The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 65

এয়ারপোর্টে পৌছে সকল ফর্মালিটিস পালন করে নিলো আর্ভিন আর আরাবী।এখন শুধু অপেক্ষার পালা।আরাবীর সাথে খুঁটিনাটি বিষয়ে গল্প করে সময় কাঁটাচ্ছে আর্ভিন।কখনো গল্প করতে করতে আরাবী স্বামীর কাঁধে মাথা রাখছে আর আর্ভিন আরাবীর চুলে হাত বুলানোর ফাঁকে ওর কপালে ছোট্ট ছোট্ট চুমু খাচ্ছে।আরাবী পরম আরামে চোখ বুজে নিচ্ছে।এভাবে কিছুটা সময় পার হওয়ার পরই ওদের সামনে এগুনোর জন্য ডাকা হলো।
আর্ভিন ওদের লাগেজ হাতে নিয়ে আরাবীকে নিয়ে সামনে এগুতে শুরু করে।দুইদিন লাগবে যেতে গ্রীসের এ্যাথেন্সে।আরাবী আর্ভিন ওদের সীটে বসে পড়লো।
এদিকে ইয়ারাবী সারাটাদিন রুহীর সাথে কাঁটিয়েছে।আরাভ এখনো ফিরেনি।কখনো এতো দেরি করেনি।কি হলো ওনার আবার?তীব্র ভয় জেঁকে বসে ইয়ারাবীর মনে। লোকটার ফোন বারবার বিজি আসছে।তারমানে কল কাঁটছেন ওনি।জেঠু ঘরে আসতেই ইয়ারাবী রুমে চলে এলো।রুমে এসেই চরম ঝটকা খেলো ইয়ারাবী।খাটের ওপর একটা প্যাকেট রাখা।ইয়ারাবী হেঁটে সেদিকে এগিয়ে গেলো।প্যাকেটটি হাতে নিয়ে আশেপাশে তাকায় ও?আরাভ কি ঘরে এসেছে?তাহলে ওনি কই?
প্যাকেটে হাত ঢুকিয়ে সাদা একটা শাড়ী বের করে আনে ইয়ারাবী আর ছোট্ট একটা চিরকুট।
.
.
সেখানে লিখা,
এই পূর্নিমার রাতে সাদাশাড়ীতে মোহিত রমনীকে দেখতে ইচ্ছে পোষন করছি।শাড়ীটা পরিধান করে জলদি ছাদে চলে আসো।একসাথে বসে পূর্নিমার সৌন্দর্য উপভোগ করবো।
ইয়ারাবী মিষ্টি হেসে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে শাড়ী নিয়ে।তারপর কাপড় পরে বেরিয়ে এলো।সাদা শাড়ীর সাথে সাদা ফুলের মালা এনেছে আরাভ।আর সাদা কাঁচের চুড়ি।ইয়ারাবী নিজেকে আরাভের রং এ রাঙ্গিয়ে নিলো।তারপর ছাদের দিকে পা বাঁড়ায়।
রোয়েন বিছানায় শুয়ে কপালের ওপর দুহাত রেখে আছে।রুহী ওর পাশে বসে হাত জোড়া সরাতেই রোয়েন রুহীর দিকে তাকায়।
-মাথা ধরেছে?
-উহুম।বলো।
-রুহী স্বামীর বুকে মাথা রেখে বলল,অনেকদিন এভাবে তোমার বুকে ঘুমানো হয়না।
-রুহীকে জড়িয়ে ধরে রোয়েন।আজ সেই আশা পূরন করতে পারো তো।
-অনুমিতি দিয়েছো তো?
-স্বামীর অনুমতি লাগে আবার।অাপনার জায়গা যখন তখন এসে শুয়ে পড়বেন।
.
রুহী হেসে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে দুহাতে।ইয়ারাবী ছাদে এসে দেখলো ছাদে খুব নরম নীল আর সাদা আলো জ্বলছে।আর সেই মিষ্টি আলোয় আরাভকে দেখতে পায় ইয়ারাবী।আরাভ নীল শার্ট আর সাদা প্যান্ট পরে বসে আছে।ওর থুতনি গিটারের মাথায় ঠেঁকানো।ইয়ারাবীর চোখ জোড়া কালো গিটারটির ওপর থেকে এড়ালোনা।ইয়ারাবীকে দেখে আরাভ উঠে এলো ওর কাছে গিটারটাকে চেয়ারের সাথে ঠেঁকিয়ে।ইয়ারাবীর সামনে এসে দাঁড়ায় আরাভ।তারপর ওর হাত ধরে পাশাপাশি রাখা দুটো চেয়ারের সামনে নিয়ে এসে একটি চেয়ারে ইয়ারাবীকে বসিয়ে অপর চেয়ারে বসে পড়ে আরাভ।তারপর গিটার হাতে নিলো।ইয়ারাবী আরাভের দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।আরাভ যখনই সুর তুলতে যাবে ইয়ারাবী বলল,
-থ্যাংকস।
-এখনো তো কিছুই শুনলেনা।
-তারপর ও আমার ইচ্ছা পূরন করছেন আপনি।
-বৌয়ের ছোট্ট একটা ইচ্ছা যদি পূরন করতে না পারি তাহলে কি হয়?
ইয়ারাবী হেসে আরাভের দিকে তাকায়।আরাভ চোখ বুজে গিটারে সুর তুলছে।
-আপনি অনেক সুন্দর।
-সুন্দর চোখ সবকিছুই সুন্দর দেখে।
ইয়ারাবীর দিকে তাকিয়ে কথাটা বলে আবার চোখ বুজে নিলো আরাভ।তারপর সুর তুলে গান গেতে শুরু করে,
Dil ka dariya beh hi gaya
Ishq ibaadat bann hi gaya
Khudko mujhe tu saunp de
Meri zarurat tu bann gaya
Baat dil ki nazron ne ki
Sach keh raha teri kasam
Tere bin ab na lenge ik bhi dum
Tujhe kitna chahne lage hum
Tere sath ho jayenge khatam
Tujhe kitna chahne lage hum
গানের মাঝে ইয়ারাবী স্বামীর দিকে নিষ্পলক চোখে তাকিয়েছিলো লোকটা কি না পারে?খুব সুন্দর করে ভালোবাসতে জানে সে।আরাভ গান শেষ করে কোন কথা না বলে ইয়ারাবীকে কোলে তুলে নিলো।তারপর সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে পড়লো।
ইয়ারাবী আরাভের গাল ধরে টানছে কখনো চুল ঠিক করে দিচ্ছে।ওরা রুমে চলে এলো।
ইয়ারাবীকে খাটে শুইয়ে দিয়ে আরাভ ওর পাশে শুয়ে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিলো।একে অপরকে দেখছে ওরা।আরাভ মুখ বাড়িয়ে ঠোঁটজোড়া দিয়ে ইয়ারাবীর কপাল স্পর্শ করলো।ইয়ারাবীর ঠোঁটের কোনে হাসি ফুঁটে উঠলো।
আরাভ একে একে ইয়ারাবী গাল নাকে চুমু দিয়ে ওর ঠোঁটের ওপর আলতো করে চুমু খেলো।ইয়ারাবী এবার মুখ বাড়িয়ে আরাভের ঠোঁট স্পর্শ করতেই আরাভ ইয়ারাবীর ঠোঁটজোড়া নিয়ে নিলো নিজের মাঝে।তারপর গভীর চুম্বনে লিপ্ত হলো ওরা।
|
|
|
|
|
এদিকে রেহান রুপন্তী সেদিন ঘরে ফিরার পর থেকে ভীষন কান্না কাটি করেছিলো।করবেই না কেন যতোই হোক ইয়ারাবী ওদের একমাত্র সন্তান।মেয়েটা বিয়ের সময় অসুস্থ ছিলো।আর দোষটা তো ওর একার ছিলো না।আরাভ ও সমান দোষী।তাহলে মেয়েটা কে কেন ওরা এভাবে কষ্ট দিলো?এতোটা দিন রাগ টাকে পুষে রেখেছিলো ওরা যা একদমই ঠিক হয়নি।রাতে রেহান ঠিক করেছে যে করেই হোক আজ ও মেয়ের সাথে কথা বলবেই।
মাফ চাইবে নিজের মেয়ের কাছে।সকালে নাস্তা সেড়েই রুপন্তীকে নিয়ে রোয়েনেট বাসায় রওনা হয় ওরা।
এদিকে আর্ভিন আরাবী এ্যাথেন্সে পৌছে গেছে।আর্ভিন একজন বাঙ্গালী ড্রাইভার ঠিক করে রেখেছিলো।সে ও সময় মতো চলে এসেছে।আর্ভিন আর আরাবীর লাগেজ গাড়িতে ঢুকানো হলো।ওরা বসে পড়লো গাড়িতে।ওদের গন্তব্য এখন ডিভানী কারাভেল হোটেল।সেখানকার পরিবেশ বেশ ভালো আর হোটেল টাও চমৎকার।
আর্ভিন আরাবীকে টেনে বুকের মাঝে মিশিয়ে নিতেই সরে আসতে চায় আরাবী।
-কি করছো আর্ভিন ছাড়ো!!ফিসফিসিয়ে বলল আরাবী।
-…..
-কি হলো ছাড়ো ওনি দেখবে।
-সো হোয়াট!!!বেশ জোরে বলল আর্ভিন।
আরাবী চুপ হয়ে গেলো।আবার ও সরে আসতে চাইছে।ড্রাইভার দেখলে কি বলবে ছিঃ।আর্ভিন ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল
-বিয়ে করেছি আমি বৌটা আমার। যখন ইচ্ছা তখন জড়িয়ে ধরবো।ফিসফিস করে বলল আর্ভিন
-ড্রাইভার…..
-আর্ভিন আরাবীর ঠোঁটে আঙ্গুল ছোঁয়ালো।তারপর নেশা লাগানো কন্ঠে বলল আজ তোমাকে অপরুপ লাগছে আরাবী নিজেকে বাঁচাও আমার রোম্যান্স থেকে।
আরাবী আর্ভিনের মুখ চেঁপে ধরলো হিস হিস!!!!!হোটেলে পৌছে রুমের চাবি নিলো রিসিপশন থেকে।লিফটে উঠে খেয়াল করলো ওরা দুজনেই আছে আর কেউ নেই।আর্ভিন আরাবীকে টেনে কাছে নিয়ে এলো।তারপর ওর ঠোঁটজোড়া নিজের আয়ত্তে নিয়ে নিলো আর্ভিন।১২ তলায় লিফট খুলতেই একজন ফরেইনারকে দেখতে পেয়ে সরে এলো ওরা।মহিলা হেসে একটু সরতেই ওরা বেরিয়ে গেলো।মহিলা ঢুকে পড়লো লিফটে। লজ্জায় আরাবী শেষ।শেষমেশ ওদের চুম্বনরত অবস্থায় কেউ দেখেই ফেললো।আরাবী রাগী ভাবে আর্ভিনের দিকে তাকায়।আর্ভিন সোজা তাকিয়ে হেসে আরাবীকে কোলে তুলে নিয়ে রুমে ঢুকে পড়লো।এদিকে রেহান রুপন্তীকে সকালে ঘরে দেখে রোয়েন একটু অবাক হয়।ও বেরুচ্ছিলো হসপিটালে যাওয়ার জন্য।
-রেহান রুপন্তী কি খবর?
-ভাই ইয়ারাবীর সাথে কথা বলবো বলে উঠে রেহান।
-ভিতরে এসে বোস।রুহী!!!!রেহান রুপন্তী আসছে।
রুহী দৌড়ে এলো পাকঘর থেকে।ইয়ারাবী ও ছিলো ওর সাথে।আরাভ অফিসের জন্য রেডি হয়ে নিচে নেমেছে মাত্র।
রেহান ইয়ারাবী কে দেখে বলল,
-ইয়ারাবী আয় আমার কাছে।
ইয়ারাবী ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।রুপন্তী রেহান অনেক বার ডাকলো তারপর ও গেলোনা ইয়ারাবী মা বাবার কাছে।আরাভের আর সহ্য হলো না ইয়ারাবীর কাছে এসে বলল,
-এই সমস্যা কি তোমার কথা বলো না কেন?ধমক দিলো আরাভ।
-কথা বলবো না আমি।
-ইয়ারাবী ওনারা বাবা মা তোমার।খারাপ চাইবেনা তোমার।তোমার ওপর রাগ অভিমান দেখানোর অধিকার আছে ওনাদের। যাও মাফ চাও আর কথা বলো ওনাদের সাথে।রেগে ধমক দিলো আরাভ।
চলবে