The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 68

-অর্পন আই লাভ ইউ।কথাটা বলে অর্পনের দিকে তাকিয়ে ছিল ফেন্সি।
-জি কি বললেন?অবিশ্বাসের মতো জিজ্ঞেস করলো অর্পন।
-হুম।আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি অর্পন।
চোখজোড়া বুজে একটু হাসে অর্পন তারপর সরে এসে ফেন্সির সামনে দাঁড়ায়।
-একটু জড়িয়ে ধরা যাবে?
-হুম।
-অর্পন ফেন্সিকে বুকে টেনে নিলো।আই লাভ ইউ টু ফেন্সি।
ফেন্সি শক্ত করে অর্পনকে জড়িয়ে ধরে।একয়দিনে বেশ ক্লোজ হয়ে গেছিলো ওরা একে অপরের।একসাথে সিনেমা দেখা শপিং এ যাওয়া,অফিশিয়াল পার্টি। অনেক সময় ডিনার ও করেছিলো একসাথে।ফোন্সি কোনভাবেই অর্পনকে ছাড়া থাকতে পারছিলোনা।ছেলেটা জান্তে অজান্তে মনের এক কোনে জায়গা করে নিয়েছে।
তাই আর নিজেকে আটকাতে পারেনি ফেন্সি।ছুঁটে এসেছে অর্পনকে নিজের মনের কথা জানাতে।অর্পন ফেন্সিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে।
-এই ছাড়ো কেউ চলে আসবে।
-তাতে কার কি?ভালোবাসার মানুষটাকেই তো জড়িয়ে ধরেছি।
-দেখো এটা তোমার অফিস।কেউ যদি দেখে নেয় বলবে স্যার অফিসে প্রেম করছে।
ফেন্সির কথায় সরে এলো অর্পন।তারপর ফেন্সির কপালে চুমু দিয়ে দিলো।ফেন্সি হেসে অর্পনের হাত নিজের হাতের মুঠে নিলো।অর্পন নিজের হাত ছাড়িয়ে টেবিলের কাছে এসে বলল,
-চলো কোথা ও ঘুরে আসি।
-তোমার কাজ!!!
-তোমার কি মনে হচ্ছে আজ কাজে মন লাগবে?
-মাথা নাড়ে ফেন্সি একদম না।
-হুম।
অর্পন সব কিছু গুছিয়ে ফেন্সিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।পরিকল্পনা হলো আজ সারাদিন ঘুরবে ওরা।রাতে ঘরে ফিরবে।এদিকে আরাভ রুমে এসে দেখলো ইয়ারাবী বড় টেডিটার কোলে শুয়ে কমিকস পড়ছে।আরাভ এসে চুপিচুপি ওর পাশে বসলো।ইয়ারাবীকে দেখছে আরাভ।মেয়েটা আরো সুন্দরী হয়ে গেছে আগের থেকে।তবে আরাভ এখন ওর প্রতিশোধ নিবে কামড়ের প্রতিশোধ।চুমুর প্রতিশোধ চুমু কামড়ের প্রতিশোধ আরাভের ঠোঁটের শয়তানি হাসি।আরাভ আলতো হাতে ইয়ারাবীর কমিকস ধরে টান দিয়ে নিয়ে নিলো।
-আরে কি করছেন?দিন বইটা।চিৎকার করে উঠে ইয়ারাবী।
-চুপ একদম চুপ।তখন মনে নেই কি করেছিলে?
-কখন কি করলাম?মনে করার চেষ্টা করছে ইয়ারাবী।
আরাভ ইয়ারাবীকে পুতুল থেকে সরিয়ে বালিশের ওপর সোজা করে শুইয়ে দিলো।তারপর এগিয়ে এসে ইয়ারাবী গলায় মুখ ডুবায়।তারপর আলতো কামড়ে ভরে দিতে লাগলো গলা আর কান।ইয়ারাবী অস্ফুট স্বরে আর্তনাদ করে উঠে।
আরাভ ইয়ারাবীর গলা থেকে সরে এসে গালে চুমু দিয়ে ওর বুকে মাথা রাখলো।
-এতো মিষ্টি প্রতিশোধ নিলেন।
-হুম।প্রতিশোধ আবার মিষ্টি হয় নাকি?
-আমার তো মিষ্টিই লাগলো।
আরাভ এবার হেসে ইয়ারাবীর একটু ফুলে উঠে পেটে ঠোঁট ছোঁয়ায়।তারপর বলল,
-আমার সোনা বাচ্চারা কবে দেখবো তোদের?
-আর মাত্র পাঁচটা মাস অপেক্ষা করেন।
-হুম।
-ইয়ারাবী!!
-হুম।
-উঠে রেডি হয়ে নাও।আজ ঘরে আসবোনা।
-কই যাবেন?
-বললে সারপ্রাইজ থাকবেনা।উঠে রেডি হও।উঠে বসে আরাভ।
-দুহাত বাড়িয়ে দিলো ইয়ারাবী।কোলে নিন।
ইয়ারাবীকে কোলে তুলে নিলো আরাভ।তারপর ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো ওরা।
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লো ইয়ারাবী।সাদা ফতুয়া আর বিস্কিট কালারের প্লাজো পরে নিলো ও।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ইয়ারাবী।বেশ মোটা লাগছে ওকে।মন টা খারাপ হয়ে গেলো ওর।আরাভ হয়ত ওকে আর আগের মতো ভালোবাসবেনা।তখন ইয়ারাবী মরে যাওয়ার আগেই মারা যাবে।আরাভ এসে ইয়ারাবীর পিছে দাঁড়িয়ে ওর পেট জড়িয়ে ধরে।
-কি হলো রেডি হচ্ছো না কেন?আর এটা কি পরলে?শাড়ী পরবেনা?
-শাড়ী পরলে খুব মোটা লাগছে আরাভ।চোখে পানি এসে গেছে ইয়ারাবীর।
-তোমার মনে হচ্ছে তোমায় মোটা দেখালে আমি ভালোবাসবোনা তোমাকে আর তাই তো ভাবছো?
-জানিনা।আগের মতো ভালো লাগেনা আমাকে।
আরাভ ইয়ারাবীকে ওর দিকে ফিরিয়ে নিলো।তারপর ওর চু্লে মুখ ডুবিয়ে চুমু দিলো।তারপর বলল,
-তুমি সব সময় সুন্দর ইয়ারাবী।
-আমার দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর নারী আমার মা তুমি আর আরাবী।
-সত্যি!!!কান্না জড়িত গলায়
-হুম।একদম সত্যি।এবার চলো রেডি হয়ে নাও।
-হুম।
ইয়ারাবী বেগুনী রং এর একটা শাড়ী পরে নিলো।চুল গুলো কে খোপা করে হালকা সাজ নিলো।ইয়ারাবীকে নিয়ে আরাভ বেরুনোর সময় রোয়েনকে ইশারায় অল দা বেস্ট বলল।
রোয়েন হেসে সায় দিলো।কিছু সময় পর রোয়েন সাদা এপ্রোন পরে রেডি হচ্ছে।
রুহী মলিন চোখে স্বামীকে দেখছে।লোকটা কথাই বলছে না।খুব খারাপ লাগছে ওর।রোয়েন বেরিয়ে পড়লো।
ঘন্টাখানেক পরে রুহীর নম্বরে কল মেসেজ এলো তাও আবার রোয়েনের নম্বর থেকে।মেসেজটি ছিলো এমন,
”আলমারিতে ডান সাইডে কালো একটা ব্যাগ পাবে।সেটায় যা আছে পরে আমার পেন্টহাউজে চলে এসো।অপেক্ষায় থাকবো”
রুহী আলমারির কাছে এগিয়ে গেলো।সেখানে রোয়েনের নির্দেশ দেয়া জায়গায় ব্যাগটি পেলো।সেখানে সোনালী রং এর শাড়ী পেলো।সাথে কিছু গহনা আর একটা বেলী ফুলের মালা পেলো।রুহীর ঠোঁটে বিশ্বজয় করা হাসি ফুঁটে উঠলো।চটজলদি নিজেকে সাজিয়ে তুলল রোয়েনের ভালোবাসার রংয়ে।
|
|
|
|
|
এদিকে আরাবী আর্ভিন অলিম্পিয়ান জিয়াসের মন্দিরে যাবার জন্য রেডি হচ্ছে।আরাবী কমলা রংয়ের শাড়ী পরেছে।চুল গুলো খোঁপায় গুঁজে হাতে কিছু কমলা সোনালী চুড়ি পরে নিলো।আর্ভিন রেডি হওয়ার মাঝেই আরাবীকে দেখতে পায়।আজ আর্ভিন কে ও কম হ্যান্ডসাম লাগছেনা।তবে এই প্রত্যেক সপ্তাহে একুশবার একুশ রকম করে এই রমনীর প্রেমে পড়ছে আর্ভিন।আজ ও আবার নতুন করে যেন প্রেমে পড়ে গেলো আরাবীর।আরাবী আড় চোখে আর্ভিন কে দেখে ভেংচি কাঁটলো।সাথে সাথে আর্ভিন ঠোঁটটাকে কিসের মতো করে নিলো।আরাবী লজ্জা পেয়ে চটজলদি সামনে তাকায়।আর্ভিন আরাবীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো চুমু খেলো।
-আর্ভিন!!! কাঁপা গলায় ডেকে উঠে আরাবী।
আর্ভিন মাথা তুলে তাকায় আরাবীর দিকে। আরাবীর এভাবে ডাকটা ওর কানে গেলেই নিজেকে সামলাতে পারেনা আর্ভিন। আজ ও পারছেনা।কিন্তু কি করবে?বের ও তো হতে হবে এখন।আর্ভিন খুব ধীরে সরে এলো।আরাবী এবার যেন বেঁচে ফিরলো।তারপর শাড়ী ঠিক করে মাথা নিচু করে নিলো আরাবী।ওরা বেরিয়ে পড়লো।
এখান থেকে প্রায় ঘন্টাখানিক দুরত্বে মন্দিরটা।গাড়ি চলছে। আরাবীর নজর বাহিরে।আর আর্ভিন আরাবীকে আড়চোখে দেখেই চলেছে।কারোর মুখে কোন কথা নেই।
অলিম্পিয়ান জিয়াসের মন্দির চলে এলো।ওরা নেমে গেলো।১০ মিনিটের মতো রাস্তা হেঁটে যেতে হবে।আর্ভিন আরাবীর হাত ধরে হাঁটছে।আরাবী আশেপাশে তাকিয়ে এর সৌন্দর্য দেখছে।
ইয়ারাবীকে নিয়ে আরাভ সেই বাংলো তে এলো যেটায় বিয়ের আগে এনেছিলো আর যেটায় ওদের সেই রাত টা কেঁটে ছিলো।ইয়ারাবী বার বার এদিক ওদিক তাকাচ্ছে আরাভ ওর হাত ধরলো।
-আজ কিছু দেখাবো তোমায়। খুব সিক্রেট।এটার কথা শুধু তুমি জানবে।
-ওকে চলুন।
আরাভ একটা রুমে এলো ইয়ারাবীকে নিয়ে।রুমটি তালা বন্ধ ছিলো।কিছু দূর এসে আরাভ নিচে বসে পড়লো।তারপর একটা টাইলস টেনে তুলতেই ইয়ারাবীর চোখ ছানাবড়া।নিচে আলো জ্বলছে।আরাভ ইয়ারাবীকে ধরে নিচে নিজে ও নেমে গেলো।নিচে আসতেই ইয়ারাবী দেখলো রুমটি অনেক বড়।প্রায় দুটো হলরুমের সমান।পুরো রুমে দেয়াল এটাচড শোকেজ।আর শোকেজ ভর্তি বিভিন্ন ধরে বন্দুক সাজানো।বড় ছোট অনেক ধরনের।ইয়ারাবী স্বামীর দিকে তাকায়।
-এগুলো?
-আমার অন্যতম শখ।
-আসল?
-আমি খেলনার বন্দুক দিয়ে কি করবো?
-সেটাও কথা।
আরাভ ইয়ারাবীর হাত ধরে সেগুলোর কাছে নিয়ে এলো।ইয়ারাবী দেখছে বন্দুক গুলো।ওর চোখে মুখে বিস্ময়।বেশ পরিষ্কার সব গুলো।
-চেষ্টা করে দেখবে একবার?
-যদি কিছু হয়ে যায়?
-আমি আছি।কিছু হবেনা।চুজ করো কোনটা দেখবে।
ইয়ারাবী বেছে বেছে রাইফেল চুজ করে বলল,
-এটা।
-Amphibious Rifle!!Are you sure?
-হুম।
-এটা ডেঞ্জারাস।
-আপনি তো আছেন।
-ওকে।আরাভ রাইফেল টা লোড করে নিলো।আমার সাথে এসো।
সামনে যেতে লাগে আরাভ।আর ইয়ারাবী ওর পিছু নিচ্ছে।ওরা থেমে গেলো আরেকটা রুমে।সেখানে বিভিন্ন রং এর কিছু কাঁচের বোতল রাখা।আরাভ বলল,
-কোনটা শুট করবো?
-রেড বোতল।
-ওকে মাই ডিয়ার।
আরাভ চোখ ছোট ছোট করে বোতল টা কে সই করেই শুট করলো।তীব্র শব্দে বোতল টি ফেঁটে গেলো।ইয়ারাবী ভয়ে আরাভকে জড়িয়ে ধরেছে।আরাভ হেসে ইয়ারাবীর হাত ধরলো।
-নাও এবার তুমি করো।
-না প্লিজ।
-প্লিজ আমার জন্য।।
ইয়ারাবীকে আরাভ নিজের সামনে দাঁড় করালো।তারপর বলল,
-ছোট ছিদ্রটা দিয়ে যেটাকে শুট করবে সেদিকে তাকাও।
-হুম।
-এবার দেখো রাইফেল টা ওটার দিকে আছে নাকি?
-আছে।
আরাভ ইয়ারাবীর হাতের হাত রেখে ট্রিগারে টান দিতেই একটি বোতল ভেঙ্গে গেলো কিন্তু ওটাকে সই করেনি ওরা। কিন্তু ইয়ারাবী ভয় পেয়ে আরাভের দিকে ফিরে কাঁদতে শুরু করেছে।আরাভ জড়িয়ে ধরেছে ওকে।
রুহী রোয়েনের পেন্ট হাউজে এসে পৌছালো।পেন্টহাউজটাকে বেশ সুনসান মনে হচ্ছে।রুহী চুপচাপ সামনে হেঁটে যেতে লাগলো।
চলবে