The Cobra King Mafia Boss- Season 4

The Cobra King Mafia Boss- Season 4 !! Part- 29

→রুহীর বেশ ভয় লাগতে শুরু করে।কে ওকে এভাবে ফলো করছে?আবার কোন বিপদ আসছেনা তো ওর জীবনে?ভাবতেই কেমন যেন অস্থির লাগে রুহীর।রুহী কি করবে বুঝতে পারেনা।কোথাও গিয়ে শান্তি পায়না যেখানে যায় মনে হয় সে পিছে আছে।তখনই রুহীর ভিতরটা কেঁপে উঠে।রুহীকে বেশ চিন্তিত দেখায়।তবে রোয়েনের মনে হতে থাকে সেদিন রেজোয়ান মাহবুবের সেই ভিডিও ফুটেজ হয়ত রুহীর মন থেকে যাচ্ছেনা।রোয়েন ভাবে পরে কথা বলবে এ নিয়ে রুহীর সাথে।রুহীর সাথে এই কাহিনী প্রায় অনেকদিন যাবৎ হচ্ছে।যতদিন যাচ্ছে রুহীর ভয় বাড়ছে,বাড়ছে চিন্তা।সেদিন কলেজ থেকে বের হতেই রুহীর মনে হচ্ছে ওর পিছনে বেশ কাছেই কেউ আছে।রুহী চিৎকার করে পিছনে ফিরে কাউকে পায়না।রুহীর চোখভরে আসে।রুহী দৌড়ে সামনে যেতেই রোয়েন ওর দুকাঁধ ধরে থামায়।
রুহী থেমে রোয়েনের দিকে তাকিয়ে জড়িয়ে ধরে লোকটাকে।অশ্রু সংবরন করে ও।
রোয়েন রুহীর মাথায় হাত রেখে বলল,
.
.
-ঠিক আছো?
-জি ঠিক আছি,চলুন।সরে আসে রুহী।
.
.
রোয়েন কিছু বললনা।রুহীকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।ঘরে ফিরে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ সেড়ে শুয়ে পড়ে রুহী।সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসে রুহী।কিন্তু মাথায় কিছুই ঢুকছেনা কারন ভয় লাগছে ওর।হঠাৎ ঘরে ঢুকে রোয়েন বেশ কিছু শপিং ব্যাগ নিয়ে।ঘরে ঢুকে রুহীর রুমের সামনে এসে দাঁড়ায় ও।তারপর চুপচাপ ওর কপালে চুমু খেয়ে রুমে চলে যায় রোয়েন।রুহীর মনে হতে থাকে রোয়েন যখন ওর কপালে চুমু খায় তখন সব বিপদ যেন সহজ মনে হয়।কোন ভয় থাকেনা।বড় ভরসার ছোঁয়া সেটা।রাতে ডিনার করে রোয়েন শপিং ব্যাগ নিয়ে রুহীর রুমে আসে।রুহী বিছানা গুছাচ্ছিলো।রোয়েন রুমে ঢুকে ব্যাগ গুলো বিছানায় রেখে রুহীর বাহু ধরে ওকে বসায়।রোয়েন বলল,
.
.
-কিছু ড্রেস এনেছি,দেখো।
-জি।
.
.
রুহী ব্যাগ খুলে জামা দেখতে শুরু করে।লং শার্ট,স্কার্ট,টপস প্যান্টস,শাড়ী আর কিছু প্রসাধনী সামগ্রী।জিনিস গুলো দেখার মাঝে রোয়েন খেয়াল করে রুহীর মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ।
.
.
-রুহী কি ভাবছো।কিছু দিন যাবৎ দেখছি কিছু নিয়ে চিন্তিত তুমি।
-রোয়েন আসলে কিছুদিন ধরে মনে হচ্ছে কেউ ফলো করছে আমাকে।
.
.
রুহীর কথা শুনেই রোয়েনের মুখ কালো হয়ে আসে।কঠিন গলায় জিজ্ঞেস করে,
.
.
-কতদিন যাবৎ?
.
.
রোয়েনের এমন কন্ঠে কেঁপে উঠে রুহী।তারপর কাঁপা গলায় বলল,
.
.
-এই প পনের ব বিশ দিন যাবৎ।
.
.
রুহীর কথায় বেশ অবাক হয় রোয়েন।এতদিন যাবৎ হচ্ছে আর ওকে আজ বলছে মেয়েটা?এবার প্রচন্ড রেগে রুহীর দিকে তেড়ে আসে রোয়েন,
.
.
-আজ জানাচ্ছো তুমি আমাকে?গলায় ফাঁটিয়ে চিৎকার করে রোয়েন।
.
.
রুহী কেঁপে উঠে।চোখজোড়া বেয়ে অশ্রু গড়াতে শুরু করে,
.
.
-আরো আগেই বলতাম কিন্তু মনে হচ্ছিলো আমার ভ্রম।
-ধ্যাৎ!!!!
.
.
প্রচন্ড রেগে রুম থেকে বেরিয়ে যায় রোয়েন।রুহী কাঁদতে শুরু করে।পরদিন সকাল নাস্তা বানিয়ে কফি নিয়ে রোয়েনের রুমে যায় রুহী।রোয়েন শার্ট পরে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছে।রুহী রোয়েনের কাছে এগিয়ে গিয়ে শার্টের বোতামে হাত দেয়।রোয়েন।কিছু বলছেনা।রুহী বোতাম লাগিয়ে কফি মগটা রোয়েনের দিকে ধরে।রোয়েন কফি নিতেই রুহী চলে যেতে নেয় পিছন ফিরে।তখনই ওর হাতের কবজি টেনে নিজের সাথে লাগায় রোয়েন।
.
.
-আমি বলেছি যেতে?
-নাহ।
-তাহলে যাচ্ছো কেন?
.
.
রুহী কি বলবে বুঝতে পারছেনা।রোয়েন ওকে সরিয়ে ওর হাতে কফির মগটি ধরিয়ে কফি খেতে বলে।রুহী কফি মুখে দিতেই ওকে কাছে টেনে নেয় রোয়েন।তারপর রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কফিটা খেয়ে নেয়।রুহী সরে আসে।রোয়েন নাস্তা খেতে চলে যায় রুহীকে নিয়ে।নাস্তা শেষে রোয়েন বলল,
.
.
-আজ শামীম না আমি তোমার সাথে যাবো।
-আচ্ছা।
.
.
রোয়েন বেরিয়ে যায় রুহীকে নিয়ে।রুহী কে কলেজে দিয়ে অফিসে চলে আসে রোয়েন।দুজন লোক লাগায় কলেজে দেেখার জন্য কে রুহী কে ফলো করছে।কিছুসময় পর একজন লোক কল।দেয় রোয়েনের ফোনে,
.
.
-স্যার ম্যামের বয়সী একজন মেয়ে ফলো করছে ম্যামকে।
-ওকে নিয়ে আমার অফিসে আসো।
-জি স্যার।
.
.
কিছুক্ষন পর একজন লোক একটা মেয়েকে নিয়ে রোয়েনের আলাদা এক কক্ষে চলে যায়।মেয়েটার চোখে মুখে ভয় লেপ্টে আছে।লোকটা মেয়েটাকে একটা চেয়ারে বসায়।মেয়েটা দেখে তার সামনে কালো কোট ওয়ালা লম্বা একজন বসে আছে।
.
.
-আ আপনি কে?আমাকে উঠিয়ে আনলেন কেন?ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে।
-নাম কি তোমার?
-ইশরাত জাহান আশফিনা।
-হোয়াট এভার।রুহী কে ফলো করছো কেন?
-আপনি কিভাবে জানলেন?
-ও আমার উডবি ওয়াইফ।সো আমি জানবো কে আমার বৌ কে ফলো করছে তাইনা?
.
.
রোয়েনের কথায় এবার মেয়েটার মুখে এবার যেন একটু হাসি ফুঁটে উঠে,
.
.
-এক্চুয়ালি ভাইয়া আমি দুবাই থেকে এসেছি ওর ক্লাশ টেনের ফ্রেন্ড।ক্লাশ টেনে ওর সাথে ঝগড়া হয়েছিলো আমার।ও এতো ভালো স্টুডেন্ট ছিলো। তখন মনে হতো যে হয়ত ওর কারনেই আমার নম্বর কম আসে।পরে নিজেই ভুল।বুঝতে পারি।কিন্তু নিজের ইগোর কারনে সরি বলতে পারিনি।কিন্তু ভাইয়া আমার খুব খারাপ লাগছিলো।তাই ওকে খুঁজতে আরম্ভ করি।ওর নানুর বাসায় গিয়ে জানতে পারি ও দেশে ফিরে এসেছে।তাই আমি ও চলে আসি।এখানে ওকে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকি কিন্তু পাইনি।হঠাৎ ওর কলেজের সামনেই ওকে পাই এবং ফলো করতে থাকি কথা বলার জন্য।
.
.
মেয়েটার কথা এতক্ষন মন দিয়ে শুনছিলো রোয়েন। এবার গলা পরিষ্কার করে ওর একজন লোককে ডেকে বলল,
.
.
-আমার বাসায় ওকে নিয়ে যাও।
.
.
এবার মেয়েটার দিকে তাকায় রোয়েন,
.
.
-আমার বাসায় যাও। রুহী আসলে কথা বলে নিও।
-থ্যাংকস ভাইয়া।
-হুম।
.
.
লোকটা আশফিনা কে নিয়ে যায়।এদিকে রোয়েন রেজোয়ান মাহবুব কে খবর লাগাতে বলে আশফিনা কি আদৌ রুহীর বান্ধুবী কিনা আর ওর নানার বাড়ি গিয়েছিলো কিনা।রুহীকে নিয়ে আসে রোয়েন ছুটির পর।তবে রুহী খেয়াল করে আজ আর ওকে ফলো করছেনা।বেশ সস্তি পায় রুহী।ও বলে উঠে,
.
.
-যে ফলো করছিলো তাকে ধরেছেন তাইনা?
-হুম।
-পিট্টি দিয়েছেন না?কোব্রা আর কিং কে খাওয়াবেন?
-বাসায় গিয়ে দেখলে তুমি তাকে কোব্রা আর কিং কে খাওয়াতে দেবেনা।
-হু????
.
.
রোয়েন কিছু না বলে বাসার জন্য রওনা হয়।ঘরে পৌছে রুহী দরজা খুলেই জোরে চিৎকার করতে গিয়ে ও চুপ হয়ে যায়।আশফিনা হাসছে রুহীর দিকে চেয়ে।রুহী চুপচাপ রুমে যেতে নিলে আশফিনা পিছন থেকে ওকে জড়িয়ে কেঁদে দেয়,
.
.
-সরি রুহী।
-আমাকে ছাড়।
-রাগ করিস না দোস্ত।আমি সত্যি খুব দুঃখিত।
.
.
রুহীর খুব খারাপ লাগছে।ওর অনেক ভালো বান্ধুবী ছিলো আশফিনা।ও হয়ত সত্যিই দুঃখিত নিজের আচরনে।রুহী পিছে ফিরে আশফিনাকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে।দুই বান্ধুবী অনেক সময় পর্যন্ত গল্প করে
রাতে খাবার শেষ করে আশফিনাকে শামীমের সাথে ওর বাসায় পাঠানো হয়।খাবার শেষে ফ্রেশ হয়ে রুহীর রুমে আসে রোয়েন।রুহীকে অনেক হাসি খুশি দেখাচ্ছে।রোয়েন এসে ওকে কোলে করে নিজের রুমে চলে যায়।তারপর রুহীকে বুকে টেনে শুয়ে পড়ে।
অনেকটা দিন চলে যায়।হঠাৎ রামীন রোয়েনকে এসে বলল,
.
.
-খুব মাথা ধরেছে দোস্ত।
-সো।
-চলনা বারে যাই।
-না এখন কাজ আছে।একটু পর বাসায় যাবো।
-প্লিজ রোয়েন চল। একটু খাবি আমার সাথে।
-তোর সাথে যাবোনা। মনে আছে কি করেছিলি?
-কই?
-ওয়েটরেস কে জড়িয়ে ধরেছিলি মাতাল হয়ে।
-ঐদিন তো বেশি হয়ে গেছিলো।
-আজ খেয়াল রাখবো।চল না প্লিজ।
-তুই কথা শুনিস না কেন রামীন?
-সবসময় তোর গুমরো মুখের কথা শুনতে হবে এমন তো কোন কথা নেই।চল বলছি।
.
.
রোয়েন ভ্রু কুঁচকে রামীনের দিকে তাকায়।তারপর কি যেন ভেবে উঠে দাঁড়ায়।সেদিন রামীন কম খেলে ও রোয়েন খুব বেশি খেয়েছিলো।ফলাফল বারবার নিজ বাসা ভুলে কখনো শামীম রেজোয়ান কিংবা শরৎ এর বাসায় চলে যেতে চেয়েছে।রামীন কোনমতে আটকে বাাসায় নিয়ে আসে।রুহী পড়ছিলো।কলিংবেল শুনে দৌড়ে এসে দরজা খুলে।রামীন রোয়েনের সাথে দাঁড়িয়ে আছে।রোয়েনের চোখজোড়া লাল হয়ে আছে।
.
.
-অনেক ড্রিংক করেছে ও।
-ওহ।
.
.
রুহী রোয়েনকে খাটে শুইয়ে দেয় রামীনের সাহায্যে।রামীনকে বসতে বললে ও জানায় দেরি হলে মা টেনশন করবে।রামীন চলে গেলে রুহী এসে রোয়েনের জুতো মোজা খুলে দাঁড়ালে রোয়েন ওকে ইশারা করে কাছে বসতে বলে।রুহী এসে খাটে রোয়েনের পাশে বসে।রোয়েন হাত বাড়িয়ে রুহীর কপালের চুল সরিয়ে ওর কোমড় চেঁপে কাছে টেনে আনে।তারপর মাতাল কন্ঠে বলল,
.
.
-মায়াবতী তুমি এতো অপরুপ।তোমাকে দেখে নিজেকে আটকাতে পারিনা।
-জি।
-তোমার ঠোঁট জোড়া বড় টানে আমাকে।
-জি।
-কি খালি জি জি করছো।আই লাভ ইউ রুহী।অনেক ভালবাসতে চাই তোমাকে।
-তো বাসুন।অনেক ভালবাসা দিন।
.
.
রোয়েন অনেকসময় ধরে রুহীর দিকে তাকিয়ে ওর ঠোঁটজোড়ার দিকে মন দেয়
তারপর কথা নাই বার্তা নাই ঠোঁটজোড়া মুখে পুরে শুষে নিতে নিতে রুহীকে একঝটকায় খাটে শুইয়ে দিয়ে ওর ওপর নিজের ভর দেয় রোয়েন।রুহীর কালো শার্টের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে ওর কাঁধে গলায় চুমু দিতে থাকে।আজ আর নিজ দুনিয়ায় নেই রোয়েন।আজ কি করছে কোন খবর নেই ওর।ভালো খারাপ চিন্তা করার নেই কোন সামর্থ্য।
চলবে