঃ নাম্বার এনে দেন,,,
ম্যানেজার তিথির নাম্বার এনে দেয়,,,আবির তিথিকে কল দেয় কিন্তু তিথি ধরে নাই,,, আবিরের খুব রাগ লাগে এক তো অফিস আসে নাই তার উপরে আবার কল ধরছে না,,
তিথি অনেক দেরি করে ঘুম থেকে উঠে,,, অনেক টা ফ্রেশ লাগছে আজ তার,,,,,উঠে কিছু খেয়ে বারান্দায় বসে থাকে
তিথি সারাদিন আজ নিজের মত ছিলো৷৷ ফোন হাতে নিয়ে দেখে অপরিচিত নাম্বার তখন বুজে নেয় হয়তো অফিস থেকে তাই সে আবার ফোন টা রেখে দেয় আর নিজের মত থাকে,,,সারাদিন নিজেকে সময় দেয় আজ তিথি,,,এইভাবে কেটে যায় দিনটি,,,,
পরের দিন সকালে তিথি অফিসে যায় গিয়ে দেখে ম্যানেজার প্রচুর রেগে আছে, রাগে তিথির সামনে এসে বলে
ম্যানেজারঃ কাল আসেন নাই কেন আপনি?
তিথিঃ আপনার বউয়ের বিয়ে ছিলো তাই,,, (পাত্তা না দিয়েই)
ম্যানেজারঃ কি??আপনার মত বেয়াদব আমি একটা ও দেখি নাই,৷ যা বলছি তার উত্তর দেন,,ফালতু কথা না বলে,,,
তিথিঃ অসুস্থ ছিলাম একটু তাই আসি নাই,,,কাজ ছিলো কি?
ম্যানেজারঃ আবির স্যার আপনার খুজ নিয়েছে বলেছে আপনি অফিসে আসলে উনার সাথে দেখা করতে
তিথিঃ হ্যাঁ আজ নতুন ড্রামা করাবে আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আবার হু,,,
ম্যানেজারঃ কিছু বললেন?
তিথিঃ জ্বি না
তিথি চলে যায়,,,ম্যানেজার রেগে অইখান থেকে চলে যায় যদ তিথি কথা ঠিক করে বলে না কিছু জিজ্ঞেস করলে উল্টো বলে,,,তিথি তার টেবিলের কাছে গিয়ে ব্যাগ রেখে আবিরের কেবিনে যায়,,
তিথিঃ আসবো স্যার?
আবিরঃ কাল আসো নাই কেন?
তিথিঃ অসুস্থ ছিলাম একটু তাই,,,
আবিরঃ ফোন কই ছিলো এতো কল দিলাম রিসিভ কেন করো নাই???
তিথিঃ ওহ আচ্ছা অইটা আপনি ছিলেন আমি ভেবেছি কে না কে তাই
আবিরঃ তো কাজ কি থাকতে পারে না,,,কল টা ধরলে সমস্যা কি হতো হ্যাঁ???
তিথিঃ সরি স্যার বুজতে পারি নাই,,,আগে থেকে এমন হবে না,,,
আবিরঃ হুম বুজেছি এই ফাইল গুলো নিয়ে যাও আর তাড়াতাড়ি করে আনো
তিথি ফাইল গুলো নিয়ে নিজের টেবিলে যায় খুব রাগ লাগে আবিরের উপর সব সময় এতো কাজ করায়,,
এই ভাবে ২ মাস কেটে যায়,,,এই ২ মাসে আবির তিথিকে কিছু না কিছু দিয়ে অত্যাচার করে কাজে,,,,তিথি ও মাঝে মধ্যে এমন কাজ করে যে আবির আর কাজ সহজে দেয় না,,,,আবির আগে থেকে কিছু টা নরমাল হয় তিথির সাথে তেমন একটা অত্যাচার করে না,,
তিথির সাথে আমানের বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে আমান আর তিথি আগে থেকে অনেক ভালো বন্ধু হয়ে যায়,,,,
আমান আবিরের সাথে কথা বলে এসে তিথির সামনে গিয়ে দেখে তিথি কাজ করছে,,,
আমানঃ ওহ ম্যাডাম আপনি কি আজ সব কাজ করবেন?
তিথিঃ আপনার অই খবিশ বজ্জাত বস আমাকে ফ্রি বসে থাকতে দেখলে তার পেটের ভাত হজম হয় না তাই আর কি এতো কাজ দেয়,,
তিথির কথা শুনে আমান হেসে দেয়,,,
আমানঃ আচ্ছা আমি দুইটা কফি নিয়ে আসি,,,আর লাঞ্চ এর টাইম ও শেষ লাঞ্চ কি করেছিলে?
তিথিঃ না এই ফাইল টা ঠিক করে তারপর যাবো,,,
আমানঃ মানে কি তিথি এখনও খাও নাই এই জন্য এমন অবস্থা উঠো
তিথিঃ আরে আমান একটু পরে খাবো সত্যি,,
আমানঃ চুপ একদম আমার সাথে চলো
তিথিঃ অই বজ্জাত বকা দিবে,,তারভই বজ্জাত এর লেকচার শুনার ইচ্ছে নাই,,কাজ করেই যাবো
আমানঃ আমি আছি ওকে,,
আমান জোর করে তিথিকে নিয়ে যায়,,,দুইজনে বসে লাঞ্চ করতে থাকে,,
তিথিঃ তুমি না লাঞ্চ করলে?
আমানঃ তোমাকে কম্পানি দিলাম যদি মাইন্ড করো
তিথিঃ হাহা,,
আমান ও হেসে দেয়,,দুইজনে হেসে কথা বলছে আর লাঞ্চ করছে,,তাদের এই সব কিছু দেখে আবিরের রাগ লাগছে,,,আবিরের রাগ টা তিথির সাথে কাউকে দেখে না আমান তিথিকে তার থেকে ইম্পর্টেন্ট দিচ্ছে তাতে কিছু সে জানে না কিন্তু কেন জানি খারাপ লাগছে দুইজন কে এক সাথে দেখে,,,
আবির নিজের কেবিনে গিয়ে ভাবে কত অত্যাচার করেছে তিথিকে তবুও তিথি সহ্য করে আছে আর আমান তাকে এতো সার্পোট কেন করছে,,আবির এইসব ভাবতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে আসলে আমান তিথির মধ্যে কি চলছে,,,
সন্ধ্যায় অফিস ছুটির পর তিথি দাঁড়িয়ে আছে অফিসের বাহিরে আমান তার গাড়ি নিয়ে যাচ্ছে তিথিকে দেখে গাড়ি থামিয়ে বলে
আমানঃ চলো আমি পৌছাই দেই,,
তিথিঃ আরে না আমান আমি চলে যেতে পারবো তুমি যাও,,
আমানঃ বাহা বন্ধু ভাবো আবার এইভাবে তাড়িয়ে দিচ্ছো,,,
তিথিঃ তাড়াচ্ছি কই?
আমানঃ এই যে এখন?
তিথিঃ আরে দূর এমন কিছু না,,ওকে যাচ্ছি হেপ্পি?
আমানঃ এখন হলো তো লক্ষি মেয়ের কাজ,,
তিথিঃ হাহা
তিথি আমানের গাড়িতে উঠে আমান গাড়ি ছেড়ে দেয়,,,
আবির তিথিকে আমানের গাড়িতে উঠতে দেখে কিছু টা অবাক হয়,,,আমান আর তিথি এক সাথে যাচ্ছে এইটা কেমন যেন লাগে আবিরের কাছে তবুও কেয়ার না করে সে চলে যায়,,,
আমান তিথিকে তার বাসার সামনে ছেড়ে চলে যায়,,,তিথি ও তার বাসায় গিয়ে দেখে সবাই বসে আছে
তিথিঃ কি ব্যাপার জনগণ আজ সবাই এক সাথে?
মাঃ তোর ভাই সে কখন থেকে কান্না করছে,,,,
তিথিঃ ওমা কেন?
মাঃ তার কাল জন্মদিন তাকে ঘুরতে নিয়ে যেতাম একটা ভালো রেস্টুরেন্টে নাকি তার জন্মদিন পালন করতাম এমন হয় নাকি এতো খরচ কে করবে,,এই ছেলে কিছু বুজে না কেন বুজি না,,,
তিথি সামিরের কাছে এসে বসে,,জড়িয়ে ধরে বলে
তিথিঃ অই কালু শুন
সামিরঃ একদম কালু ডাকবি না তোর থেকে আমার নাম সুন্দর ওকে,,,
তিথিঃ বাবা রে ছেলে তো দেখি প্রচুর গরম,,,আচ্ছা শুন যদি কাল আমরা একটা ভালো রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাঞ্চ করি কেক কাটি পার্কে ঘুরতে যাই মানে পুরো দিন বাহিরে ঘুরে বেড়াই তাহলে কেমন হবে বল তো?
সামির খুশি হয়ে তিথিকে জড়িয়ে ধরে,, গালে চুমু দিয়ে বলে
সামিরঃ তুই বেস্ট আপু আমার,,,
তিথিঃ কেউ একটু আগে বলেছে যে আমার থেকে নাকি তার নাম সুন্দর এখন???
সামিরঃ আরে অইটা তো এমনি তুই তো অনেক সুন্দর এতো সুন্দর যে তোর প্রিয় কাক গুলো ও লজ্জা পাবে,,
তিথিঃ বদমাশ ছেলে আমার সাথে ফাজলামি হচ্ছে
তিথি সামিরকে হালকা মারতে থাকে দুইজনে দুষ্টুমি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,কিছু ক্ষন ভাই বোন ফাজলামি করে,,
তিথিঃ যা কাল কি ড্রেস পড়বি বের করে রাখ,,আর হ্যাঁ শুন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যা সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে
সামিরঃ লাভ ইউ আপু,,,
তিথিঃ লাভ ইউ টু কালু,,,
সামির চলে যায়,,,তিথি নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বসে তখন মা তার জন্য চা নিয়ে এসে পাশে বসে,,
মাঃ ওকে মিথ্যা আশা দেওয়ার কি দরকার ছিলো তিথি,,,
তিথিঃ কিসের মিথ্যা আশা মামনি,,,
মাঃ এই যে কাল আমরা বেড়াতে যাবো বাহিরে?
তিথিঃ আমরা তো কাল সত্যি বেড়াতে যাবো,,মামনি আমার ভাইয়ের জন্মদিন একটা দিন তো সে চেয়েছে একটু নিজের মত অই দিন পালন করতে দাও প্লিজ
মাঃ সংসার এর খরচ বাড়ি ভাড়া তোর বাবার ওষুধ ওর পড়ালেখা সব একা সামলাস আবার এই ঝামেলা
তিথিঃ আমার ভাইয়ের খুশির জন্য কিছু না টাকা,,,আর হ্যাঁ কাল কিন্তু অই শাড়িটা পড়বে যেটা বাবা দিয়েছে গতবার একবার ও পড়ো নাই হু,,,
মাঃ আর তোর তো অফিস আছে কাল,,
তিথিঃ আরে দূর কিছু হবে না আমি কথা বলে নিবো বলবো কিছু একটা,,,
মা চলে যায় তিথি একটা বই নিয়ে পড়তে লাগে,,,বই পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে যায় জানে ও না,,
সকালে
আজ তিথি সবার আগে উঠে,,,বাহিরে তাকিয়ে দেখে হালকা আলো মানে এখনও পুরো সকাল হয় নাই,,,সামিরের রুমে গিয়ে দেখে সামির ঘুম কপালে চুমু দিয়ে বলে
তিথিঃ শুভ জন্মদিন কলিজার টুকরা,,,জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা আমার কালু,,,
তিথি সামিরের মাথায় হাত বুলাতে থাকে,,তিথি তার ভাইকে অনেক ভালোবাসে ছোট থেকে বুকে আগলে রেখেছে যা যা চেয়েছে সব দেওয়ার চেস্টা করেছে,,,যদিও ভাই বোন এক সাথে প্রচুর ঝগড়া করে কিন্তু একে অপরকে অনেক ভালোবাসে,,,
সকাল ৮ টা বেজে যায়,,,
তিথিঃ ওই কালু উঠ আজ না তোর জন্মদিন আর আমরা বেড়াতে যাবো তাড়াতাড়ি উঠ,,,
সামির উঠে দেখে একটা গিফট সামনে,,,তিথি গালে হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ আজ লেট করবি তো যাওয়া কেনচেল ওকে,,
সামিরঃ গিফট আমার জন্য???
তিথিঃ হুম তোর জন্য এখন তাড়াতাড়ি কর ভাই,,,
সামিরঃ লাভ ইউ আপু
মা এসে দেখে ভাই বোন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কথা বলছে,,,
মাঃ এখনও উঠস নাই তোরা তাড়াতাড়ি রেডি তো হবি,,,,
তিথিঃ সামির তাড়াতাড়ি কর আমি রেডি হয়ে আসি,,,
তিথি নিজের রুমে চলে যায়,,রেডি হয়ে নেয় আর দেখে ঘড়িতে ৯ টা বেজে আসছে মানে অফিস এর টাইম হয়ে আসছে কিন্তু আজ তো অফিসে সে যাবে না মানে কিছু একটা বলে তারপর ছুটি নিতে হবে,,,
তিথি রেডি হয়ে আয়নার সামনে বসে লিপস্টিক হাতে নিয়ে কল দেয় ম্যানেজার কে,,,
ম্যানেজারঃ হ্যালো কে?
তিথিঃ স্যার আ,,,,মি স্যার আমার খুব জ্বর আমি আজ অফিসে আসতে পারবো না প্লিজ একটু ম্যানেজ করে নিয়েন,,
ম্যানেজারঃ কিন্তু আবির স্যার যদি বকে,,
তিথিঃ উনাকে বলবেন যে আমি অসুস্থ তাই,,,প্লিজ স্যার আপনি তো কত ভালো কত কিউট সুইট আপনি তো চাইলে ম্যানেজ করতে পারবেন তাই না স্যার (যা অভিনয় করে বলে)
ম্যানেজারঃ হইছে হইছে আর পাম দিতে হবে না,,ওকে আমি ম্যানেজ করে নিবো
কল কাটার পর লিপস্টিক ঠোঁটে দিচ্ছে আর আয়নায় দেখে বলে
তিথিঃ বেকুব কে বেকুব বানাতে কি না মজা লাগে হাহা
তিথি লিপস্টিক দিয়ে হেসে উঠে নিজে নিজে,,
মা বাবা সামির সবাই রেডি হয়ে যায় তিথি ও হয়ে বের হয়,,সবাই মিলে একটা পার্কে আগে ঘুরতে যায়,,,
এই দিকে আবির অফিসে এসে দেখে তিথি আসে নাই,,
আবিরঃ ম্যানেজার আজ তিথি আসে নাই??
ম্যানেজারঃ না স্যার তিথি অসুস্থ,,,
আবিরঃ অহ আচ্ছা,,,,আর আমান কই আজ?
ম্যানেজারঃ আমান স্যার কেন আসে নাই তা তো জানি না,,,,
আবিরঃ অহ আচ্ছা,,,
আবির কিছু ক্ষন কাজ করে নেয়,,,তারপর একটা মিটিং শুরু করে,,
দুপুর হয়ে আসে পার্ক থেকে তিথি আর সবাই মিলে একটা রেস্টুরেন্টে যায় সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে নেয়,,,,
সামিরঃ আপু কেক???
তিথিঃ ওহ ভাই মাত্র লাঞ্চ করলি কেক বিকালে পেট ফুটবে এখন খেলে,,,অপেক্ষা কর
দুপুরের খাওয়ার পর সবাই উঠে যায়,,
তিথি আর সবাই যেতে লাগে রেস্টুরেন্ট এর বাহিরে আমানকে দেখে একটা মেয়ের সাথে,,,তিথি কিছু টা অবাক হয় কারণ মেয়েটা আমানের হাত ধরে বসা,,
আমান অই মেয়েটার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে হুট করে নজর যায় তিথির দিকে,,,কিছু টা অবাক হয় আবার দেখে তিথি মুখ সরিয়ে নিচ্ছে
তিথিঃ আমি যে অসুস্থ তা মিথ্যা বলছি আমান তো বুজে যাবে,,আল্লাহ রে বাঁচাও,,,
তিথি কে দেখে আমান উঠে যায় পাশে থাকা মেয়েটাকে বলে
আমানঃ এক মিনিট আসছি,,,,
আমান তিথির সামনে গিয়ে বলে
আমানঃ অই তিথি মুখ কেন লুকাচ্ছো?
তিথি ফিরে আমানকে বলে
তিথিঃ আরে আমান কেমন আছো?
আমানঃ ভালো তো আছি কিন্তু তুমি এখানে?
তিথিঃ হুম আজ ছোট ভাইয়ের জন্মদিন তাই,প্লিজ আবির স্যার কে বলিও না
আমানঃ ওকে
তিথিঃআর তুমি এখানে কি করো আর অই মেয়েটা কে হ্যাঁ?
আমানঃ পরিচয় হবা? আচ্ছা আসো,,,,
তিথিঃ আরে দাড়াও মামনি আর বাবাকে বলি ওরা যাওয়ার জন্য সামনের পার্কে
আমানঃ ওকে ওরা ও এসেছে?
তিথিঃ হুম দুই মিনিট ওকে,,,
তিথি তার মা আর বাবার কাছে গিয়ে বলে
তিথিঃ বাবা তুমি মামনি আর সামিরকে নিয়ে পার্কে যাও আমি কেক নিয়ে আসছি আর অফিসের বস এর সাথে দেখা হইছে একটু কথা বলে আমি পার্কে আসতেছি
বাবাঃ ওকে তাড়াতাড়ি আয়,,,,
বাবা আর মা চলে যায় সামির নিয়ে,,,
তিথি আমানের কাছে এসে বলে
তিথিঃ হুম বলো
আমানঃ চলো আমার সাথে
আমান তিথিকে নিয়ে যায় অই মেয়েটার কাছে,,মেয়েটা দেখতে বেশ সুন্দর,,,তিথিকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়
আমানঃ বসো ওর নাম তিথি আমাদের অফিসে কাজ করে আর আমার ভালো বন্ধু ও হয়ে গেছে ধরতে গেলে,,
মেয়েটা তিথিকে সালাম দেয়,,তিথি সালাম নেয়
আমানঃ আর তিথি ওর নাম তাবাসুম তিশা,,,আমরা দুইজন দুইজনকে ভালোবাসি অনেক আমাদের ২ বছর ধরে সম্পর্ক কিন্তু কেউ জানে না,,আজ তুমি জানলে না হলে কেউ জানে না,,
তিথিঃ অই বজ্জাত বস ও না???
আমানঃ না আসলে কাউকে জানানো হয় নাই,,কিন্তু তাড়াতাড়ি বলবো সবাই কে কারন তিশার ডাক্তারি শেষ হয়ে আসছে
তিথিঃ ওহ ডাক্তার সাহেবা বাহা
তিশাঃ তুমি অনেক কিউট তিথি,,আমানের কাছে কত শুনেছি তোমার কথা কিন্তু দেখা হয় নাই আফসোস ছিলো আজ তা হলো দেখা
তিথিঃ আর তুমি তো পুরো কিউট এর ডিব্বা,,কিন্তু এই আমান আমাকে বলে নাই হু,,
তিশাঃ আসলে আমি বারন করেছি কাউকে না বলতে আমান তো চেয়েছে সবাই কে বলতে কিন্তু আমার জন্য বলে নাই,,,
আমানঃ তিথি আসলে তিশার মা-বাবা নাই সে তার চাচা-চাচির কাছে থেকে পড়াশুনা করছে একবার ডাক্তারি শেষ করলে আমরা সবাইকে জানাবো আর আমার ফ্যামিলি তো রাজি হবে তা জানি কারণ তারা আমার পছন্দ কে আগে ইম্পর্টেন্ট দিবে,,
তিথিঃ হুম দোয়া করি,,,
আমান তিথি তিশা তারা গল্প করতে থাকে কিছু ক্ষন,,,
এইদিকে আবির মিটিং শেষ করে আজ তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হয়ে যায়,,,আবির রেস্টুরেন্ট এর সামনে এসে গাড়ি থামায় কারন অইখানে আমানের গাড়ি দেখতে পায়,,আমানকে কল ও দিচ্ছে কিন্তু আমান বলেছে তার কাজ আছে সে ব্যস্ত,,,আবির গাড়ি সাইট করে রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে যায় এই দেখতে আমান কি কাজে এতো ব্যস্ত যে তার সাথে ফোনে কথা ও বলেই ঠিক করে,,,
এইদিকে,,,,
তিশা আমানকে বলে
তিশাঃ আমি ওয়াশরুম থেকে আসি,,
আমানঃ ওকে যাও,,আর তিথি কিছু খাবে?
তিথিঃ পেট ফুল আমার আচ্ছা আমাকে তোমাদের প্রেমের কাহিনী টা তো শুনাও,,আমার বেশ ভালো লাগে শুনতে,,,
আমান হেসে দেয় তিথিকে বলতে থাকে সব,,,
আমান আর তিথি কথা বলতে থাকে আর তিশা ওয়াশরুমে যায়,,,আমান তিথি দুইজন এক সাথে কথা বলছে,, আবির আমান তিথিকে এক সাথে দেখে চমকে যায় অনেক,,,
আবিরঃ তিথির নাকি গায়ে জ্বর আর সে এখানে তাও আবার আমানের সাথে,,,,, ওরা দুইজন এই রেস্টুরেন্টে তাও আবার এই সময়ে???
তিথি আমানের সাথে হেসে কথা বলে,,দুইজনে অনেক হাসাহাসি করছে,,,এইসব দেখে আবিরের খুব রাগ উঠে যে আজ তিথি মিথ্যা বলে অফিসে আসে নাই কিন্তু আমানের সাথে রেস্টুরেন্টে দেখা করছে খাচ্ছে হাসাহাসি করছে এই সব দেখে আবিরের খুব রাগ উঠে,,
আবির রাগে অইখান থেকে চলে যায়,,,,ড্রাইভ করছে আর ভাবছে আমান তিথি দুইজন মিথ্যা বলে দেখা করছে,,,আবির তিথির উপর বেশি রেগে আছে কারণ তিথি মিথ্যা বলে অফিসে আসে নাই,,,,রাগে অনেক জোরে ড্রাইভ করছে আর ভাবছে,,
আবিরঃ কাল তোমার কি হবে তুমি নিজে ও জানো না তিথি,,,আমার সাথে মিথ্যা বলার পরিনাম কত ভয়ংকর হবে কাল তুমি বুজবে,,,
চলবে,,,,,,,,,