The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 15
ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালো আরাবী।ওর ভিজা চুল গুলো দুগালে লেপ্টে আছে।তোয়ালে দিয়ে চুল গুলো চেঁপে চেঁপে মুছে নিচ্ছে আরাবী।আজ ওদের কোম্পানীর একটা পার্টি রয়েছে। ডিল পাওয়ার খুশিতে পার্টি এ্যারেঞ্জ করা হয়েছে।চুল গুলো শুকিয়ে একটু স্ট্রেইট করে নিলো আরাবী।তারপর কালো একটি লং গাউন পরে নিলো।গাউনের পুরো বুকে গর্জিয়াস কাজ আর নিচে প্লেইন।পুরো বুক জুড়ে রুপালী সুতোর কাজ আর স্টোন বসানো।চুল গুলো সাইড দিয়ে ফুলিয়ে পিছনে ছেড়ে দিলো আরাবী।আর হালকা সাজ তো আছেই।আজ একটু বেশি সুন্দর লাগছে আরাবীকে।
নিজেকে খুব সুন্দর করে প্রস্তুত করেছে আজ।পায়ে উঁচু হিলের জুতা পড়ে বেরিয়ে পড়লো আরাবী।ওদের কোম্পানীর একটা হোটেলে পার্টি এ্যারেঞ্জ করা হয়েছে। হোটেলেটর বাহিরে ভীষন সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।ফাউন্টেনের চারপাশে খুব সুন্দর লাইটিং করা।চারপাশের গাছ গুলো ও আলোয় জ্বলজ্বল করছে।আরাবী গাড়ি থেকে নামতেই ওর পিএস ওর কাছে এলো।
-ম্যাম এসেছেন?চলুন ভিতরে।সবাই আপনার অপেক্ষা করছিলো।বলে উঠে পিএস।
-চলো।হেসে বলল আরাবী।
ভিতরে যেতেই ক্যামেরা লাইট সাংবাদিক সবাই এসে আরাবীকে ঘিরে ধরলো।তারা নানান প্রশ্ন করে যাচ্ছে আরাবীকে।আর আরাবী হাসি মুখে সবার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ভিতরে ঢুকে একদম সামনের একটা চেয়ারে এসে বসলো।টেবিলে ওর নাম লেখা আছে।একজন ওয়েটার এসে ওর সামনে এক গ্লাস জুস রেখে চলে গেলো।আরাবী একটু করে জুসে সিপ দিচ্ছে।পিএস এসে আরাবীর সামনে দাঁড়ালো।
-ম্যাম কিছু লাগলে মিসড কল দিবেন।চলে আসবো আমি।বলে উঠে পিএস।
-ওকে।আচ্ছা আমাদের স্পেশাল গেস্ট এসে পড়েছে?জিজ্ঞেস করলো আরাবী।
-ম্যাম ওনি রাস্তায় এখনো।বুঝেনইতো জ্যামের অবস্থা।বলে উঠে পিএস।
-ইয়াহ আই নো।বলে উঠে আরাবী।
এরপর আরাবী বসে থাকলো।আর জুসে সিপ দিচ্ছে কিছুক্ষন পর পর।ঠিক সেই মুহূর্তে একটা ডার্ক চকলেট কালারের একটা গাড়ি এসে উপস্থিত হলো হোটেলের সামনে।সবার হৈচৈ লেগে গেলো বাহিরে।গাড়ি থেকে ড্রাইভার বেরিয়ে বলল প্লিজ একটু সরেন সরেন।স্যার বের হবে।তারপর ও কেউ সরছেনা।একজন গার্ড এসে সবাইকে সরালো।গাড়ি থেকে কালো কোট ওয়ালা একজন বের হয়েছে।লম্বা সুদর্শন সুঠাম দেহের অধিকারী সে।লোকটা বের হতেই তার হাতে ফুল ধরিয়ে দিলো।কেউ গলায় মালা পরিয়ে দিলো।লোকটা সবাই কে সরিয়ে সামনে হেঁটে যেতে থাকলো।তার পিছনে দুজন বডিগার্ড।
-ম্যাম আপনার স্পেশাল গেস্ট চলে আসছে।দ্রুত এসে আরাবীকে বলল আনিকা।
-ওকে।ওনাকে বসতে দাও।কোন হৈচৈ করোনা।বলে উঠে আরাবী।
-ওকে ম্যাম।বলে চলে গেলো আনিকা।
আরাবীর পাশের টেবিলটাই হলো ওর স্পেশাল গেস্টের।লোকটা ড্রেসিংরুমে নিজের কাপড় চোপড় ঠিক করছে।চুল গুলো আচড়ে নিয়ে গায়ে মিষ্টি গন্ধের পারফিম মাখিয়ে নিলো।লোকটা হলো আর্ভিন।খুব পাওয়ারফুল একজন ডন সে।পকেট থেকে রিভলবার টা বের করে নিয়ে সেটাকে নেড়ে চেড়ে আবার ও পকেটে ঢুকালো আর্ভিন।এরপর মুখ ধুয়ে আয়নায় তাকালো আর্ভিন।ওর চোখজোড়া মেয়েদের ঘায়েল করতে সর্বদা প্রস্তুত।জীবনে যতো মেয়ের সাথে কথা বলেছে সবাই ওর প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছে।কিন্তু কাউকে তেমন পাত্তা দেয়নি ও।
আর্ভিন শত্রু দমন ছাড়া আর একটা কাজ খুব ভালো করতে পারে।তাহলো খুব ভালো ফ্লার্ট করতে পারে মেয়েদের।সর্বদা মেয়েদের নিজের শরীরের অসাধারন মুভ গুলো দেখাতে প্রস্তুত থাকে।
এরপর আরো জানা যাবে আর্ভিনের সম্পর্কে।এখন সিইও ওর সাথে আড্ডাটাই উপযুক্ত মনে হচ্ছে।
ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসে আর্ভিন।পিছনে ওর বডিগার্ড টা আঠার মতো লেগে আছে।
আরাবীর পাশের টেবিলের চেয়ারটায় বসলো আর্ভিন।এখনো একে অপরকে দেখেনি ওরা।
স্টেজে নাচ গান হচ্ছে।সবার মনযোগ সেদিকে।নাচ দেখতে দেখতে আর্ভিন আশেপাশে তাকাতে থাকে।হঠাৎ ওর চোখ আটকে যায় আরাবীর দিকে।
আরাবীকে আপাদমস্তক দেখে নিলো আর্ভিন।জীবনে কম মেয়ে দেখেনি তবে ওকে পায়নি।
তার দৃষ্টি তার নাক ঠোঁট হাসি সব মিলিয়ে মাশাল্লাহ।
গাউনাটা যেন এই পরীর জন্যই বানানো।হৃদয়ে হঠাৎ খুব জোরে ধুকপুক হচ্ছে আর্ভিনের।
বুকের দিকে তাকায় আর্ভিন।তারপর বলল,
-Hey dude why are you beating like this man?just stay calm.
কিন্তু ধুকপুকানি দ্বিগুনতালে হচ্ছে।আর্ভিন একটা জুস নিয়ে সেটায় সিপ দিচ্ছে আর আরাবীকে দেখছে।হঠাৎ আরাবী উঠে স্টেজের দিকে তাকিয়ে হাত তয়লি দিচ্ছে।প্রত্যেকটা শব্দ ওর কাছে অসাধারন লাগছে।হঠাৎ বডিগার্ড আর্ভিনের কানে বলল,
– স্যার যার সাথে দেখা করতে আসছেন।করবেননা দেখা?
রাগান্বীত চোখে বডিগার্ডের দিকে তাকালো আর্ভিন।তারপর রাগী গলায় বলল,
-নিজে বিয়ে করিসনি বলে কি আমি ও করবোনা?
-জি স্যার!??কিছুটা অবাক হলো বডিগার্ড।
আর্ভিন উঠে সামনে গিয়ে আরাবীর পিএস কে ধরলো।তারপর জিজ্ঞেস করলো,
-তুমি সিইওর পার্সোনাল সেক্রেটারি নও?
-জি স্যার।কিন্তু কেন?জিজ্ঞেস করলো পিএস।
-তোমার ম্যাম কই?জিজ্ঞেস করলো আর্ভিন।
-স্যার ম্যাম একটা মিটিং এর জন্য গেছেন।আপনার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।টাইম টেবিল ম্যাম সবসময় ঠিক রাখেন।আপনি বসুন আপনার ডিনার দিচ্ছি।ম্যাম মিটিং শেষ করে আসবেন আপনার সাথে দেখা করতে।
-ওকে।টেবিলে বসে পড়লো আর্ভিন।
ওর সামনে খাবার সাজানো হলো।খেতে শুরু করলো আর্ভিন।খাবার শেষে সিগারেট ধরিয়ে চোখ বন্ধ করে আর্ভিন।হঠাৎ একজন নারী আর সেই পিএসের কন্ঠ শুনতে পায়।দ্রুত চোখ খুলল আর্ভিন।
ওর সামনে সেই পরী আর পিএস।পরী ওর দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো।ইশশ হাসি টা খাওয়া গেলে।খেয়ে ফেলতাম।
পিএস আর্ভিনকে বলল স্যার ওনি আরাবী ম্যাম এ কোম্পানীর সিইও।আর্ভিন উঠে দাঁড়ালো।দ্রুত নিশ্বাস নিয়ে আরাবীর দিকে হাত বাঁড়ালো।আরাবীর আর্ভিনের সাথে হাত মিলাতেই আর্ভিন ওর হাতের পিঠে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ায়।
আরাবী দ্রুত হাত সরিয়ে নিলো।কিছুটা বুঝতে পেরে আর্ভিন বলল,
-আ’ম সরি।বাট ইউ নো লন্ডন থেকে এসেছি।সেখানকার কালচার তো জানেন কেমন।
-একটু হাসলো আরাবী।ইটস ওকে।শুরু করা যাক?
-ওকে।প্লিজ সিট মিস আরাবী।
আরাবী আর্ভিনের সামনের চেয়ারে বসে পড়লো।আর্ভিন ও বসলো।
-আপনার সম্পর্কে অনেক শুনেছি মিস আরাবী আপনি একজন সাকসেসফুল লেডি।খুব কম মেয়েই আছে যারা বিজনেস করে আর সাকসেসফুল ও হয়।আপনি অসাধারন।
একটু হাসলো আরাবী।আর্ভিন বলল আপনার হাসিটা দারুন ঠিক আপনার নামটার মতো।এতো সুন্দর করে কিভাবে হাসতে পারেন মিস?
-ডু ইউ নো দ্যাট ইউ আর ওপেনলি ফ্লার্টিং মি।একটু সামনে এগিয়ে বলল আরাবী।
-আপনার সৌন্দর্য বর্ননা যদি ফ্লার্ট হয় তাহলে আমি হেল্পলেস।বলে হাসলো আর্ভিন সেই হাসি একদম মন ভুলানো।
★★★★
ক্লাশে বসে আছে ইয়ারাবী।ওর চোখের সামনে আরাভকে দেখতে পাচ্ছে।আরাভ সেদিন নিজের ঠোঁটের কোনায় হাত লাগানোর দৃশ্যটা ইয়ারাবীর চোখের সামনে ভেসে উঠলো।লজ্জায় কুঁকড়ে যেতে লাগলো ও।এটা করে কি সে ঐদিনের কথা মনে করাচ্ছিলো?লোকটাকে দেখলে কেমন যেন ভয় হয় ওর।কিন্তু ভয়ের মাঝে ও অজানা ভালো লাগা কাজ করে।একদম শরীরে শিহরন বয়ে দেয়ার মতো ভালো লাগা।
সামনে বসা সামিহা ইয়ারাবীকে বলল
-কিরে কি ভাবছিস অতো?
-নাহ কিছুনা।বলে একটু হাসলো আরাবী।
তখনই স্যার রুমে প্রবেশ করলো।ক্লাশ চলছে কিন্তু ইয়ারাবী আরাভকে ভাবছে।ওদের প্রথম সাক্ষাত এর দিন থেকে।ক্লাশ শেষ হওয়ার পর স্যার বলল,
-আপনাদের জন্য একটা সুখবর আছে।
-কি স্যার?একটা মেয়ে জিজ্ঞেস করলো।
-খবরটা হচ্ছে আমরা পরশু সাত দিনের জন্য স্টাডি ট্যুরে যাবো সুন্দরবন।সেখানে সবাই ঘুরবো মজা করবো।খাওয়া দাওয়া সহ আরো অনেক কিছু হবে।তোমাদের সবাইকে কালকের মধ্যে দুহাজার টাকা দিতে হবে।কারন সাতদিনের খাওয়া দাওয়া ঘুরা ফিরা গাড়ির খরচ ও আছে।এখন সবাইকেই যেতে হবে। ইয়ারাবীর মন উৎফুল্ল হয়ে উঠলো।ওর সব ফ্রেন্ডরা বলল যাবে।ইয়ারাবী ও যাবে।ক্লাশ শেষে ঘরে ফিরার জন্য বেরিয়ে পড়লো ইয়ারাবী।
কলেজ গেট থেকে বেরিয়ে রেহানকে না দেখে গেটের ভিতরে ঢুকে পড়লো ইয়ারাবী।রেহানের নম্বরে কল দিতেই কল কেঁটে গেলো।আবার কিছুক্ষনের মাঝেই কল ব্যাক করলো রেহান।
-হ্যালো পাপা কই তুমি?জিজ্ঞেস করলো ইয়ারাবী।
-মামনি পাপা আজ আসতে পারছিনা সরি।তুমি একটু চলে আসো কষ্ট করে।বলে উঠে রেহান।
-ওকে।মন খাসাপ হয়ে যায় ইয়ারাবীর।
ফোন কেঁটে গেইট থেকে বেরিয়ে হাঁটতে লাগলো ও।হঠাৎ ওর সামনে এসে থামলো একটি গাড়ি।সাইড দিয়ে যেতে লাগলো ইয়ারাবী।ঠিক তখনই কেউ ওর হাত টেনে গাড়িতে বসিয়ে দিলো।ভয় পেয়ে যায় ও।চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো ইয়ারাবী।
হঠাৎ গালে ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়ে চোখ খুলল ও।আরাভ দুষ্টু হেসে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
-আ আ আপনি?ভয়ে পেয়ে জিজ্ঞেস করলো ইয়ারাবী।
-হুম।বলে উঠে আরাভ।
-আমি বাসায় যাবো যেতে দিন।বলে উঠে ইয়ারাবী।
-আমি দিয়ে আসবো।বলে উঠে আরাভ।
ইয়ারাবী কিছু বলতে গেলে ধমক দিয়ে বসিয়ে রাখলো আরাভ।তারপর ড্রাইভিং এ মন দিলো ও।মুখ মলিন করে বসে আছে ইয়ারাবী।
বাসায় পৌছাতেই আরাভ বেরিয়ে এসে ইয়ারাবীর পাশের দরজা খুলে দিলো।ইয়ারাবী বেরিয়ে দৌড়ে চলে যেতে নিবে তখনই আরাভ ওর হাত চেঁপে ধরলো।
পিছনে তাকায় ইয়ারাবী তারপর ভয়ে পেয়ে বলল,
-কি হলো?
-কি হলো কি?কি করতে হয় মনে নাই? ধমক দিয়ে বলল আরাভ।
-ক ক কি করতে হবে?কাঁপা গলায় বলল ইয়ারাবী।
আরাভ এবার ইয়ারাবীকে বুকে জড়িয়ে বলল এটাই লাস্ট টাইম।আর মনে করিয়ে দিবোনা।ইয়ারাবী বাধ্য মেয়ের মতো আরাভের বুকের মাঝে লেপ্টে রইলো।
সন্ধ্যায় রেহান ঘরে ফিরে এলো।রুপন্তী তিনজনের জন্য ড্রয়িংরুমে চা এনে টেবিলের ওপর রাখলো।রেহান ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসে।
সোফায় বসে চা খেতে শুরু করে রেহান।ইয়ারাবী গলায় পরিষ্কার করে বলল,
-পাপা একটা রিকোয়েস্ট করবো তোমার কাছে।
-কি মামনি?আদুরে গলায় প্রশ্ন করল রেহান।
-পরশু আমাদের স্টাডি ট্যুরে নিয়ে যাবে সুন্দরবনে সাতদিনের জন্য।
-ইয়ারাবী আম্মু দেখো তোমাকে আমরা একা ছাড়তে পারবোনা।বলে উঠে রুপন্তী।
-ইয়ারাবী চোখ জ্বলজ্বল করে উঠে।মাম্মা প্লিজ।কোথাও যাইনা আমি।তোমাদের কথামতো চলি।একটু যেতে দাও।আমার ফ্রেন্ডরাও যাবে।
-দেখো মা বুঝার চেষ্টা করো।তুমি হারিয়ে যাবে ওখানে গেলে।তোমার কষ্ট হবে থাকতে।বলে উঠে রেহান।
-প্লিজ পাপা আমাকে যেতে দাও।সবাই যাবে।ওদের সাথে থাকবো।আর আমি বড় হয়েছি এখন।প্লিজ পাপা আমার লক্ষী পাপা প্লিজ প্লিজ মেনে নাও।
-ওকে।তবে দূরে কোথাও যাবানা।টিচারদের সাথে থাকবা।ওরা যেখানে যাবে সেখানে যাবা।তোমার টিচার ফ্রেন্ড সবার ফোন নম্বর আমাকে দিবা।শক্ত গলায় বলল রেহান।
-ইয়ারাবীর মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠে।ওকে পাপা।আর কাল ২০০০টাকা দিতে হবে।
-পেয়ে যাবে।বলে উঠে রেহান।
-ইয়ারাবী উঠে বাবাকে জড়িয়ে বলল থ্যাংকস পাপা।
এদিকে আরাভ ঘরে ঢুকতেই আকরাম আজহার আরাভকে এনে সোফায় বসালেন।
-আব্বু তোমার সাথে কথা আছে আমার।বলে উঠেন আকরাম আজহার।
-জি বলুন।বলল আরাভ।
-আমি একটা কলেজের ট্রাস্টি তুমি জানো।ঐ কলেজ পরশু স্টাডি ট্যুর যাবে সুন্দরবন।ওরা আমাকে ও বলছে যেতে।এখন আমার খুব ইম্পরট্যান্ট কাজ আছে এখানে। আর ওখানে ও না গেলে নয়।তুমি গেলে খুব ভালো হতো।তুমি যদি বলো তাহলে আমি ওদের জানিয়ে দেবো।একাধারে বললেন আকরাম আজহার।
-কলেজের নাম যেন কি?জিজ্ঞেস করলো আরাভ।
-ঐতো হলিক্রস।বলে উঠেন আকরাম।
-ওকে আমি যাবো।সব ব্যাবস্থা করে দিন।বলে বাঁকা হাসে আরাভ।
চলবে