The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2)

The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 28

আর্ভিনকে নিয়ে আসা হলো রোয়েনের বাসায়।আরাবী প্রতিটা মুহূর্ত আর্ভিনের পাশেই কাঁটাতো।আর্ভিনের দেখাশুনা করা, খাওয়ানো,সব কিছুই আরাবী ভীষন দায়িত্বশীলতার সাথেই পালন করছিলো।এদিকে রোয়েন নিজে ও আর্ভিনের খুব দেখাশুনা করছে।ও কি খাবে কি খাবেনা,কখন কোন ঔষধ সেগুলো ও ঠিক করে দিয়েছে।হাসপাতালের থেকে ফিরে আর্ভিনকে দেখতে আসতো।এই তো সেদিন আর্ভিনের কপালের সেলাই খুলে যাওয়ায় আরাবী এতোটাই অস্থির হয়ে পড়েছিলো যে রোয়েনকে শেষমেষ তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে ফিরে আসতে হয়োছিলো।ও ঘরে ঢুকেই আর্ভিনের কপালে আবার সেলাই করে দিলেন স্বযত্নে।তবে আরাবীকে ও কিছুই বলেনা।আবার ও হাসপাতালের জন্য বেরিয়ে পড়েছিলো।
রোয়েন বের হয়ে যেতেই আর্ভিন আরাবীকে প্রশ্ন করে তখন এমন করছিলেন কেন আপনি?জাস্ট সেলাই তো খুলেছিলো।আঙ্কেল কে এভাবে ডেকে পাঠালেন।আরাবী বলেছিলো যেটা আমাদের দায়িত্ব সেটা আমরা করছি।কিন্তু ওর চোখ জোড়া অশ্রুসিক্ত ছিলো।
আর্ভিন তো এতোটুকু শিওর যে পরী ও ওকে ভালবাসে।আর সেদিন আর্ভিনের মাথার কাছে সারাটারাত পার করে দেয় আরাবী।অপরদিকে ইয়ারাবী সেদিনের পর থেকে অন্যমনস্ক হয়ে গেছে।কিছুটা চুপচাপ।সবসময় কোন এক চিন্তায় বিভোর।আবার শুধু শুধু হাসে।আর হাসিটা ও সে কি চমকপ্রদ।ইয়ারাবীর দিন গুলো বেশ রঙ্গিন হয়ে ধরা পড়ছে ওর কাছে।প্রত্যেকটা সেকেন্ড ভীষন আনন্দমোহ হয়ে উঠে ওর জন্য।কারন ওর চিন্তাভাবনা সব কিছু জুড়েই এখন আরাভ।ওকে চিন্তা করেই ইয়ারাবীর সময় গুলো কেঁটে যায়।সে যখন বলছিলো ইয়ারাবীকে তার ভালো লাগে।সেদিন ওর বুকের মাঝে খুব জোরে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করে।আর যখন পরম স্নেহে বুকে আগলে নিয়ে ছিলো তখন ইয়ারাবী নিজের মাঝেই ছিলোনা।প্রচন্ড ভালো লাগা গ্রাস করে নেয় ওকে।
পাপা মাম্মার সাথে মিথ্যা কখনোই বলেনি ও।তবে আরাভের জন্য বলেছে।সেখানে খারাপ লাগা থাকলে ও ভালো লাগার পরিমানটা যে দ্বিগুন ছিলো।মাথায় আরাভের লাস্ট প্রশ্নটাই ঘুরছে ইয়ারাবীর।কেন সে আরাভের সাথে ঘুরে সে ও তো একজন স্ট্রেঞ্জার।এর উত্তর জানা নেই ওর।শুধু এটাই জানে লোকটার সাথে সিকিউর ফিল হয় ওর আর ভালো লাগে তার সাথে থাকতে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
এদিকে রাব্বি আর সম্পার বিয়েটা ও ঘনিয়ে এসেছে।হাসপাতালে নিজের কেবিনে আছে রোয়েন।একটা পেশেন্ট দেখছিলো ও।
পেশেন্টকে ঔষধ প্রেসক্রাইব করে দিয়ে বলল এগুলো একমাস পর আবার আসতে।রোগের উন্নতি দেখে তবেই সার্জারির সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।পেশেন্ট বের হতেই রাব্বি রোয়েনের কেবিনে এসে যায়।রাব্বিকে দেখে একটু হাসলো রোয়েন।তারপর গলা ঝেড়ে জিজ্ঞেস করলো,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-কি রাব্বি বাসায় যাবে নাকি?
-না প্রফেসর বাসায় না।আপনার সাথে কথা ছিলো।বলে উঠে রাব্বি।
-ল্যাপটপের স্ক্রীন থেকে চোখ সরায় রোয়েন বলো কি বলবে?
-স্যার আমার আর সম্পার বিয়ে পরশু দিন।আপনি আর আপনার পরিবার আর রেহান আঙ্কেলের পরিবার আমাদের বিয়েতে আসলে খুবই ভালো লাগতো।
এই যে স্যার কার্ড আপনাদের জন্য।চারটা কার্ড বের করে দিলো রাব্বি।
-কার্ড চারটা যে?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
-স্যার ঐ দুটো মিঃ আরাভ আর মিঃ আর্ভিনের জন্য।ওনারা এতোটা হেল্প করেছে হাসপাতাল ফিরে পেতে।বলে উঠে রাব্বি।
-ওকে রাব্বি আমরা অবশ্যই আসবো।বাট আর্ভিনের কথা বলতে পারছিনা।সে অসুস্থ এখন আসে কিনা জানিনা।বলে উঠে রোয়েন।
-স্যার প্লিজ একটু চেষ্টা করবেন।বলে বেরিয়ে গেলো রাব্বি।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
রোয়েন হাসপাতাল থেকে বেরুনোর সময় আরাভের সাথে দেখা করতে চলে আসে আকরাম আজহারের বাসায়।হঠাৎ বাবাকে এখানে দেখে অবাক হয় আরাভ।রোয়েন বলে উঠে আরাভ তোমার সাথে কিছু কথা আছে।আরাভ রোয়েনের সামনে এসে বসলো।জি আঙ্কেল বলুন।
রোয়েন কার্ড দিলো আরাভের হাতে।ডাক্তার রাব্বি আর গাইনোকোলোজিস্ট সম্পার বিয়ে পরশু।তো রাব্বি তোমার জন্য কার্ড দিয়েছে।বারবার করে বলছিলো তুমি তোমার পরিবারকে নিয়ে যেন অবশ্যই যাও।আকরাম আজহার রোয়েন কে আশ্বাস দিলেন আমরা আসবো প্রফেসর।আপনি চিন্তা করবেননা।রোয়েন হালকা চা নাস্তা করে বেরিয়ে পড়লো বাসার উদ্দেশ্যে।রেহানের ঘরে ও কার্ড পৌছে গেছে।তবে আর্ভিন বলছে ও যাবেনা।বেচারা হাঁটতে পারছেনা।ওকে নিয়ে সবার ঝামেলায় পড়তে হবে।দেখতে দেখতে রাব্বি আর সম্পার বিয়ের দিন ঘনিয়ে এলো।রোয়েন আর রুহী প্রস্তুত হয়ে খেয়াল করলো আরাবী ল্যাপটপে কাজ করছে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
-আরাবী যাবিনা মামনি?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
-না বাবাই একটা মিটিং আছে আমার।আর মিঃ আর্ভিন ও একা।সো এভাবে ফেলে যাওয়াটা ভালো দেখা যায়না আই থিংক।তুমি আর মা চলে যাও।আমি আছি।
-মেয়ের কথায় কিছু বলতে পারেনা রোয়েন।অগত্যা আরাবীকে রেখেই বেরিয়ে পড়লো রুহী রোয়েন দম্পতি।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
অপরদিকে আরাভ আজ কালো একটা শেরওয়ানি পরেছে।আজ প্রথম এমন ড্রেসআপ করেছে আরাভ।নিজেকে কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে ওর।তবে আয়নায় নিজেকে দেখে চিন্তা মুক্ত হলো আরাভ।অতোটাও আজগুবি লাগছেনা যতোটা ভাবছিলো।বেশ লাগছে ওকে দেখতে।অপরদিকে ইয়ারাবী রানী গোলাপী রং এর লেহেঙ্গা পরেছে আজ।লেহেঙ্গটা স্লিভলেস হাতার।টপসটা ভেদ করে সাদা মোলায়েম পেট দৃশ্যমান।লম্বা চুল গুলো পিঠের ওপর ছড়িয়ে দিয়েছে ইয়ারাবী।
কমিনিউটি সেন্টারে পৌছে প্রথমত আরাবীকে খুঁজতে শুরু করে ইয়ারাবী।বোন আসেনি বলে মনটা বেজায় খারাপ হয় ওর।মন খারাপ করে মা আর খালামনির সাথে বসে থাকে ইয়ারাবী।অপর দিকে আকরাম আজহার আর আন্টিকে নিয়ে বিয়েতে পৌছে যায় আরাভ।রেহান আর রোয়েন আরাভের কাছে এগিয়ে এলো।ওদের সাথে বাকবিনিময় শুরু হয় আরাভের।আরাভ আর পরিবার কে নিয়ে রেহান আর রোয়েন বর আর কনের কাছে নিয়ে আসে।সম্পার কাছে বসেছিলো ইয়ারাবী।ইয়ারাবীকে দেখে প্রচন্ড ঝটকা খেলো আরাভ।
মেয়েটাকে আজ এতোটা সুন্দর লাগছে যে আরাভ বর কনে কে না দেখে ইয়ারাবীকে দেখছে। ইয়ারাবী ও আরাভকে দেখছে আড়চোখে।দুজনের চেহারায় প্রকাশ পেয়েছে কাঙ্খিত প্রিয় মুখটাকে দেখতে পাওয়ার খুশি।
ইয়ারাবী সম্পার সাথে কথা বলছিলো।ইয়ারাবী উঠে অন্যপাশে চলে যায়। আরাভ রোয়েন আর রেহানের সাথে কথা বলার ফাঁকে স্টেজে তাকিয়ে ইয়ারাবীকে না পেয়ে চিন্তিত হয়।তারপর সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ো যায় ইয়ারাবীর খোঁজে।
একটা ছেলে ইয়ারাবী বিরক্ত করছে ছবি তোলার জন্য।বোকা ইয়ারাবী ছেলের কথায় রাজি হয়ে ছবি তুলতে প্রস্তুত হয়।কিন্তু ছেলোটার নজর ইয়ারাবীর গলার খাঁজে আর পেটের তিলের দিকে।হঠাৎ আরাভ এসে ইয়ারাবীর পাশে দাঁড়িয়ে ওর কোমড় জড়িয়ে পেটের ওপর হাত রেখে তিলটা ঢেকে দিলো।ইয়ারাবীর গলার উড়না টেনে ওর গলার খাঁজ ঢেকে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বলল ছবি তুলো।
,
,
,
,সবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
,
,
,
,
,
,
,
-আরে আমি তো ওনার ছবি তুলবো আপনি কে?কিছু টা বিরক্ত হলো ছেলেটা।
-আরাভ এসে ছেলেটার কলার চেঁপে ধরে দাঁতে দাঁত চেঁপে ফিসফিসিয়ে বলল ও আমার জান।আর কিছু জানার বাকি নেই তোমার।ছবি তুলে ফুটো।ইয়ারাবীর কাছে এসে আগের মতো ওকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়ালো আরাভ।তুলো ছবি।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
ছেলেটা ছবি তুলে দিয়ে চলে গেলো।ইয়ারাবী আরাভের দিকে তাকিয়ে বলল কি বললেন আপনি ওনাকে?
সেটা তোমার না জানলে ও চলবে বিউটিফুল বলে ইয়ারাবীকে দেয়ালে চেঁপে ধরলো আরাভ।আরাভ আর ইয়ারাবী কমিনিউটিসেন্টারের পাশের গার্ডেনে দাঁড়িয়ে আছে যার কারনে কেউ দেখতে পাচ্ছে না ওদের।ইয়ারাবী আরাভকে দেখছে।আরাভের হাত ইয়ারাবীর গলার থেকে উড়না সরিয়ে ওর গলায় স্পর্শ করলো।ওর হাত ইয়ারাবীর গলার আশেপাশে বিচরন করছে।ইয়ারাবীর নিশ্বাস ভারি হতে হতে এক পর্যায়ে বন্ধ হওয়ার উপকৃরম হলো কারন আরাভ যে ওর রসালো ঠোঁটজোড়া ইয়ারাবীর ঠোঁটের গভীরে স্পর্শ করছে।আরাভ ইয়ারাবীর ঠোঁট শুষে নিতে নিতে ওর পেটে স্লাইড করতে থাকলো।প্রায় বিশ মিনিট পর ইয়ারাবীর গলায় চুমু দিয়ে ওর পেটে নেমে এলো আরাভ।তারপর পেটের তিলে ঘন ঘন চুমু বর্ষন করতে করতে বলল এগুলো সব আমার।আর কাউকে দেখাবেনা।ইয়ারাবী কিছু বলতে পারছেনা।ও যে সুখের জগতে চলে গেছে।অস্ফুট স্বরে ইয়ারাবী বলল উমম।
রাব্বির বিয়েতে আরাভ জানতে পারলো আর্ভিনের এক্সিডেন্ট হয়েছে।আরও এখন রোয়েনের বাসায়।কিছুটা খারাপ লাগে আরাভের।সেদিন বিয়ে শেষে যে যার বাসায় চলে যায়।
পরদিন সকালে আরাভ চলে এলো আর্ভিনকে দেখতে।কিন্তু আরাবীকে আর্ভিনের জন্য এতোটা চিন্তিত হতে দেখে চিন্তায় পড়ে গেলো আরাভ।আরাভ খেয়াল করলো আরাবী একটু বেশি খেয়াল রাখে আর্ভিনের।আর্ভিনের কোন সমস্যায় খুব বেশি প্যানিক হয়ে যায় আরাবী।প্রায় প্রত্যেকদিনই আর্ভিনকে দেখতে আসার ছলে বোনের প্রতি খেয়াল রাখতো আরাভ।
চলবে