Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 23
সন্ধ্যা নাগাদ সবাই ঘরে ফিরার জন্য রেডি হচ্ছিলো।রোয়েনের অপর পাশেই পিলারটির সাথে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে।মুখ জুড়ে বিষাদের ছায়া।ভালোবাসার মানুষটা থেকে দূরে চলে যাওয়ার কষ্ট।আড়ালে চোখ মুছে নিয়ে অন্যদিকে সরে গেলো রুহী।রোয়েনের চোখ এড়ালোনা,রুহীর চোখ মুছার দৃশ্যটি।
আজিজ রায়হান আর সাইফ রহমান নিচে এসে রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো।বাবা তো আজ আসি,কষ্ট দিয়ে ফেললাম তোমাকে।খাবার খুবই ভালো হয়েছে তাইনা আজিজ?একনাগাড়ে বললেন সাইফ রহমান।জি ভাই খুব ভালো হয়েছে।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।আমি তো আপনার ছেলে।কষ্টের ব্যাপারটা আসলো কেন এখানে?মুখে স্মিত হাসি ফুঁটিয়ে বলল রোয়েন।হুম ঠিক বলছো।বাবা আজ রেহান রুপন্তী রুহী থাকুক আমার বাসায়।একা একা থাকি তো।ভালো লাগেনা।আপনারা ও থেকে যান।আমার ভালো লাগবে।বলে উঠলো রোয়েন।না বাবা আমরা থাকবোনা।ওরাই থাক।বলেই আজিজ রায়হানের দিকে চেয়ে হেসে দিলেন সাইফ রহমান।থাকার কথায় রুপন্তী ভীষন অবাক হলো আবার রাগ ও হলো কারন রেহান থাকছে তাই।কিন্তু ও থাকতে বাধ্য।বোনকে এতগুলো ছেলের মাঝে ছেড়ে যাবেনা।বাকি সবাই চলে গেলো।
,
,
,,
,
রুহী ঠোঁট টিপ হাসছে রোয়েনের দিকে।রোয়েন বাঁকা হেসে ঠোঁটটাকে কিসের মতো করতেই রুহী দৌড়ে পালালো।রাতে সবাই কোক আর চিপস খেতে খেতে বেশ কিছুক্ষন গল্প করে শেষ রাতে উঠে রুমে যাওয়ার জন্য তৈরি হলো।রোয়েন রুপন্তী আর রেহান কে রুম দিলো।ভাইয়া জানি তো আপুর সাথে আমাকে কেন দিচ্ছেননা?বলে উঠলো রুপন্তী।
কেন দিচ্ছিনা?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
আপনাদের রোম্যান্সে আমি কাবাব মে হাড্ডি হতে যাবো কেন?বলেই খিলখিলিয়ে হেসে দিলো রুপন্তী।
রুপন্তী!!!!মারতে গেলো রুহী।রুপন্তী দৌড়ে রুমে ঢুকে দরজা লাগালো।রেহান কে রুপন্তীর পাশের রুম দেয়া হলো।রেহান নিজের রুমে চলে গেলো।রুহী ওর রুমে গেলো।
রুপন্তী রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলো।ব্যাগ থেকে কালো গেঞ্জীটা বের করে পরে নিতে যাবে তখনই দরজায় কিসের জানি শব্দে চমকে উঠলো রুপন্তী।রেহান দাঁড়িয়ে আছে।কি করে আসলেন?চেঁচিয়ে উঠলো রুপন্তী।রেহান নিজের পিছনের দরজাটা দেখালো।রেহানের রুম দিয়ে রুপন্তীর রুমে আসা যাওয়া করা যায় সহজে।
,
,
,
,
আচ্ছা লুচু আপনি!!ভদ্রতা জানেন না?একজনের রুমে আসলে নক করতে হয় সেই ম্যানার্স টুকু ও নেই?বের হন?চিৎকার করবো,জিজুকে ডাকবো।চেঁচিয়ে বলছিলো রুপন্তী।আচমকা রেহান রুপন্তীকে নিজের সাথে চেপে ধরে ওর ঠোঁটে ঠোঁট বসালো।রুপন্তী বড় বড় চোখ করে নিয়েছে।রেহান মাঝে মাঝে রুপন্তীর ঠোঁটে আলতো করে কামড় ও বসাচ্ছে।রুপন্তী এবার নিজ দুনিয়ায় পা রাখলো।রেহানের পিঠে মারতে লাগলো।রেহান রুপন্তীর হাত জোড়া কে ওর পিছনে দিয়ে একহাতে চেপে ধরলো।রুপন্তীকে নিয়ে দেয়ালে চেপে ধরে ওর গলায় কাঁধে চুৃমু খেতে লাগলো রেহান।
রুপন্তী রেহানকে সরাতে চাইছে।কিন্তু রেহান রুপন্তীকে খুব শক্ত করে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে।
রুপন্তী হাতে ব্যাথা পাচ্ছে কিন্তু রেহানের সেদিকে খেয়াল নেই।ও যেন না আকাঙ্খিত কোন বস্তু খুব কষ্টে পেয়েছে।রেহান নিজের মাঝে নেই।রুপন্তী কে নিয়ে নতুন দুনিয়ায় পাড়ি দিতে চায়।নিজের বোনকে ভালবেসে ফেলেছে ও?মানুষ শুনলে কি ভাববে তাইনা?নিজের ফুপাতো বোনকে কিভাবে ভালবাসে?কিন্তু রেহানের ক্ষেত্রে ব্যাতীক্রম।রুপন্তীকে ভালোবাসে ও।নিজের থেকে ১০ বছরের ছোট একটা বাচ্চা মেয়েকে ভালোবাসে ও। কি পেলো বাচ্চাটার মাঝে?যেটা লিজা এ্যালসা,জোহানা,এমি,লারা এমনকি সুন্দরী মারিয়ার মাঝে ও পেলোনা।এগুলো রেহানের এক্সগার্লফ্রেন্ডস।সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে ও।ওরা ছিলো কিছুক্ষনের মোহ।তবে কাউকেই মন থেকে ভালবাসেনি।তবে রুপন্তীর ব্যাপারটা ওকে খুব বেশি ভাবায়।কখনোই কারোর জন্য এতোটা ফিল করেনি রেহান।যতোটা করেছে রুপন্তীর জন্য।
,
,
,
,
রুপন্তী এবার খুব শক্তি দিয়ে রেহান কে ধাক্কা দিয়ে সরালো।চলে যান!!!আমার খুব বিরক্ত লাগছে আপনাকে।কেন বারবার আমাকে টাচ করেন?আমি কোন বাজারের পন্য না যে যখন তখন কিস করে বসবেন।রেহান রুপন্তীর দিকে তাকিয়ে নিজের ঠোঁট মুছতে গিয়ে ও মুছলোনা।মুচকি হেসে বলল ও
তোমার এই স্পর্শ পুরো রাত কাঁটাতে যথেষ্ঠ।কথাটা বলে বেরিয়ে গেলো রেহান।রুপন্তী রেহানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের ঠোঁটটাকে মুছতে লাগলো জোরে জোরে।কাঁদতে শুরু করেছে রুপন্তী।
রুহী সাদা টপস আর প্লাজো পরে নোটিফিকেশন চেক করছিলো।ওর লেখা গুলো বেশ সাপোর্ট পাচ্ছে।ভালোবাসার মায়াজাল গল্পটা শুরু করেছে।নেক্সট পার্টের জন্য অনেকে চাপাচাপি করছে।কি ভেবে লিখতে শুরু করলো রুহী।এক প্যারা লিখতেই দরজায় নক পড়লো।ফোন রেখে দরজার দিকে পা বাঁড়ালো রুহী।লক খুলতেই রোয়েন ওকে জড়িয়ে ধরে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবালো।পা দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে রুহীকে নিয়ে খাটে শুয়ে পড়লো।রুহীর ওপর রোয়েন আধশোয়া হয়ে আছে।রুহীর ঠোঁটে আলতো করে দুতিনবার চুমো খেয়ে মাথা উঠালো রোয়েন।রুহীর দুগালে হাত রেখে তাকিয়ে আছে রোয়েন।এই চেহারা এই চেহারা যেন কতোদিন ধরে দেখিনি।আমার চাঁদপরী!!আমার মায়াবতী!!তোমার থেকে দূরে থাকতে পারছিলামনা।কতো রাত ঘুমাইনি!!!শুধু এই চাঁদপরীর মায়াভরা মুখটা একবার দেখার জন্য হাঁসফাস করছিলাম।রুহীর চোখ ভরে এসেছে।রোয়েনের কপালে চুমু খেলো রুহী।রোয়েনের রুহীর টপসের বোতাম দুটো খুলে লাল তিলটায় ঠোঁট ছোঁয়ালো।রুহী চোখ বুজে রোয়েনের ভালোবাসা গুলো উপভোগ করছে।
রাত তিনটা,,,,,,,,
,
,
,
,
রোয়েন রুহীকে বুকে নিয়ে শুয়ে আছে।ঘুমা ও না কেন?গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করলো রোয়েন।আসছেনা ঘুম।ঘুমিয়ে গেলেই তো শেষ।আজ তোমাকেই দেখি।রোয়েনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো রুহী।দেখেছো তো!এখন ঘুমাও।বলে উঠলো রোয়েন।নাহ আসছেনা ঘুম।ওকে চলো আমার সাথে।রোয়েন খাট থেকে রুহীর হাত ধরে বলল।রুহী মুচকি হেসে রোয়েনের সাথে বেরিয়ে এলো রুম থেকে।রুপন্তী আর রেহানকে ডেকে উঠালো রোয়েন আর রুহী।
সবাই মিলে রোয়েনের গার্ডেনে এলো।রুহী আর রুপন্তীকে দোলনায় বসিয়ে রেহানকে নিয়ে কই যেন উধাও। কিছুক্ষন পর রোয়েন আর রেহান কাঠ নিয়ে উপস্থিত হলো।সব গুলো কাঠ একসাথে করে আগুন জ্বালিয়ে সবাই বসে পড়লো।
রোয়েন আগুনের সোনালী আলোয় রুহী কে দেখছে।মেয়েটার চেহারা টা জ্বলজ্বল করছে।রেহান রুপন্তী দিকে তাকাতে পারছেনা।মেয়েটা মুখ শক্ত করে বসে আছে।রেহান মাথা নিচু করে বসে আছে।
চলবে
শরীরটা ভীষন খারাপ।কেমন হলো জানিনা😑😑😑😑