My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 18
,,আনিলা বেগম আজমল খান আর আনাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কালকের রিসিপশন পার্টির জন্য।মেয়েকে কি উপহার দেবেন সেটা ভাবতে ভাবতে আনিলা বেগম ক্লান্ত প্রায়।শেষমেষ নিজের স্বর্নের বালা জোড়া দিবেন বলে ঠিক করেছেন।তবে আজমল বা আনাম জানলে বিপদ হবে।আনিলা বেগম কাপড় চোপড় ইস্ত্রী করে খাটে শরীর এলিয়ে দিলেন।আনাম রুমুর কথা গুলো ভানছিলো।গভীর ভাবে চিন্তা করলে রুমুর কথা গুলো ঠিক।বন্ধুূের দেখেছে তাদের বোনদের সাথে।কতোটা মায়া দরদ দিয়ে বোনদের আগলে রেখেছে আর আনাম…..না আর ভাবতে পারছেনা।চোখ জোড়া জ্বালা করছে।
,,,,,,,,,,,,,,,,রুহীর ঠোঁট থেকে সরে এলো রোয়েন।রুহীর কপালের সাথে কপাল লাগিয়ে চোখ বুজে শ্বাস নিচ্ছে ও।রুহী চোখ বন্ধ করে আছে।রুহী!!!!!!কাঁপা গলায় বলে উঠলো রোয়েন।হুম চোখ বুজেই জবাব দিলো রুহী।মাফ করেছো না?রুহীর দিকে তাকিয়ে বলল রোয়েন।রুহী চোখ বুজেই মাথা নাড়লো না সূচক ভাবে।রোয়েন মাথা নিচু করে ফেললো।তোমরা মেয়েরা এমন কেন?বুঝিনা কিছুটা অভিমানী স্বরেই বলল রোয়েন।আপনি আমার জায়গায় হলে বুঝতেন যে কথা গুলো কাঁটার বিধছিলো তখন।ছলছলে চোখে বলল রুহী।সেজন্যই তো সরি বলছি। প্লিজ মাফ করে দাও।রোয়েন রুহীকে বুকে টেনে নিয়ে বলতে থাকে।রুহী চুপচাপ রোয়েনের বুকে মাথা দিয়ে আছে।রোয়েন রুহীকে কোলে তুলে নিলো।রোয়েনের গলা জড়িয়ে আছে রুহী দুহাতে।রুহীকে নিয়ে রুমে চলে এলো রোয়েন।রুহীকে খাটে শুইয়ে দিয়ে নিজের ভার ছেড়ে দিলো রুহীর ওপর।রুহীর গলায় মুখ ডুবিয়ে উষ্ণ পরশ বুলাতে লাগলো রোয়েন।রুহীর গলায় ঠোঁট বুলিয়ে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলো রোয়েন।কিছুক্ষন পর উঠে বসলো রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহীর দিকে তাকায় রোয়েন।চোখ বুজে শুয়ে আছে রুহী। রুহী!!গম্ভীর গলায় ডাকলো রোয়েন।হুম আস্তে করে বলে উঠলো।উঠে তৈরি হয়ে নাও।শপিং করতে যাবে মায়ের সাথে।রোয়েনের কথাটুকু শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকালো রুহী।কি বললেন?রাগী গলায় বলে উঠলো রুহী।এক কথা কতো বার বলতে হবে?দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।মায়ের সাথে শপিং এ যাবা কাল রিসিপশনের জন্য।রাগী গলায় বলল রোয়েন। আপনি যাই বলুন মায়ের সাথে আমি যাবোনা। নাক ফুলিয়ে নিলো রুহী।ওনি ভালো না।যাবোনা ওনার সাথে।রুহী মাথা ঘুরিয়ে নিয়ে বলল।রুহী অনেক বেশি বলছো।একটা চড় দিবো ধরে। যা বলছি শুনো ধমক দিয়ে উঠলো রোয়েন।রুহীর চোখ জোড়া ভরে এলো।ওনি আমার সাথে অনেক অন্যায় করেছে?অনেক কষ্ট দিয়েছে আমায়।কাঁদতে কাঁদতে বলল রুহী।রুহীর পাশে শুয়ে ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে রোয়েন বলতে লাগলো প্রথম থেকে সব যা এতোদিন আনিলা বেগম রুহীর জন্য করেছিলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী অশ্রুসজল চোখে রোয়েনের কথা গুলো শুনছিলো।মা এতোদিন যা করেছে সে সব বাবা কে দেখানোর জন্য ছিলো?রোয়েন কথা শেষ করে রুহীর গলায় ঠোঁট বুলিয়ে দিলো।মা কে ফোন দিন ওনার সাথে কথা বলবো।চোখ মুছতে মুছতে রুহী বলল।হুম বলে উঠে বসলো রোয়েন।ফোন বের করে আনিলা বেগমের নম্বরে কল দিলো।শুয়ে আছে আনিলা বেগম।হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে আনিলা বেগম।ফোন হাতে নিয়ে রোয়েনের কল দেখে ফোন রিসিভ করে কানে ধরলেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,,,,,,,ঐপাশ থেকে রুহীর কন্ঠস্বর শুনে গলা ধরে আসতে চাইলো আনিলা বেগমের।হ্যালো রুহী।কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,মা!!!!!!আর কিছু বলতে পারলোনা রুহী। গলা আটকে আসছে ওর।
রোয়েন রুহীর দিকে তাকিয়ে অন্যদিকে ফিরলো।উফ এতো মেলোড্রামা!!!! ফিসফিস করে বলল রোয়েন।রুহীর হাত থেকে ফোন নিয়ে কানে ধরলো রোয়েন।হ্যালোমা আপনি আসেন বাসায়।রুহীকে কালকের জন্য শপিং করে দিবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আচ্ছা ঠিক আছে বাবা।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,আর যে টাকা দিবো আপনার জন্য ও কাপড় কিনবেন।গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।
,,,,,,,,,,,,,,,,না বাবা কি বলো।আমার লাগবেনা।আনিলা বেগম লজ্জা পেয়ে বললেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,মা আমি কিছু শুনবোনা।আপনি জলদি চলে আসেন।রোয়েন বলে উঠলো।
ফোন কেঁটে টিটেবিলের ওপর ফোন রেখে চোখ শাড়ীর আঁচলে মুছে নিলো আনিলা বেগম।
সন্ধ্যায় রোয়েন আনিলা বেগম রুহী সবাই মিলে শপিং এ এলো।রুহীর জন্য লেহেঙ্গা আর গাউন আর মায়ের জন্য শাড়ী।
আজমল খানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রাফি।মুখ শক্ত করে দাঁড়িয়ে আছে আজমল খান।রাফি গড়গড় করে তার দেখা সব বলে দিলো আজমল খানকে।আনিলা বেগম ঘরে ফিরে আসতেই তার হাত ধরে দেয়ালে চেঁপে ধরলেন আজমল খান।কই ছিলে?চিৎকার করে বললেন আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,,,,তোমাকে বলেছিলাম না শপিংয়ে।চিৎকার করে বললেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহীকে কোলে নিয়ে ছাদে বসে আছে রোয়েন। রুহীকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিলো রোয়েন।রুহীর চুলের পিছনে হাত দিয়ে রুহীর কাঁধে স্পর্শ করলো রোয়েন।আলতো হাতে রুহীর কাঁধে স্পর্শ করলো রোয়েন।রুহীর ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।রুহীর গলায় ঠোঁট রাখলো রোয়েন।রোয়েনের ফতুয়ার কলার আঁকড়ে ধরলো রুহী।রুহীর গলায় উষ্ণ স্পর্শ বুলাতে ব্যাস্ত রোয়েন।রুহীর কাঁধে লিক করছে রোয়েন।রুহীর থেকে একটু সরে এলো রোয়েন।রোয়েনকে কাছে টানছে রুহী।রুহীর ঠোঁটে আলতো করে একবার ঠোঁট ছোঁয়ালো রোয়েন। রুহীর ঠোঁট জোড়া কাঁপছে।রোয়েন আবারো আলতো করে চুমু খেলো রুহীর ঠোঁট জোড়ায়।সরে আসতেই রোয়েনের শার্টের কলার জোরে চেঁপে ধরলো রুহী।রোয়েন এবার রুহীর ঠোঁট জোড়ায় নিজের ঠোঁটের মাঝের নিয়ে নিলো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহীর ঠোঁটের মাঝে রোয়েনের ঠোঁটজোড়া নিজেদের খেলায় মেতে আছে।রুহীর থেকে একটু সরে এসে রুহীকে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।রোয়েনর বুকে মাথা দিয়ে আছে রুহী।রুহীকে খাটে শুইয়ে ওর ওপর শরীর ছেড়ে দিলো রোয়েন।রুহীর কাঁধে গলায় ঠোঁট বুলাতে লাগলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের ফতুয়া ধরে টানছে। রোয়েন উঠে বসে ফতুয়া একটানে খুলে রুহীর শাড়ীর আঁচলের দিকে হাত বাড়ালো।রুহীকে নিয়ে ভালোবাসার অতল সাগরে ডুব দিলো রোয়েন। ভালোবাসায় পরিপূর্ন করে দিয়েছে ডার্ক প্রিন্সেস কে রোয়েন।
(আজ অনেক টায়ার্ড লাগছে তাই একটু ছোট হয়ে গেলো।)
চলবে