The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 58
পার্টির মাঝেই আর্ভিন আরাবীকে ওর কিছু ফ্রেন্ডদের সাথে স্বাক্ষাত করিয়ে দিলো।আরাবীর সম্পর্কে সব জেনে তারা অভিভূত।আরাবী ও বেশ ভালোভাবেই মিশে গেছে ওদের সাথে।বেশ হেসে হেসেই কথা বলছে ও।এদিকে আর্ভিনের ভীষন রাগ লাগছে।এভাবে হেসে কথা বলার কি হলো?আর বন্ধু গুলো ও কেমন? ওরা বুঝতে পারছেনা আর্ভিনের রাগ হচ্ছে।বদ গুলো যাচ্ছে ও না।আরাবী কিছুটা বুঝতে পেরে আর্ভিনের ফ্রেন্ডদের সাথে আরো বেশি কথা বলতে শুরু করে।আর্ভিন পারছেনা তো আরাবী কে উঠিয়ে নিয়ে আসতে।কিন্তু বর্তমানে এ ইচ্ছা প্রত্যাহার করতে হবে।ঠিক সেই সময়ে নির্জয় এসেই আর্ভিনকে জড়িয়ে ধরলো,
-কিরে হারিয়ে গেছিস?কবে আসলি জানালি ও না।
-একচুয়ালি একটু বিজি ছিলাম।বোস না।বলে উঠে আর্ভিন।
-ওকে।বাট শুনলাম বিয়ে করেছিস।ভাবি কই?
-আর্ভিন চোখ দিয়ে ইশারা করলো আরাবীর দিকে।
-আহ দোস্ত ভাবি টাতে সেই।
নির্জয় কথাটা বলে আর্ভিনের দিকে তাকাতেই আর্ভিন এমন একটা লুক দিলো যে নির্জয় হেসে বলল,
-আরে দোস্ত রেগে যাচ্ছিস কেন?আ’ম জোকিং ইয়ার।ভাবির সাথে মিট করাবি না?
-হুম চল।
-নির্জয় বলল আমি যেয়ে কথা বলে আবার আসছি।অপেক্ষা কর।
নির্জয় আরাবীর কাছে চলে গেলো।আরাবী লাল একটা সোফায় বসেছিলো।ওর পাশে কেউ নেই।নির্জয় কিছুটা ঘেঁষেই বসলো আরাবীর পাশে।আরাবী সরে গিয়ে বলল,
-আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না।
-আমি আপনার হাসবেন্ডের ফ্রেন্ড নির্জয় আহমেদ।আরাবীর দিকে এগিয়ে এসে।
-ওহ নাইস টু মিট ইউ সরে বসলো আরাবী।
-থ্যাংকস ভাবি তা এরকম সরে যাচ্ছেন কেন?কাছে এসে বসুন না খুব ভালো লাগবে আমার।
আরাবী উঠে যেতে নিলে নির্জয় আহমেদ উঠে দাঁড়িয়ে বলল
-কি ভাবি রাগ করলেন মনে হয়?
-না ভাইয়া আর্ভিন ওয়েট করছে।
কথাটা বলে আরাবী সামনে যেতে নিলেই নির্জয় ওর হাত চেঁপে ধরলো।আরাবী সামনে তাকায়। হাত ছাড়াতে চেষ্টা করছে ও।নির্জয় কিছু বলতে যাবে তখনই আর্ভিন এসে নির্জয়ের হাত শক্ত করে চেঁপে ধরে আরাবীর হাত থেকে ছাড়িয়ে বলল,
-অনেক কথা হয়েছে।আর না।চলো আরাবী।
আর্ভিন আরাবীর হাত ধরে অন্যদিকে চলে আসে।আরাবী স্বজল দৃষ্টিতে আর্ভিনকে দেখছে।আর্ভিন আরাবীকে নিয়ে জুস বারের সামনে।আর্ভিন ঢকঢক করে দুতিন গ্লাস ওয়াইন গিললো।প্রচন্ড রাগ লাগছে ওর।আরাবী থামাতে চেয়ে ও পারছেনা।
কিছু গেস্ট আর্ভিন আর আরাবীকে কাপল ডান্স এর জন্য জোর করছে।আর্ভিনের চোখজোড়া লাল হয়ে আছে। আরাবীর দিকে ও চেয়ে আছে।হয়ত আরাবীর মত জানতে চাইছিলো।আরাবী একটু মাথা দুলায়।আর্ভিন আরাবীর হাত টেনে নিচে এসে দাঁড়ায়।হঠাৎ পুরো হল রুমের লাইট চেঞ্জ হতে লাগলো।কখনো ব্লু কখনো পিংক গ্রীন আরো অনেক কালার।তবে আলো গুলো খুব একটা আলোকিত করছেনা। খুব স্নিগ্ধ আলোয় ভরে গেছে পুরোটা জায়গা।আরাবীকে কাছে টেনে আর্ভিন ওর কোমড় জড়িয়ে ধরলো।
Raabta গানটা বেজে উঠলো,
গানের তালে তালে আর্ভিন আরাবীকে নিয়ে নাচছে।আরাবী আজ যেন নতুন করে আর্ভিনকে দেখছে।লোকটার চোখে খুব প্রেম দেখতে পাচ্ছে।আগে কেন পায়নি এমন প্রেম প্রেম ভাব?আসলে এতোদিন এতো দূরত্ব ছিলো ওদের মাঝে যে আরাবী আর্ভিনের চোখের দিকে এভাবে তাকায়নি।এদিকে ইয়ারাবী খালামনির গলা জড়িয়ে ঝুলছে আবার মাঝে মাঝে রুহীর গালে শব্দ করে চুমু খাচ্ছে।রুহী মটরের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে বলল,
-আমার আম্মুটার কি হয়েছে আজকে?
-তোমার আম্মুটার দুষ্টুমি করতে ইচ্ছে হচ্ছে খালামনি।বলে রুহীর গালে শক্ত করে চুমু দিয়ে ইয়ারাবী আবার বলল খালামনি তোমার গাল গুলো এত গুলু গুলু কেন?জেঠুর খুব পছন্দ তোমার গাল দুটো তাইনা? জিভ কাঁটে ইয়ারাবী।
-রুহী আড় চোখে ইয়ারাবীর দিকে তাকিয়ে ওর মাথায় আস্তে করে চাপড় দিয়ে বলল বেশি পেঁকে গেছিস তুই আম্মু।
ওদের কথা বলার মাঝেই আরাভ ঘরে ঢুকে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো কারোর দিকে না তাকিয়ে।ইয়ারাবী এক নজর দেখে রুহীর সাথে দুষ্টুমিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো।
-ইয়ারাবী!!
-জি খালামনি!!!
-আরাভ আসলে রুমে চলে যাবি।ওর হয়ত কিছু দরকার ও হতে পারে।
-দরকার নেই খালামনি তোমার ছেলে সবই পারে।মানে আমাকে কিছু খুঁজে দিতে হয়না আরকি।
রুহী!!!!!!উপর থেকে ডাকছে রোয়েন।
-খালামনি তুমহারি বুলাওয়া আগায়া।দুষ্টু হেসে বলল ইয়ারাবী।
-ইয়ারাবীর কান টেনে ধরলো রুহী বেশি দুষ্টুমি তোর।
রুহী উপরে কিছু সময় পর ইয়ারাবী রুমে এসে দেখে রুমটা কিছু সাদা ফুল দিয়ে সাজানো।সেখান থেকে মন হরন করা ঘ্রান ইয়ারাবীর মন প্রান কেড়ে নিচ্ছে।ইয়ারাবী রুমে ঢুকে দেখলো ওর সামনের ছোট্ট টেবিলটা সাদা ফুলের পাপড়িতে ঢেকে আছে।সেটার ওপর একটা কাগজ রাখা।ইয়ারাবী সেটা হাতে নিয়ে পড়তে থাকে।
”খাটের ওপর কালো প্যাকেটটার ভিতর যা পাবে পরে নাও।আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি”
|
|
|
|
ইয়ারাবী লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে খাটের কাছে আসতেই একটা প্যাকেট পেলো।সেটা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে ইয়ারাবী।গোসল সেড়ে প্যাকেটে হাত দিয়ে কাপড় বের করতেই ইয়ারাবী চোখ বড় করে ফেললো।সাদা একটা নাইটি।নাইটিটার ভিতর স্যাটিন কাপড়ের সাদা একটা স্লিভলেস হাতার টপস তবে সেটা ইয়ারাবীর হাটু পর্যন্ত এসে থেমে গেছে।ইয়ারাবী নিজেকে দেখছে।তারপর ওপরের নেটের কোটিটা গায়ে জড়িয়ে নিলো।নিজেই নিজেকে দেখে ভীষন লজ্জা পেলো ইয়ারাবী।তাহলে ওনার কাছে কিভাবে যাবে?
ইয়ারাবী নিজেকে একবার আয়নায় দেখে।মাথার তোয়ালে খুলে চুল গুলো ড্রায়ারের গরম বাতাসে শুকিয়ে নিলো।
এখন ওকে দেখতে বেশ লাগছে।লজ্জা পড়ে গেলো ইয়ারাবী।আরাভ আজ ওকে দেখবে এই পোষাকে।ভাবতেই লজ্জায় কুঁকড়ে যাচ্ছে ইয়ারাবী।হঠাৎ রুমের দরজায় শব্দ হতেই কেঁপে উঠে ইয়ারাবী।নিজেকে আবার আয়নায় দেখে ওয়াশরুমের দরজা খুলে সামনে তাকাতেই আরাভ কে দেখতে পেলো।তবে এবার এতোটাই লজ্জা পেলো যে মাটিটা ফাঁকা হয়ে গেলে ওর জন্য খুব সুবিধের হতো।ঢুকে পড়তো মাটির ভিতর।আরাভের গায়ে কোন কাপড় নাই।তবে একটা ট্রাউজার পরে আছে।সাদা লোমশহীন বুক আর সিক্সপ্যাক দৃশ্যমান।সিক্সপ্যাক বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ছে।ইয়ারাবী কে দেখতে পায় আরাভ।নেশাতুর দৃষ্টিতে বৌকে দেখতে থাকে।আজকে সাদা অপ্সরী লাগছে বৌটাকে।এবার আরাভ ইয়ারাবীর চোখের দিকে তাকায়।আরাভের নজর সম্পূর্ন ইয়ারাবীর চোখে।ইয়ারাবী ওয়াশরুমে এখনো দাঁড়িয়ে আছে।আরাভ ইয়ারাবীর চোখে দেখতে পাচ্ছে লজ্জা ভরা একরাশ মিষ্টি হাসি।বাঁকা হাসে আরাভ তারপর বলল,
-সারারাত ওয়াশরুমেই কাঁটাবে নাকি ঘরে ও আসবে।
আরাভের কথায় ঘোর কাঁটে ইয়ারাবীর তারপর মাথা নুইয়ে ভিতরে আসে ইয়ারাবী।আরাভ একটা গান প্লে করলো সেটা হলো গাজনির গুজারিস গানটা।
Hmmm Mmm Mm Mm Hmm Mm Mm Mm Mm Mm……….
Tu Meri Adhuri Pyaas Pyaas, Tu Aa Gayi Mann Ko Raas Raas, Abb Toh
Tu Meri Adhuri Pyaas Pyaas, Tu Aa Gayi Mann Ko Raas Raas
Abb Toh Tu Aaja Paas Paas, Hai Guzaarish
Hain Haal To Dil Ka Tang Tang, Tu Rang Ja Mere Rang Rang
Bas Chalana Mere Sang Sang, Hai Guzaarish
Kehde Tu Haan Toh Jindagi, Chaano Se Chhutke Hasegi
Moti Honge Moti Raaho Mein Yeah Yeah Yeah
Tu Meri Adhuri Pyaas Pyaas, Tu Aa Gayi Mann Ko Raas Raas
Abb Toh Tu Aaja Paas Paas, Hai Guzaarish
আরাভ এবার এগিয়ে এসে ইয়ারাবীর চুলের ফাঁকে নাক ঢুকিয়ে ঘ্রান নিতে থাকে।আরাভের গরম নিশ্বাস ইয়ারাবীকে শিহরনের চরম পর্যায়ে পৌছে দিয়েছে।আরাভ ইয়ারাবী কোমড় জাপটে ধরে ওর হাতের আঙ্গুল গুলো কে নিজের আঙ্গুলে বন্দী করে নিতে থাকে।তারপর ইয়ারাবী হালকা দুলিয়ে নাচতে থাকে আরাভ।ইয়ারাবী আজ স্বামীর বুকে মিশে যাচ্ছে।আরাভের ঠোঁট জোড়া ইয়ারাবীর কানের কাছে এনে ফিসফিসিয়ে বলল,
-I love you Mayamoyi my white princess.
-ইয়ারাবী চোখ জোড়া বুজে আরাভের কপালের সাইডে চুমু খেয়ে বলল I love you too Arav.
আরাভ এবার ইয়ারাবী কাঁধে গভীর চুমু দিয়ে সামনে আসে।তারপর ওর কপালে ঠোঁট বুলিয়ে কোলে তুলে নিলো।ইয়ারাবী আস্তে করে খাটে শুইয়ে দিয়ে ওর পাশে শুয়ে পড়ে আরাভ।তারপর ইয়ারাবী চোখজোড়ায় চুমু দিয়ে ওর ঠোঁট জোড়া শুষে নিতে শুরু করে আরাভ।ইয়ারাবীর ঠোঁট থেকে সরে এসে ওর গলায় গভীর ভাবে দুতিনটে চুমু দিয়ে সরে আসতেই ইয়ারাবী আরাভকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-প্লিজ আরাভ ডোন্ট লিভ।প্লিজ আমাকে নিজের করে নিন।
আরাভ ইয়ারাবীকে জড়িয়ে রাখলো।ইয়ারাবী চোখ খুলে তাকায় স্বামীর দিকে।
তারপর অভিমানী গলায় বলল
-আপনি কি আমার ওপর রাগ এখনো?
-নাহ।তুমি অসুস্থ ইয়ারাবী।আগে পুরোপুরি সুস্থ হও তারপর তোমাকে নিজের করে নিবো।
ইয়ারাবী হেসে আরাভের বুকে মুখ লুকায়।আরাভ ও বৌকে বাহুডোরে বন্দী করে নিলো।
এদিকে আরাবী আর্ভিন সাড়ে এগারোটায় ঘরে ফিরে আসে।আরাবী গয়না খুলতে যাবে ঠিক তখনই আর্ভিন ওর হাত ধরে সরিয়ে দিলো তারপর নিজ হাতে ওর গলার নেকলেস খুলে দিয়ে আরাবীর পিঠে ঠোঁট ছোঁয়ায়।আরাবী চোখ বুজে নিলো খিচে।আর্ভিন এবার ওর সামনে এলো।হাতের চুড়ি খুলার সময় দুহাতে অজস্র চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছিলো।আরাবী আজ সুখের ভিন্ন জগতে পৌছে গেছে।আর্ভিন এবার আরাবীর ঠোঁটজোড়ার দিকে তাকিয়ে সেখানে আলতো করে চুমু খেতেই আরাবী কেঁপে উঠলো।আর্ভিন এবার দেরি নাকরে আরাবীর ঠোঁটজোড়া নিজের মাঝে নিয়ে নিলো।আরাবীর কাঁধে হাত রেখে ওকে অনেকটা কাছে নিয়ে নিলো আর্ভিন।আরাবীর ঠোঁট থেকে সরে ওর গলায় আসতেই আর্ভিনের ফোন বেজে উঠে।দুজনের ঘোর ভেঙ্গে যায়।আরাবী লজ্জা পেয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেলো।আজ কি হয়েছে ওর?কেন এমন হচ্ছিলো ভাবতে থাকে আরাবী।
চলবে