Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 71

-আমি ও ভালবাসি বলে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরে রুহী।রুহীর কাঁধে ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়া ভরিয়ে দিতে থাকে রোয়েন।রুহী চোখ বুজে রোয়েনের ভালবাসা গুলো উপভোগ করছে।কিছুক্ষন পর রোয়েন সরে আসে।রুহী মাথা নিচু করে মুচকি হাসছে।রুহীকে নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে রোয়েন।রুহী মুচকি হেসে রোয়েনের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করল।রুহীকে বুকে জাপটে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে রোয়েন।পরদিন সকাল ঘুম ভেঙ্গে ফ্রেশ হয়ে ক্যান্টিনে একত্রিত হয় সবাই।কথা বার্তা হাসি ঠাট্টার মাঝেই নাস্তা করছে সবাই।রোয়েন খাওয়ার মাঝেই রুহীর প্লেটে একটা ডিম ভাজা তুলে দিলো।কখনো সবজি দিচ্ছে। কখনো ওর ঠোঁটের কোনা মুছে দিচ্ছে টিসু দিয়ে।আজিজ রায়হান ভীষন খুশি আজ রুহীর প্রতি রোয়েনের যত্ন আর ভালোবাসা দেখে।রুপন্তী টেবিলে বসেই বোনকে খোঁচাচ্ছিলো।রুহী লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে রুপন্তীকে চোখের কোনা দিয়ে দেখে নিষেধ করছে এমন করতে।নাস্তা শেষ করে সবাই উঠতেই মেইন দরজা দিয়ে তানহা আজিম কে ঢুকতে দেখলো।তানহা আজিমকে দেখে আজিজ রায়হান ওনার কাছে চলে গেলেন।এমন মনে হচ্ছিলো যেন আজিজ রায়হান তানহা আজিমের অপেক্ষায় ছিলেন।আজিজ কেমন আছো?জিজ্ঞেস করে উঠন তানহা আজিম।এইতো তানু ভালো,তোমার কি খবর?আসতে অসুবিধা হয়নি তো?তানহা আজিম কে ওদের টেবিলের কাছে আনতে আনতে জিজ্ঞেস করেন আজিজ রায়হান।এই তো ভালো।ভালোই জ্যাম ছিলো রাস্তায়।বলে উঠেন তানহা আজিম।
তারপর রুহী আর রুপন্তীকে একসাথে জড়িয়ে ধরেন তানহা আজিম।আমার মা দুইটা কেমন আছে?এই তো আন্টি ভালো।কেমন আছেন আপনি?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী রুপন্তী।এই তো মামনি ভালো।রোয়েন ভালো আছো?রোয়েনের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে উঠেন তানহা আজিম।জি ভালো।বলে উঠে রোয়েন।আর আনিলা কেমন আছো?আনিলা বেগমের কাঁধ ধরে জিজ্ঞেস করে উঠেন তানহা আজিম।জি ভালো আপনি কেমন আছেন?মুখে মিথ্যা হাসি ফুঁটিয়ে বললেন আনিলা বেগম।
এই তো ভালো।সবার সাথে কথা বলতে থাকে তানহা আজিম।রোয়েন তানহা আজিমের জন্য একটা রুম ঠিক করে দিলো।সবাই যে যার রুমে চলে গেলো।রোয়েন ফ্লাক্সে করে কফি নিয়ে এসেছে ওদের জন্য।
রুহী খাটে বসে পা দুলাচ্ছে।তানহা আন্টি খুব ভালো তাইনা?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।
হুম। বলে উঠে রোয়েন।রুহী মুখে হাসি ফু্টিয়ে পা দুলাতে থাকে।
রোয়েন দুই মগে কফি ঢেলে রুহীর পাশে এসে বসলো।রুহীর দিকে মগ ধরলো রোয়েন।রুহী কফি মগটা পাশে রাখলো।কি হলো খাচ্ছোনা?ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে রোয়েন।খাবো তবে তোমার থেকে।রোয়েন রুহীর দিকে মগ ধরলো।খাও বলে উঠে রোয়েন।
না এভাবে না আগে তুমি মুখে নাও তবে গিলবা না।বলে উঠে রুহী।রোয়েন ঠোঁটে বাঁকা হাসি এনে কফি মুখে দিয়ে রুহীকে বুকের মাঝে জাপটে ধরলো।রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে মুখের কফিটুকু রুহীর মুখে ঢেলে দিলো রোয়েন।রুহী কফিটা গিলে নিলো।তোমার খারাপ লাগেনি?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।না খারাপ কেন লাগবে।আবার ও দাও।বলে রোয়েনের বুকের মাঝেই সেঁটে থাকে রুহী।রোয়েন পুরোটা কফি এভাবে রুহীকে নিয়ে খেলো।দুপুরে লাঞ্চ সেড়ে ওরা বেরিয়ে পড়বে নাফা খুমের উদ্দেশ্যে।রুহী আর রোয়েন ফ্রেশ হয়ে নিলো।রুহী কলাপাতা রং এর একটি তাঁতের শাড়ী পরেছে।দুহাত ভর্তি শাড়ীর সাথে মিলিয়ে কাঁচের চুড়ি চোখে একটু কাজল আর ঠোঁটে হালকা লাল লিপস্টিক।কোঁকড়া চুল গুলোকে ছেড়ে দিলো বাতাসে।রোয়েন কালো শার্ট আর ব্লু ডেনিম প্যান্ট পরে নিলো।রুহীর দিকে চোখ পড়তে নিজেকে আটকে রাখতে পারেনা রোয়েন।রুহীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ওর কাঁধে মুখ ঘঁষতে লাগলো।
রুহী মুখ রোয়েনের দিকে ফিরিয়ে বলল দেরি হয়ে যাবে।হুম সেই অবস্থায় বলে উঠে রোয়েন।
সবাই অপেক্ষা করছে।বলে উঠে রুহী।
হুম আবার ও বলে উঠে রোয়েন।রুহী এবার একটু সরে এসে রোয়েনের দিকে ফিরে দাঁড়ালো।রোয়েনের কাঁধের দুই পাশে দুহাত রাখলো রুহী।রোয়েন রুহীর মুখের ওপরের চুল গুলো দুহাতে সরিয়ে ওর কপালে গালে তারপর ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুইয়ে দিলো।কিছুক্ষন পর সবাই বেরিয়ে পড়লো নাফা খুম ওয়াটার ফলের উদ্দেশ্যে।সেখানে পৌছুতে ঘন্টাখানেকের মতো সময় লাগলো ওদের।সবাই ভীষন আনন্দ করছে।কিন্তু আনন্দিত হতে পারছেননা আনিলা বেগম।
তানহা আজিম আজিজ রায়হানকে ডেকে নিচ্ছেন ছবি তোলাট জন্য।বিভিন্ন ভাবে ছবি তুলছে তারা।আজিজ এদিকে এসো।দেখো জায়গাটা সুন্দর।এখানে ভালো ছবি উঠবে।বলে উঠেন তানহা আজিম।আজিজ রায়হান বান্ধুবীর সাথে ছবি তুলতে শুরু করেন।রোয়েন সাইফ রাহমানের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।রেহান রুপন্তী আর রুহীর ছবি তুলে দিচ্ছে।রেহান উঠে রোয়েনের কাছে এলো।ভাইয়া আসেন ছবি তুলেন।বলে উঠে রেহান।রোয়েন হাত নেড়ে না জানালো।রেহান রোয়েনকে জোর করে এনে রুহীর পাশে দাঁড় করালো।
রুপন্তী তুমি সরো।ওনাদের ছবি তুলে দেই।বলে উঠে রেহান। রুপন্তী সরে গেলো।রোয়েন আর রুহীর বেশ কিছু ছবি তুলা হলো।রেহান আর রুপন্তী ও ওদের বেশ কিছু ছবি তুলল।রুহী রুপন্তী মামনি এদিকে আয় তোরা।ডেকে উঠেন তানহা আজিম।রুহী আর রুপন্তী ওনার কাছে এসে দাঁড়ায়।তানহা আজিম ওদের সাথে বেশ কিছু ছবি তুললেন।আনিলা বেগম রাগী চোখে তানহা আজিমকে দেখছেন।ওনার স্বামীকে তো পটিয়ে ফেলেছে এখন আবার মেয়ে গুলো কেও। রুপন্তী তো নিজের মেয়ে ও কি করে মায়ের সাথে এমন করতে পারলো?ভাবতেই গা জ্বলে যাচ্ছে আনিলা বেগমের।তারপর সেখান থেকে হাঁটতে শুরু করলো ওরা।হঠাৎ রোয়েন বলে উঠলো সামনে একটা মেলা বসেছে।প্রতি বছর এ সময়ই বসে।চলেন সবাই যাই।মেলার কথায় রুহী আর রুপন্তী ভীষন খুশি হলো।মেয়েদের কে দেখে আজিজ রায়হান না করতে পারলেননা।আচ্ছা চলো।বলে উঠেন আজিজ রায়হান।কথামতো হেঁটে হেঁটে মেলায় পৌছুলো ওরা।মেলা ঘুরে ঘুরে দেখছে ওরা।রুহী আর রুপন্তী গয়নার দোকান গুলো দেখছে।রুহী চুড়ি দেখছিলো কিছু। রোয়েন সেটা খেয়াল করলো।তারপর হেঁটে এসে রুহীর পাশে দাঁড়ালো।পছন্দ হয়েছে জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
হুম চুড়ি গুলো ধরে দেখতে দেখতে বলল রুহী।রোয়েন অনেক গুলো চুড়ি কিনে নিলো।নীল,কালো, লাল, সাদা প্রত্যেক রং এর কয়েক ডজন কিনে নিলো রোয়েন।রুহী ভীষন খুশি হলো এতো গুলি চুড়ি দেখে।রেহান রুপন্তীকে চুড়ি আর হার কিনে দিলো।তারা সেখানে বেশ কিছুক্ষন ঘুরা ঘুরি করলো।সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামতেই বেরিয়ে ওরা রোয়েনের রিসোর্টের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো।রিসোর্টে ফিরে এসে আজিজ রায়হান তানহা আজিমকে ওনার রুমে দিয়ে এলেন।আনিলা বেগম রুমে এসে নিজের চুল টেনে ছিড়তে লাগলেন।রুহী রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শাড়ী পাল্টে একটা স্যালোয়ার কামিজ পরে নিলো।রোয়েন খাবার নিয়ে রুমে এলো।রুহীকে নিয়ে খাবার সেড়ে নিলো রোয়েন।রুহী শুয়ে ফোন চালাচ্ছে।রোয়েন কিছু কাজ শেষ করে রুহীর পাশে শুয়ে ওর হাত থেকে ফোন কেড়ে নিলো।আরে কি হলো?ফোন নিলে কেন?বিরক্ত হয়ে বলল রুহী।এখন ফোন টিপছো কেন?রাগী গলায় বলে উঠে রোয়েন।ভালো লাগছেনা ফোন দাও।
বলে উঠলো রুহী।রোয়েনের মুখে বাঁকা হাসি।কি বললে?ভালো লাগছেনা?বলে উঠে রোয়েন।
না। এখানে হাসার কি?ফোন দাও।বলে উঠে রুহী।রোয়েন রুহীর ঠোঁটে ঠোট চেঁপে ধরে ওর গলা থেকে উড়না খুলে নিচে ফেলে দিলো।রুহীর জামা ভেদ করে রোয়েনের হাত রুহীর পিঠে পেটে ছোঁয়া দিতে লাগলো।রোয়েনের ছোঁয়ায় কেঁপে কেঁপে উঠছে রুহী।রোয়েন রুহীর ঠোঁটজোড়া কে মুখের ভিতর নিয়ে নিলো।রুহীর কাঁপুনি রোয়েনকে উন্মাদ করে দিচ্ছে।রোয়েন পাগলের মতো করছে রুহীর ঠোঁটে কাঁধে।রুহীর ঠোঁট থেকে সরে এসে ওর গলায় মুখ ডুবালো রোয়েন।রুহীকে নিয়ে পাড়ি দিলো ভালোবাসার রাজ্যে।রুহীকে নিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নিল দুনিয়ায়।আজিজ রায়হান খাবার নিয়ে রুমে এলেন।হাত মুখ ধুয়ে খাটে এসে বসে খাবার বাড়তে থাকে দুজনের প্লেটে।আনিলার দিকে একনজর তাকিয়ে বলল ওভাবে চুল না ছিড়ে খেয়ে নাও।সেটা তেনার জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো হবে।আনিলা বেগম তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন।কিসে আমার ভালো কিসে মন্দ সেটা তেমাকে বলতে হবেনা আজিজ।যেখানে যার সাথে পিরিত করছো তাকে যেয়ে ভালো মন্দ শিখাও।তার সাথে এতো লাগা লাগি এতো হাসা হাসি করতে গায়ে লাগেনা শালা চরিত্রহীন।গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করতে লাগলেন আনিলা বেগম।চরিত্র হীন কাকে বলছিস?ভেবে বলছিস তো?চরিত্রহীন কে সেটা সবাই জানে বুঝলি?চিৎকার করে বললেন আজিজ রায়হান।
তুই তোকারি করছো কেন আজিজ?চরিত্র হীন কাকে বুঝাতে চাচ্ছো তুমি?চিৎকার করে বললেন আনিলা বেগম।আমি চরিত্রহীন হলে তোকে কবে ছেড়েই দিতাম।চরিত্রে সমস্যা আছে তো তোর যে স্বামী থাকা সত্বেও অন্য পুরুষের সাথে রাত কাঁটায়।তাও আবার নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য।তানহার সাথে যা ইচ্ছা করি তানহা আমার ফ্রেন্ড।সেটায় তোর এতো জ্বলছে কেন?আমাদের মধ্যে কোন ভালোবাসা ছিলো না নাই কখনো থাকবে ও না আমাদের মধ্যে।আর রুপন্তী যে আমার মেয়ে সেটা খুব ভালো মতোই জানি আমি।।তানহা যতোদিন আছে ততোদিন যেন আর বলতে পারলেননা আজিজ রায়হান।পিছন থেকে কারোর কান্নার শব্দে থেমে গেলেন।পিছনে তাকান আজিজ রায়হান।রুপন্তী দাঁড়িয়ে কাঁদতে শুরু করেছে।
চলবে