Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 70

হ্যালো বলে উঠে রোয়েন।
-ভালো আছো তোমরা?অপরপাশ থেকে বলে উঠেন আজিজ রায়হান।
-জি ভালো।আপনারা?(রোয়েন)
-এইতো ভালো রেহান আর রুপন্তী বলছে কোথাও যাবে পুরো ফেমেলি মিলে।ওরা তোমার বাসায় যাচ্ছে।কোথায় যাবা সেটা ঠিক করে নিলে প্যাকিং করতে সুবিধা হবে।আর বড় গাড়ি লাগবে একটা।একাধারে বলতে লাগলেন আজিজ রায়হান।
-সেটা আমি দেখছি।বলে উঠে রোয়েন।
ফোন কেঁটে রুহীর পাশে খাটে বসে পড়ে ও।কি হলো বাবা কি বলছিলো?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।রেহান আর রুপন্তী আসছে।ওরা কোথাও যেতে চায়।সেটা আমরা ডিসাইড করবো কই যাওয়া যায়।বলে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ায় রোয়েন।রুহী চোখ বুজে রোয়েনের স্পর্শ নিতে থাকে।কিছুক্ষন পর রোয়েন সরে আসে কলিংবেলের শব্দে।নিচ থেকে রেহান আর রুপন্তীর হাসা হাসির শব্দ ভেসে আসছে।রুহী খাট থেকে নেমে দৌড়ে সিড়ির কাছে এসে দাঁড়ালো।পিছু পিছু রোয়েন ও এসে দাঁড়ায়।রুপন্তী সিড়ি বেয়ে উঠে রুহীকে জড়িয়ে ধরলো।আপু কেমন আছিস?বলে উঠে রুপন্তী।এই তো ভালো।তোর কি খবর?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।এই তো ভালো আপি।রেহান রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো।ওদের নিয়ে খাটে এসে বসলো রোয়েন আর রুহী।কিছু গল্প করার পর মুখ খুলে রোয়েন।বাবা বলছিলো কোথাও যাবে তোমরা।কোথায় যেতে চাও?জিজ্ঞেস করে উঠে রোয়েন।
সবাই মিলে যাবো।ভালো কোন জায়গা।এক সপ্তাহের জন্য ঘুরে এলাম।বলে উঠলো রুপন্তী।বান্দরবান যাওয়া যায় বলে উঠে রুহী।রোয়েন রুহীর দিকে তাকায়।তারপর বলে উঠে ইটস আ গুড আইডিয়া।কি বলো তোমরা?বলে উঠে রোয়েন।
জি জিজু সত্যি খুবই ভালো আইডিয়া।বলে উঠে রুপন্তী।আর আমার মাইক্রো আছে।সেটাতে নির্দ্বিধায় ১৭ জন বসতে পারবে।যেখানে আমরা ৮ জন।আর আমাদের ব্যাগ ৬ টার মতো।তাহলে আজ প্যাকিং সেড়ে নাও।কাল সকাল ভোরে বের হবো আমরা।বলে উঠে রোয়েন।রেহান রুপন্তী আরো কিছুক্ষন গল্প করে খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে গেলো।রেহান আী রুপন্তীকে বিদায় দিয়ে রুহীকে নিয়ে রুমে চলে এলো রোয়েন।রুহীর চোখে মুখে খুশির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।ঘুরতে খুব বেশি পছন্দ করে রুহী।জামা কাপড় লাগেজে ভরে রাখা আছে কিছু।আরো কিছু নিলে হয়ে যাবে।এখন এতো তাড়াহুড়ো করে জামা কাপড় গুছানোর দরকার নেই।রাতে গুছিয়ে নেয়া যাবে।ভেবেই খাটে শরীর এলিয়ে দেয় রুহী।রোয়েন এসে রুহীর পাশে শুয়ে পড়ে।রুহীর হাতের কবজি ধরে ওকে কাছে টেনে নেয় রোয়েন।রুহীর মুখে দুষ্টুমি মাখা হাসি।রোয়েন রুহীর কাঁধে নাক ঘষতে শুরু করলো।রুহী রোয়েনের শার্ট জোরে খামচে ধরলো।রোয়েন রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট চেঁপে ধরে ওর উড়না খুলে নিচে ফেলে দিলো।রুহী কে নিয়ে আবার ও ভালোবাসার দুনিয়া পাড়ি দিলো।
রাতে রুহী আর রোয়েন ওদের প্যাকিং সেড়ে নিলো।সকাল ৫ টায় বের হলে জ্যাম কম থাকবে রাস্তায়।রাতেই আজিজ রায়হান আর বাসার সবাই রোয়েনের বাসায় উপস্থিত হলো তাদের ব্যাগ আর লাগেজ নিয়ে।পরদিন সকাল পাঁচটায় বেরিয়ে পড়লো ওরা।
ড্রাইভিং সিটে রোয়েন আর রেহান বসলো।সাইফ রাহমান আজিজ রায়হান আর আনিলা বেগম এক সাথে বসেছে।রুহী রুপন্তী আর রায়না রাহমান একসাথে আর ওিছনের সিটে সবার ব্যাগ আর লাগেজ বোঝাই করা হয়েছে।পুরো জার্নিটাই ভীষন আনন্দের ছিলো।গান কৌতুক আর হাসাহাসিতেই কেঁটেছে পুরো জার্নি।
বান্দরবানে রোয়েনের নিজস্ব একটা রিসোর্ট আছে।প্ল্যান হলো সবাই সেখানে থাকবে।খুব লম্বা একটা জার্নির পর সবাই পৌছে গেলো বান্দরবান।রোয়েনের রিসোর্টে এসে পৌছোলো ওরা পরদিন রাত দুটোয়।রুহী আর রোয়েন ওদের রুমে চলে এলো।রুহী লাগেজ থেকে জামা নিয়ে ফ্রেশ হতে যাবে ঠিক তখনই রোয়েন রুহীকে পার করে ওয়াশরুমে চলে গেলো।রুহী পিছনে ফিরে চলে আসতে নিবে তখনই ওর হাত টেনে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিলো।ঘন্টাখানেক পার হওয়ার পর সবাই ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং এ একত্রিত হলো।রোয়েন অবশ্য সবার পছন্দের কথা মনে রেখেই রান্নার ব্যাবস্থা করিয়েছিলো।
খাবার দাবার সেড়ে সবাই বেরিয়ে পড়লো।রিসোর্ট টা পাহাড়ের ওপর বানানো হয়েছে।সামনে বড় জায়গা আছে।কিছু লোক গাছের ৬ টা গুড়িকে গোল করে চারদিকে শুইয়ে রাখলো বসার সুবিধার জন্য।আর কিছু চিকন কাঠ এনে দিলো আগুন জ্বালানোর সুবিধার্থে। রোয়েন লাইটার দিয়ে কাঠগুলোয় আগুন জ্বালিয়ে দিলো।সবাই বসে পড়লো সেখানে।সবাইকেই ভীষন খুশি লাগছে।হাসি নেই শুধু আনিলা বেগমের মুখে।কথা বার্তার মাঝেই রুপন্তী বলে উঠলো কিছু খেলা যায়।
রেহান রুপন্তীর দিকে তাকায় কি খেলবা?রুহী বলে উঠে কি খেলবি?
বালিশ খেলা খেলি?বলে উঠে রুপন্তী।সবাই রাজি হওয়ার পর রোয়েন কল দিয়ে একটা বালিশ আনালো ওর লোককে দিয়ে।মিউজিক ছাড়া হলো।বালিশ যার কাছে গেলে মিউজিক বন্ধ হবে তাকে কিছু একটা করতে হবে অপর প্রতিযোগীদের কথামতো। নিয়ম অনুযায়ী খেলা শুরু হলো।বালিশ পাস করছে সবাই।হঠাৎ সাইফ রাহমানের কাছে আসতেই গান বন্ধ হলো।মামা এখন আপনাকে সেটাই করতে হবে যেটা আমরা বলবো।বলে উঠে রুপন্তী।কিরে বল কি করতে হবে।
গান গাইতে হবে মামীকে ডেডিকেট করে।সবাই হাত তালি দিতে শুরু করলো।
সাইফ রাহমান গলা পরিষ্কার করে গাইতে আরম্ভ করলেন।
“হামে তুমসে পেয়ার কিতনা
ইয়ে হাম নেহি জানতে,,,,,,
মাগার জি নাহি সাকতে তুম হারে বিনা,,,,,,,
সবাই জোরে হাততালি দিতে শুরু করলো।আনিলা বেগম সবাই কে দেখছেন মিথ্যে হাসি দিয়ে।এরপর বালিশ থামলো আজিজ রায়হানের কাছে গিয়ে।বাবা কে আমি কিছু করতে বলবো।বলে উঠে রুহী।আজিজ রায়হান হেসে সায় দিলেন।
বাবা ছোট বেলায় একটা কবিতা শুনাতে মনে আছে?নীল নবঘনে সেটা বলো।বলে উঠে রুহী।
“নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল
ঠাই আর নাহিরে
ওরে আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে,,,,,,,
সবাই হাত তালি দিলো।আবার ও খেলা শুরু হলো।এবার বালিশ থামলো রেহানের কাছে।জিভে কামড় দিয়ে হাসতে লাগলো রেহান।
রোয়েন বলল রেহান নেচে দেখা।হোয়াট ভাই কি বলেন এসব?অবাক হয়ে যায় রেহান।রোয়েন বলল প্লিজ রেহান।আমাকে না করতে পারিসনা তুই বলেই একগাল হাসলো রোয়েন।রেহান উঠে দাঁড়ালো।কি আর করার খেলার নিয়ম পালন তো করতেই হয়।গান ছাড়া হলো ফেভিকল সে।রেহান চোখ বুজে নাচতে লাগলো।সবাই তো হেসে কুটিকুটি।নাচা শেষ হতেই রেহান চোখে হাত দিয়ে বসে পড়লো। এবার বাকি রইলো তিনজন। রুপন্তী রোয়েন আর রুহী।বালিশ গিয়ে থামলো রুহীর কাছে।রুপন্তী বলে উঠলো আপি তুই রোয়েন ভাইয়ের জন্য কিছু একটা বল যেটা আমরা শুনবোনা কিন্তু রোয়েন ভাই ঠিকই শুনবে।রুহী এবার হাত দিয়ে ইশারা করলো I don’t like disturbance in Romance কথাটার।
রোয়েন এবার বলল I don’t like disturbance in rom,,,বলতেই থেমে গেলো রোয়েন।আমি বুঝেছি।বলে উঠে রোয়েন।রুহী লজ্জায় মাথা নিচু করলো।এবার রুপন্তী আর রোয়েনের পালা।শেষমেষ রুপন্তীর কাছে এসে পড়লো বালিশ।রুপন্তী মন খারাপের ভান করেই কিছুক্ষনের মাঝে হেসে দিলো।রোয়েন বলে উঠলো রুপন্তী তোমার স্মৃতিময় দিন কোনটা?রুপন্তী কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল আকদের দিন টা আমার লাইফের মেমরেবেল ডে।রেহান হেসে রুপন্তীর দিকে তাকায়।রুপন্তী লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে মাথা নিচু করলো।তো জিতলো ভাইয়া।তাহলে ভাইয়া সবাই কে গান শুনান।বলে উঠে রেহান।রোয়েন রুহীর দিকে নেশা লাগানো হাসি দিয়ে তাকিয়ে গলা ছেড়ে গান ধরলো
Meri Kismat Ke
Har Ek Panne Pe
Mere Jeete Ji
Baad Marne Ke
Mere Har Ek Kal
Har Ek Lamhein Mein
Tu Likh De Mera Use
Har Kahani Mein
Saare Kisson Mein
Dil Ki Duniya Ke
Sacche Rishton Mein
Zindagaani Ke
Saare Hisson Mein
Tu Likh De Mera Use
Aye Khuda Aye Khuda
Jab Bana Uska Hi Bana
Aye Khuda Aye Khuda
Jab Bana Uska Hi Bana
রুহী মুগ্ধ চোখে রোয়েনকে দেখে যাচ্ছে।বুকের মাঝে আলাদা এক কাঁপুনি ধরলো।রেহান হাত তালি দিয়ে বলে উঠে How Romantic!!! রাত গভীর হতেই যে যার রুমে চলে গেলো।রুহীর বুক কেমন যেন করছে।ও জানে রোয়েন ওকেই ডেডিকেট করছিলো গানের প্রত্যেকটা লিরিক্সে।রোয়েন পিছন থেকে রুহীকে জড়িয়ে ওর কাঁধে নাক রেখে বলল ভালোবাসি রুহী।রুহী সামনে ফিরে রোয়েনকে জড়িয়ে ধরলো।
চলবে