The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 75
ঘুমের ঘোর কাঁটতে থাকে ইয়ারাবীর।আর যতোই চোখ মেলছিলো ততোই অবাক হচ্ছিলো ও।নিজেকে খুব পরিচিত একটা পরিবেশে আবিষ্কার করলো ও?কিছুটা অবাক হলো ও।রাতে ঘুমালো একজায়গায় সকালে নিজেকে অাবিষ্কার করলো অন্য জায়গায়।কি হচ্ছে ওর সাথে?কখন কিভাবে এলো ও এখানে?নাকি গতকালের ঘটনা পুরোই স্বপ্ন ছিলো।কিন্তু ওর তো সব সত্যিই মনে আছে।গতকাল আরাভের ব্যাবহারে কষ্ট পেয়ে বাবার বাসায় চলে গিয়েছিলো ও।সন্ধ্যায় আরাভ ও এসেছিলো ওকে নিতে।কিন্তু যেতে চায়নি ও।খুব দ্রুত ঘুমিয়ে ও পাড়েছিলো রাতে ইয়ারাবী।তাহলে কি রাতে ওনিই নিয়ে আসলেন?কিন্তু কিভাবে?ঘুমন্ত ইয়ারাবীকে কিভাবে ঘরে আনলো আরাভ।ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারছেনা ইয়ারাবী।হঠাৎ বেলী ফুল আর গোলাপের সুভাসে মনপ্রান জুড়িয়ে যেতে শুরু করে ইয়ারাবীর।কিছুটা কষ্ট করে শোয়া থেকে আধশোয়া হলো।হঠাৎ চোখের সামনে এমন কিছু আশা করেনি ইয়ারাবী।
এবার সোজা হয়ে বসলো ও।এতো চকলেট, ফুল, কিউট কিউট বাবুদের ছবি।ইসস ইয়ারাবী উত্তেজিড হয়ে সব হাতিয়ে দেখতে শুরু করে।হঠাৎ ওর হুশ হয়।সামনে তাকায় ইয়ারাবী।স্বামী নামক লোকটা ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।লোকটা আজ উন্মক্ত শরীরে ওর সামনে।পেটের খাঁজে ফোঁটা ফোঁটা পানি চিকচিক করছে।দৃশ্যটা খুব টানছে ইয়ারাবী কে। ইচ্ছে হচ্ছে লোকটার বুকে মিশে যেতে । ও খাট থেকে নেমে আরাভ কে জড়িয়ে ধরতে চায়।পরক্ষনে সরে এসে খাটে পাজোড়া উঠিয়ে বসলো।
.
.
-সরি ইয়ারাবী।
-হুহ বেশ অভিমান করে অন্যদিকে মাথা ঘুরায় ইয়ারাবী।
-ইয়ারাবী প্লিজ কথাটা বুঝার চেষ্টা করো।এমন আর কখনো হবেনা।
-………
.
.
ইয়ারাবীর কোন রেসপন্স না পেয়ে আরাভ হেঁটে ওর দিকে এগোতে থাকে।তারপর বলল,
.
.
-কাল খুব রেগে ছিলাম এমনিতেই।তারওপর সেই ছেলেটা তোমার দিকে বাজে দৃষ্টি দিচ্ছিলো।তুমিই বলো কেউ আমার বৌয়ের দিকে বাজে ভাবে তাকালে আমার মাথা ঠিক থাকতে পারে?জানি এভাবে বলাটা ঠিক হয়নি।সেজন্য ও তো সরি বলছি।
.
.
ইয়ারাবীর সামনে কিছুটা দুরত্ব বজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আরাভ।কথা গুলো শুনে ইয়ারাবী অশ্রুসিক্ত চোখে আরাভের দিকে তাকায়।আরাভ দাঁড়িয়ে আছে আগের জায়গায়।ইয়ারাবী খাট থেকে নেমে আরাভের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো।কাঁদতে শুরু করলো উন্মাদের মতো।আরাভ ইয়ারাবীর মাথায় হাত রেখে বলল,
.
.
-পাগলীটা এভাবে কাঁদতে হয়না।
-আরাভ সত্যিই খুব খারাপ লাগছিলো আপনার কথায়।একদম বুকের মাঝে লাগছিলো।
-মাফ করো প্লিজ?
-মাফ করেছি আমি আপনাকে।
.
.
আরাভ একটু হেসে ইয়ারাবীর চুলের গভীরে মুখ ডুবায়।ঘন ঘন নিশ্বাস ছাড়তে থাকে ইয়ারাবীর ঘাড়ে।ইয়ারাবী শক্ত করে আরাভের উন্মক্ত পিঠ খাঁমচে ধরে আছে।যন্ত্রনায় আরাভ চোখ খিঁচে বন্ধ করে ওর মুখ নামিয়ে আনে।ইয়ারাবীর কাঁধে।ঠোঁট জোড়া দিয়ে ঘন ঘন উষ্ণ ছোঁয়া দিতে থাকে ইয়ারাবীর কাঁধে।ইয়ারাবী ও আরাভের কানের পিছনে চুমু দিয়ে আরাভের গালে।সরে আসে।যেই ঠোঁট ছোঁয়াতে যাবে ঠিক সেই সময়ে আরাভ ওকে কোলে তুলে নিলো।তারপর খাটের কাছে হেঁটে যেতে লাগে।
আরাভের গলা জড়িয়ে আছে ইয়ারাবী।আরাভ ওকে নিয়ে খাটে শুইয়ে দিলো।তারপর হালকা করে নিজের ভর ইয়ারাবীর ওপর সমর্পন করলো। ইয়ারাবীর কপালে ঠোঁট ঠেঁকায়।ইয়ারাবী আরাভের কাঁধ চেঁপে ধরে নিজের সাথে।ওর কপালে চুমু দিয়ে ইয়ারাবীর দুচোখের পাতায় তারপর নাকের আগায় চুমু খেলো।
ইয়ারাবী চোখ জোড়া বন্ধ রেখে কাঁপন ধরানো কন্ঠে বলল,
.
.
-আপনার ঠোঁটজোড়া দিয়ে আমার ঠোঁটজোড়াকে সিক্ত করে দিন আরাভ।
-আমার ঠোঁটজোড়া ও ঠিক এমনটাই চাইছে বৌ।তোমাকে নিজের করে নিতে চাইছে এ হৃদয়।
-প্লিজ নিন নিজের করে।
.
.
বৌ ডাকটা ইয়ারাবীর কানে বারবার বাজতে লাগে।নিজের ভিতর বেড়ে উঠা ঝড় ঠিক থাকতে দিচ্ছেনা ওকে।স্বামীর ছোঁয়া পাওয়ার ইচ্ছা তীব্র ভাবে জেগে উঠে ইয়ারাবীর ছোট্ট হৃদয়খানিতে।
.
.
-সেটা তো সম্ভব নয় বৌ।আরো একমাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে আমাদের।
-অন্তত ঠোঁটেজোড়ার তৃষ্ণা মিটাতে পারেন।
.
.
আরাভ আর অপেক্ষা না করে ইয়ারাবীর ঠোঁট জোড়ায় আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতে থাকে বারবার।এরপর ইয়ারাবীর ঠোঁটজোড়া আরাভের ঠোঁটের গভীরতায় হারিয়ে গেলো।ইয়ারাবীর পেট ছুঁইয়ে দিচ্ছে হাতের আঙ্গুল দিয়ে।চোখজোড়ার কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।
.
.
.
.
আরাভ অফিসে চলে এলো।আজ অবশ্য একটু দেরীই হয়েছে।আরাভ কাজে মনযোগ দিতে চেষ্টা করলো।ঠিক সেই মুহূর্তে অর্পনের দেখা পেলো।অর্পন আরাভের কেবিনে এসে ওর সামনে বসলো।রাগ হলেও নিজেকে শান্ত রাখলো আরাভ।
.
.
-কি খবর অর্পন?
-এইতো ভাইয়া।তোমারটা বলো?
-এইতো আছি।আঙ্কেল আন্টি কেমন আছে?
-আলহামদুলিল্লাহ।
-কি খাবি?
-কিছুনা।একটা কাজে এসেছিলাম।
-কি?অর্পনের দিকে তাকায় আরাভ।
-সেটা হলো আমাদের কোম্পানীতে তোমার আশি পার্সেন্ট শেয়ার থেকে পঞ্চাশ পার্সেন্ট আমাকে দাও।
-ভ্রু কুঁচকায় আরাভ।হঠাৎ এ ভাগ কেন লাগছে তোর?
-ভাইয়া কিছু বলোনা জাস্ট দাও।
-পারবোনা।
-কেন পারবেনা ভাই?
-এগুলো আমার।তোকে কেন দিবো?
-কেউ একজন বলেছিলো ঠিকই বলেছিলো তুমি লোভী।আসলেই লোভী তুৃমি।সম্পত্তির জন্য আমাদের কাছে ছিলে।
.
.
আরাভ কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা।কথা গুলো কিভাবে বলল অর্পন?ওদের সম্পর্কটা কি এমন ছিলো?আরাভের কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে।এটাই তো ওর অর্পন নাকি ওর বেশে অন্যকেউ?ভাবতে পারছেনা আরাভ।অর্পনকে বাঁচাতে গিয়ে আজ লোভী হতে হলো ওকে।থাক ও ভালো থাক।ভাবতে থাকে আরাভ।
এদিকে অর্পন ঘরে ঢুকে প্রচন্ড চিৎকার করতে থাকে।
.
.
-বাবা!!বাবা!!!চিৎকার করে ডাকছে আকরাম আজহারকে।
-কি হলো অর্পন এমন করছিস কেন তুই?মা নেমে এলো।
-বাবা কই?চিৎকার করতে লাগে অর্পন।
-ঘুমাচ্ছে এমন করছিস কেন?রেগে গেলেন সাদিয়া আজহার।
.
.
অর্পন কিছু বলতে যাবে তখনই আকরাম আজহার নেমে এলেন নিচে।ওনার চোখে মুখে তীব্র রাগ প্রকাশ পাচ্ছে।
.
.
-কি হলো তোর?রেগে জিজ্ঞেস করেন আকরাম।
-ভাইয়াকে বলো ওর থেকে পঞ্চাশ পার্সেন্ট শেয়ার আমাকে দিতে।
-কি বলছিস এসব?ও তোকে কেন এসব দিতে যাবে?
-আমার লাগবে ওগুলো।
-কিছু পাবিনা তুই।
-তাহলে আমার সম্পত্তি গুলো আমাকে দাও।
-এবার বেশ রাগ হলো আকরাম আজহারের।কিছু পাবিনা তুই।দিবোনা তোকে কিছু।
.
.
চিৎকার করে কথা গুলো বলে রুমে চলে গেলেন আকরাম আজহার।ওনার মেজাজ খুব চটছে।ছেলেটা হঠাৎ এসব চাইছে কেন?ওর ভাগ ও পাবে তাই বলে এমন করে চাইছে কেন?আরাভের সাথে কথা বলতে হবে।কথা গুলো ভেবে আকরাম আজহার আরাভের নম্বর ডায়াল করলেন।
.
.
-হ্যালো আরাভ
-জি আঙ্কেল।চোখ মুছে নিলো আরাভ।
-তোমার সাথে দেখা করবো।কিছু কথা আছে।
-আমার ও কথা আছে আপনার সাথে।
-ওকে কাল সকালে কথা দেখা করবো তোমার অফিসে।
-ওকে আল্লাহ হাফেজ।
-আল্লাহ হাফেজ।
চলবে
(প্রথমত বলছি আমার নির্বাচনী পরীক্ষা চলছে।আজ ও ছিলো।ঘরে এসে খেয়ে লিখতে বসেছি।এটা সহজ না।খুব দূর্বল ছিলাম তারপর ও দিলাম।আপনাদের জন্য। আর দ্বিতীয়ত গল্পের রিসপন্স কমে গেছে খুব বেশি।এমনটা আশা করিনি।আপনাদের বেশি রিসপন্স পেলে লেখায় উৎসাহ পাই।লিখতে ভালো লাগে।এখন থেকে বেশি বেশি রেসপন্স করুন।নয়তো সামনের থেকে ৭দিন পর পর গল্প পাবেন😊)